মিজানুর রহমান, কাউনিয়া প্রতিনিধি:
‘ধানের দাম নাই তাই বাঁচিয়া থাইকপ্যার জন্যে কতো কষ্ট করি চরোত বাদাম আবাদ করনো তাও তিস্তার পানিত ডুবি গেলো, এলা হামার কী হইবে?’ কান্না আর আহাজারীতে কথা গুলো বললেন উপজেলার চর বিশ্বনাথ গ্রামের আছমা বেগম। তিনি আরও জানান, ‘এগুলায় যদি হামার কপালোত থাকে তাইলে হামরা বাঁচমো কী করি?’
অথচ একদিন আগেও হাস্যোজ্জ্বল বদনে ক্যামেরায় বন্দী হয়ে ছিলেন আছমা বেগম। একই ভাবে কান্নায় ভেঙ্গে আহাজারী করে চর গোপীডাংগা এলাকার আবুল কাশেম বলেন, ‘একনা জমি আদি (বর্গা ) নিয়া বাদাম আবাদ করনু সেকনাও বানোত ভাসি গেলো।’
[caption id="" align="alignnone" width="700"]

গত মঙ্গলবার রাতের বেলা হঠাৎ করেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চর বিশ্বনাথ, চর গোপীডাঙ্গা, চর ঢুষমারা, চর হয়বৎখাঁ, চর পাঞ্জরভাঙ্গা, হরিশ্বর, গদাইসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে বাদাম, মরিচ, পাট ও শাক-সব্জী ক্ষেতে পানি ঢুকে যায়।
এতে উপজেলার প্রায় ৫০ একর (২’শ দোন) জমির আবাদ বিনষ্ট হয়ে গেছে। অকালের এ বন্যার পানি আরও কয়েক দিন থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাড়বে বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি দপ্তর।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আকস্মিক এ বন্যার ক্ষতি কৃষকরা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাবেন। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমবে।