Showing posts with label Local. Show all posts
Showing posts with label Local. Show all posts

মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের আরিফুল

admin October 12, 2018

ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আরিফুল ইসলাম। ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় তার অবস্থান ৩০৩ তম। তার এমন সাফল্যে পরিবারে নেই কোনো আনন্দ। ছেলে মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ায় বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আরিফুলের বাবা-মা। কারণ ছেলেকে মেডিকেলে পড়ানোর সামর্থ্য তাদের নেই।

আরিফুল ইসলাম হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল গ্রামের ওসমান গণি ও আনজুয়ারা বেগমের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাই চট্টগ্রামের একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশুনা করে। ওসমান গণি স্থানীয় দইখাওয়া বাজারে কখনও দর্জি আবার কখনও দিনমজুরির কাজ করেন। বাজারে পুরাতন কাপড় সেলাই করে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার ও দুই ছেলের পড়াশোনা। তার বড় ছেলে আরিফুল এবার ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে তার মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত।

আরিফুল ইসলাম উপজেলার গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৪৯ ও হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

তার বাবা ওসমান গণি জানান, অনেক কষ্টে দিনমজুরি আর দর্জির কাজ করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। বাড়ি-ভিটাসহ ১ বিঘা জমি ছাড়া আর কিছুই নেই আমার। ছেলের পড়াশোনার অর্থ জোগাতে আমার স্ত্রী আনজুয়ারাও  ............


বাকী অংশ পড়তে ক্লিক করুন:

মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছে না লালমনিরহাটের আরিফুল


Source: বিনিয়োগ বার্তা


# লালমনিরহাট, হাতীবান্ধা, Lalmonirhat, Hatibandha

ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি দিবসের ১২ বছর: কিছু সংগৃহীত ছবি

admin August 26, 2018
আজ ২৬ শে আগস্ট ফুলবাড়ি দিবস। আজকের এই দিনে ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত পদ্বতিতে ফুলবাড়ি কয়লা খনি বাস্তবায়নের প্রতিবাদে গড়ে উঠে ঐতিহাসিক গণআন্দোলন। এ গণআন্দোলনে গুলিতে প্রাণ হারায় তিন যুবক, আহত হয় তিনশ’র অধিক সাধারণ মানুষ। এরপর থেকে এই দিনটিকে ফুলবাড়ি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ফুলবাড়িবাসী।

২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি বাস্তবায়নের প্রস্তাবকারি এশিয়া এনার্জি নামে একটি বহুজাতিক কোম্পানীর ফুলবাড়িস্থ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মিছিলের উপর টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্র তরিকুল ইসলাম, নিরিহ যুবক আমিন ও সালেকিন নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় আরো তিনশ’র অধিক মিছিলকারী। এদের মধ্যে বাবলু রায় নামে একজন চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এখনও সেই গুলির ক্ষত বহন করছে অনেকে।

রইলো ওই সময়ের সংগৃহীত কিছু ছবি: (সৌজন্যে -http://www.rangpurexpress24.com )


যেভাবে ধরা পড়লো কয়লা খনির দুর্নীতি

admin July 25, 2018

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও। কয়লা গায়েব হওয়ার ঘটনায় দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, এতো বড় কারসাজি হলো কীভাবে। কয়লা ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলছেন, খনি শ্রমিকদের প্রায় এক মাস আন্দোলনের সময়ে কয়লা উত্তোলন না হওয়া এবং কিছুদিন আগে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেইজ বন্ধ করে দেওয়ার ফলেই কয়লার ঘাপলা ধরা পড়েছে। তবে খনির কয়লা গায়েব বা ঘাপলার এই ঘটনা নতুন নয় জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিও বাণিজ্য, উত্তোলনকৃত কয়লার হিসেবে গড়মিল, কাগজ-কলমে ও ওজনে কারচুপিসহ কর্মকর্তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে আসছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অজানা ছিল না।  

এদিকে দুদক বলছে, কাগজে-কলমে যে পরিমাণ কয়লা থাকার কথা সেই পরিমাণ কয়লা বাস্তবে নেই। হিসেবের গরমিলেই এই দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মে থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকরা ১৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। ফলে খনি থেকে কয়লার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে এই খনির ১২১০ নম্বর ফেইজ থেকে দিনে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হতো। কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, কোল ইয়ার্ডে (কয়লা রাখার জায়গা) প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা রয়েছে। এই পরিমাণ দিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কোনও সমস্যা হবে না।

দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ২১ দিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখার পর গত ৩ জুন কাজে যোগদান করেন শ্রমিকরা। কিন্তু ওই ফেইজে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ১৬ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। গত ২০ জুনও কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা রয়েছে। কিন্তু গত ১৬ জুলাই কর্তৃপক্ষ ফের জানায়, কয়লার মজুত শেষের দিকে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পিডিবিকে জানালে তারা এটি পেট্রোবাংলাকে অবহিত করে। এরপরই বের হয়ে আসে কয়লার ঘাপলার বিষয়টি।

খনির কোল ইয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ১৯ জুন খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে পেট্রোবাংলা। একই সঙ্গে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলায় সংযুক্ত ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। এই ঘটনায় পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মাহবুবুর রহমান জানান, ‘গত ২০ জুন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে বলে জানায়। সেই হিসেবেই পরিকল্পনা করে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে খনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে জানিয়ে দেয় খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত প্রায় শেষের দিকে। বিষয়টি জানার পর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। অবশেষে গত রবিবার (২২ জুলাই) রাতে কয়লার অভাবে বন্ধ করে দিতে হয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।’

তিনি জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার ২’শ মেট্রিক টন কয়লা। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি চলতি জুলাই মাস থেকে কয়লার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট। অপর ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি ইউনিট মেইনটেনেন্সের জন্য এর আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়। ফলে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি কোনোমতে চালু রাখা হয়েছিল। এরপরও এখানে দৈনিক প্রায় ৮শ’ থেকে এক হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হতো।

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলেই ধরা পড়েছে কয়লা গায়েব হওয়ার বিষয়টি। কাগজ-কলমে ঠিক থাকলেও বাস্তবে কয়লা ছিল না। ডিও বাণিজ্য, ওজনে কারচুপি এবং কাগজে-কলমে হেরফের দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন কর্মকর্তারা।

কয়লা ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বুলবুল বলেন, ‘কয়লা খনির কর্মকর্তারা কাগজ-কলমে হেরফের করে এবং ওজনে কারচুপি করে অবৈধভাবে কয়লা বিক্রি করে থাকে। প্রায় দেড় মাস ধরেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বিক্রি বন্ধ থাকলেও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে কয়লা দিতে হতো। তাই যে পরিমাণ কয়লা মজুত ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কাগজ-কলমে মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি থাকলেও বাস্তবে তা ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই কয়লা খনির কিছু কর্মকর্তা অবৈধভাবে কয়লার ঘাপলা করে আসছিল। কিন্তু উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলেই এবারে ঘাপলার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে।’

কয়লা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, ‘খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা বিক্রি হয়, কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ কয়লা দিয়ে দেওয়া হয়। ভুয়া কাগজপত্র ও হেরফেরের মাধ্যমে এই কয়লা বিক্রি করে আসছে কিছু কর্মকর্তা। তাই কাগজপত্রে ঠিক থাকলেও বাস্তবে সেই পরিমাণ কয়লা ছিল না। কয়লার উত্তোলন বন্ধ থাকায় এবার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, ‘খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হয়, কাগজ-কলমে তার চেয়ে বেশি দেখানো হয়। এতে করে প্রফিট-বোনাস বেশি পান কর্মকর্তারা। ২০০৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত কোল ইয়ার্ডে কয়লা থাকায় বিষয়টি ধরা পড়েনি। ঘাপলার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবে এটি কেউই ভাবেনি।’ 

তিনি আরও জানান, ‘কর্মকর্তাদের যে বেতন তাতে করে সচ্ছলভাবে চলা সম্ভব। কিন্তু তারা প্রতিজন বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানীয়ার ঢাকায় চারটি বাড়ি, মাসুদুর রহমান হাওলাদারের দুইটি বাড়ি ও ৩৫/৪০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি মাইক্রোবাস রয়েছে। একইভাবে মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী, কামরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও বাড়ি-গাড়ির মালিক ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’

কয়লা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, ‘২০১৭ সালে খনি থেকে ৩০০ টন কয়লা চুরি হয়েছিল। পরে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে খনির কর্মকর্তারা রাতারাতি সেই ৩০০ টন কয়লার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে সমন্বয় করে। এতেই প্রমাণিত হয় কর্মকর্তারাই এই কয়লা চুরি ও ঘাপলার সঙ্গে জড়িত।’

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান জানান, ‘মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন নামে কয়লার ডিও দেন। এই ডিওতে যে পরিমাণ কয়লা দেওয়ার কথা তার বেশি পরিমাণ কয়লা দেওয়া হয়। এতে করে লাভবান হন কর্মকর্তারা। ডিওর মাধ্যমে খনি থেকে নেওয়া এক টন কয়লার দাম ১৭ হাজার টাকা হলেও বাজারে এর দাম ২০ হাজার টাকা। ১০০ টন কয়লার ডিও মানে দুই লাখ টাকা, এভাবে কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হয় কয়লা খনিতে। আর এই টাকা ভাগাভাগি হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে। কিন্তু এবারে তারা আটকে গেছেন গ্যাঁড়াকলে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, ‘আন্দোলন শেষ হওয়ার পরে সামান্য কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ফলে কয়লার যে মজুত ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।’

এদিকে কয়লা গায়েবে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। কাগজ-কলমের হিসাবের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই বলে জানিয়েছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, ‘আমরা কয়লা খনির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছি, খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত থাকার কথা। কিন্তু কোল ইয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২ হাজার মেট্রিক টন। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লার কোনও হদিস নেই। বিপুল পরিমাণ কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ায় এখানে প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি  ইতোমধ্যেই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে দুদকের কর্মকর্তারা ঘটনার অধিকতর তদন্ত শেষেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ (বাংলাট্রিবিউন)

পীরগঞ্জে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

admin July 20, 2018


রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার “স্বয়ং সম্পুর্ণ মাছে দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
 উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন -রংপুর জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা নুরুল আমীন রাজা, পৌর আ. লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী ও মৎস্যচাষী লিটন। এর আগে এক বর্ণঢ্য র‌্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক সমুহ প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের পুকুরে পেনা অবমুক্ত করা হয়।

দিনাজপুরে জিপিএ- ৫ মেয়েদের তুলানায় ছেলেরা এগিয়ে

admin July 20, 2018
রংপুর বিভাগের দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাসের হারে বেড়েছে। এই বোর্ডে এবার পাসের হার ৬০ দশমিক২১ শতাংশ।  গত বছর এই বোর্ডে পাশের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।  গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমেছে ৫ শতাংশের ওপর। ছাত্রীর পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫১ এবং  ছাত্রের পাসের হার ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ।  ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউই পাশ করেনি। 
 দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডেও চেয়ারম্যান প্রভেসর আবু বকর সিদ্দিকী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি  সূত্রে জানাগেছে, এবার ১ লাখ ১৯  হাজার ৫০৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ২ হাজার ২৯৭ জনের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৪ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯৫৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ হাজার ৯৫১ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। 
বহিস্কৃত হয়েছে ৬২ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশ করেছে ১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।  ৬৫৩ কলেজের শিক্ষার্থীরা মোট ১৯৬ টি কেন্দ্রে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে।  
এদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে রংপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাল করেছে। এরমধ্যে রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে  সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জনই। ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে ৯৪৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৯৩৬জন। এর মধ্যে  জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন্। মিলিনিয়াম স্টার্রস স্কুল এণ্ড কলেজে ৮৪ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন। লায়ন্স স্কুল এণ্ড কলেজে ৪০২ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েঝে ১০২ জন।

ছবি ভাইরাল হওয়া ফরিদার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক

admin July 13, 2018
রাজধানীর কলাবাগানের ওভারব্রিজের নিচে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন ফরিদা নামের এক নারী। তার দুই শিশুপুত্র মাকে বাঁচাতে বোতল দিয়ে মাথায় পানি দিচ্ছিল। এই দৃশ্যটির কয়েকটি ছবি পারভেজ নামের এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে পারভেজ তার কয়েকজন বন্ধুসহ ফরিদাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।  ফরিদার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি রাজধানীর কলাবাগান ওভারব্রিজের নিচে একটি খুপড়ি ঘরে থাকেন। 

