Showing posts with label দক্ষিণ আফ্রিকা. Show all posts
Showing posts with label দক্ষিণ আফ্রিকা. Show all posts
দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

admin June 06, 2019


তুমুল লড়াইয়ের পরও হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক-সাকিবরা। ইনিংসের শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে পরাজয়ের দুয়ারে থেকেও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভালো খেলেও পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাশেোফিদের।



 



বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।



 



বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।



 



শেষ দিকে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ৩৩ রান। ৪৩তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে গ্রান্ডহোমকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।



 



ঠিক পরের ওভারে মাত্র ২ রানে জেমস নিশামকে আউট করার মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।



 



২৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান উইলিয়ামসন ও টেইলর। তৃতীয় উইকেট ১০৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটিতেই জয় দেখে নিউজিল্যান্ড।



 



ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্পিনে ২ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৭২ বলে ৪০ রান করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে টম লাথামকে আউট করেন তিনি।



 



তবে মুশফিকের একটি ভুলের কারণে বড় জুটি গড়ে টেইলর ও উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৭ রানেই সাজঘরে ফেরার যাওয়ার কথা ছিল উইলিয়ামসনের।



 



প্রায় অপর প্রান্তেই চলেই গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত।



 



আর তাতেই লাইফ পান কিউই অধিনায়ক। তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ছিল ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭।



 



বাংলাদেশ ২৪৪/১০



 



সাকিব ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি টাইগাররা।



 



দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ দিকে ২৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। ৪৫তম ওভারে ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি।



 



টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।



 



এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলে আউট হন তামিম। তার আগে ৩৮ বলে মাত্র ২৩ রান করেন দেশ সেরা এ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ।



 



এরপর সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।



 



এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব।



 



আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাকিব, বুধবার ফেরেন ৬৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।



 



সাকিবের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। তবে শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে তিনটি চার দলের হয়ে একমাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাইফউদ্দিন।



 



সংক্ষিপ্ত স্কোর



 



বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৪৪/১০ (সাকিব ৬৪, সাইফউদ্দিন ২৯, মিঠুন ২৬, সৌম্য ২৫, তামিম ২৪; ম্যাট হেনরি ৪/৪৭, ট্রেন্ট বোল্ট ২/৪৪)। #NewsBD

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

admin June 06, 2019

২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।


দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।


তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে।


স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২০১৯ বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর আজ ওভালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগারবাহিনী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।


উইকেট ভিন্নতা থাকলেও আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের একাদশের উপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।


বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে লড়াইটা একেবারে সহজ ছিল না। কেননা বরাবরের মতোই শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শক্তিসামর্থ্যে পিছিয়ে ছিল না মাশরাফির দলও। মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হারিয়ে পেয়েছে শুভসূচনাও। এখন প্রথম ম্যাচে পাওয়া এ মোমেন্টাম ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।


এবার ২য় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে কিউইরা। সে ম্যাচে লংকানদের মাত্র ১৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল কিউই পেসাররা। ব্যাটে-বলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে নিউজিল্যান্ড। উড়ন্ত সূচনা পেয়ে আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তাই এমন দলের বিপক্ষে আগামীকাল নিজেদের সেরাটা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের।


নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশ শিবিরে। এ নিউজিল্যান্ডকেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত জোড়া শতকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে ম্যাচ বের করে আনে টাইগাররা। এখন সেই ইংল্যান্ডেই আবারো কিউইদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিও এখন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে টাইগারদের।


[bs-quote quote="‘‘আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু।’’" style="default" align="left" author_name="Sakib-Mashrafi" author_job="Crickter" author_avatar="http://rangpurexpress24.com/wp-content/uploads/2019/06/sakib-mashrafi.png"][/bs-quote]

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ওপেনিংয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও সৌম্য শুরু করেছেন ঝড় তুলে। তার ৩০ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য পথটা তৈরি করে দেয়। এরপর সাকিব ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটির ওপর ভর দিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর শেষ দিকে এসে ইনিংসকে পরিণতি দেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক, যা বাংলাদেশকে এনে দেয় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


