Showing posts with label 2019 Cricket World Cup. Show all posts
Showing posts with label 2019 Cricket World Cup. Show all posts
বিরাট কোহলির দলকে ঘাম ঝরিয়ে ছাড়লো আফগানরা

বিরাট কোহলির দলকে ঘাম ঝরিয়ে ছাড়লো আফগানরা

admin June 23, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
বিরাট কোহলির ভারতকে রীতিমতো ঘাম ঝড়িয়ে ছাড়ল আফগানিস্তান। ব্যাট-বল দুদিক থেকেই লড়াকু অবস্থানে ছিল বিশ্বকাপের অন্যতম নবীন এই প্রতিপক্ষ। বিরাট কোহলি ও কেদার যাদবের হাফসেঞ্চুরি সত্বেও ভারত ৮ উইকেটে ২২৪ রানের বেশি করতে পারেনি।


জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। তবে ভারতের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয়েছে আফগানদের। শেষ ওভারে সামির হ্যাটট্রিকে এক বল বাকি থাকতেই আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ২১৩ রানে। ১১ রানের জয়ে ভারত তাই কোনোমতো সম্মান রক্ষা করে।


আশা জাগিয়েও হেরে যাওয়ায় প্রথম ছয় ম্যাচেই পয়েন্ট বঞ্চিত থাকল আফগানিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই তাদের অবস্থান তলানিতেই থাকল। অপরদিকে ভারত পাঁচ ম্যাচ থেকে চারটিতে জয় পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় তারা ৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ভারতের উন্নতিতে চারে নেমে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


২২৫ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও শুরু থেকেই চাপে ছিল আফগানিস্তান। শুরু থেকেই দলটির নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন হয়। দলীয় ২০ রানে মোহাম্মদ সামির বলে হযরতুল্লাহ বোল্ড হয়ে যান। আর দলীয় ৬৪ রানে গুলবাদিন নাইবকে (২৭) ফেরান হার্দিক পান্ডে। দলীয় ১০৬ রানে পরপর দুটি উইকেট পতন হয় আফানদের। রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শাহিদী। রহমত ৩৬ ও হাসমত ২১ রান করেন।


পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী লড়াই করেছেন শেষ পর্যন্ত। ৫৫ বল থেকে ৫২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের আশাটা তিনিই বাঁচিয়ে রাখেন। এছাড়া নাজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ বল থেকে ২১ এবং রশিদ খান ১৬ বল থেকে ১৪ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সামি নেন চার উইকেট। এর মধ্যে শেষ ওভারে তিনি হ্যাটট্রিক করেন।


এর আগে সাউদাম্পটনে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। পঞ্চম ওভারে এসে দলীয় ৭ রানে রোহিত শর্মা ফিরেন রানের খাতা খোলার পরই। দলীয় ৬৪ রানে এসে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলেন মোহাম্মদ নবী। কিছুটা ধীরগতিতে খেলা লুকেশ রাহুল ৫৩ বল থেকে ৩০ রান করে এ সময় আউট হন। সেই ধারাবাহিকতায় দলীয় ১২২ রানে ফিরেন বিজয় শঙ্কর। রহমত শাহের বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ৪১ বল থেকে ২৯ রান করেন।


অন্য ব্যাটসম্যানদের ধীরগিতর ব্যাটিংয়ের মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিলেন বিরাট কোহলি। রানের চাকা ঘুরানোর চেষ্টা করেছেন। তবে মোহাম্মদ নবীর বলে রহমত শাহ’র হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে থামে কোহলির সেই প্রচেষ্টা। আউট হওয়ার আগে ৬৩ বল থেকে সাতটি চারের মারে ৬৭ রান করেন তিনি।


তখনও ভারতের ভরসা হিসেবে ছিলেন এমএস ধোনি। দলীয় ১৯২ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫২ বল থেকে ২৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর কেদার যাদব চেষ্টা করেছেন। ৬৮ বল থেকে ৫২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ভারত ৮ উইকেটে ২২৪ রান করতে সক্ষম হয়। মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নায়েব দুটি করে উইকেট নেন।

শ্রীলঙ্কার দেয়া সহজ লক্ষেও পৌছাতে পারলো না ইংল্যান্ড

শ্রীলঙ্কার দেয়া সহজ লক্ষেও পৌছাতে পারলো না ইংল্যান্ড

admin June 22, 2019

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এলো শ্রীলঙ্কা। চলতি বিশ্বকাপের ২৭তম ম্যাচে লিডসের হেডিংলিতে শুক্রবার ২০ রানে জিতেছে দিমুথ করুনারত্নের দল। ২৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪৭ ওভারে ২১২ রানে থামে ইংল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা তোলে ২৩২ রান। ২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা তোলে ২১২ রান।