১০ জুলাই, মঙ্গলবার একটি সভায় অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন। ফরিদার বিষয়টি তার নজরে এলে বুধবার (১১ জুলাই) সকালে কলাবাগান ওভারব্রিজের নিচে ফরিদা ও তার সন্তানদের দেখতে যান সুলতানা পারভীন। পরে ফরিদা ও তার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে সুলতানা জানান, ফরিদা ও তার পরিবার কোনো আশ্রয় পেলে তাদের গ্রামে ফিরে যেতে চান। উলিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জেনেছেন, ফরিদার যে গ্রাম ছিল, সেখানে খাস জমি আছে। সেখানেই তাদের বাড়ি করে দেওয়া হবে। কুড়িগ্রামের ডিসি বলেন, ‘তারা আগে যে গ্রামে ছিলেন, সেখানে এখন তাদের কিছু নাই। ঢাকা থেকে উলিপুর যাওয়ার পর তো তাদের থাকতে হবে। সে জন্য সেখানকার ইউএনওকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছি। সে ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি কোনো বাড়িতে আপাতত তাদের থাকতে দেওয়া হবে।

সুলতানা পারভীন বলেন, ‘বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে যে, কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেই মানবিকতা তো আমাদেরও থাকতে হবে। তাদের তো খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই। মানবিকতার জায়গা থেকে তাদেরকে একটা বাড়ি করে দেবো। সঙ্গে চলার একটু ব্যবস্থা করে দেবো। বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে তারা তাদের ঘরে উঠবেন। তারা বলছেন, গরু হলে তারা পালতে পারবেন। সে জন্য ওদেরকে গরু কিনে দেবো। ওর স্বামী নাকি একটু অসুস্থ। যদি তার স্বামী দোকান করতে পারে, তাহলে তাকে একটা দোকান দিয়ে দেবো।’

‘মানবিকতার জায়গা থেকে তাদেরকে একটা বাড়ি করে দেবো। সঙ্গে চলার একটু ব্যবস্থা করে দেবো। বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হলে তারা তাদের ঘরে উঠবেন। তারা বলছেন, গরু হলে তারা পালতে পারবেন। সে জন্য ওদেরকে গরু কিনে দেবো। ওর স্বামী নাকি একটু অসুস্থ। যদি তার স্বামী দোকান করতে পারে, তাহলে তাকে একটা দোকান দিয়ে দেবো।’

ফরিদার তিন ছেলে-মেয়েই খুব অল্প বয়সী। এর মধ্যে মেয়েটি আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেয়েটিকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে। ফরিদার অন্য দুই শিশু সন্তানও যাতে স্কুলে যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান এই জেলা প্রশাসক। ঘটনাটি শোনার পর থেকে ফরিদার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার। রাজধানীর কলাবাগানে ডিসির সঙ্গে ফরিদা ও তার পরিবারকে দেখতে যান তিনিও।

সাইদুল জানান, বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) রাতে ফরিদা ও তার পরিবার বাসে করে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বাড়ি পৌঁছানোর দায়িত্বে আছে ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতি। সাইদুল আবেদীন বলেন, ‘ফরিদা ও তার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য দেশের বাইরে থেকে কয়েকজন এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এই টাকাও ফরিদার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

গাইবান্ধায় দুই বাসের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৩০

admin July 09, 2018

গাইবান্ধায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মো. আকতারুজ্জামান জানান, উপজেলার কালিতলা এলাকায় আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি। আহতদের মধ্যে চার-পাঁচজনকে আশষ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর অন্যান্যের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আকতারুজ্জামান বলেন, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সোমা পরিবহণের একটি বাসের সঙ্গে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী আগমনী এন্টারপ্রাইজের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই আগমনীর চালকসহ দুইজন নিহত হন। আহত হন দুই বাসের অন্তত ৩০ যাত্রী। দুর্ঘটনার পর রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জানিয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় বাস দুটি সরিয়ে নিলে বেলা ১টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

