Showing posts with label রংপুর বিভাগ. Show all posts
Showing posts with label রংপুর বিভাগ. Show all posts

রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

admin June 21, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
‘তামাকে হয় ফুসফুসে ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয় শহর রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২০ জুন) র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং ‘এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র অংশগ্রহণ ও সচেতনতায় পালন করা হয় দিবসটি।


জানা গেছে, তামাকমুক্ত দিবস পালন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি রংপুর মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে তামাকের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরতে রংপুর সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম। এসময় তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন, এসিডি’র এডভোকেসি অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম শামীম।


আলোচনা সভায় বক্তারা তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো বিষয়টি নজরে এনেছে যে, ধূমপানের ক্ষতির পাশাপাশি অন্য সব প্রকার তামাকদ্রব্য সেবন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শুধু ধূমপান থেকে নয়; এই দিনে সব প্রকার তামাকদ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে তামাক ও তামাকজাতদ্রব্য গ্রহণের কারণে প্রতিদিন ৪৪১ জন মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। সেই হিসেবে বছরে তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। তামাকের কারণে মানুষের অকাল মৃত্যুরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।


এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং এসিডি’র অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।



বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি কুড়িগ্রাম শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।


জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। এসময় জেলা সেনিট্যারি ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম, এসিডি’র প্রোগ্রাম অফিসার (রংপুর অফিস) মো. তৌফিকুল ইসলাম জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া রংপুর বিভাগের বাকি ছয় জেলায় অর্থাৎ দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়র ও ঠাকুরগাঁও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে এবং এসিডি ও এর পার্টনার অর্গানাইজেশন ‘পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (পিইউপি)’ ও ‘ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিসি)’ এর অংশগ্রহণে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়।


উল্লেখ্য, ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ বছর সারাদেশে ২০ জুন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের মত রংপুরে পালিত হয় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস।

বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন

বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন

admin June 13, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
উন্নয়ন বৈষম্য দূরীকরণে আসন্ন বাজেটে অবহেলিত রংপুর বিভাগের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে রংপুরবাসী। দাবি বাস্তবায়নে আট দফা তুলে ধরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার (১২ জুন) দুপুরে নগরীর কাচারি বাজারে রংপুর উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'সারাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, রংপুর তখন বাজেট বৈষম্যের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলছে বিভাগীয় এই অঞ্চলের। সারাদেশে দারিদ্রতার হার শতকরা ২৪ ভাগ হলেও রংপুরে এটি ৪৮ ভাগ।'


বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রংপুরের মানুষরা। এখানকার পুত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, তিনজন মন্ত্রী, দুইজন প্রতিমন্ত্রী, হুইপ ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ রংপুর বিভাগের মানুষ হলেও উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার এ বিভাগ। রংপুরের খাদ্য শস্য গোটা দেশের চাহিদা মেটালেও বার বার অবহেলিতই থাকছে রংপুরের মানুষ।'


ফোরামের আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ টিটনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, কৃষক নেতা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, সনাক রংপুর জেলা সভাপতি মোশফেকা রাজ্জাক, যুবলীগ নেতা আতাউজ্জামান বাবু, ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়খ রুম্মান ইসলাম, অনিন্দ্য রায়, বেলাল হোসেন প্রমুখ।


পিছিয়ে পড়া রংপুরকে সারাদেশের উন্নয়নের সাথে এগিয়ে না রাখলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না বলে জানান বক্তারা। এ সময় সকল বিভাগে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা, রংপুরে দুইটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা, রংপুর থেকে ঢাকাগামী বিরতিহীন ও বুলেট ট্রেন চালু, বাজেটে রংপুরকে অগ্রাধিকার দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান বাজেট বরাদ্দ দেয়া, বিদেশে শ্রম রফতানিতে বৈষম্য দূর করা ও প্রণোদনা স্বাপেক্ষে রংপুরে শিল্পায়ন নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।


সমাবেশ শেষে রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা ও জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

শপথ নিলেন রংপুর বিভাগের নব-নির্বাচিত ৫ উপজেলা জনপ্রতিনিধি

শপথ নিলেন রংপুর বিভাগের নব-নির্বাচিত ৫ উপজেলা জনপ্রতিনিধি

admin May 29, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের নব-নির্বাচিত পাঁচ উপজেলা জনপ্রতিনিধি শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।


