অনলাইন ডেস্ক:
গুগল ইনপুট টুলস: বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি পণ্যের সাধারণ ভাষা ইংরেজি। কম্পিউটারের কিবোর্ডের সাধারণ ভাষাও ইংরেজি। কম্পিউটারে বিভিন্ন ভাষা লেখার সমস্যাও অনেক পুরোনো। এ ক্ষেত্রে ধ্বনিভিত্তিক আলাদা ভাষা লেখার সফটওয়্যারও চালু রয়েছে। এই কাজটিকেই সহজ করতে গুগল ল্যাবের রয়েছে গুগল ইনপুট টুলস। এটি আগে গুগল ট্রান্সলিটারেশন নামে পরিচিত ছিল। ইংরেজি কিবোর্ড ব্যবহার করে রোমান হরফে ধ্বনিভিত্তিক অক্ষর বিন্যাসকে গুগল ইনপুট টুলস পরিবর্তিত করে দেয় নির্ধারিত ভাষায়। বর্তমানে আরবি, বাংলা, চীনা, গ্রিক, গুজরাটি, হিন্দি, হিব্রু, কানাডা, নেপালি, মারাঠি, সংস্কৃত, তামিল, উর্দু সহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ভাষাগুলোর ৮০টি ভাষায় লেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। www.google.com/inputtools/cloud/try সাইটে গিয়েই এখানে গিয়ে লেখা যাবে যেকোনো ভাষায়। মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে আমরা যেভাবে লিখে থাকি, ঠিক সেভাবেই লেখা যাবে এখান থেকে। আর অনলাইনের প্রায় সব প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করা যাবে তা।
গুগল স্কলার: সার্চ ইঞ্জিল হিসেবে গুগলের শ্রেষ্ঠত্ব এবং জনপ্রিয়তার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে সবার জন্য সার্চ ইঞ্জিন তৈরির পাশাপাশি তারা শুধুমাত্র শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্যও চিন্তা করেছে আলাদাভাবে। গুগল ল্যাবের তাই আরেকটি অ্যাপ্লিকেশন ‘গুগল স্কলার’। এটি এমন একটি সার্চ ইঞ্জিন যা বিভিন্ন অনলাইন রেফারেন্স বইয়ের সন্ধান দিতে সক্ষম। ২০০৪ সালে চালু হবার পর থেকে এটি প্রায় সকল অনলাইন জার্নালকে ইনডেক্সিং করতে সমর্থ হয়েছে। এখানে রয়েছে অ্যাডভান্স সার্চ অপশন যার মাধ্যমে কোনো জার্নালের লেখক প্রকাশক, প্রকাশনার সময় ইত্যাদি তথ্য দিয়ে নির্দিষ্ট করেই জার্নাল খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে। সাইটটির ঠিকানা : scholar.google.com
গুগল বুক এনগ্রাম ভিউয়ার: অনলাইনে প্রকাশিত বইয়ের পাশাপাশি গুগল পৃথিবীতে প্রকাশিত সকল বইলে প্রায় ২০ ভাগ ইতোমধ্যে স্ক্যানও করে ফেলেছে। এসব বইতে কোন শব্দ, কবে, কোন সময়ে কতবার ব্যবহূত হয়েছে তা জানতে গুগল ল্যাব তৈরি করেছে গুগল বুকস এনগ্রাম ভিউয়ার। ১৪০০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ হিসাব দেখাতে সক্ষম এই অ্যাপ্লিকেশন। আর যে ভাষাগুলো এটি সমর্থন করে তা হলো চাইনিজ, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, হিব্রু ও রাশিয়ান। ngrams.googlelabs.com সাইট থেকে সহজেই জানা যাবে বিভিন্ন সময়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের পরিমাণ।