অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর উত্তরার এক বাসার দুই কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছয়তলা একটি ভবন থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে; তবে এটা আত্মহত্যা, না হত্যা- সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র শাহা জানান, রুবী ( ১৭) ও হালিমা (১৪) নামে ওই দুই কিশোরী জসিম উদ্দিন সড়কের একটি ছয়তলা বাড়ির ষষ্ঠতলায় গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলামের বাসায় কাজ করতেন।
বুধবার ভোরের দিকে ওই ভবনের পশ্চিম দিকে একটি একতলা বাড়ির ছাদ থেকে তাদের আহত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যান নৈশপ্রহরীরা। পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকতাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, ছয়তলা ভবনটির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা যাচাই করে দেখা গেছে, রাত ৩টা ৩২ মিনিটে ওই দুই কিশোরী দরজা খুলে ছাদের দিকে যায়। কিন্তু ছাদের কোনো দৃশ্য ওই ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। “এখন ছাদে গিয়ে তারা পাশের ছাদে লাফিয়ে পড়েছিল কি না, বা অন্য কেউ তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কি না- সেসব প্রশ্নের উত্তর এখনও আমরা পাইনি।
ওসি বলেন, উঁচু থেকে পড়ার কারণে মেয়ে দুটির হাত ও পা ভেঙে গেছে। তাদের মৃত্যুর সঙ্গে অন্য কিছু আছে কি না- ময়নাতদন্তে হয়ত সে তথ্য জানা যাবে।
মাজেদুল ইসলামের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রুবী এক বছর আগে ওই বাসায় কাজে যোগ দিয়ে মাঝখানে কিছুদিন গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর চলে গিয়েছিলেন। কিছু দিন আগে আবার তিনি কাজে যোগ দেন।
আর গাজীপুরের হালিমা ওই বাসায় কাজ করে আসছিলেন প্রায় আড়াই বছর ধরে। তাদের পবিরারকে ইতোমধ্যে খবর দিয়েছে পুলিশ।
ওসি তপন চন্দ্র সাহা বলেন, “মেয়ে দুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও একজন জীবিত ছিল। ডাক্তারকে সে বলেছিল, অপারেশন করতে হলে যেন তাকে অজ্ঞান করে নেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।”
স্থানীয় নৈশপ্রহরীদের একজন পুলিশকে বলেছেন, রাত সাড়ে ৩টার পরে হঠাৎ ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান তিনি। এর পরপরই ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনতে পান একতলা ভবনটি ছাদ থেকে। তখন তারা গিয়ে দুই কিশোরীকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।