জনপ্রতিনিধিরা হলেন- লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আ. ওয়াহেদ বাহাদুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম আলপোনা।


প্রতিনিধিদের মধ্যে আদিতমারী উপজেলার ভোট স্থগিত হয়ে পরবর্তীতে ৫ মে অনুষ্ঠিত হয় এবং কুড়িগ্রাম ও জলঢাকার ওই দু’জন প্রার্থী আইনি জটিলতার কারণে বিলম্বে এ পাঁচজনের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।


এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ২ হাজার ২৬ পিস ইয়াবাসহ আটক ৩

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ২ হাজার ২৬ পিস ইয়াবাসহ আটক ৩

admin August 25, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ২৬ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে রৌমারী থানা পুলিশ।


গতকাল শুক্রবার রাতে রৌমারী সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া ও চান্দারচর গ্রামে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মো. শাহিনুর রহমান (৩৫), মো. দছির মিয়া ওরফে দছি(৩৮) ও মো. ফারুক মিয়া (২৮) কে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকটে থাকা ২ হাজার ২৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।


আটক কৃতরা হলেন- রৌমারী উপজেলার চান্দার চর গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র মো. শাহীনুর রহমান, নওদাপাড়া গ্রামের মো. নওয়াব আলীর পুত্র মো. দছির মিয়া ওরফে দছি ও নওদাপাড়া গ্রামের বীরবল এর পুত্র মো. ফারুক মিয়া।


পুলিশ জানায়, এই ৩ মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে রৌমারী উপজেলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল এবং পুলিশের ধোরাছোয়ার বাইরে ছিল। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।


রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আটককৃতদের নামে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে শনিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রৌমারী থানায় ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে রংপুর বিভাগে ইদ-উল-আযহা উদযাপন

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে রংপুর বিভাগে ইদ-উল-আযহা উদযাপন

admin August 22, 2018

রংপুর: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমায় রংপুর বিভাগে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ইদুল আযহা। ইদের নামাজ শেষে সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেন এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মাঠে-ময়দানে ও মসজিদে ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে পারস্পরিক কোলাকুলি ও কুশলবিনিময় করে। বেশিরভাগ ইদগাঁ মাঠে পুলিশ ও র‌্যাবের কঠোর নজরকারী রাখা হয়।


রংপুর বিভাগীয় শহরসহ বিভাগের ৮ জেলায় ৭ হাজার ৩৩২ টি স্থানে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত পবিত্র ইদুল আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে উপ-মহাদেশের সবচেয়ে বড় ইদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে। এখানে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ ইদের নামাজ আদায় করেন।


জানা গেছে, রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ইদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮ টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি, স্থানীয় মেয়রসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা-কর্মীসহ প্রায় বিশ হাজার মুসল্লি পবিত্র ইদুল আযহার নামাজ জামাতে আদায় করেন।




[caption id="attachment_1286" align="aligncenter" width="600"]Asadujjaman-Nur নীলফামারী জেলার কেন্দ্রীয় ইদগাহে নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন সংস্কৃতিকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।[/caption]

নামাজ শুরুর পূর্বে রংপুরসহ পুরো দেশবাসীকে ইদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এসময় তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমি রংপুর সদর আসন থেকে নির্বাচন করব। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি আপনাদের ঋৃণ কোন দিনও শোধ করতে পারব না। সামনের নির্বাচনই হয়তো আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। এজন্য আমি আপনাদের পাশে থেকে কিছু করতে চাই। কোরবানির পশুর বর্জ্য সংরক্ষণ ও অপসারণে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পরিচ্ছনতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।


এছাড়াও শুভেচ্ছা জানান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রবিউল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরের সেক্রেটারী এস এম ইয়াছির, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাফিউল ইসলাম সাফি, প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।


রংপুর পুলিশ লাইন ইদগাহ মাঠে সকাল আটটায় ইদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লি ইদের নামাজ আদায় করেন। সেখানে নগরবাসীকে ইদ শুভেচ্ছা জানান নবাগত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।


