Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা সংসদে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন তিনি। শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।


শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রামের মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি), গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)। শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।


আরেক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন। সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান তার প্রশ্নে ২০০৯ সালে ঋণ খেলাপি কত ছিল ও তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ এবং ২০১৮ সালে ওই সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণও জানতে চেয়েছিলেন।


তবে অর্থমন্ত্রীর উত্তরে বলা হয়, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে লুৎফুন নেসার প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি ও তাদের ঋণের পরিমাণ সংসদকে জানান অর্থমন্ত্রী। এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে। সংগৃহীত আমানতের উপর ব্যাংকের মাধ্যমে আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে ব্যাংকের পক্ষে বিনাসুদে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয় না। আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ২,৮০,০৬৩ (দুই লাখ আশি হাজার তেষট্টি) কোটি টাকা (সংশোধিত)। বিগত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২,২৫,০০০ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে ২,০২,৩১৪.৯৪ (দুই লাখ দুই হাজার তিনশত চৌদ্দ দশমিক নয় চার) কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।


সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ছয় হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি ২০০৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক কোনও সুদ মওকুফ করেনি। অন্যান্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ২৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

মোবাইল ব্যাংকিং: ব্যালেন্স দেখতে পয়সা গ্রাহকদের দিতে হবে না

মোবাইল ব্যাংকিং: ব্যালেন্স দেখতে পয়সা গ্রাহকদের দিতে হবে না

admin June 19, 2019

মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবায় (এমএফএস) হিসাবের ব্যালান্স দেখার জন্য গ্রাহকদের কোনো খরচ হবে না। প্রতি বার ব্যালেন্স দেখার জন্য যে ৪০ পয়সা খরচ হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করা হয়।


বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়, বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশ ও নগদের মতো মুঠোফোন ভিত্তিক আর্থিক সেবায় (এমএফএস) ব্যালান্স দেখতে গ্রাহককে কোনো টাকা গুনতে হবে না।


এতে আরো বলা হয়, গত ১৩ জুন যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে গ্রাহকের ওপর নতুন করে চার্জ আরোপের কোনো সুযোগ নেই।


এর আগে, গত ১৩ জুন এ সংক্রান্ত বিটিআরসি’র ওই নির্দেশনায় বলা হয়, একটি আর্থিক লেনদেন ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হলে মুঠোফোন অপারেটররা ৮৫ পয়সা পাবে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেন ছাড়া অন্য কাজের জন্য প্রতিবার ৪০ পয়সা দিতে হবে। উল্লেখ্য, আর্থিক লেনদেন ছাড়া গ্রাহকরা মূলত ব্যালেন্স দেখার কাজই করেন।


তবে, নির্দেশনায় আর্থিক লেনদেন ব্যতীত অন্য কাজের জন্য নির্ধারিত ৪০ পয়সা গ্রাহক নাকি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দেবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে আজকের এই নির্দেশনার মাধ্যমে এই ধোঁয়াশা দূর করলো বিটিআরসি।

জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নিবন্ধনের আওতায় আসছে বায়িং হাউজগুলো

জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নিবন্ধনের আওতায় আসছে বায়িং হাউজগুলো

admin June 17, 2019

এদেশে কর্মরত বায়িং হাউজগুলোকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৩ দশক আগে দেশে বায়িং হাউজ ব্যবসা চালু হলেও ওসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পায়নি। এমনকি বায়িং হাউজগুলোর নিবন্ধনে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই তা মানছে না। এমন অবস্থায় অনিবন্ধিত বায়িং হাউজগুলোকে দুই দিনের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আর ওই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।


