দিল্লিতে এক বাড়িতে এক পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ

admin July 02, 2018
ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকালে উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার একটি বাড়িতে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তাদের মধ্যে ১০ জনের দেহ সিলিংয়ের লোহার গ্রিল থেকে ঝুলে থাকা অবস্থায় ও বৃদ্ধ এক নারীর মৃতদেহ মেঝেতে শায়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের অধিকাংশেরই চোখ ও হাত-পা পেছন দিকে বাঁধা ছিল। পুলিশের ধারণা তারা আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে সাত জন নারী, এদের একজনের বয়স ৭৫ বছর। মৃতদের মধ্যে দুজন কিশোর বয়সী। বুরারির সান্ত নগরের দোতলা ওই বাড়িটির উপর তলায় পরিবারটি বসবাস করতো। নিচের তলায় তাদের মুদির দোকান ও প্লাইউডের ব্যবসা ছিল। গত ২০ বছর ধরে তারা এই এলাকাটিতে বসবাস করতো।
দিল্লির মধ্যবিত্ত এলাকার এই পরিবারটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় দোকান খুলতো। কিন্তু রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দোকান না খোলায় খোঁজ নেওয়ার জন্য এক প্রতিবেশী উপর তলায় গিয়ে প্রবেশ পথ খোলা দেখতে পান। ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারটির অধিকাংশ সদস্যকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় গ্রিল থেকে ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি পুলিশকে খবর দেওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে জায়গাটি ঘিরে ফেলে।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মৃতদের সবার চোখ বাঁধা ও মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ছিল এবং তারা প্রায় সবাই গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলছিল। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লুর খোঁজে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। ওই প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বাড়িটিতে ভুপিন্দর ও লালিত সিং নামের দুই ভাই ও তাদের পরিবার বসবাস করতো, তারা খুব বন্ধুসুলভ ছিলেন।
“তারা আত্মহত্যা করতে পারেন না। গত রাতেও ভুপিন্দরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে খুব সুখী ছিল এবং তার মধ্যে কোনো মানসিক চাপের লক্ষণ ছিল না,” বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি বিজেপির প্রধান মনোজ তিওয়ারিও বুরারি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  
দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই এলাকার প্রতিবেশীদের কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা কেজরিওয়ালকে জানিয়েছেন, একটি বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে পরিবারটি ব্যস্ত ছিল। ঘটনাস্থলে কোনো স্যুইসাইড নোট ছিল না বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রাজেশ খুরানা। “সম্ভাব্য সব দিক থেকেই তদন্ত করে দেখছি আমরা, কোনো কিছুই বাতিল করছি না। মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে,” বলেছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

পরবর্তী পোস্ট
« Prev Post
পূর্বের পোস্ট
Next Post »
নিচের বক্সে মন্তব্য লিখুন

Disqus
আপনার মন্তব্য যোগ করুন

No comments

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three