৩৩০ ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। শুরুতে উইকেট নিতে না পারলেও রান রেট আটকে চাপে রাখে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। এরপর যখনই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় তখনই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ভালো জায়গায় বল করে সবসময় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজরা। পেয়েছেন নিয়মিত ব্রেক থ্রু। প্রায় প্রত্যেক বোলারই এ ম্যাচে অবদান রেখেছেন। সেই সঙ্গে ছিল মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব। ফিল্ডিং ও বোলিং পরিবর্তনে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাবনার বিষয় হতে পারে ফিল্ডিং। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে একাধিক, যা দিন শেষে হতাশার কারণ হলেও হতে পারত।


এছাড়া মিস ফিল্ডিংও হয়েছে বেশকিছু। পরের ম্যাচগুলোয় ফিল্ডিং নিয়ে তাই বাড়তি কাজ করার সুযোগ আছে। এদিকে ম্যাচ জয়ের পর এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের শান্ত থাকা জরুরি। আমরা কেবল একটি ম্যাচ জিতেছি, এখনো আটটি ম্যাচ বাকি। এখন এ জয় আমাদের টুর্নামেন্টে কোথাও নিয়ে যাবে না। তাই আমি মনে করি না, আমাদের এ মুহূর্তে রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু আছে। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে।’


এ সময় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমাদের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি, আরো অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। সম্ভবত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে অপেক্ষা করছে।’


পাশাপাশি কোনো দলকেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নন বলে মন্তব্য করে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দলকেই বড় দল হিসেবে দেখছি এবং আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে। যদি সবাই ফিট থাকে, সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো। প্রতি ম্যাচেই হয়তো এমন পারফরম্যান্স দেখা যাবে না। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।’


সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু। এখন এ জয়ের প্রেরণা নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

admin June 04, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অসাধারণ জয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ভারতের এনডিটিভি ও বৃটিশ গার্ডিয়ান টাইগারদের জয়কে অঘটন বললেও অধিকাংশ মিডিয়া প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাকিব-মিরাজদের।


বাংলাদেশ জিতলেই সেটা হয় আপসেট বা অঘটন। নিন্দুকেরা হয়ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না টাইগার জয়োল্লাস। তাই কিনা বিদেশি কিছু গণমাধ্যমের এমন শিরোনাম। যা আহত করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গেল কয়েক 'বছর ধরে ভালো খেলা বাংলাদেশকে।


তবে সব মিডিয়া কিন্তু এক নয়। টাইগারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে দুনিয়ার বড় বড় কিছু সংবাদমাধ্যম। বৃটিশ গণমাধ্যমে এসেছে লাল সবুজের অসাধারণ কীর্তি। ডেইলি মেইল ও বিসিবি যেমন বলছে, বাংলাদেশ ভালো খেলেই জয় পেয়েছে। অন্যদিকে গার্ডিয়ান এটাকে দেখছে অঘটন হিসেবেই।


ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে গেল ক'দিন ধরেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। সাবেক কিউই অধিনায়কের অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে প্রোটিয়াদের হারিয়েছে টাইগাররা। এরপর আবারো টুইট করেছন ম্যাককলাম। এবার তিনি ভূয়সী প্রশংসা করলেন সাকিব-তামিমদের। তবে স্বীকার করেছেন তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জিতুক।


টাইগারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররাও। ভারতের আকাশ চোপড়া মনে করেন মাশরাফী, টপ ক্লাস ক্যাপ্টেন। ইয়ান বিশপ মনে করেন, গেলো ক'বছর ধরে যে বাংলাদেশ ভালো দল তিনি আবারো সেটা নিশ্চিত হলেন।


ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও মাশরাফীকে শুনতে হলে 'আপসেট' শব্দটি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন টাইগার কাপ্তান। বললেন, এসব নিয়ে না ভেবে মাঠের খেলায় আরো মনোযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশ মিশন

বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশ মিশন

admin June 03, 2019

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ মিশন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৩০ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে বিশ্বকাপের ১২তম আসর শুরু করল মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।


রোববার ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ।এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারে মুশফিক-সাকিবের জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এছাড়া ৪৫ রান করেন ওপেনার মার্করাম, ৪১ রান করেন ভেন দার ডুসেন। ৩৮ রান করেন ডেভিড মিলার।


টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬০ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। হাতের চোট নিয়ে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম ইকবাল।


ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। কিন্তু আন্দিলে ফিলোকাওয়ের গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। তার আগে ২৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তামিম।


এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ৭৫ রানে ক্রিস মরিসের বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সৌম্য। ক্রিস মরিসের করা বলটি সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।


উড়ে আসা সেই বলটি সৌম্যর গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের ক্যাচে পরিনত হয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন করেন সৌম্য।


৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৪১ বলে ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা।


ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআই ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


এদিকে আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক। ফিফটির পর তিনিও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। দলীয় ২৫০ রানে আউট হন মুশফিক। তার আগে ৮০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৩ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সৈকত। মাত্র ৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।


৩৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন আফ্রিকান ওপেনার। তার আগে ৩২ বলে ২৩ রান করেন ডি কক। ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত মুশফিকুর রহিম। তার থ্রোতে ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি ককের উইকেট।


ডি ককের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে অফিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মার্করাম। তাদের মধ্যকার এই জুটি ভাঙেন সাকিব। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৪৬ রান করেন মার্করাম। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০২ রানে দুই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত ফাফ ডু প্লেসিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান এ অধিনায়ককে বোল্ড করেন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৬২ রান করেন ডু প্লেসিস।


১৬ রানেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার কথা ছিল ডেভিড মিলারের। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সৌম্য সরকারের কারণে লাইফ পান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মিলার কিলারকে আউট করে টাইগার শিবির স্বস্থির পরশ এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিনত হওয়ার আগে ৪৩ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করেন মিলার।


দলীয় ২২৮ রানে ভেন দার ডুসেনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। তার আগে ৩৮ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান। সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন ফেহালুকাওয়ে। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ের স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশ।


নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন এবং রান রেট বেড়ে যাওয়ায় শেষ দিকে জেপি ডুমিনির একা লড়াই করেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের রেকর্ড

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের রেকর্ড

admin June 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের রত্ন । ব্যাট হাতে হোক কিংবা বল হাতে দুই জায়গায়ই সাকিবের আছে অগণিত রেকর্ড। আজ (রোববার) বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক রেকর্ডের মালিক হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ফিফটি হাঁকালেন তিনি।


দেশের হয়ে সাকিবের প্রথম বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে। যেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই ভারতকে বিদায় করে দেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৮৬ বলে ৫৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন সেই সময়ের তরুণ সাকিব।


এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেই ৫০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে সেই ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা।


২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি তুলে নেন সাকিব। সেই ম্যাচে সাকিবের ৫১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।


নিজের সেই ব্যাটিং ধারাবাহিকতা সাকিব ধরে রাখলেন ২০১৯ বিশ্বকাপেও। আজ (রোববার) শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে। যেখানে ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন সাকিব।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ টাইগারদের

admin June 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। গড়লো নতুন রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা।


টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩২২ রানের, যা ২০১৫ সালে ২ উইকেটে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল।


একই বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা করেছিল ২৮৩ রান।


ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান:


শুধু বিশ্বকাপ নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এটি। এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল টাইগাররা।


২০১৯ বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তার ৭৮ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। এছাড়া সাকিব ৭৫, সৌম্য সরকার ৪২, মাহমুদউল্লাহ ৪৬ রান করেন।


তালিকা...

