Showing posts with label Sports. Show all posts
Showing posts with label Sports. Show all posts

আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট

admin May 28, 2019
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার এ আসরটি হবে ১২তম আয়োজন। ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ প্রতিযোগিতাটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ৫মবারের মতো হতে যাচ্ছে। ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য এ প্রতিযোগিতায় মার্চ, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০টি দলের অংশগ্রহণ করছে।

এপ্রিল, ২০০৬ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসকে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের নিলাম প্রক্রিয়া থেকে তাদের আবেদন প্রত্যাহারের ফলে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম খেলাটি ওভালে ও চূড়ান্ত খেলাটি ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ সালের পর পঞ্চমবারের মতো লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর সর্বশেষ খবর দেখনু: http://rangpurexpress24.com/icc-cricket-world-cup

২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী দশ দলই একে-অপরের বিপক্ষে একই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবে। প্রত্যেক দলই সর্বমোট নয়টি খেলায় অংশ নিবে। গ্রুপের শীর্ষ চার দল নক-আউট পর্বে উপনীত হবে এবং সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেলবে। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করেছে।

ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আক্রমণের পর ভারতীয় সামরিকবাহিনী পাকিস্তানী জঙ্গীবাদীদের বিপক্ষে আক্রমণ চালায়।

এরপর বেশ কয়েকজন সাবেক ভারতীয় খেলোয়াড় ও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান খেলা আয়োজন না করাসহ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা থেকে পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞা প্রদানে প্রচারণা চালায়।

তবে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পাকিস্তানের বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনা নাকচ করে দেয়। এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা থাকা স্বত্ত্বেও পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক খেলা আয়োজনের কথা জানানো হয়।

ব্রাজিল-মেক্সিকো লড়াই পরিসংখ্যানে

admin July 02, 2018
১৯৯০ সালের পর থেকে কখনও বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের আগে বাদ পড়েনি ব্রাজিল। অন্যদিকে শেষ ছয় বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে গেছে মেক্সিকো। বিশ্ব মঞ্চে চার দেখায় একবারও ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি, হজম করেছে ১১টি গোল। সামারায় সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।

# নিজেদের শেষ ১৫টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অপরাজিত আছে তিতের ব্রাজিল।

# ১৯৯৯ সালের পর থেকে ব্রাজিলের বিপক্ষে শেষ ১৫ ম্যাচের সাতটিতে জয় আছে মেক্সিকোর, হার পাঁচটি।

# রাশিয়া বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৪২ বার বল ড্রিবল করার চেষ্টা করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। ২৮ বার ড্রিবল করে তার সবচেয়ে কাছে আছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।

# এ পর্যন্ত নেইমার ১৮টি গোলের সুযোগ পেয়েছেন, যা আসরে অন্য যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি।

# গ্রæপ পর্বে নিজেদের তিন ম্যাচে ৫৬টি শট নিয়েছে ব্রাজিল। টুর্নামেন্টে টিকে আছে এমন দলগুলির মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ মেক্সিকো নিয়েছে ৪৪টি শট।

# টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮৪টি পাস দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেলেসাওরা, যা মেক্সিকোর চেয়ে ৬৩১টি বেশি।

# গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে ২৯৭.৬৬ কিলোমিটার দৌড়েছে মেক্সিকো। চলতি আসরে এর চেয়ে কম দৌড়েছে শুধু পানামা। ব্রাজিলের সবাই মিলে দৌড়েছে ৩১৩.৪ কিলোমিটার।

# টুর্নামেন্টে টিকে থাকা দলগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের চেয়ে বেশি সময় বল পায়ে রাখতে পেরেছে শুধু স্পেন। তিন ম্যাচে ১১১ মিনিট ৪ সেকেন্ড নিজেদের পায়ে বল রেখেছে তিতের দল। অন্যদিকে মেক্সিকোর বল পজেশন ৮৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।