এছাড়া রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইদগাহ মাঠে ইদের জামাতে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের লালমনিরহাটে ইদের নামাজ আদায় করেন। মিঠাপুকুরে আশিকুর রহমান এমপি, কাউনিয়ায় টিপু মুন্সি এমপি, বদরগঞ্জে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরি ডিউক এমপিসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকাতে ইদের জামাতে অংশ নেন ।
দিনাজপুরে বিষধর সাপের দংশনে শিশুর মৃত্যু

দিনাজপুরে বিষধর সাপের দংশনে শিশুর মৃত্যু

admin August 20, 2018

দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিষধর সাপের দংশনে ফরহাদ হোসেন (৯) নামক এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার দুপুরে বাড়ির পার্শ্বে খেলা করার সময় তাকে সাপে দংশন করে। সে উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিল্ল্যাখুর গ্রামের মো. মোজাম্মেল হকের পুত্র।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ফরহাদ দুপুরে বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করছিল। এসময় তাকে একটি বিষধর সাপ দংশন করে। তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যা। পরে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছলিমুল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে লালমনিরহাটে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

admin August 20, 2018

লালমনিরহাট: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা না থাকায় সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এতে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যার কারণে চলমান তীব্র গরমে অতিষ্ঠ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষ। আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়াও ব্যাহত হচ্ছে। যদিও আজ সোমবার থেকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের একটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে করে ইদে কিছুটা হলেও কমতে পারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।


এরই মধ্যে লালমনিরহাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। আজ সোমবার বুড়িমারী মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে তারা।মহাসড়ক দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ থাকায় উভয় পাশ্বে দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। জনদুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখি যাত্রীরা।


শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড গরমে গত একমাস ধরে বিদ্যুতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তিন ঘন্টা পরে বিদ্যুতের দেখা মিলে মাত্র ১০ মিনিট। এছাড়াও নতুন করে যুক্ত হয়েছে লো ভোল্টেজ। সারা দিন বিদ্যুতহীন থাকলেও সন্ধ্যায় পড়াশুনার পুরো সময় জুড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং অব্যহত থাকছে।Lalmonirhat-Studens-Road-Blockade


বিদ্যুতের এ অব্যহত লোডশেডিং বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে কাকিনা উত্তর বাংলা অনার্স কলেজ ও কাকিনা মহিমারঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল দিতে থাকে। এসময় উভয় পাশে প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।


অবরোধের খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতেও অবরোধ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন জানান, যোগাযোগ সচল রাখতে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের মতবিনিময়

সাংবাদিকদের সাথে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের মতবিনিময়

admin August 19, 2018

রংপুর: রংপুর নগরীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ। আজ রোববার দুপুরে ধাপ এলাকায় অবস্থিত আরপিএমপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরএমপি প্রধান বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদ, সহিংসতা ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশা অনুসরণ করব। রংপুর মহানগরীর মানুষকে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখাই আমাদের লক্ষ্য। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কমিশনার বলেন, রংপুর মহানগর পুলিশ আইন নতুন। নগরীতে আরপিএমপি পুলিশের পোষাক নতুন। জনবল নতুন। তাই আমাদের এখানকার পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নতুন উদ্যোমে নতুন মন মানসিকতা নিয়ে এই নতুন মেট্রোপলিটনে শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে হবে। আরপিএমপি প্রধান বলেন, সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দুষ্টু লোকরাই আমাদের শত্রু। এদের দ্বারাই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। এরা মানুষকে নিরাপদে থাকতে দিতে চায় না। আমরা এমন দুষ্টু লোকদের কোন ছাড় দিতে চাই না। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আরপিএমপিতে শুধু প্রশাসনিক কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের যে কোন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবগঠিত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধনের পর থেকে ২৩৯ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে গঠিত রংপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের জনবল নতুন ৬টি থানার মানুষকে আইনি সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আরপিএমপি’র উপ-কমিশনার মেহেদুল ইসলাম ও আবু সুফিয়ান। সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রশীদ বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দাবানলের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার অনু, ক্রীড়া সম্পাদক ও করতোয়ার রংপুর প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের রংপুর ব্যুরো প্রধান মাহবুব রহমান হাবু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুর এর সাধারণ ও দৈনিক পরিবেশের সিনিয়র রিপোর্টার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক দাবানল এর রিপোর্টার ফরহাদুজ্জামান ফারুক।


