Showing posts with label International. Show all posts
Showing posts with label International. Show all posts

বিশ্বের এই সুন্দরী রাষ্ট্রপতি গুগল সার্চের শীর্ষে, দেখুন ছবিতে

admin December 14, 2018
রংপুর এক্সপ্রেস : পৃথিবীর যতো নারী সরকারপ্রধান আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর প্রেসিডেন্ট বলা হয় তাকে। সম্প্রতি গুগল ট্রেন্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ট্রেন্ডিং সার্চের তালিকায় দেখা যায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি খুঁজেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচকে। রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। কি আছে তার ছবিতে। কতটা সৌন্দর্য্যের অধিকারী তিনি। সুন্দরী এই প্রেসিডেন্টের আকর্ষণীয় কিছু ছবি-

কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচকে শারিরিক পরিমাপ :
উচ্চতা : ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
ওজন : ৭০ কেজি
চুলের রঙ : ব্লোন্ড (স্বর্ণকেশী)
চোখের রঙ : ব্রাউন (বাদামী)
কোমর সাইজ : ২৮ ইঞ্চি
ব্রেস্ট সাইজ : ৩৬ ইঞ্চি
হিপস সাইজ : ৩৬ ইঞ্চি




পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গ্রেফতার

admin July 14, 2018



অযোগ্য ঘোষিত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগের’ (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর’ কর্মকর্তারা নওয়াজ শরিফের পাশাপাশি তার মেয়ে মারিয়মকেও গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওই সময় দেশটির ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে। বর্তমানে তাদের দুজনকেই ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ, তার মেয়ে মারিয়ম ও মেয়ে-জামাই ক্যাপ্টেন সফদরের  বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালত রায় দিয়েছে। নওয়াজকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরে কারাদণ্ড। সেইসাথে বাবার ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ গোপনে সহায়তা ও দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তার মেয়ে মারিয়মের হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মারিয়ম ট্রাস্টের যে কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন তাও ভুয়া। ফলে তার সাজা আরও ১ বছর বেড়েছে। তবে তার দুই কারাদণ্ড একই সঙ্গে কার্যকর করা হবে।

নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় পাকিস্তান সরকার নওয়াজ শরিফকে বহনকারী বিমানটিকে সরাসরি ইসলামাবাদে পাঠিয়ে দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত বিমানটি লাহোরেই অবতরণ করানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নওয়াজকে গ্রেফতার করার ঘটনায় লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লাহোরে নওয়াজের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।


অযোগ্য ঘোষিত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগের’ (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরিফকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ‘ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর’ কর্মকর্তারা নওয়াজ শরিফের পাশাপাশি তার মেয়ে মারিয়মকেও গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ওই সময় দেশটির ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে। বর্তমানে তাদের দুজনকেই ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ, তার মেয়ে মারিয়ম ও মেয়ে-জামাই ক্যাপ্টেন সফদরের  বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালত রায় দিয়েছে। নওয়াজকে দেওয়া হয়েছে ১০ বছরে কারাদণ্ড। সেইসাথে বাবার ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ গোপনে সহায়তা ও দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তার মেয়ে মারিয়মের হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মারিয়ম ট্রাস্টের যে কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন তাও ভুয়া। ফলে তার সাজা আরও ১ বছর বেড়েছে। তবে তার দুই কারাদণ্ড একই সঙ্গে কার্যকর করা হবে।

নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় পাকিস্তান সরকার নওয়াজ শরিফকে বহনকারী বিমানটিকে সরাসরি ইসলামাবাদে পাঠিয়ে দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত বিমানটি লাহোরেই অবতরণ করানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, নওয়াজকে গ্রেফতার করার ঘটনায় লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লাহোরে নওয়াজের সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

ডেইলি মিররের প্রতিবেদন: জবাই করে ও পুড়িয়ে মারা হয় রোহিঙ্গা শিশুদের

admin July 02, 2018

রোহিঙ্গা শিশুদের জবাই করে হত্যাসহ তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার তথ্য প্রকাশ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর। প্রতিবেদনে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এমন এক সময় ডেইল মিরর এ পিলে চমকানো খবর জানাচ্ছে, যখন রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশ সফর কছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী, রোহিঙ্গা শিশুদের জবাই করে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। কোনো কোনো শিশুকে আবার আকাশে ছুঁড়ে মেরে, চাপাতি দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। মিররের বিশেষ প্রতিনিধি টম প্যারোর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এসব তথ্য সংগ্রহ করেন।