# গ্রæপ পর্বে দুই হলুদ কার্ড দেখায় শেষ ষোলোয় খেলতে পারবেন না মেক্সিকোর ডিফেন্ডার এক্তর মোরেনো।

# তিন ব্রাজিলিয়ান (ফিলিপে কৌতিনিয়ো, কাসেমিরো ও নেইমার) ও মেক্সিকোর তিন  খেলোয়াড় (এক্তর এররেরা, মিগেল লাইয়ুন ও হেসুস গাইয়ার্দো) আর একটি করে হলুদ কার্ড দেখলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন।

# ব্রাজিল ও মেক্সিকো নিজেদের মুখোমুখি হয়েছে ৪০ বার। লাতিন পরাশক্তিদের ২৩ জয়ের বিপরীতে মেক্সিকানদের জয় ১০টি। বিশ্বকাপে চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। প্রথম তিন দেখায় জয় ব্রাজিলের। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে শেষ দেখা গ্রæপ পর্বের ম্যাচে। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

# বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় ব্রাজিলের জালে কোনো গোল দিতে পারেনি মেক্সিকো, হজম করেছে ১১টি।

# ব্রাজিল শেষবার কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পারেনি ১৯৯০ সালে।

# বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫৬ ম্যাচ খেলে কোনো শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি মেক্সিকো। বিশ্ব মঞ্চে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে শিরোপা জিততে না পারার রেকর্ড এটি।



উরুগুয়ে এমন গোল আগে করেনি

admin July 02, 2018

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে উরুগুয়ের দুই ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস ও এদিনসন কাভানির মিলিত প্রচেষ্টার গোলটি নিয়ে বিস্মিত ফের্নান্দো সান্তোস। উরুগুয়ে এমন গোল আগে করেনি বলে এর জন্য ডিফেন্ডাররা প্রস্তুত ছিল না বলে জানালেন পর্তুগাল কোচ।
সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে গত শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কাভানির জোড়া গোলে ২-১ গোলে হারে পর্তুগাল। এর মধ্যে কাভানির প্রথম গোলটি ছিল সুয়ারেসের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে। মাঝ মাঠে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে ডান দিক থেকে মাঠের অন্য প্রান্তে সুয়ারেসকে পাঠান কাভানি। এরপর ডি-বক্সে ছুটে গিয়ে বাঁ দিক থেকে আসা সতীর্থের দারুণ ক্রসে হেডে গোল করেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ শেষে সান্তোস জানান, প্রতিপক্ষদের তিনি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন কিন্তু সুয়ারেস-কাভানির মিলিত প্রচেষ্টায় হওয়া প্রথম গোলটির জন্য প্রস্তুত থাকা অসম্ভব ছিল।
“বাঁ দিকে ক্রস গেল, এরপর ডান দিকে ক্রস এল-এর বিপক্ষে কোনো উপায় ছিল না। তাদের স্ট্রাইকাররা খুব শক্তিশালী ছিল। একজন সেখানে ছিল, অন্যজন পেছন থেকে এলো। সেটা ছিল অবিশ্বাস্য খেলা। তারা এমন গোল আগে কখনও করেনি।”
৫৫তম মিনিটে কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে পর্তুগালকে ম্যাচে ফেরান পেপে। কিন্তু উরুগুয়েকে আটকে রাখা যায়নি। ৬২তম মিনিটে কাভানির কোনাকুনি শট জাল খুঁজে নিলে ফের পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল। সান্তোসও মেনে নিচ্ছেন উরুগুয়ের রক্ষণের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তারা।
“আমরা জানি তাদের মাঝমাঠ খুবই আঁটসাঁট। তাই জায়গা তৈরি করে খেলে উরুগুয়ের রক্ষণ উন্মুক্ত করার চেষ্টা করার জন্য আমাদের কিছু খেলোয়াড় ছিল। প্রথমার্ধে আমরা এটা খুব বেশি পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলকভাবে ভালো করেছিলাম কিন্তু পারিনি।”