জানা গেছে, দেশে আশির দশকে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের যাত্রার শুরুতে পোশাক শিল্প মালিকরা আন্তর্জাতিক ক্রেতা গোষ্ঠির সাথে সংযোগ তৈরি ও দর কষাকষিতে তেমন পারদর্শী ছিল না। আর ওই সুযোগেই মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বায়িং হাউজ ব্যবসার উত্থান ঘটে। কিন্তু ওই ব্যবসার ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি না থাকায় অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দেশের বায়িং হাউজগুলোয় বিপুল পরিমাণ বিদেশী কাজ করে। যাদের কারণে প্রচুর অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর কূটকৌশল অবলম্বনের কারণে অবৈধ পন্থায় ওই অর্থের বেশির ভাগ বিদেশ যাচ্ছে। তাছাড়া বায়িং হাউজের গাফিলতিতে পণ্য প্রস্তুতকারক কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ক্রেতার মধ্যে বিরোধও সৃষ্টি হয়। তাতে করে শিল্প মালিকদেও বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সমস্যার মূলে থাকা বায়িং হাউজকে কোনো জবাবদিহিতায় আনা সম্ভব হয় না।


সূত্র জানায়, সরকার বস্ত্র শিল্প আইন ২০১৮ প্রণয়ন করার পর ওই আইনের মাধ্যমে বায়িং হাউজের নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। আইনে বলা হয়, পোশাক শিল্পের বায়িং হাউজ, ব্র্যান্ড ও অন্য ক্রেতাদের লিয়াজোঁ কার্যালয় থেকে শুরু করে শিল্পসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোকে বস্ত্র অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য বায়িং হাউজগুলোকে নিবন্ধনের আহŸান জানিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কিন্তু ওই প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন নিয়েছে মাত্র ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান।


এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, যাতে নিবন্ধন গ্রহণের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৬০ দিন। বিগত ২৮ মে জারি করা দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বায়িং হাউজগুলোকে এটি জারির দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে নিবন্ধক অতিরিক্ত ৬০ দিন সময় বাড়াতে পারবে। আর ওই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন গ্রহণে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বস্ত্র খাতসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি মোট ৭০টি সংস্থা ও সংগঠনের কাছে পাঠানো হয়েছে।


সূত্র আরো জানায়, বিজিবিএর সদস্য প্রায় ৪০০ বায়িং হাউজ সক্রিয় রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ অফিস। বাংলাদেশে ব্র্যান্ড ক্রেতাদের লিয়াজোঁ দপ্তর হিসেবে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় এক-দেড়শো। এখন ওসব প্রতিষ্ঠানকেও বস্ত্র অধিদপ্তরের নিবন্ধন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০০৯-২০১৮ সালের মধ্যে সব খাত মিলিয়ে অনুমোদিত লিয়াজোঁ অফিসের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ১০০। আগে বিলুপ্ত বিনিয়োগ বোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লিয়াজোঁ কার্যালয়গুলো পরিচালনা করতো। সুনির্দিষ্ট কোনো পোশাক কর্তৃপক্ষ না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগ বোর্ডে ৫০ হাজার ডলার জমা দিয়ে লিয়াজোঁ অফিস হিসেবে অনুমোদন নিতে হতো। নতুন আইনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ওসব লিয়াজোঁ কার্যালয়কে বস্ত্র অধিদপ্তরের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।


এদিকে পোশাক শিল্প প্রতিনিধিরা বলছেন, বায়িং হাউজের মতো মধ্যস্থতাকারীর কারণে আয়ের একটি বড় অংশ অন্যের পকেটে চলে যায়। যদিও শুরুর দিকে তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বায়িং হাউজগুলো। কিন্তু এখন পোশাক খাতের কারখানা মালিকদের সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে বিপণন সংযোগ ও দরকষাকষির কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।