দিল্লিতে এক বাড়িতে এক পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ

admin July 02, 2018
ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকালে উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার একটি বাড়িতে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তাদের মধ্যে ১০ জনের দেহ সিলিংয়ের লোহার গ্রিল থেকে ঝুলে থাকা অবস্থায় ও বৃদ্ধ এক নারীর মৃতদেহ মেঝেতে শায়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের অধিকাংশেরই চোখ ও হাত-পা পেছন দিকে বাঁধা ছিল। পুলিশের ধারণা তারা আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে সাত জন নারী, এদের একজনের বয়স ৭৫ বছর। মৃতদের মধ্যে দুজন কিশোর বয়সী। বুরারির সান্ত নগরের দোতলা ওই বাড়িটির উপর তলায় পরিবারটি বসবাস করতো। নিচের তলায় তাদের মুদির দোকান ও প্লাইউডের ব্যবসা ছিল। গত ২০ বছর ধরে তারা এই এলাকাটিতে বসবাস করতো।
দিল্লির মধ্যবিত্ত এলাকার এই পরিবারটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় দোকান খুলতো। কিন্তু রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দোকান না খোলায় খোঁজ নেওয়ার জন্য এক প্রতিবেশী উপর তলায় গিয়ে প্রবেশ পথ খোলা দেখতে পান। ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারটির অধিকাংশ সদস্যকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় গ্রিল থেকে ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি পুলিশকে খবর দেওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে জায়গাটি ঘিরে ফেলে।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মৃতদের সবার চোখ বাঁধা ও মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ছিল এবং তারা প্রায় সবাই গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলছিল। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লুর খোঁজে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। ওই প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বাড়িটিতে ভুপিন্দর ও লালিত সিং নামের দুই ভাই ও তাদের পরিবার বসবাস করতো, তারা খুব বন্ধুসুলভ ছিলেন।
“তারা আত্মহত্যা করতে পারেন না। গত রাতেও ভুপিন্দরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে খুব সুখী ছিল এবং তার মধ্যে কোনো মানসিক চাপের লক্ষণ ছিল না,” বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি বিজেপির প্রধান মনোজ তিওয়ারিও বুরারি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  
দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই এলাকার প্রতিবেশীদের কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা কেজরিওয়ালকে জানিয়েছেন, একটি বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে পরিবারটি ব্যস্ত ছিল। ঘটনাস্থলে কোনো স্যুইসাইড নোট ছিল না বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রাজেশ খুরানা। “সম্ভাব্য সব দিক থেকেই তদন্ত করে দেখছি আমরা, কোনো কিছুই বাতিল করছি না। মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে,” বলেছেন তিনি।

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ফের রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায়

admin July 02, 2018
যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসেছে সিরীয় বিদ্রোহীরা। জর্ডানের মধ্যস্থতায় সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে আসাদবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে বিদ্রোহীদের অনেকগুলো ঘাঁটির পতনের পর শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একগুচ্ছ গ্রাম ও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আসাদবাহিনী। ওইদিনই ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় রুশ কর্মকর্তারা বিদ্রোহীদের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ দাবি করলে বুশরা আল শাম শহরে চলমান শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। 
জর্ডানের মধ্যস্থতা রোববার এফএসএ প্রতিনিধিরা রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসেন বলে জানান বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইব্রাহিম আল জাবাউয়ি। “জর্ডানের পৃষ্ঠপোষকতায় বিদ্রোহী ও রাশিয়ান পক্ষের মধ্যে সকালে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন জাবাউয়ি।
নিজেদের উত্তর সীমান্তে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় উদ্বিগ্ন জর্ডান অনেক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে তার দেশ লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেন উদ্বাস্তু নাগরিকদের ঢল সামলানো যায়।
গত মাস থেকে দক্ষিণ¬-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অভিযান শুরু করেছে সিরীয় বাহিনী। অভিযান শুরু হওয়ার পর ওই এলাকার লাখ লাখ বেসামরিক বাসিন্দা প্রতিবেশী জর্ডান ও ইসরায়েলের দখলে থাকা গোলযোগপূর্ণ গোলান মালভ‚মির দিকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮

admin July 01, 2018
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পৌরি গারওয়াল জেলায় এক বাস দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে তাদের বহনকারী বাসটি পাপালি-বোয়ান সড়কের নৈনিদান্দা ব্লকের একটি গিরিসঙ্কটে পড়ে যায়, খবর এনডিটিভির।
প্রকাশিত প্রতিবেদন ও পৌরি পুলিশের সুপার জগৎ রাম জোশির বক্তব্য অনুযায়ী, বোয়ান থেকে প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ২৮ আসনের ওই মিনিবাসটি রামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল, পথে গ্বীন গ্রামের কাছে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই বাসটি ২০০ মিটার গভীর গিরিসঙ্কটে পড়ে যায়। বাসটির ৪৫ জন যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান।
গুরুতর আহত কয়েকজন যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাদের মধ্যে আরও তিন জন মারা যান।  দুর্ঘটনার কারণ তখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) একটি টিম উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন গারওয়ালের পুলিশ কমিশনার দিলিপ জাওয়ালকার। 
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

দেশে ফিরতে হবে ইউরোপে থাকা লক্ষাধিক অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীকে

admin July 01, 2018

ইউরোপে অবৈধ অবস্থানকারী লক্ষাধিক বাংলাদেশীকে দেশে ফিরতে হবে। অভিবাসন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর নতুন চুক্তির আওতায় ওসব বাংলাদেশীর ইউরোপে থাকার আর কোনো সুযোগ থাকছে না। কারণ ইইউভুক্ত ২৮টি দেশ অভিবাসন ইস্যুতে যে চুক্তিতে সই করেছে, তাতে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। ইইউ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে মহাদেশীয় সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ, ইউরোপে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিশেষ হোল্ডিং সেন্টারে রাখা এবং আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি অভিবাসন প্রত্যাশীদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া বন্ধ করতে এবং তুরস্ক ও লিবিয়ার মতো ইউরোপের সীমান্তের কাছের দেশগুলোকে অভিবাসন ঠেকাতে প্রণোদনা দিতেও একমত ইইউ সদস্যরা। আর যাদের অভিবাসন বা আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়নি এবং যারা ইউরোপে সুরক্ষা পাওয়ার দাবিদার নন, তাদের ফেরত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্রমতে, অভিবাসন সংক্রান্ত ইইউর চুক্তির শর্তই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের বিপদে ফেলেছে। ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাদের সংখ্যা লক্ষাধিক। অবৈধভাবে ইইউতে প্রবেশ করা নাগরিকের সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০টি দেশের মধ্যে ১৬তম। ২০০৮ সাল থেকে সেখানে অবৈধভাবে গেছে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৫৭৫ বাংলাদেশী। ২০০৮-১৫ সময়কালে মোট ৯৩ হাজার ৪৩৫ জন বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশ করে। আর ২০১৬ সালে অনুপ্রবেশ করে আরো ১০ হাজার ৩৭৫ জন বাংলাদেশী। অবৈধ ওসব বাংলাদেশী ইইউ সদস্যভুক্ত ২৮টি দেশে অবস্থান করছে। ২০০৮ সালে অবৈধভাবে ওসব দেশে গেছেন ৭ হাজার ৮৫ জন, ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৮৭০, ২০১০ সালে ৯ হাজার ৭৭৫, ২০১১ সালে ১১ হাজার ২৬০ ও ২০১২ সালে ১৫ হাজার ৩৬০ জন বাংলাদেশী। তাছাড়া ২০১৩ সালে ১০ হাজার ১৩০, ২০১৪ সালে ১০ হাজার ১৪৫, ২০১৫ সালে ২১ হাজার ৫৭৫ ও ২০১৬ সালে ১০ হাজার ৩৭৫ জন বাংলাদেশী ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোয় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।
সূত্র জানায়, নতুন চুক্তিতে অভিবাসনকে কোনো একক দেশ নয়, পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করা হয়েছে। স্বাক্ষরকারী নেতারা যে কোনোভাবে ২০১৫ সালের মতো শরণার্থী ও অভিবাসীর অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহের পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। অবৈধ অভিবাসীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গত বৃহস্পতিবার টানা ৯ ঘণ্টা আলোচনা করেন ইইউ নেতারা। দীর্ঘ আলোচনার পর ইইউভুক্ত দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা ওই অভিবাসন চুক্তির ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালে ইউরোপে শরণার্থীর ঢল নামার পর থেকে অভিবাসন ইস্যুতে ইইউ দেশগুলোর মতপার্থক্য ও দূরত্ব বাড়তে থাকে। গ্রিস, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের মতো নতুন সদস্য দেশগুলো শরণার্থী ইস্যুতে নমনীয় নীতি গ্রহণে জোর অনীহা দেখায়। একই অবস্থান নেয় অভিবাসন-প্রত্যাশী ও শরণার্থীর চাপে বিপর্যস্ত পুরনো সদস্য ইতালি। বিষয়টিকে ঘিরে হুমকিতে পড়া জোটের সংহতি ও অস্তিত্ব টেকাতে ইইউ নেতারা অভিবাসন প্রশ্নে এ কড়াকড়িতে একমত হলেন ইইউ নেতারা। তবে চুক্তিতে অভিবাসীদের আবেদন গ্রহণ-প্রত্যাখ্যানে সুরক্ষার প্রয়োজন বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। ওই হিসাবে সিরীয় ও আফগান নাগরিকদের আবেদন তুলনামূলক ইতিবাচকভাবে দেখা হবে। আর অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে তাদের জন্মভ‚মির সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশীদের বিষয়ে ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ইইউ সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশে ২০১৬ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ১৭ হাজার ২৫৫ জন বাংলাদেশীদের আবেদন ছিল। তা ২০১৭ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৮০ জনে। আর ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ইইউতে আবেদন করেছে ৮৩ হাজার ৪৯৫ জন বাংলাদেশী। ওসব বাংলাদেশীর বেশির ভাগেরই আবেদন ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, গ্রিস, জার্মানিসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রে। শুধু ইতালিতে বাংলাদেশীদের আবেদনের ৬৩ শতাংশ জমা পড়েছে।
সূত্র আরো জানায়, ইইউর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের ইউরোপ থেকে বের করে দেবে। যেসব নাগরিকের ইইউতে থাকার কোনো অধিকার নেই, সেসব নাগরিককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করবে, সেসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইইউর ভিসা সীমিত হয়ে যাবে। ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসীদের নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে ইইউ। দীঘ সময় ধরে অনুপ্রবেশ করা ওসব অবৈধ অভিবাসী মানব পাচারের শিকার। তাদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে ইতালি হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে। মানব পাচার ঠেকাতে ওই পথটি বন্ধ করেছে ইইউ। ওই পথে আসা বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক।
এদিকে বিশ্বের যেকোনো স্থানে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আর ইইউতে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে তাদের সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে কিছু বাংলাদেশী ফেরতও এসেছে। নিয়মমাফিক উপায়ে ওসব অবৈধ বাংলাদেশীদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে ফিরিয়ে আনা হবে।
অন্যদিকে ইইউর নতুন সিদ্ধান্তে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে বাংলাদেশের ওপর কোনো বাড়তি চাপ আসবে কিনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি যখন প্রথম উত্থাপন করা হয়েছে, তখন থেকেই এর ফলাফলের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। যে চুক্তিতে ইইউ নেতারা উপনীত হয়েছেন, তাতে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর এখনো কোনো বাড়তি প্রভাব পড়ার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়নি। তবে ইইউতে অবৈধভাবে পাড়ি দেয়া, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করা বা শরণার্থী হিসেবে নতুন করে আবেদন করা অথবা বাংলাদেশীদের অনিষ্পন্ন আবেদনে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