লঙ্কান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় মাত্র ৩ রানের মাথায় জোফরা আর্চারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। আউট হওয়ার আগে করুণারত্নে করেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে ক্রিস ওকসের ২য় বলে বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। পেরেরা করেন মাত্র ২ রান।


ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর লঙ্কানদের হাল ধরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। মাত্র ৩৯ বলে ৪১ রান করে যখন ফেরেন দলীয় স্কোরবোর্ডে তখন রান সংখ্যা ১২ ওভার ৫ বলে ৬২ রান। ইনিংসের ৩০তম ওভারে আদিল রশিদ পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দেন ৪৬ রান করা কুশল মেন্ডিস এবং জীবন মেন্ডিসকে। দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। এরপর রানের চাকা ঘুরিয়ে ব্যক্তিগত ২৯ রানে ফেরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। দ্রুতই বিদায় নেন থিসারা পেরেরা (২)।


ইসুরু উদানা (৬), লাসিথ মালিঙ্গারা (১) বিদায় নিলেও উইকেটের এক প্রান্ত ধরে রাখেন সাবেক দলপতি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ১১৫ বলে পাঁচটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৮৫ রান।


ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে তিনি নেন দুটি উইকেট। মার্ক উড ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। জোফরা আর্চার ১০ ওভারে ৫২ রান খরচায় পান তিনটি উইকেট। ক্রিস ওকস ৫ ওভারে ২২ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।


২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ০ রানে সাজঘরের পথ ধরেন। আরেক ওপেনার জেমস ভিঞ্চ করেন ১৪ রান। তিন নম্বরে নামা জো রুট ৮৯ বলে করেন ৫৭ রান। দলপতি ইয়ন মরগানের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। জস বাটলার ১০, মঈন আলি ১৬, ক্রিস ওকস ২, আদিল রশিদ ১, জোফরা আর্চার ৩ রানে বিদায় নেন।


উইকেটের আরেক প্রান্ত সামলে খেলতে থাকা বেন স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে। তার ৮৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার আর ৪টি ছক্কা। মার্ক উড ০ রানে আউট হওয়ার মধ্যদিয়ে ইংলিশদের ইনিংসের ইতি ঘটে। ৪৭ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ২১২ রানের মাথায়।


লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন চারটি উইকেট। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পান তিনটি উইকেট। ইসুরু উদানা ৮ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। নুয়ান প্রদীপ ১০ ওভারে ৩৮ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট।


বিশ্বকাপের ২৭ নম্বর ম্যাচটি শেষে টেবিলের শীর্ষে ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। হারলেও তিনেই রইল ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। ইংলিশরা ৬ ম্যাচে তুলে নিয়েছে ৮ পয়েন্ট। চারে থাকা ভারত ৪ ম্যাচে পেয়েছে ৭ পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে আসলো। ৬ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ নেমে গেল ছয় নম্বরে। সাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ ম্যাচে সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আটে। পাকিস্তান ৫ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে আর ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হারা আফগানিস্তান তলানিতে অবস্থান করছে।

২৩৩ রানের সহজ লক্ষে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড

২৩৩ রানের সহজ লক্ষে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড

admin June 22, 2019

২৩৩ রানের সহজ লক্ষে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান করেছে ইংল্যান্ড। শুক্রবার ইংল্যান্ডের হেডিংলিতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। তবে ব্যাট হাতে সহজভাবে ব্যাট করতে পারেনি তারা।


ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের লড়াকু ইনিংসে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ২৩২ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।


ব্যাট হাতে মাঠে নেমে মাত্র তিন রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। মাঝে একটু জ্বলে উঠার চেষ্টা করেও ৩৯ বল থেকে ৪৯ রান করে ফিরেন অভিস্কা ফার্নান্দো। এরপর দলীয় ১৩৩ রানে পরপর আউট হয়ে ফিরে যান কুশাল মেন্ডিস ও জীবন মেন্ডিস। কুশাল ৪৬ রান করেন।


