আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অজয় নামে একব্যক্তি কাজ করতেন একটি ফুটওয়্যার কোম্পানিতে। গত ২৭ জুলাই ফ্যাক্টরিতে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অজয়। হাসপাতালের সমস্ত বিল মেটায় কারখানার কর্তৃপক্ষ। পরে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলে মাস শেষে তাকে বেতন দেওয়া হয় ৬ টাকা। মাথায় বারি পরে তার। তাতে বেচারা টাকা না কেটে, কিস্তিতে মেটানোর অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেকথা না মানায়, আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ফ্যাক্টরিতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অজয়। সহকর্মীরা দেখে ফেলায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেন তারা। কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন তিনি। অজয়ের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।
আগ্রার একটি জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তিনি। বয়স ত্রিশ হবে অজয়ের। পুলিশ জানায়, ৬ টাকা বেতন পাওয়ার পরই ভেঙে পড়েন তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। আগ্রার সিকান্দার পুলিশ স্টেশনের তদন্তকারীদের দাবি, কারখানার ভিতরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন অজয়। ঠিক সময় সহকর্মীরা সেখানে এসে পড়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায় তাঁর। অজয়কে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এঘটার পর অজয় বা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এ নিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি জুতো কোম্পানির কর্তৃপক্ষের।