যশোর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলট নিহত

admin July 02, 2018
যশোরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (কে-৮ডব্লিউ) বিধ্বস্ত হয়ে দুইজন পাইলট নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন স্কোয়ার্ডন লিডার মো. সিরাজুল ইসলাম ও এনায়েত কবির পলাশ। ১ জুলাই, রবিবার রাত ৯টার দিকে যশোরের একটি বাওরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যশোর বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রশিক্ষণ বিমানটি যশোর বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। স্থানীয়রা জানান, বিমানটি বুকভরা বাঁওড়ের মাঝেই পড়েছে।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

admin July 02, 2018
ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ক্রমেই বাড়ছে পানিবন্দির সংখ্যা। গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটর। যা বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে।
তিস্তা ব্যারাজের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র  জানান, ভারী বর্ষণের সঙ্গে উজানের পাহাড়ী ঢলে গতকাল রোববার সকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৫৬ সেন্টিমিটার। তা বেড়ে গিয়ে বিকেল ৩টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টের নতুন বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, পার্শ্ববতী কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ ইউনিয়নের চর এলাকার ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলি ক্ষেত ডুবে গেছে। 
সরেজমিনে দেখা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাঁধগুলো ভেঙে গেলে তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে পড়বে। আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার না করায় হুমকির মধ্যে পড়েছে মহিষখোচা অংশ।
ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। চর এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। এখনও পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে কোন খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়নি। তিস্তার পানি আরও বৃদ্ধি পেলে তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে পাউবো ‘ফ্লাড বাইপাস’ কেটে দিতে পারে। এ বাঁধ কেটে দিলে গোটা লালমনিরহাট জেলার লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এতে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হবে।  হাতীবান্ধা উপজেলার চর ধুবনীর আইয়ুব আলী, কিসমত লোহালীর সফিয়ার রহমান পাটিকাপাড়ার রফিকুলসহ অনেক পানিবন্দি পরিবার অভিযোগ করে বলেন, আমরা পানিবন্দি অবস্থায় আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। কেউ আমাদের খোঁজ পর্যন্ত করেনি। হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী  জানান, উজানের ঢলে তিস্তায় ব্যাপকভাবে বাড়ছে পানি প্রবাহ। তবে কী পরিমাণ বাড়তে পারে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি। পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে ব্যারাজ রক্ষার্থে ফ্লাড বাইপাস কেটে দেয়া হতে পারে। 
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে নিচু অঞ্চলের কিছু পরিবার পানিবন্দি হচ্ছে। সকল ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নদীর তীরবর্তী জনপদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। 

বেনাপোল কাস্টমসে ১৭৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

admin July 01, 2018

দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। গেল অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হলেও এবার ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। বিপরীতে ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৮ লাখ ২ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হযেছে।
বন্দর ও বাণিজ্য সংশিষ্টরা মনে করছেন, বন্দরে অবকাঠামোগত সমস্যা, পণ্যের নিরাপত্তা শঙ্কা ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক হারে দিন দিন আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কর বৃদ্ধিতে পাচার কার্যক্রম বেড়ে গেছে। এতে রাজস্ব সঙ্কট হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশী রাজস্ব আদায় হযেছে।
অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই বছরে ২ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমান সরকার বন্দর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা রাখে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় উন্নয়ন অনেক কম হয়েছে। বন্দরে শেডের অভাবে মালামাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। বন্দরের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন হলে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ করা সম্ভব।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ওপর অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্ক হার বৃদ্ধি করায় রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। তিনি আরও বলেন, বেনাপোল বন্দরে যে কটি ভয়াবহ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিপুরণ না পেয়ে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, বন্দরের নতুন করে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। বন্দরের এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রাজস্ব আয় বাড়বে।