করুনারত্নের দেড়শ বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের পর

admin June 30, 2018
সাব্বির রহমান ছুটছিলেন দেড়শ পেরিয়ে। বাংলাদেশ ‘এ’ ছিল চারশর কাছাকাছি। এরপরই নাটকীয় ধস। সাব্বির পারলেন না দুইশর কাছে যেতে। দল গুটিয়ে গেল চারশ পেরিয়েই। এরপর ড্রয়ের আগে দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভোগালেন দিমুথ করুনারত্নে।
ড্র হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের আনঅফিসিয়াল টেস্ট। শুক্রবার শেষ দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৪১৪ রানে। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২ উইকেটে ২৬২ রান। 
বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শুরু করছিল ৪ উইকেটে ৩৬০ রান নিয়ে। সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১৪৪ রানে।
জাকির হাসানের সঙ্গে তার আগের দিনের জুটি এদিনও দলকে টেনে নেয় কিছুদূর। দুজনের ১০৪ রানের জুটি শেষ হয় জাকিরের বিদায়ে। ৩৫ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরান লাকশান সান্দাক্যান। 
এই চায়নাম্যান বোলারই এরপর ধসিয়ে দেন বাংলাদেশকে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার দেড়শ ছাড়িয়ে সাব্বির আউট হন ১৬৫ রানে।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। লোয়ার অর্ডারেও টিকতে পারেননি কেউ। ২৭ রানে বাংলাদেশ হারায় শেষ ৬ উইকেট।
আগের দিন বেশ খরুচে হলেও এদিন দারুণ বোলিংয়ে সান্দাক্যান ইনিংস শেষ করেন ১০৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
দুই ইনিংস শেষ হতেই হয়ে গেছে চতুর্থ দিন সকাল, ম্যাচের ফল তাই অবধারিতই ছিল। শেষের আগে ব্যাটিং অনুশীলন দারুণ ভাবে সেরে নেন করুনারতেœ। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান থিরিমান্নেও রান পেয়েছেন আবার।
দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্ততির জন্য করুনারতেœকে এই সিরিজে পাঠিয়েছে নির্বাচকরা। সেই প্রস্তুতি হলো দুর্দান্ত। শেষ দিনে বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ বোলিংকে তুলোধুনো করে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ১৬৫ বলে ১৬১।
লাহিরু মিলান্থার সঙ্গে করুনারতেœর উদ্বোধনী জুটি ছিল ৯৩ রানের। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারতেœ ও থিরিমান্নে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। থিরিমান্নে অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। 
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ আগামি মঙ্গলবার থেকে সিলেটে।  সংক্ষিপ্ত স্কোর: 
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ১ম ইনিংস: ৪৪৯/৮ (ডি.) 
বাংলাদেশ ‘এ’ ১ম ইনিংস: ১৩৫ ওভারে ৪১৪ (আগের দিন ৩৬০/৪)(সাব্বির ১৬৫, জাকির ৩৫, সাইফ উদ্দিন ৯, আবু হায়দার ০, নাঈম ৮*, অপু ০, খলেদ ৬; থারাকা ১/৬৮, মাদুশাঙ্কা ০/৫৭, আসালাঙ্কা ১/৪১, জয়াসুরিয়া ৩/৮৩, সান্দাক্যান ৫/১০৮, শাম্মু ০/৭, মিলান্থা ০/৩৫, প্রিয়াঞ্জন ০/১১)।
শ্রীলঙ্কা ‘এ’ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ২৬২/২ (করুনারতেœ ১৬১, মিলান্থা ৩০, থিরিমান্নে ৬৭*, প্রিয়াঞ্জন ২*; খালেদ ৬-১-২৭-০, আবু হায়দার ৪-০-২৩-০, নাঈম ১৯-২-৮৫-০, নাজমুল অপু ১০-০-৩৭-১, মোসাদ্দেক ৯-০-৩৯-১, সাদমান ১-০-৪-০, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২৩-০, সৌম্য ৪-০-২৩-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা

মেয়েরা শেষ বলে আয়ারল্যান্ডকে হারাল

admin June 30, 2018
এশিয়া কাপ ফাইনালের পর এবার আয়ারল্যান্ড সফরের শুরুতেও ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। গতকাল ডাবলিনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আইরিশদের চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই ফরম্যাটে এটি বাংলাদেশের নবম জয়। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সালমা খাতুনের দল।
শেষ ১২ বলে ১৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে আসে ১৪ রান। শেষ ওভারের চার বলে আসে তিন রান। কিন্তু পঞ্চম বলে রানআউট হন সানজিদা ইসলাম (৫)। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলকে স্নায়ুক্ষয়ী জয় এনে দেন ফাহিমা খাতুন। ১৮ বলে অপরাজিত ২৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি।
যদিও শুরুতে নিগার সুলতানার ৩৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। টপঅর্ডারে আয়েশা রহমান ২৪, ফারজানা হক ১৩ রান করেন। ছয় উইকেটে ১৩৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
জয়ের সঙ্গে এই ম্যাচে বড় অর্জন এসেছে পেসার জাহানারা আলমের হাত ধরে। নারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ২৮ রান দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পান জাহানারা। তার বোলিং তোপেই আগে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড আট উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি যেতে পারেনি। স্বাগতিকদের পক্ষে ইসোবেল জয়েস ৪১, লুইস ২৮, অধিনায়ক ডেলানি ২২, গার্থ ২০ রান করেন।

ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা লড়াই পরিসংখ্যানে

admin June 30, 2018
সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্ব পেরিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কাজানে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ‘সি’ গ্রæপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। মুখোমুখি দেখায় লাতিন পরাশক্তিরা এগিয়ে থাকলেও ফরাসিদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে দলটির অতীত রেকর্ড।

# এর আগে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয় বার, ফ্রান্স দুই বার। ড্র হয়েছে তিনটি ম্যাচ।

# তবে কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ফ্রান্স।

# মুখোমুখি হওয়া ১১ ম্যাচের আটটিতেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারেনি ফরাসিরা।

# ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জিতে ফ্রান্স।

# পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের শেষ ১১ ম্যাচে ফরাসিদের হার মোটে একটি। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে একমাত্র হারটি ১-০ গোলে।

# বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১৩ উপস্থিতির মধ্যে ১২ বারই নূন্যতম শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। একমাত্র ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে গ্রæপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় লাতিন পরাশক্তিরা।

# বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এর আগে ৬৬৬ মিনিট খেলে কোনো গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অবশ্য ফ্রান্সের বিপক্ষে সবশেষ গোলের দেখা পাওয়া আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় তিনিই। ২০০৯ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে ফরাসিদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন বার্সেলোনা তারকা, দল জিতেছিল ২-০ গোলে।

# ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে দেখা যেতে পারে পিএসজির পাঁচজন খেলোয়াড়কে। ফ্রান্স দলে আছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের তিন সদস্য - কিলিয়ান এমবাপে, আলফুঁস আরিওলা ও প্রেসনেল কিম্পেম্বে। আর্জেন্টিনায় আছেন আরও দুজন, আনহেল দি মারিয়া ও জিওভানি লো সেলসো। অবশ্য দি মারিয়া ও এমবাপে বাদে বাকিদের শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা সামান্যই। # আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। আর সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাভিয়ের মাসচেরানো। দুজনেই আছেন এবারের বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে।

# আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গনসালো হিগুয়াইন দেশের হয়ে নিজের শেষ আট ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি।

# আর্জেন্টিনার ছয়জনের (এভার বানেগা, গাব্রিয়েল মের্কাদো, হাভিয়ের মাসচেরানো, লিওনেল মেসি, মার্কোস আকুনা ও নিকোলাস ওতামেন্দি) ও ফ্রান্সের তিনজনের (পল পগবা, বেøইস মাতুইদি ও কোরোঁতাঁ তোলিসো) একটি করে হলুদ কার্ড রয়েছে। শেষ ষোলোতে একটি হলুদ কার্ড পেলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন তারা।

# ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯ ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রেমোঁ ডমেনেক ও দিদিয়ে দেশম। শেষ ষোলোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালনের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেবেন দেশম।

# গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে তিনটি গোল করেছে ফ্রান্স যার একটি এসেছে স্পট কিক থেকে ও আরেকটি আত্মঘাতী। হজম করেছে এক গোল।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three