পরিবার বিচ্ছিন্ন শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে মেলানিয়া

admin June 30, 2018
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে পারিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন দেশটির ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। গতকাল তিনি অ্যারিজোনায় স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত অভিবাসী শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে গত মাসের শুরু থেকে দেশটিতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের আটক করে তাদের বিচার শুরু করা হয়েছে।  অবৈধ অভিবাসনের দায়ে আটক ব্যক্তিদের বিচার চলাকালীন সময়ে বন্দি করে রাখায় তাদের সন্তানরা পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ওই সব শিশুদের (কয়েক মাস বয়স থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত) বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বরাবরই পরিবার থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার বিপক্ষে কথা বলেছেন মেলানিয়া। তার মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, “তিনি মনে করেন, (অভিবাসী) শিশুদের তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে একত্রে থাকা উচিত। এ বিষয়ে তিনি তার স্বামীকে সব সময়ই কথা বলে চলেছেন।” অ্যারিজোনার রাজধানী ফিনেক্সের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ১২১টি শিশুকে রাখা হয়েছে, যাদের বয়স কয়েকমাস থেকে ১৭ বছর। সেখানে কিশোরী মায়েদেরও দেখা যায়। মেলানিয়ার অভিবাসী শিশুদের আশ্রয় কেন্দ্র পরিবর্শনে যাওয়া এবারই প্রথম নয়। এর আগে তিনি টেক্সাসে একটি আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন গিয়েছিলেন।
 মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। মেলানিয়া ও সাবেক ফার্স্টলেডি লরা বুশ শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন।
নিজ দলের ভেতরেও কড়া সমালোচনার শিকার হওয়ার পর শিশুদের পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তারমধ্যেই গত মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো ফেডারেল আদালত যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে শিশুদের তাদের পরিবারের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ১৭টি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে কয়েকশ বিক্ষোভকারী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ট্রাম্পের এ নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ প্রায় ছয়শ বিক্ষোভকারীকে আটক করে।