ভাঙন আতঙ্কে কুড়িগ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দারা

admin June 30, 2018
কুড়িগ্রামে নদ-নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে বন্যার পাশাপাশি ভাঙন আতঙ্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ দ্রুত সংস্কার করা না হলে বন্যার পানিতে ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর ৩১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পথ রয়েছে। এখানে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক ছোটবড় চরাঞ্চল। ৯টি উপজেলায় ৩টি পৌরসভা,৭৩ ইউনিয়নে ২০ লাখের অধিক মানুষের বসবাস। এরমধ্যে ৬০ হতে ৬৫টি ইউনিয়নে ছোটবড় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চরে সাড়ে ছয় শতাধিক গ্রামে চার লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। ফলে প্রতিবছর বন্যায় এদের সিংহ ভাগই বন্যায় আক্রান্ত হয়। আর নদ-নদীর ভাঙনে প্রতি বছরই শতশত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। চোখের সামনেই বসতবাড়ি, বাগান ও আবাদি জমিসহ সহায় সম্বল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া দেখতে হয় ভাঙন কবলিতদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকার বাংটুর ঘাট হতে ফুলবাড়ি উপজেলার সঙ্গে সংযোগ যোগাযোগ পাকা রাস্তার ২শ মিটার বাঁধের ঢাল ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর স্থায়ী ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাঁচকোল দক্ষিণ খামার এলাকায় পিচিংসহ ৯৫মিটার ব্লক নদীতে ধসে পড়েছে এবং উলিপুর উপজেলার কাজির চরের বাঁধের ৫৫ মিটার ঢাল বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও আরও রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের কালোয়ার ৪শ মিটার, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংটুর ঘাটে ৩শ মিটার, হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোবে ৪শ মিটার, মোগলবাসা ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় ৩শ মিটার, বামন ডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩শ মিটার, মুরিয়া বাজার ২শ মিটার, লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়িতে ১৫০মিটারসহ দুই কিলোমিটার বাঁধের অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ঠিক করা না হলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার পাড় গ্রামের ভাঙ্গনের স্বীকার গাদলু চন্দ্র দাস (৪৫) বলেন, ঈদের দিন ভোর বেলা আকষ্মিক ভাবে ব্লকে ভাঙন শুরু হয়। এতে একদিনেই ১২টি পরিবার ২০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গৃহহীন হয়ে পড়ে।

ভাঙনের স্বীকার কার্তিক চন্দ্র (৫০), জোস্না (৫৫) ও মেনেকা (৬৫) জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লকের কাজ করছে। কিন্তু সেই কাজেও অনিয়ম করেছে ঠিকাদারসহ কর্তৃপক্ষ। মৌখিক অভিযোগ দিলেও তারা তা আমলে নেয়নি। যার কারণে ব্লকের বাঁধ এক বছরের মাথায় ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি নদীর পেটে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ব্লকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রায় ৬শ মিটার ব্লক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলার বাকি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের অংশ মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

বালিয়াডাঙ্গীতে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন

admin June 30, 2018

আজ ৩০ জুন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ নিরক্ষর সাঁওতালেরা রক্ত দিয়ে রচনা করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল এক অধ্যায়। মুক্তিকামী মানুষের কাছে সাঁওতাল বিদ্রোহ আজও প্রেরণার উৎস। তাই ৩০ জুন 'সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস' হিসেবে শ্রদ্ধার  সঙ্গে স্মরণ করা হয়। 
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বালিয়াডাঙ্গী কর্তৃক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শোভাযাত্রা শেষে বালিয়াডাঙ্গী অডিটোরিয়াম হলরুমে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় রাফায়েল মরমুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আঃ মান্নান, বিশেষ অতিথি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সামিয়েল মার্ডার, ঠাকুরগাঁও জেলা আদিবাসি সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক সামশুজ্জোহা।  সভায় বক্তব্য রাখেন আদিবাসী নেতা ঢেরা মুরমু সহ আদিবাসি নেতৃবর্গ। 
উল্লেখ যে, ভারতের ভাগলপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গমাইল এলাকা দামিন-ই-কোহ্ বা 'পাহাড়ের ওড়না' এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। ভগনা ডিহি গ্রামের সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব এই চার ভাইয়ের নেতৃত্বে দামিন-ই-কোহ্ অঞ্চলে সংঘটিত হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ। 
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন বড়রা ডিহি গ্রামের ৪০০ গ্রামের প্রতিনিধ ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বিরাট প্রতিনিধি জমায়েত হয়। এই জমায়েতে সিধু-কানু ভাষণ দেন। এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অত্যাচারী শোষকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। এখন থেকে কেউ জমির কোনো খাজনা দেবে না এবং প্রত্যেকে এক হয়ে লড়তে হবে। প্রত্যেকেরই যত খুশি জমি চাষ করার স্বাধীনতা থাকবে। আর সাঁওতালদের সব ঋণ এখন বাতিল হবে। তারা মুলুক দখল করে নিজেদের সরকার কায়েম করবে। ১০ হাজার সাঁওতাল কৃষক সেদিন শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ ছিল বিদ্রোহ শপথ। মূল দাবি ছিল, 'জমি চাই, মুক্তি চাই।

নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অভিনন্দন

admin June 30, 2018

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ ২০১৮-২০২০ শেষনের কার্যনির্বাহী সংসদের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, রংপুর এর সভাপতি কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড, সহ সভাপতি এম মিরু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল ওয়াহাব টিপু, কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু, প্রচার, দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক মেজবাহুল মোকাররম হিমেল, কার্যকরী সদস্য আসাদুজ্জামান আফজাল, শাহীন হোসেন জাকির, মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, সদস্য মঈনুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সেলিম, শাহীন হোসেন, পারভেজ ইসলাম প্রমুখ।
অভিনন্দন বার্তায় নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সুস্থাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিকদের অধিকার এবং নিরাপত্বা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি পেশাগত মানোন্নয়নে তারা গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করবেন।

বোদায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড়

admin June 30, 2018
পঞ্চগড়ের বোদায় বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড় বাড়ছে। বোদা পৌর শহরের পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন বিশিষ্ট সমাজসেবী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমরান আল আমিন তার নিজস্ব উদ্যোগে মিল চাতাল মাঠে প্রজেক্টরের মাধ্যম বড় পর্দায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখানোর আয়োজন করেছেন। এই আয়োজনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রতিদিন খেলা দেখতে দর্শকদের ভীড় বাড়ছে। দূর দুরান্ত থেকে অনেকে বড় পর্দায় খেলা দেখতে আসছেন। এ বিষয়ে এমরান আল আমিনের বললে আমি একজন ফুটবল প্রেমী মানুষ হিসেবে সবার সাথে খেলা উপভোগ করতেই ২০০২ সালের থেকে বিশ্বকাপ খেলা বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করি। ২০০২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের খেলা দেখার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি।  

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ছড়ানোর হুমকি, আটক ২

admin June 30, 2018

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় পর বিধবা নানির কাছে থেকে উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো। গত ১৬ এপ্রিল সে উত্তর পাথালিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। এ সময় ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু মিয়া এবং শামসুল হকের ছেলে সোহাগ (১৫) ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটক করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মজনু মিয়া ও তার সহযোগী জোছন বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর আসামি সোহাগ পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়েটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। গত ৯ জুন ধর্ষকরা মেয়েটির নানিবাড়ি গিয়ে নানির হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে একটি মোবাইলের মেমোরি কার্ড তুলে দেয়। এ প্রসঙ্গে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

দিনাজপুরে ঐতিহাসিক সান্তাল বিদ্রোহ উপলক্ষে ‘সিদু-কানু দিবস’ পালন

admin June 30, 2018
৩০ জুন ঐতিহাসিক সান্তাল বিদ্রোহ উপলক্ষে ‘সিদু-কানু দিবস’ পালন করা হয়। এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের লক্ষে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় দিনাজপুর সুইহারি নভারা জুনিয়র হাই স্কুল প্রাঙ্গনে চাম্পাগাড়-এর আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্ম সুচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। 
দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৯টায় সুইহারি প্যারিশ ক্যাম্পাস হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে নভারা স্কুল প্রাঙ্গনে শেষ হয়। সকাল ১০টায় নভারা স্কুল প্রাঙ্গনে সিদু-কানু’র অস্থায়ী সৃতি স্থম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুইহরি মিশন-এর সহকারি পালপরোহিত ফাদার যোসেফ মূর্মু। 
অনুষ্ঠানে চাম্পাগাড়-এর সভাপতি ফাদার লাজারুশ সরেন’র সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্ঠা ফাদার ফ্রান্সিস মূর্মু, সদস্য সুশীলা টুডু, জুলিয়ান সরেন,  রবি মার্ডী, সহ-সভাপতি যোগেন জুলিয়ান বেসরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সালভাতর পাউরিয়া ও মাইকেল মার্ডী।
উল্লেখ্য, ১৫৩ বছর আগে নিরিহ ও শান্তি প্রিয় সান্তাল আদীবাসীরা ক্রমাগত শোষন, বঞ্চনা, নির্যাতন, দাসত্ব, যখন সহ্যের সীমা ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে সান্তালরাই দাবানলের মত জ¦লে উঠেছিল। সেই দিনটি ৩০ জুন ১৮৫৫ সাল, যা সান্তাল বিদ্রোহ দিবস নামে ইতিহাস খ্যাত। এই দিনে সিদু-কানহুর ডাকে প্রায় ৩০ হাজার সান্তাল বিদ্রোহের জন্য তীর ধনুক নিয়ে সমবেত হয়।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three