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

admin June 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
উদ্বোধনী ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলটির বিপক্ষেই লন্ডনের কেনিংটন ওভালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শুভ সূচনা করার প্রত্যাশা টাইগারদের। অন্যদিকে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য প্রথম ম্যাচে বাজে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা।


এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরুতেই ভাগ্যের খেলায় টস জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি


বাংলাদেশ দলের জন্য সুসংবাদ হচ্ছে, ইনজুরির শঙ্কা কাটিয়ে খেলছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে একজন পেসার বেশি নিয়ে খেলতে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না হাশিম আমলা। তার পরিবর্তে খেলছেন ডেভিড মিলার।


বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান।


দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এইডেন মারক্রাম, ফ্যাফ ডু প্লেসি (অধিনায়ক), রাশি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, আন্দিল পেহলুকাইয়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি, ইমরান তাহির।

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। এই নিবদ্ধে আমরা দেখাতে চাই বিগত আসরগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের কিছু পরিসংখ্যান এবং রেকর্ডসমূহ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে- দক্ষিণ আফ্রিকা এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা টিমে সব সময়ই বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় থাকে এবং তারা সত্যিকারার্থেই বিশ্ব ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী টিম। তবে সব টুর্নামেন্টেই গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তে তারা খেই হারিয়ে ফেলে কিংবা জিততে পারেনা বলে ‘চোকার’ শব্দটি প্রোটিয়া টিমের সঙ্গে মিশে আছে। দেখার বিষয় হচ্ছে এবারের আসরে টিমটি কেমন করে। এবার আমরা বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের কিছু পরিসংখ্যান এবং গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তুলে ধরব।


আইসিসি বিশ্বকাপে কেমন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা?
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করে ১৯৯২ আসরে। বিশ্বকাপে টিমটির সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানো। গত সাত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রোটিয়ারা চার বার ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৭ এবং ২০১৫ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলেছে। এ ছাড়া ১৯৯৬ ও ২০১১ বিশ্বকাপে তারা দুইবার কোর্য়াারফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। একবার ২০০৩ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে টিমটি।


বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন রান:
বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১১। ২০১৫ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের এ রেকর্ডটি গড়ে প্রোটিয়ারা। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। টিমটির সর্বনিম্ন স্কোর ১৪৯। ২০০৭ আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায়।


কার্স্টেন ও হলের রেকর্ড:
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান গ্যারি কার্স্টেন। ১৯৯৬ আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৮৮ রানের ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে এটাই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কোন খেলোয়াড় হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি এন্ড্রু হল’র। ২০০৭ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের হয়ে এ রেকর্ড গড়েন।


এবি ডি ভিলিয়ার্স ও এ্যালান ডোনাল্ডের প্রভাব:
সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মোট ১ হাজার ২০৭ রান করেছেন। ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৫ তিন বিশ্বকাপে তিনি এ রান করেন। ৬৩ দশমিক ৫২ গড়ে তার রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি এবং ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি। সাদা বিদ্যুৎ হিসেবে পরিচিত ফাস্ট বোলার এ্যালান ডোনাল্ড দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ উইকেট শিকার করেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২০ দশমিক ৩১ গড়ে তিনি শিকার করেন ১৬ উইকেট।


দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের আরও কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের তালিকায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ডি ভিলিয়ার্স ছাড়া বিশ্ব আসরে এক হাজারের বেশি রান করা অপর দুই খেলোয়াড় জক ক্যালিস (১১৪৮) এবং হার্শেল গিবস (১০৬৭)। বিশ্বকাপে প্রোটিয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি ডাক মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স।


এবারের বিশ্বকাপে যে বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হবে:
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। বিশ্বকাপে চোকার তকমাও তাদের একটা সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের রয়েছে একটি থিতু টিম এবং শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ বিভাগ। উপড়ন্ত তাদের রয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের মত সক্ষম অধিনায়ক। আমরা মনে করি ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা সেমিফাইনালে যেতে পারে।

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

জয় দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা

admin May 31, 2019

বেন স্টোকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ঘরের মাঠে ২০১৯ বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করলো ইংল্যান্ড। এদিন ইংলিশদের সামনে সেভাবে লড়াই করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আর স্টোকসের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের আলোচিত পেসার জোফরা আর্চারের দারুণ বোলিংয়ে যেন আত্মসমর্পণই করে ডু প্লেসিসবাহিনী।