এরপর একপ্রান্ত আগলে রাখেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অপরপ্রান্ত থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা ও লাসিথ মালিঙ্গা বিদায় নেন। তবে ম্যাথুস ১১৫ বল থেকে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৩ ওভারের খেলা শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৬ রান। অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৯) ছাড়া কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৫ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। এখন পর্যন্ত উড়ন্ত পারফরম্যান্স করে চলেছে তারা। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কা ৫ ম্যাচে একটি মাত্র জয় পেয়েছে। তাদের দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পয়েন্ট হয়েছে ৪।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

admin June 19, 2019

আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।


চলতি বিশ্বকাপে ৩৯৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংলিশদের এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত আসরে সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। এছাড়া ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ৪৪ ও ৩৭ রান করেন সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক আসগর আফগান ও গুলবাদিন নাইব।


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ভরকে যায়নি আফগানিস্তান। রানের পাহাড়ে চাপা পড়েও অসাধারণ ব্যাটিং করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও আসগর আফগানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার নুর আলী জাদরান আউট হলে দলের হাল ধরেন গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ।


দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান রহমত শাহ। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি।


২৪.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ ও আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। মাত্র ৯ রানে আউট হন মোহাম্মদ নবী।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ। ইনিসের শেষ দিকে জফরা আর্চারের গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন হাসমত। তার বিদায়ের পর ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে রশিদ খান ও ইকরাম আলিখিনরা দলের পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও হারা এড়াতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬


ইয়ন মরগানের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।


তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন দল।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড।আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগান ও জো রুট।


মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনি ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে আউট হন। এছাড়া ৯৯ বলে ৯০ রান করেন বেয়ারস্টো। ৮২ বলে ৮৮ রান করেন জো রুট।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে উদ্বোধনীতে নেমে ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স।


ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। এই জুটিতেই অনবদ্য ব্যাটিং করে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি।


কিন্তু ৯৯ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবের গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ২৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।


এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন ইয়ন মরগান। আর এই জুটিতেই ৫৭ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।


এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন ওব্রায়েন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আর ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।


ইয়ন মরগানের মতো সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জো রুট। গুলবাদিন নাইবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্বায় ৮৮ রান করে ফেরেন রুট। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।


জো রুট বিদায় নেয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইয়ন মরগান। গুলবাদিন নাইবের তৃতীয় শিকার পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন মরগান। শেষ দিকে মঈন আলীর ৯ বলের অপরাজিত ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

admin June 18, 2019

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে টাইগারদের জয়। ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩২২ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা। সোমবার ইংল্যান্ডের টনটনে শাই হোপ, এভিন লুইস ও সিমরন হিতমারের ঝড়ো ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৯৯বলে ১২৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৬৯ বলে ৯৪ রান করেন লিটন কুমার দাস। ৪৮ রান করেন তামিম ইকবাল।


উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৫২ রান করেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সৌম্য।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। তার বিদায়ের পর রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব।


চতুর্থ উইকেটে তাদের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আর এই জুটিতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ হজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২১/৮


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ (৯৬) ও এভিন লুইসের (৭০) অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়েছে ক্যারিবীয়রা। এছাড়া ২৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিমরন হিতমার।


বিশ্বকাপে টাইগারদের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৪/৯ রান করেছিল কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দল।


সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানে ক্রিস গেইলের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় উইন্ডিজ। ব্যাটিং দানব গেইলকে দ্রুত আউট করে টাইগার শিবিরে খানিকটা স্বস্তির পরশ এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেই বিপর্যয় কাটিয়ে তুলেন শাই হোপ ও এভিন লুইস জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা অনবদ্য ১১৬ রানের জুটি গড়েন।


উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান এভিন লুইস। ৫৮ বলে ফিফটি গড়ার পর বল আর মাটিতে ফেলতে দেননি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যারিবীয় এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার আগে ৬৭ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৭০ রান করেন লুইস।


সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিকোলাস পুরান। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পুরান। তার আগে ৩০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সিমরন হিতমার। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটি করার পরের বলে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন হিতমার।


এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। কাটার মাস্টারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাসেল। ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন হোল্ডার।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শাই হোপ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন তিনি। ৭৭ বলে ফিফটি করার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তিনি। মোস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২১ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করেন হোপ। ইনিংসের একিবারে শেষ দিকে ১৫ বলে ১৯ রান করে সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ড্যারেন ব্রাভো।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (শাই হোপ ৯৬, এভিন লুইস ৭০, হিতমার ৫০, হোল্ডার ৩৩, নিকোলাস ২৫, ড্যারেন ব্রাভো ১৯; মোস্তাফিজ ৩/৫৯, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, সাকিব ২/৫৪)।

টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো টাইগাররা

টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো টাইগাররা

admin June 17, 2019

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুদলই একটি করে জয় পেয়েছে, হারের মুখ দেখেছে দুটি এবং একটি করে পরিত্যক্ত হয়েছে। উভয় দলেরই দখলে ৩ পয়েন্ট। ফলে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই কোনো দলেরই।


এ অবস্থায় টনটনে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাতে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টাইগার একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় ঢুকেছেন লিটন দাস।


বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

admin June 17, 2019

ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এনিয়ে টানা সাত ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় যেন নিয়তি। রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি (১৪০) ও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।


ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান। এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।


পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।


৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।


ভারত ৩৩৬/৬


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপে এতদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩০০। গত বিশ্বকাপে এই রান করেছিল ভারত। রোববার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫ উইকেটে এ রান করে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।


ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এছাড়া ৭৭ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫৭ রান করেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।


রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত।


ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। প্রথম পাঁচ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান যোগ করেন তারা। এরপর হাতখুলে খেলেন রোহিত-রাহুল। ১৭.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০০ রান।


উদ্বোধনীতে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৩.৫ ওভারে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রাহুল। তার আগে ৮৭ বলে তিন চার ও দুটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।


রাহুল আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান রোহিত। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। আর এই জুটিতেই ৮৫ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত।


ভয়ঙ্কর ব্যাটিং করে যাওয়া রোহিতকে সাজঘরে ফেরান হাসান আলী। তার আগে ১১৩ বলে ১৪টি চার ও তিন ছক্কায় ১৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।


এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি। ১৯ বলে ২৬ রান করে মোহাম্মদ আমিরের গতির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ডিয়া।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। রানের খাতা খুুলতেই আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এ অধিনায়ক। পান্ডিয়া-ধোনির বিদায়ের পরও ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন কোহলি।


৫১ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান কোহলি। তার ব্যাটে ভর করে ৪৬.৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।


এরপর খেলা ফের শুরু হলে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। মোহাম্মদ আমিরের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৭ রান করে ফেরেন ভারতীয় এ অধিনায়ক। তার ফিফটি ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, রাহুল ৫৭, পান্ডিয়া ২৬, বিজয় শঙ্কর ১৫*, কেদার যাদব ৯*, ধোনি ১; আমির ৩/৪৭)।

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যা তাড়া করতে গিয়ে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরারা দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। যা অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্নই জাগাল লঙ্কান দর্শকদের মনে। কিন্তু মিচেল স্টার্ক আর কেন রিচার্ডসনের তোপে ভেঙে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। আসরে নিজেদের চতুর্থ জয়ে অস্ট্রেলিয়া ওঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।


শনিবার বিশ্বকাপে দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮৭ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়ে। জবাবে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২৪৭ রানে। ২৫ বল বাকি থাকতেই ‍গুটিয়ে যায় দলটি।


অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।


আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ২৬ রান করে ফেরেন। তবে তার আগে ফিঞ্চের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮০ রান। ১৭তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। খেলেছেন খুবই ধীর গতিতে। ৪৮ বলে মাত্র ২ চারে নিজের ইনিংস সাজান ওয়ার্নার। এরপর উসমান খাজাও ফিরে যান দ্রুত। ব্যক্তিগত ১০ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার তিনিও।


তবে অ্যারন ফিঞ্চ এদিন আর সেঞ্চুরি মিস করেননি। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে এদিন সেঞ্চুরিটাকে দেড় শতে রূপ দিয়েছেন। ৪৩তম ওভারে উদানার শিকার হওয়ার আগে ১৩২ বলে ১৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।


তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ১৭৩ রান যোগ করেন ফিঞ্চ। দুজনই অবশ্য ফিরেছেন পাশাপাশি। ফিঞ্চ ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন স্মিথ। ৫৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি।


এরপর চলেছে ম্যাক্সওয়েলের একক শো। অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চললেও ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে তিন শ পেরোনো স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ম্যাক্সওয়েল। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।


জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার জোড়া ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা পায় উড়ন্ত শুরু। দুজনই চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন শুরু থেকেই। অজি বোলারদের রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছেন দুজন।


৬.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ফিফটি পূরণ করে। করুনারত্নে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। পেরেরা ফিফটি পূরণ করেছেন ৩৩ বলে। তবে ১৬তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে ফিরে যান পেরেরা। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।