দীর্ঘ বৈঠকের পর অভিবাসী প্রশ্নে সমঝোতায় ইইউ

admin June 30, 2018
টানা দশ ঘণ্টা বৈঠকের পর অভিবাসী ইস্যুতে সমঝোতায় উপনীত হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ নেতারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে একমত হন বলে জানিয়েছে বিবিসি। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইতালি ও গ্রিসের ওপর চেপে বসা হাজার হাজার অভিবাসীর বোঝা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে রাজি হয়েছে অন্য দেশগুলো। জোটভুক্ত অন্য দেশগুলোর সহায়তা না পেলে শরণার্থীদের নিয়ে যে কোনো প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ্পে কন্তে। সমঝোতার ফলে এখন থেকে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে ইইউভুক্ত দেশগুলো নতুন অভিবাসী কেন্দ্র ঠিক করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইইউ নেতারা। যাচাইবাছাই শেষে সেসব কেন্দ্র থেকেই সত্যিকারের শরণার্থীদের গ্রহণ করা হবে; ফেরত পাঠানো হবে বাকি ‘অনিয়মিত অভিবাসীদের’। জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শরণার্থীদের অবাধ চলাচলের সুযোগে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারেও নতুন এ যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে। এতে সমুদ্র ও স্থল পথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সাহায্য বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের পর ইউরোপ আরও দায়িত্বশীল হল, বাড়াল সংহতির হাত। আমরা এখন থেকে আর একা নয়,” ইইউ বৈঠকে সমঝোতার পর বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী কন্তে।  ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতে, বৈঠকের পর ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার পথ আরও সক্রিয় হল।  কিছু কিছু বিষয়ে একমত হলেও ‘মতপার্থক্য নিরসন’ করে অভিবাসী সংকট মেটাতে ইউরোপের আরও অনেক কাজ করা বাকি বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলও। শুক্রবারের যৌথ ঘোষণায় ২৮ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা সীমান্তে সুরক্ষা জোরদারের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। বুধবার থেকে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের প্রথম থেকেই ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিরোধ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। আফ্রিকা দিয়ে অসংখ্য শরণার্থী ইতালি ও গ্রিসে প্রবেশ করার পর দেশ দুটি ইউরোপের অন্য দেশগুলোকে এ চাপ ভাগ করে নেওয়ার আহŸান জানালেও অনেক দেশই এ বিষয়ে তাদের জোরাল আপত্তির কথা জানায়। উরোপিয়ান কাউন্সিল বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ ২০১৫-র মতো না হলেও নতুন করে আফ্রিকা হয়ে ইউরোপে প্রবেশের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতেই অভিবাসন কেন্দ্র বানাতে ইউরোপ প্রস্তাব দিলেও মরক্কো প্রথম থেকেই এ ধরণের ভাবনার বিরোধিতা করে আসছে। দেশের ভেতর অভিবাসী ইস্যু নিয়ে চাপে থাকা জার্মান চ্যান্সেলরের জন্যও এবারের বৈঠক স্বস্তির হতে পারে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ইউরোপের অন্য দেশে নিবন্ধিত শরণার্থীদের জার্মানিতে প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি তুলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহের রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল মেরকেলের জোটসঙ্গী সিএসইউ পার্টি। অন্যথায় ক্ষমতাসীন বাভারিয়ান কোয়ালিশন সরকার থেকে সরে যাওয়ারও হুমকি ছিল সিএসইউ নেতা ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সিহফের। সিএসইউ ছাড়া মেরকেলের পক্ষে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ অসম্ভব হয়ে পড়ত।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three