ইংল্যান্ডের দেয়া ৩১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৯.৫ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। বেন স্টোকস, ইয়ন মরগান, জেসন রয় এবং জো রুটরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। বোলিংয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেন জোফরা আর্চার।


তরুণ এই পেস বোলারের গতির সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিস ও জেপি ডুমিনিরা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং ভেন দার দাসুনের জোড়া ফিফটি আফ্রিকার পরাজয় এড়াতে পারেনি। বিশ্বকাপের ১২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ব্যাটে বলের অসাধারণ নৈপুণ্যে ১০৪ রানে জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি রয়েছে জেসন রয়ের।


জেসন রয়ের বিদায়ের ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস।


দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


৩১২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইংলিশ তরুণ জোফরা আর্চারের গতিকে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৪ রানে চোটাক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন হাশিম আমলা। এরপর ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ফিরলেও সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে আউট হন আমলা।


দক্ষিণ আফ্রিকার এই মুসলিম ক্রিকেটারকে বাউন্সার দেন জোফরা। কপালে চোট নিয়ে মাঠ থেকে সাজঘরে ফেরেন আমলা। তার বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েন অ্যাডাম মার্কওরাম। ১২ বলে ১১ রান করে জোফরার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মার্কওরাম।


৮ রানের ব্যবধানে জোফরাকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানে আমলা রিটায়ার্ড হার্টসহ তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


এরপর তৃতীয় উইকেটে ভেন দার দাসুনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানে জুটি গড়ে ধকল সামাল দেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন তিনি। দলীয় ১২৯ রানে ফেরেন ডি কক। তার আগে ৭৪ বলে ৬ চার ও দুই ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডি কক।


ডি ককের বিদায়ের পর রীতিমতো উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্য্যত ছিটকে যায় তারা। শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দাসুন। তিনি ৬১ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন জোফরা আর্চার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৯.৫ ওভারে ২০৭/১০ (ডি কক ৬৮, দাসুন ৫০, ফেয়ালুকাওয়ে ২৪; আর্চার ৩/২৭)। ফল: ইংল্যান্ড ১০৪ রানে জয়ী।

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

৩১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এছাড়া অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪ ও জো রুট ৫১ রান করেন। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু ফ্লেসিস।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে ১ রানে এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফিরিয়ে তিনি এ সাফল্য পেয়েছেন।


শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জেসন রয় ও জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে তাড়া ১০৬ রান করে দলকে খেলায় ফেরান। জোড়া ফিফটির পর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে দুজনেই সাজঘরে ফেরেন।


দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জেসন রয়কে সাজঘরে ফেরান আন্দিল ফেহলুকাওয়ো। তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি গড়েন। তবে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন রয়।


জেসন রয়ের বিদায়ের চার রানের ব্যবধানে ফেরেন জো রুট। কাগিসো রাবাদার বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৫৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার ৩১তম ফিফটি। এর আগে ওয়ানডেতে ১৪টি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ডের এ টেস্ট অধিনায়ক।


১১১ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন ইয়ন মরগান ও স্টোকস। তাদের কল্যাণে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া ইংল্যান্ড খেলায় ফিরতে সক্ষম হয়।


চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মরগান-স্টোকস। জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান। তার আগে ৬০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।


দলীয় ২১৭ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মরগানের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। উইকেটের এক পাশ আগলে রাখেন বেন স্টোকস। অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।


একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বেন স্টোকস। ইনিংস শেষ হওয়ার ১৫ বল আগে লুঙ্গি এনডিগির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন স্টোকস। দক্ষিণ অফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লুঙ্গি এনডিগি। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (বেন স্টোকস ৮৯, মরগান ৫৭, জেসন রয় ৫৪, জো রুট ৫১; লুঙ্গি এনডিগি ৩/৬৬ )।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three