এরপর থিরমান্নের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি হয়েছে করুনারত্নের। তরে থিরিমান্নে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর করুনারত্নেও ফিরে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে। রিচার্ডসনের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। ১০৮ বলে ৯৭ রান করেন ৯ চারে।


করুনারত্নে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার আশার প্রদীপ নিভে যায়। এর মধ্যে মিচেল স্টার্ক হয়ে উঠলেন ভয়ংকর। কুশল মেন্ডিস (৩০) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান পেলেন না। আসরে তাই দ্বিতীয় পরাজয় মেনে নিতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।


৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। দলটি একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে। তাদের দুটিতে ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড

admin June 15, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪.৪ ওভারে ২১২ রান করে অলআউট হয়। জবাবে ৩৩.১ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জো রুট দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হন তিনি।


ইংল্যান্ড প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেল। তাই ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে অবস্থান নিয়েছে ইংলিশরা। অপরদিকে সমান ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় ও দুটিতে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে।


শুক্রবার সাউদাম্পটনে এই ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্ট ও জো রুট সাবলীল গতিতেই ব্যাট করতে থাকেন। দলীয় ৯৫ রানে বেয়ারস্ট আউট হন ৪৫ রান করে। এরপর দলীয় ১৯৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস ওয়েকস (৪০) আউট হন। তবে রেুট জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৯৪ বল থেকে ১১টি চারের মারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।


এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানেই এভিন লুইস বোল্ড হয়ে যান। সেই ধাক্কা কাটাতে দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস গেইল ও শাই হোপ চেষ্টা করছিলেন। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ৫৪ রানে ক্রিস গেইল এবং এক রানের ব্যবধানে শাই হোপ আউট হয়ে যান। এর মধ্যে ক্রিস গেইল ৩৬ রান করেছেন।


মাত্র ৫৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সামনে এগুতে থাকেন নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ের জুটি। চতুর্থ উইকেটে এ দু’জন ৮৯ রান করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৪৪ রানে জো রুটের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন হেটমায়ের। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৯ রান।


পরবর্তী ব্যাটসম্যানরাও আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তবে পুরান ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল ২১ ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ১৪ রান করেন। ইংলিশ বোলারদের মার্ক উড এবং জোফরা আর্চার তিনটি করে উইকেট নেন।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

শঙ্কাই সত্যি, বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

শঙ্কাই সত্যি, বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অবিরত বৃষ্টির কারণে ব্রিস্টলে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে আজকের ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মাঠে পানি জমে আছে। বলা হচ্ছে, যদি বৃষ্টি থেমেও যেত, তবুও খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা অসম্ভব হয়ে পড়তো।


এর মধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করেন। তারা মাঠের কর্মীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন। পরে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। কাজেই খেলার পয়েন্ট দুই দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে।


ব্রিস্টলে বৈরী আবহাওয়ার শিকার দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। এর আগে শুক্রবার শ্রীলংকার সঙ্গে পাকিস্তানের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল।


এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে তিন ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো বৃষ্টির বাধায়। গত সোমবার সাউথ্যাম্পটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে খেলা হয় মোটে ৭ ওভার ৩ বল।


চার ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে বাংলাদেশ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে ১৯৯৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা।


বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার ম্যাচটি না হওয়া নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগেই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেউ কেউ হতাশ হয়ে মাঠ ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেন।


এর আগে গ্যালারি থেকে মাহফুজুর রহমান নামের এক দর্শক জানান, আমরা চারজন মিলে খেলা দেখতে এসেছি। যারা ব্রিটেনের আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত, তারা বলছেন- পরিস্থিতি ভালো হবে না। অবস্থা দেখে তাদের কাছে মনে হচ্ছে, খেলা না হওয়ার আশঙ্কা ৭৫ শতাংশ। তাই তারা চলে গেছেন।


তার মতে, এই ধরনের বৃষ্টি সাধারণত থামে না। কারণ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ব্রিটেনের বাস্তবতায় এই ধরনের বৃষ্টি সারাক্ষণ লেগেই থাকে।


বাংলাদেশ সময় ৫টা ১৫ মিনিটে আম্পায়ারদের মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তারা মাঠ পরিদর্শন করতে পারেননি।


আগেও একবার বৃষ্টি ফিরে আসায় মাঠ পরিদর্শন স্থগিত করেছিলেন আম্পায়াররা। ব্রিস্টলের আবহাওয়া বুলেটিনে সোমবারই জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি হলো। বেরসিক বৃষ্টি হানা দিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা ম্যাচে। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা বাতাস।


গতকাল পড়ন্ত বিকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। তার পর আর মেলেনি সূর্যের দেখা, ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর কনকনে বাতাসের সঙ্গে মেঘে ঢাকা আকাশ- ঠিক এ অবস্থায়ই পার হয়েছে রাত।


মঙ্গলবার ভোরেও ব্রিস্টলের আকাশে দেখা যায়নি সূর্যের উপস্থিতি। যেখানে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই সূর্য উঠে যায়, সেখানে সকাল ৭টা পর্যন্তও আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা।


পয়েন্ট ভাগাভাগিকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে মাশরাফিদের। কিন্তু এটা টাইগারদের জন্য ম্যাচ হারার মতোই ব্যাপার।


শ্রীলংকার বিপক্ষে সবশেষ তিন দেখায় জিতেছে বাংলাদেশ। নিদাহাস ট্রফিতে দুই ম্যাচে এবং এশিয়া কাপে লংকানদের হারিয়েছেন টাইগাররা।


তবে বিশ্বকাপে তিনবারের দেখায় একবারও জয় পাননি তারা। এ ম্যাচে জিততে হলে তাই রেকর্ড ব্রেক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়রদের সম্মিলিত দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।

বৃষ্টি: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা

বৃষ্টি: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মোকাবিলায় নামছে বাংলাদেশ। ব্রিস্টলে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। টানা দুই ম্যাচ হারায় তাই এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প দেখছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।


তবে এই ম্যাচে বড় শঙ্কার নাম বৃষ্টি। ব্রিস্টলে আগের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আগামীকাল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচেও বৃষ্টির শঙ্কা আছে দিনজুড়ে। দুর্ভাবনায় তাই দুই দলই।


এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘ম্যাচ হওয়া খুবই প্রয়োজন। আগের দুই ম্যাচের একটিতে জিততে পারলে হয়তো এতটা প্রয়োজন হতো না। এখন খুবই প্রয়োজন ম্যাচ হওয়া। আমরা চাচ্ছি ম্যাচটা যেন হয়। আশা করছি পুরো ম্যাচ হবে। ম্যাচ না হলে আমাদের সমীকরণ অনেক কঠিন হয়ে যাবে।’


দেখুন বিশ্বকাপ ম্যাচগুলোর হাইলাইটস:


[accordions title="হাইলাইটস"]
[accordion title="বাংলাদেশ ম্যাচ" load="show"]

[/accordion]
[accordion title="সব ম্যাচ" load="hide"]

[/accordion]
[/accordions]

এদিকে তিন ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। এই মাঠেই পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সবশেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার কারণ শ্রীলঙ্কা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছিলেন মাশরাফিদের সাবেক কোচ। বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর ভালো জানা।


অবশ্য সর্বশেষ দেখায় এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপে আগের তিন দেখায় একটিতেও জিততে পারেনি লাল-সবুজের দল। আগামীকাল কি হয় সেটাই এখন দেখার।


বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে তারা জিতেছিল ২১ রানে। অবশ্য পরের দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে লড়াই করে হারলেও তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারে লাল-সবুজের দল।

ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

admin June 10, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে তুমুল লড়াই চললো। শেষে বিরাট কোহলির দল টিম ইন্ডিয়া ৩৬ রানে হারিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল। এটি ছিল বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় খেলা। এরআগে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ ৩৫২ রান।


ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান করলেন সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা করলেন হাফ সেঞ্চুরি। হার্দিক পান্ডিয়া, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা লোকেশ রাহুলরা ব্যাট হাতে বইয়ে দিয়েছেন চার-ছক্কার ঝড়। সব মিলিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের জন্য ছিল এক উপভোগ্য ম্যাচ।


কোহলিদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ৩১৬ রানে। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকার কারণে, শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা।


দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারোন ফিঞ্চ মিলে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। দু’জন মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ বলে ৩৬ রান করে ফিঞ্চ রানআউট হয়ে যান। এতেই বিপদ শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথ মিলে গড়েন ৭২ রানের দারুণ এক জুটি।


অস্ট্রেলিয়ার 'ধীর নীতির' কারণে ওয়ার্নারের রানের গতি ছিল খুবই স্লো। ৮৪ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ৫৬ রান। ৫টি বাউন্ডারি মারলেও কোনো ছক্কার মার নেই তার ব্যাটে।


ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ৭০ বলে ৬৯ রান করা স্মিথ। উসমান খাজা করেন ৩৯ বলে ৪২ রান। ম্যাক্সওয়েল মাঠে নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। ১৪ বলে ২৮ রান সে ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হন তিনি। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন।


এদিকে মার্কাস স্টোইনিজ শূন্য রানে আউট হলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারে দারুণ ব্যাটিং করেন। মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে তিনি অপরাজিত থেকে যান ৫৫ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে।


ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাহ নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। দুটি হলো রানআউট।

ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রান টপকাতে পারলো না টাইগাররা

ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রান টপকাতে পারলো না টাইগাররা

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছিল জয়ী দলের নাম। আগে ব্যাট করে ৩৮৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে জয়ের বন্দরে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইংল্যান্ড। দেখার বিষয় ছিলো এ বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কেমন জবাব দেয় বাংলাদেশ।


এ বিশাল সংগ্রহের পেছনে ছুটে ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভালোই লড়েছিল টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাকিদের কাছ থেকে সে অর্থে সমর্থন না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটা বেশ বড়, ১০৬ রানের।



ইংল্যান্ডের করা ৩৮৬ রানের জবাবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি করে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন। তবু নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ১০৬ রানের বড় ব্যবধানের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।


কার্ডিফে আজ (শনিবার) টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে শুরুতে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় ছিল ইংলিশরা।


প্রথম ৫ ওভারে ইংল্যান্ড তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৫ রান। কিন্তু পরে সুদে আসলে সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার জেসন রয় আর জনি বেয়ারস্টো। তেড়েফুড়ে ব্যাটিং করছিলেন তারা।


কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারে এসে ১১৫ বলে গড়া ১২৮ রানের বিধ্বংসী এই জুটিটি ভাঙেন মাশরাফি। উইকেট না পড়ায় এই ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসেছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। প্রথম বলেই তাকে খেলতে গিয়ে শর্ট কভারে বল উঠে যায় বেয়ারস্টোর, বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫০ বলে ৫১ করে আউট হন বেয়ারস্টো।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটকে নিয়ে ৭৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন রয়। ৩২তম ওভারে এসে রুটকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোর্ড করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৯ বলে রুট করেন ২১ রান।


সেঞ্চুরির পর জেসন রয় ভয়ংকর থেকে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজকে তো এক ওভারে টানা তিন ছক্কাও হাঁকিয়ে দিলেন। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে মিরাজের উপর এই তাণ্ডব চালান রয়। তবে তাতে দমে যাননি টাইগার অফস্পিনার। চতুর্থ বলে ঠিকই রয়কে আউট করে দিয়েছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যাচ হয়ে ইংলিশ ওপেনার ফিরেছেন ১২১ বলে ১৫৩ রান করে, বিধ্বংসী এ ইনিংসে ১৪ বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৫টি ছক্কার মার।


চতুর্থ উইকেটে আরেকটি বড় জুটি ইংল্যান্ডের। জস বাটলার আর ইয়ন মরগান এই জুটিতে যোগ করেন ৯৫ রান। শেষ পর্যন্ত মারকুটে বাটলারকে (৪৪ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৪) বাউন্ডারিতে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাইফউদ্দিন।


৪৭ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। চতুর্থ বলে বাউন্ডারিতে মরগান ক্যাচের মতো তুলে দিয়েছিলেন, দৌড়ে গিয়ে তামিম কোনোমতে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি। পরের বলে আবারও তুলে মারেন মরগান। এবার বাউন্ডারিতে একইভাবে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সৌম্য। ৩৩ বলে ৩৫ করে ফেরেন মরগান।


পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আকাশে ক্যাচ তুলে দেন ৬ রান করা বেন স্টোকস। পয়েন্টে মাশরাফি ক্যাচটা মিসই করে ফেলেছিলেন, তিনবারের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত শুয়ে বল তালুবন্দী করেন টাইগার দলপতি।


তবে ৩৪১ রানে ৬ উইকেট ফেললেও ইংল্যান্ডের রানের বান আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। ক্রিস ওকস ৮ বলে ১৮ আর লিয়াম প্লাংকেট ৯ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।


বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

টাইগারদের সামনে পাহাড়সম টার্গেট দিলো ইংল্যান্ড

টাইগারদের সামনে পাহাড়সম টার্গেট দিলো ইংল্যান্ড

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে রানের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের সেঞ্চুরি এবং জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রানের ইতিহাস গড়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাসের ইতিহাসে ইংলিশদের এটা দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে ছিল ইংল্যান্ড।


শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯.১ ওভারে ১২৮ রান করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। এরপর মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বেয়ারস্টো। তার আগে ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি।


এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ৭৭ রান যোগ করেন জেসন রয়। এই জুটিতে সেঞ্চুরি করেন রয়। মোস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে দিয়ে ৯২তম বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রয়।


আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন জো রুট। ইংল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যানকে বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ দেননি সাইফউদ্দিন। তার গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ২১ রান করার সুযোগ পান রুট।


সেঞ্চুরির পর আগের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জেসন রয়। ৩৫তম ওভারে মিরাজের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান এ ইংলিশ ওপেনার। চতুর্থ বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দেন।


মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১২১ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৫৩ রান করেন জেসন রয়। বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭৯তম ম্যাচে এটা নবম শতক।


চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান জস বাটলার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ইংলিশ এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান এদিন ৩৩ বলে ফিফটি গড়েন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৪৪ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে ফেরেন তিনি।


ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। তার অফস্পিনে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন মরগান।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে মাশরাফি বাহিনী

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে মাশরাফি বাহিনী

admin June 08, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
বিশ্বকাপের ১২তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টাইগার একাদশে কোনো পরির্বন নেই। এক পরিবর্তন আছে ইংলিশ একাদশে। মঈন আলির জায়গায় ঢুকেছেন লিয়াম প্লাংকেট।


শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিধ্বস্ত করে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপযাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। তবে পরের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে হেরে যায় টাইগাররা। ফলে ২ খেলায় ২ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে তারা।


এ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট ইংল্যান্ড। ২ খেলায় ২ পয়েন্ট ইংলিশদেরও। বাংলাদেশের মতো দুর্দান্ত জয় নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে তারাও। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করে স্বাগতিকরা। কিন্তু পরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয় তারা। শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে ১৪ রানে হারে ইংল্যান্ড।


স্বভাবতই এ ম্যাচে জয় চায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে গড়াবে দুই দলের লড়াই।


বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক)ও মোস্তাফিজুর রহমান।


ইংল্যান্ড একাদশ: জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জো রুট, ইয়ন মরগান, জস বাটলার, বেন স্টোকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, লিয়াম প্লাংকেট, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।

আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর হারের পর বাংলাদেশ একাদশে বেশ কিছু জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করেন, দলে একজন উইকেটটেকারের অভাব রয়েছে। সেটা পূরণে রুবেলকে খুব দরকার। প্রয়োজন একজন হার্ডহিটারেরও।


বাংলাদেশ একাদশে একজন উইকেট টেকিং বোলারের অভাব, কয়েকদিন ধরে এটা নিয়ে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা স্কোয়াডে উইকেটটেকার একজনই। সেই রুবেল ছিলেন না গেল দুই ম্যাচের মূল একাদশে। মোস্তাফিজ-মাশরাফির বাজে ফর্ম তার অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পাইয়ে দিয়েছে।


এখন প্রশ্ন হলো, রুবেল একাদশে ফিরলে কে বাদ পড়বেন? মোস্তাফিজ নাকি সাইফউদ্দিন? ব্যাটিংয়ের কারণে দলে থাকার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকছেন সাইফ। এছাড়া বোলিংয়েও দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। গেল দুই ম্যাচে তিন পেসারের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স তারই। সেক্ষেত্রে এ যাত্রায় কোপটা পড়তে পারে ফিজের ওপর। কাটার মাস্টার ছিটকে যেতে পারেন। দলে ঢুকতে পারেন রুবেল।


রিভার্স সুইং তারকার সঙ্গে একাদশে প্রবেশ করতে পারেন লিটন বা সাব্বিরের কেউ। কারণ গেল ম্যাচে একজন হার্ডহিটিং মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের অভাব বোধ করছে টাইগাররা। মিডলঅর্ডারের জন্য এগিয়ে থাকছেন সাব্বির। ডেথ ওভারে তার ঝড়ো ব্যাটিং কাজে লাগতে পারে। এজন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে মোহাম্মদ মিঠুনকে। এ দুটি ছাড়া আর পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শনিবার কেমন একাদশ নিয়ে মাঠে নামবেন টাইগাররা, সেটাই দেখার বিষয়। কার্ডিফে দুই দলের খেলা গড়াবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়। তখনই এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শেষ হবে।



ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:


তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান/মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফিন বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও রুবেল হোসেন/মোস্তাফিজুর রহমান।


তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three