বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রিয়াংকার ‘নলিনী’র শুটিংয়ের অনুমতি বাতিল করেছে। ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবির পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বভারতীতে এই ছবির শুটিং করতে দেওয়া যাবে না। ছবিটি প্রযোজনা করছেন প্রিয়াংকা চোপড়া। প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি ছবিতে ‘নলিনী’ চরিত্রে অভিনয় করবেন। কিন্তু বিশ্বভারতীতে শুটিংয়ের অনুমতি বাতিল হওয়ায় ছবির শুটিং শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেয়েছেন উজ্জ্বল আর প্রিয়াংকা। এর আগে গত ৬ই জানুয়ারি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবির চিত্রনাট্যের ছাড়পত্রসহ বিশ্বভারতীতে ছবির শুটিংয়ের অনুমতি দেন।
ওই সময় উপাচার্য পরিচালককে অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবিটি যেন বিশ্বভারতী থেকে অনুমোদিত চিত্রনাট্য মেনে তৈরি করা হয়। আর এই ছবিতে কোনোভাবেই যেন কবিগুরুর ভাবমূর্তি ক্ষু্ন্ন না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য পরিচালককে অনুরোধ করেন তিনি। ছবিটি তৈরি হওয়ার পর বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দেওয়ার আগে তা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একবার দেখিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন। ওই সময় বিশ্বভারতী চিত্রনাট্যের কিছু অসংগতি আর ভুল তথ্য সংশোধন করে ছবিটি নির্মাণের পরামর্শ দেয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন কুমার দত্তর চিঠি পাওয়ার পর পরিচালক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় আরেকটি চিঠির মাধ্যমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি বিশ্বভারতীর পরামর্শ মেনেই ‘নলিনী: টেগোরস ফার্স্ট লাভ’ ছবিটি তৈরি করবেন। এরপর বাংলা ও মারাঠি ভাষায় ছবির চিত্রনাট্য তৈরির উদ্যোগ নেয় বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়ার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এদিকে গত শুক্রবার ছবির পরিচালক আর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পর বিশ্বভারতীর বর্তমান ভারপ্রাাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সবুজকলি সেন জানান, কোনো বাণিজ্যিক ছবির শুটিংয়ের অনুমতি দিতে পারছে না বিশ্বভারতী। কারণ, বিশ্বভারতী ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বভারতীর উপাসনা মন্দির, ছাতিমতলা, পাঠ ভবন চত্বর, মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা, কলাভবন, সংগীত ভবনকে এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার হেরিটেজ বা ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছে।