অনলাইন ডেস্ক:
জিনজিয়াংয়ে মুসলমান উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের সমর্থন চেয়েছে চীন। পিছিয়ে পড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের এই শহরটির অধিকাংশ মানুষ তুর্কি জাতীয়।-খবর রয়টার্সের
উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে বন্দিশিবির স্থাপন করে সেখানে উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলমানদের আটকে রাখায় আন্তর্জাতিক ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে চীন।
তুরস্ক হচ্ছে একমাত্র মুসলমান দেশ, যেটি জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। চীনের ক্ষোভের মুখে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘেরে মানবাধিকার কাউন্সিলেও বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।
বেইজিংয়ে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাদত ওনালের সঙ্গে বৈঠকে চীন সরকারের শীর্ষ কূটনীতিক স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ঈ বলেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারকরণের সব ধরনের উপাদান চীনে কাছে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন কথা জানা গেছে।
ওয়াং বলেছেন, তুরস্কের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সবসময় সম্মান জানিয়ে আসছে চীন। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তুরস্কের উদ্যোগে সবসময় চীনের সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের মৌলিক স্বার্থে তুরস্ক সম্মান জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পূর্ব তুর্কিস্তানের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা চেষ্টায় তুরস্ক সমর্থন জানাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিনজিয়াংয়ে বিভিন্ন হামলার জন্য পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক আন্দোলনকে দায়ী করে আসছে চীন। তবে সেখানে এমন কোনো গোষ্ঠীর সুসংহত উপস্থিতি আছে কিনা, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ রয়েছে।
ওনাল বলেন, জাতীয় ঐক্য রক্ষায় এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা চেষ্টায় তুরস্কের সমর্থন রয়েছে। এসময় চীনের সঙ্গে গভীর ও বাস্তবিক সম্পর্ক স্থাপনেও তিনি জোর দেন বলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।