এসময় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও আলোকিত বাংলাদেশ এর রংপুর ব্যুরো আব্দুর রহমান মিন্টু, মাছরাঙা টেলিভিশন এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার রফিক সরকার, সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের রংপুর প্রতিনিধি নজরুল মৃধা, সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগের আলোর বার্তা সম্পাদক আবু তালেব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক খোলাকাগজ রংপুর প্রতিনিধি হারুন-উর-রশিদ সোহেল, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক যুগের আলোর ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আফজাল, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠ’র রংপুর ব্যুরো স্বপন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার রংপুর ব্যুরো এসএম পিয়াল, কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির রংপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, দৈনিক মায়াবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বপন মিঞাজী, দৈনিক সংগ্রামের রংপুর ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, দৈনিক লাখোকন্ঠের রংপুর ব্যুরো প্রধান শীতুজ্জামান শীতু, রংপুর প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক প্রথমখবরের ফটো সাংবাদিক মেজবাহুল হিমেল প্রমুখ।

রংপুর ও নীলফামারীতে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার

রংপুর ও নীলফামারীতে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার

admin August 16, 2018

রংপুর ও নীলফামারী:  পৃথক ঘটনায় রংপুর নগরী ও নীলফামারী ডিমলা থেকে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রংপুর মহানগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের সিট মহব্বত খাঁ বুদুকমলা এলাকার লাবলু মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।


অভিযোগ উঠেছে, আমেনা বেগমকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে পরিবারের সবাই। আমেনার বেগম ৪ নং ওয়ার্ডের বোল্লার চাক আমাশু এলাকার শাহেদ আলীর কন্যা। আমেনার পিতা শাহেদ আলী আলী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে আমেনাকে তার স্বামী নির্যাতন করতো। তিনি দাবি করেন, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় তাদের। আমেনা এবং লাবলু দুজনেরই আগেও একবার করে বিয়ে হয়েছিল। আমেনার আগের সংসারে আকাশ নামে একটি পুত্র আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।



[এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প]


লাবলুর বড় ভাইয়ের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী জানান, প্রতিদিন রাতে তার দেবর মাছ ধরে আসার পর সেই মাছ স্বামী-স্ত্রী মিলে ধোয়ার পর শুতে যায়। কিন্তু ভোরে হঠাৎ করে লাবলু ডাকাডাকি করে যে, আমেনা গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমরা উঠে গিয়ে দেখি গলায় ওড়া পেচানো। পরে এলাকাবাসি আসলে ওড়না কেটে তাকে ফাঁস থেকে নামানো হয়। তাকে মারপিট করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চান নি।


কোতয়ালী থানার এস আই মামুনুর রশিদ জানান, আমেনা বেগমের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে জানা যাবে যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে সুরুতহাল রিপোর্টে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।


অপরদিকে নিখোঁজের একদিন পর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রী রেনু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রেনু বেগম ওই গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী। এসময় তার শরীরে ইটবাঁধা ছিল। এর আগে গত সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায় নি। এ ব্যাপরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিমলা থানার এসআিইড শাহ সুলতান মোহম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, লাশ উদ্ধারের সময় কোমরে ৪ টি ইট বাঁধা ছিল। রেনু বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। ময়নাদতন্ত রিপোর্ট আসলে রহস্য উদঘাটন হবে।

নদী ভাঙনে গত ১৪৬ বছরে সহায়-সম্বল হারিয়েছে গাইবান্ধার ৪ লাখ মানুষ

নদী ভাঙনে গত ১৪৬ বছরে সহায়-সম্বল হারিয়েছে গাইবান্ধার ৪ লাখ মানুষ

admin August 12, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: গাইবান্ধায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গত ১৪৬ বছরে আশ্রয়হীন হয়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। এ দীর্ঘ সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর অববাহিকায় থাকা গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় ৫’ ৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়েছে এই ৪ উপজেলার প্রায় চার লাখ বাসিন্দা। জেলা ও উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৮৭২ সালে ভবানীগঞ্জ মহকুমার পূর্বপাড় জুড়ে ভাঙন দেখা দিলে ১৮৭৫ সালে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে গাইবান্ধা নামক স্থানে মহকুমা সদর স্থানান্তর করে নামকরণ করা হয় গাইবান্ধা মহকুমা। এই গাইবান্ধা মহকুমাকে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।


