নতুন কোনো জায়গায় গেলে শখের গাড়িটি কোথায় পার্ক করবেন তা নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। তবে ফোনে যদি ‘পার্কিংকই’ নামে একটি অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে তাহলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
ব্যহারকারীর অবস্থান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ফ্রি এবং নিরাপদ বিনামূল্যের সব পার্কিং প্লেস খুঁজে দেবে অ্যাসপটি। এছাড়া, কিভাবে সেখানে যেতে অ্যাপটির মাধ্যমে সেটাও দেখে নেওয়া যাবে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ড্রাইভার গাড়ির পার্কিং খুঁজতে গিয়ে তার জীবনের ১০৬ দিনের সমপরিমাণ সময় ব্যয় করেন। এছাড়া, ঢাকাশহরে ৩০ শতাংশ যানজট এই অবৈধ পার্কিংয়ের জন্যই সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ব্যবহারকারী ঢাকার ১০ হাজার বেশী পার্কিং স্পেস এ নিরাপদে তাদের গাড়িটি বৈধভাবে পার্ক করছে।
বাসা-বাড়ির মালিকরাও পার্কিংয়ের জায়গা ভাড়া দিয়ে অ্যাসপটির সাহায্যে আয়ও করছেন। পার্কিংকই’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাফাত রহমান জানান, অ্যাপটি চালকও গ্যারেজের মালিকের মধ্যে সমন্বয় করবে। গাড়ি সকালে বের হলে সাধারণত গ্যারেজ বা পার্কিং স্পেস খালি থাকে।
সেখানে অ্যাপ ব্যবহার করে চালককে ঘণ্টা, দিন বা সপ্তাহ চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া যাবে।এমনকি এই অ্যাপ ব্যবহার করে সুলভমূল্যে মাসিক পার্কিং খুজে পাওয়া যাবে। অ্যাপটির সাহায্যে লোকেশনও ঘণ্টা অনুযায়ী ৫ থাকে ৩০ টাকায় পার্কিং ভাড়া পাওয়া যাবে। এ পর্যন্ত অ্যাপটি দিয়ে ১৫০০ এর বেশী পারকিং সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অ্যাসপটি সম্পর্কে পার্কিংকই এর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, পার্কিং সমস্যা এবং যানজট নিয়ে কাজ করাটা সত্যি বেশ চ্যাইলেঞ্জিং ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব একটি সুন্দর ইউজার ইন্টারফেসের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে। যেন সবাই তা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যইবহারকারীদের গাড়ির নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ বিজনেস আরিফুর রহমান বলেন, অ্যাপটিতে নিবন্ধনের সময় গাড়ি মালিকও পার্কিং স্পেস যিনি ভাড়া দেবেন তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড আমরা ভেরিফাই করেছি। উভয়ের জন্য টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস পলিসি আছে। আমাদের অপারেশন টিম আছে যারা ব্যকবহারকারীদের ভেরিফাই করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।