পরিসংখ্যান বলছে, ১৮৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬ বছরে নদী ভাঙনে ভবানীগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার দিকে ৭ কিলোমিটার এলাকা (কোথাও ৭ কিলোমিটারেরও বেশি) ভেঙ্গেছে। ফলে ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর পুরোটা পশ্চিম তীরজুড়ে স্থলভূমির প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয় নদীগর্ভে। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এসব এলাকার সহায়-সম্বল হারায় চার লাখেওর বেশি মানুষ।


এ জেলায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ১৬৫ টি চরে বসবাস করে ৩ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা এবং ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে আরও অনেক মানুষ। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার হওয়াদের একটা বিশাল অংশ নদী তীরবর্তী এলাকা ছেড়ে অনেক দূরে বা অন্য এলাকায় চলে গেছে। হিসাব অনুযায়ী, গত ৪৭ বছরে (আদমশুমারী অনুযায়ী) প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার নদীপাড়ের বাসিন্দা নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন। এই সময়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ১৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা।


১৮৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬ বছরে ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর পুরো পশ্চিম তীরজুড়ে স্থলভূমির প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয় নদীগর্ভে। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এসব এলাকার সহায়-সম্বল হারায় ৪ লাখেওর বেশি মানুষ।


এছাড়াও বর্তমানে নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, উদাখালি, গজারিয়া, এরেণ্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি এবং সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি, সাঘাটা, হলদিয়া ও জুমারবাড়ি ইউনিয়ন। নদী ভাঙন রোধে সরকার বিভিন্নভাবে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা চালালেও আটকানো যায় না ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই চেষ্টা অনেক সময় বিফলে যায়। ফলে নদীভাঙন রোধ প্রকল্পে প্রতিবছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হয়।


এ দিকে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, গাছপালা, রাস্তা-ঘাট ও বসতভিটাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নদী ভাঙনরোধে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসিঘাট এলাকা, সিংড়িয়া-রতনপুর-কাতলামারী ও গজারিয়ার গণকবর এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকার সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার কাজ চলছে। এ ছাড়া নদী ভাঙন ঠেকাতে নদীর তীর সংরক্ষণে কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।


Gaibandha-River erosion-Photo001 (2)

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর নদী ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব হারালেও ভাঙন মোকাবেলায় কাজ খুবই কম হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থায়ীভাবে নদীর তীর সংরক্ষণ করা আছে মাত্র সাড়ে নয় কিলোমিটার এলাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ নয় কি. মি এলাকা হচ্ছে- পুরাতন ফুলছড়ি হেডকোয়ার্টার এলাকা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা বাজার, সদর উপজেলার কামারজানী বাজার ও বাগুড়িয়া, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর, কঞ্চিপাড়া ও বালাসীঘাট এবং সাঘাটা বাজার এলাকা। জানা গেছে, এসব এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, আর শেষ হয় ২০১৬ সালে।


নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, কয়েকটি দেশে সহযোগিতায় নদীর তীর সংরক্ষণে গ্রোয়েন নির্মাণ কাজ হয়েছিল। যা শেষ হয় ১৯৯৭ সালে। গ্রোয়েন নদী ভাঙনরোধে খুবই কার্যকরী হয়। তাই আরও গ্রোয়েন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন নদী ভাঙন এলাকার লোকজন। জানা গেছে, নদী ভাঙন ঠেকাতে কয়েকটি দেশের অনুদানে ১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের আনালেরছড়া ও ধুতিচোরা গ্রামে নদীর তীর সংরক্ষণসহ গ্রোয়েন নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৭ সালে।

তেঁতুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উত্তোলন

তেঁতুলিয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর শিশুর লাশ উত্তোলন

admin August 12, 2018

তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: হত্যা নাকি পানিতে ডুবে ‍মৃত্যু তা জানতে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৬ দিন পর পঞ্চগড়েরর তেঁতুলিয়ায় এক শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে উপজেলার গনাগছ গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবল চাকমার উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে ওই লাশ তোলা হয়।


জানা যায়, ৬ দিন আগে গত মঙ্গলবার (৭ আগষ্ট) সকালে বাড়ির টিউবওয়েলের পানির গর্তে আরব (১৯ মাস বয়সী) নামে ওই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। পরে পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে ওই দিন শিশুটির দাফন সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে শিশুটির দাদা জহিররুল ইসলাম গত বুধবার (৮ আগষ্ট) থানায় একটি ইউডি মামলা করেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, শিশুটির পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় নি। তাকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে শিশুটির সৎ বড়মায়ের হাত দেখছে। তারা মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে বড় স্ত্রী রূপালী জরিত।


শিশুটির দাদা জানান, আমাদের বাড়ির চারপাশে শক্ত বেড়া দিয়ে ঘেরা, শিশুটি সহজে বাড়ি থেকে বের হওয়া সম্ভব না। কিন্তু বাড়ির পিছনে প্রায় ৫০ গজ দূরে টিউবওয়েলের পানি নিষ্কাশনের দুই আড়াই ফিট গর্তে আরব বাবু মরতে পারে না। তিনি দাবি করেন, আরবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ শিশুটিকে হত্যার পর বাড়ির পিছনে ব্যাড়া ভেঙ্গে গর্তে ফেলানো হয়েছে। যে কেউ হত্যা কণ্ডের সাথে জড়িত থাকুক না কেন আমি আরবের হত্যার সুষ্ঠু চাই।


শিশুটির পিতা শাহজাহান আলীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রূপালী আক্তার ও দিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। শিশু আরব দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। শিশুটির পিতা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনার দিন আমি ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলাম, পথিমধ্যে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছোট বউয়ের একমাত্র ছেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে। ওইসময় তার মৃত্যু আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আমার বড় স্ত্রী রূপালী প্রায় আমার ছোট স্ত্রীর একমাত্র সন্তান আরবকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতো বলেও জানান তিনি।


তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, গত ৭ আগস্ট শিশুটির মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে তার দাফন করে। দাফনের পরদিন শিশুটির একটি ইউডি মামলা করেন। আইন গত জটিলতা সৃষ্টি যেন না হয় সে লক্ষে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শিশু আরবের লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কাউনিয়ায় উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে পোনামাছ অবমুক্ত

কাউনিয়ায় উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে পোনামাছ অবমুক্ত

admin August 09, 2018

কাউনিয়া, রংপুর: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা মৎস্যদপ্তরের উদ্যোগে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (০৯ আগষ্ট ১৮) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় উপজেলার ১৭ টি জলাশয়ে ৪৪৩ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।


মাছের পোনা অবমুক্তিকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাফুজার রহমান মিঠু, জেলা সিনিয়র সহকারি পরিচালক মস্য অধিদপ্তর আনোয়ারুল কবির, জেলা জরিপ কর্মকর্তা মো. রেজাউল কবির, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক, পৌর মেয়র হাকিবুর রহমান মাষ্টার, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মাজেদ আলী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোতাহার হোসেন ডালু।


উপজেলা মৎস্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবারে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় পোনামাছ অবমুক্ত কার্যক্রমে ১০-১৫সে. মি. সাইজের রুই কাতলা মৃগেল জাতীয় পোনা মাছ উপজেলার থানা পুকুর, হারাগাছ পৌরসভার ধুমনদী বিল, তফসীডাঙ্গা বিল, রেলবাজার জোরা পূকুর হেকোডাজ্ঞা বিলসহ ১৭টি জলাশয়ে ৪৪৩ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনজুরুল ইসলাম, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম, মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি ভোলারাম দাশ, মাইদুল ইসলাম, উপজেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, সাগঠনিক সম্পাদক নিতাই রায়, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জসিম সহ মৎস্য চাষী ও এলাকার সুধীবৃন্দ।

সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত

সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত

admin July 15, 2018

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইাবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।


জানা গেছে, রোববার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ছাগলকাটি মৎস্য খামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলী বিএসসির ছেলে সুমন মিয়া, একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে এনামুল হক রিজু, সুর্বণদহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান, মোসলেম আলীর ছেলে আবদুর রহিম, ঘগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও পৌর সভার মুক্তিযোদ্ধা গাওছল রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হাইস্কুল শিক্ষক ও ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মশিউর রহমান ও ভবানীপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।


অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সুন্দরগঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুস সোবহান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক সেবী পুলিশ কনস্টেবল ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলেও জানান তিনি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three