অন্যদিকে ৬০ দিনের বাধ্যবাধকতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কেআই হোসেন জানান, সরকার আইন ও আইনের আলোকে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বহুল প্রচারিত হতে পারেনি। তাই এখনো কাক্সিক্ষত পরিমাণে নিবন্ধন হয়নি। গত কয়েক দশকে কোনো অভিভাবক ছাড়াই বস্ত্র ও পোশাক শিল্প বড় হয়েছে। এখন একটি পোশাক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিল্পটি অভিভাবক পেয়েছে। এর আওতায় বায়িং হাউজগুলোও অন্তর্ভুক্ত। খাতের স্বচ্ছতা ও জাতীয় রাজস্বের স্বার্থে ইতিবাচক এ পদক্ষেপ কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, আইন থাকলেও এখনো এ খাতে নিয়ন্ত্রণ বা তদারকি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা পায়নি। তবে ধীরে হলেও সচেতনতা বাড়ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপারিশও করা হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে বস্ত্র অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা স্বল্প সময়ের জন্য নামসর্বস্ব ভুইফোঁড় বায়িং হাউজের নামে ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি পরিচালনায় সম্পৃক্ত হয়। অনেকে ক্ষেত্রে এ ধরনের বায়িং হাউজের ব্যবসার সময় ৩ মাসেরও কম হয়ে থাকে। এ কারণেই সময়টি ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনটি বাংলাদেশ ব্যাংকেও পাঠানো হয়েছে, যাতে করে ব্যাংকের মাধ্যমে অনিবন্ধিত বায়িং হাউজ শনাক্ত করা যায়। নিবন্ধন না নিলে কোনো বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে পারবে না।

কুড়িগ্রামে খাদ্যগুদামকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে কৃষকের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ

কুড়িগ্রামে খাদ্যগুদামকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে কৃষকের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ

admin June 16, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
অবশেষ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার খাদ্য গুদামকে সিন্ডিকেট মুক্ত করাসহ সরকারীভাবে ধান সংগ্রহ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উলিপুর উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সর্বশেষ সভায় পূর্বের কৃষকের তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের সহায়তায় স্থানীয় কৃষিবিভাগ তালিকা সংশোধনের কাজ চুড়ান্ত করবে মর্মে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।


সূত্র জানায়, উলিপুর উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এলাকার প্রকৃত কৃষকরা তার সুফল পাবে।


সুত্র আরো জানায়, খাদ্য দস্যু রাজা মিয়ার নেতৃত্বধীন চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি দীর্ঘ এক যুগ ধরে সরকারী খাদ্য গুদামকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে কৃষকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে আসছিল। কাগজ-কলমে কৃষকের নাম থাকলেও প্রকৃত পক্ষে কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে পারতো না। কৃষকের স্বাক্ষর জাল করে ফায়দা লুটতো ওই চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি। এই সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে কৃষকের তালিকা তৈরির জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু জোর দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে তার কৃষক বান্ধব দাবিটি উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সভায় পূর্ণতা পায়।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, উলিপুর উপজেলায় মোট কৃষকের সংখ্যা ১লাখ। তার মধ্যে কৃষি ভ‚র্তকীর কার্ড প্রাপ্ত কৃষকের সংখ্যা ৭৪ হাজারের অধিক। এদের মধ্য থেকে ধান সংগ্রহের জন্য ১৮ হাজার ৮শ ৯৫ জন কৃষককে তালিকাভুক্ত করা হয়। এই তালিকা নিয়ে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সহায়তায় তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।


উলিপুর উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো ধান কেনার লক্ষ্য মাত্র ধরা হয়েছে- ৬শ’ ৩৭ মেঃটন। এর মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৩শ’ ১৮ মেঃ টন ধান কেনার জন্য লটারীর মাধ্যমে ৬শ’ ৬২ জন কৃষকের নাম চূড়ান্ত করা হয়। তালিকা সংশোধনের পর দ্বিতীয় কিস্তির ৩শ’ ১৯ মেঃটন ধান কেনার জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।


উলিপুর উপজেলার খাদ্য দস্যু খ্যাত সিন্ডিকেটের হোতা রাজা মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন মিল মালিক। এইটুকুই আমার পরিচয়।


এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।


উলিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, খাদ্য সংগ্রহ কমিটির নির্দেশনা অনুসরণ করে কৃষকের তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করেছি।


উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, খাদ্য সংগ্রহকে ত্রুটি মুক্ত করার জন্য আমরা কৃষকের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এই উদ্যোগের সুফল সাধারণ কৃষকরা পাবেন।


উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, চিহ্নিত সিন্ডিকেটটি অসৎ কৃষি অফিসারদের সহায়তায় তাদের মনগড়া তালিকা প্রণয়ন করার বিষয়টি অবগত হবার পর থেকে আমি কৃষকের তালিকা সংশোধনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম।


তিনি বলেন, ‘অবশেষে উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটি সেই দাবির আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। তবে লটারীতে নাম উঠার পরে যাতে ভাগ্যবান কৃষকরা সরাসরি খাদ্য গুদামে ধান জমা দিয়ে সরকার প্রদত্ত্ব আর্থ হাতে গুণে নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম

admin June 14, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শীর্ষক বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রস্তাবিত (২০১৯-২০) অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের থেকে ২০ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বেশি। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেটে অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজটে প্রস্তাব করা হয়। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’।


বাজেটে প্রস্তাবে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।


বাজেটে ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমকি ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের পরিমাণ ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা।


এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিট ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নেওয়া হবে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমকি ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা) এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা) নেওয়া হতে পারে।


এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরে একই পরিমাণ রয়েছে। এর আগে বিকেল তিনটার দিকে বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তব্য শুরু করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।


এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। কিন্তু অসুস্থ থাকায় কিছুক্ষণ পর থেকে বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের ক্যাবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।


এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।


এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

বাজেট ২০১৯-২০: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৩২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা

বাজেট ২০১৯-২০: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৩২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:


শতকরা হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের বরাদ্দ কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে সামরিক খাতে মোট বাজেটের ৬ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক অন্যান্য দফতর ও সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৩২ হাজার ৫২০ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। তবে শতকরা হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের বরাদ্দ কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সামরিক খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরকে রাখা হয়েছে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে। তৃতীয় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে রাখা হয়েছে আন্তঃবাহিনী দফতরগুলোকে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহণের বিষয়টি রাখা হয়েছে চতুর্থ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে।


প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর ব্যবস্থাপনা, স্থলসীমা, জলসীমা, আকাশসীমা ও সমুদ্রসীমা রক্ষা করা। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়ন, বাজেট ব্যবস্থাপনা, সামরিক ভূমি ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস। দেশের ক্যাডেট কলেজগুলো এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করা। মহাকাশ গবেষণা, ভূ-উপগ্রহ পাঠানোসংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম ও জরিপ অধিদফতরের কার্যক্রম পরিচালনা ও সামগ্রিক তত্ত্বাবধান করা।


অগ্রাধিকারে পুলিশসহ চার বাহিনী: এবারের বাজেটে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ব্যয় খাত ও কর্মসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য নতুন (২০১৯-২০) অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান কার‌্যাবলির মধ্যে রয়েছে, জননিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণী প্রশাসনিক কার্যক্রম ও এতদসংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।


কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সুসংহত করা। সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম, রসদ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, যুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যথাযথ প্রসিকিউশন দাখিল, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান করা। জননিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও চুক্তি করা।


বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি এবং কোস্টগার্ডের কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশ্যে এসব বাহিনীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান দমন এবং মানব ও মাদকপাচার রোধের জন্য বিজিবির পুনর্গঠনকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কারা অধিদফতর ও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের জন্য এবারের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ মোকাবিলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সুষ্ঠু কারা ব্যবস্থাপনা ও বিদেশ গমনাগমন আরও সহজ, টেকসই ও সময়োপযোগী করার মাধ্যমে নাগরিক সেবা ও নাগরিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য বাজেটে এ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রধান কার‌্যাবলির মধ্যে রয়েছে, সুরক্ষা সেবা সংক্রান্ত বিধি-বিধান, নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কারা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, পাসপোর্ট, ভিসা ও নাগরিকত্ব দেওয়া সহজীকরণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যক্রম পরিচালনা, প্রাকৃতিক ও সামাজিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে সহায়তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা ও চুক্তি সম্পাদন করা।


এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হলেও সে বৈঠকেও আধঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী। দুপুর ১টা ২১ মিনিটে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তাফা কামালের এটিই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ। এটি দেশের ৪৮তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট। বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পক্ষ থেকে সংসদে বাজেট বক্তৃতা পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাজেট ২০১৯-২০: জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও

বাজেট ২০১৯-২০: জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিবন্ধনের আওতায় আসছে দেশের ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটার হওয়ার অযোগ্য এসব নাগরিককে নিবন্ধনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করবে।


এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে দেশের সব নাগরিক নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে। শূণ্য থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও তাদের পরিচয়পত্র সরবরাহের জন্য আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাজেট বরাদ্দেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।


এতদিন ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হতো। সব মিলিয়ে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন খাতে ৭৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ও উন্নয়ন খাতে ১১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে ইসির শূন্য হতে ১৮ বছর নাগরিকদের নিবন্ধন ও এনআইডি প্রদানসহ অন্তত ১১টি খাতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।


অন্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদের উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, উন্নতমানের স্মার্ট জাতীয়পত্র প্রদান, ২ বছর মেয়াদী পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্র প্রদান, ইভিএম প্রকল্পের আওতায় ৮২ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়, কর্মকর্তাদের দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, এনআইডি তথ্য যাচাই এবং ইসির উন্নয়ন ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।


একাদশ সংসদ নির্বাচন থাকায় এবং বছরের মধ্যবর্তী সময়ে ইভিএম ক্রয় প্রকল্পসহ চলতি অর্থ বছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ইসির সংশোধিত বাজেট ছিল চার হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। চলতি অর্থ বছরে ইসির জন্য বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা।


এরমধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ২১০ কোটি টাকা আর পরিচালনা ব্যয় ছিল এক হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা।

বাজেট ২০১৯-২০: মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বাড়বে ২ হাজার টাকা

বাজেট ২০১৯-২০: মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বাড়বে ২ হাজার টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী (মাসিক ভাতা) ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।


বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশের ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের উৎসব ভাতা (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) ১০ হাজার টাকা, নববর্ষ ভাতা (পয়লা বৈশাখ) ২ হাজার টাকা এবং বিজয় দিবস ভাতা (১৬ ডিসেম্বর) ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, যা আগামী বাজেটেও অপরিবর্তিত থাকবে।


২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়ানো সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বেষ্টনীতে আরও ১৩ লাখ মানুষকে যুক্ত করা হচ্ছে। এতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বেষ্টনীর আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৮৭ লাখে।


প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর জাতীয় সংসদে উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপন শেষ করেন। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

নতুন ১৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বরাদ্দ সাড়ে ২৮ হাজার কোটি

নতুন ১৭ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বরাদ্দ সাড়ে ২৮ হাজার কোটি

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই স্লোগান সামনে রেখে প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎখাতে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত বাজেটে ছিল ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে ১৯ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ১৭টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।


বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর আসন্ন অর্থবছর অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা শুরু করেন।


এর আগে মুস্তফা কামাল প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকারের অনুমতিসাপেক্ষে বাংলাদেশের বাজেট ইতিহাস নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন মুস্তফা কামাল।


এরপর শুরু করেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন। প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করছি।


২০২১ সালে ২৪, ২০৩০ সালে ৪০ এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। বর্তমানে ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। দেশের সব মানুষ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা পাচ্ছে, ফলে ৯৩ শতাংশ মানুষ এর আওতায় এসেছে। পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেরামতের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাজেট ২০১৯-২০: খরচ কমবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে

বাজেট ২০১৯-২০: খরচ কমবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যয় কমানো এবং বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে প্রস্তাবিত বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।


প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যয় কমানো এবং বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর ফলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ বাড়বে এবং হুন্ডি ব্যবসা নিরুৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।


এছাড়া প্রবাসী কর্মীদের বিমা সুবিধায় আনার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বিমা সুবিধা না থাকায় দুর্ঘটনা ও নানাবিধ কারণে প্রায়ই তাদের পরিবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এজন্য প্রবাসী কর্মীদের বিমা সুবিধায় আনতে আগামী অর্থবছর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাজেট ২০১৯-২০: সুবিধা বাড়লো বিদেশ থেকে সোনা আনায়

বাজেট ২০১৯-২০: সুবিধা বাড়লো বিদেশ থেকে সোনা আনায়

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিদেশ থেকে সোনা আনার ক্ষেত্রে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বাড়তি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এজন্য শুল্ক সুবিধা দিতে ‘ব্যাগেজ রুলস-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। বর্তমানে প্রতি ভরি সোনা আনার ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়। আগামী অর্থবছরে এটি ভরিপ্রতি ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বিদ্যমান অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।


ব্যাগেজ রুলসের বিদ্যমান শর্ত অনুযায়ী, অবশ্যই যাত্রীদের বিদেশ থেকে আনা সোনা বার বা স্বর্ণপি- হতে হবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে ১২টির বেশি সোনার বার আনতে পারবেন না। বর্তমানে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনার গয়না বিনা শুল্কে আনতে পারেন।


এছাড়া শুল্ক দিয়ে সর্বোচ্চ ২৩৪ গ্রাম বা ২০ ভরি ওজনের সোনার বার আনতে পারেন। এই শর্ত অপরিবর্তিত রেখে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেট ২০১৯-২০: দাম বাড়ছে স্মার্টফোনের

বাজেট ২০১৯-২০: দাম বাড়ছে স্মার্টফোনের

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এবারের বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, যা বাজেটে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এতে স্মার্টফোনের দাম বেড়ে যাবে।


একই সঙ্গে ফিচার ফোনের দাম কমবে। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।


বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার কিছু পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। এরপর বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।


অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, আইসিটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।


এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কতিপয় যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি। আমদানি পর্যায়ে ফিচার ফোন ও স্মার্টফোনে বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে।


ফিচার ফোন কম দামের বলে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে। স্মার্টফোন ব্যবহার করে উচ্চবিত্তরা। তাই স্মার্টফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।


এর মধ্যে ট্রানজিস্টরের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, ক্রিস্টাল ডায়োডস ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, চার্জার কানেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ, সিম স্লট ইজেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।


অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। আইসিটি খাতের সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

বাজেট ২০১৯-২০: আবার এমপিওভুক্ত হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বাজেট ২০১৯-২০: আবার এমপিওভুক্ত হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দীর্ঘ প্রায় নয় বছর বন্ধ থাকার পর আবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এমপিওভুক্তির কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় বাজেটের এই অংশটি পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) পেয়ে থাকেন। এজন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে।


সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকেই এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছেন।


আন্দোলনের মুখে গত বছরের জুলাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করে। এরপর গত আগস্টে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। মোট ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। যাচাইয়ে এমপিও নীতিমালার সব শর্ত পূরণ করে যোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়েছে ২ হাজার ৭৬২ টি। কিন্তু অর্থের অভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিতে পারছিল না। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চাওয়া হয়। তাতে মোট ১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে এমপিওভুক্তির ঘোষণা এল।


শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত অংশের বাজেট বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি সুসংবাদ দিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আমি প্রথমে আলোকপাত করতে চাই। দীর্ঘদিন আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানাবিধ কারণে এমপিওভুক্তি কার্যক্রমটি বন্ধ ছিল। এবারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এমপিওভুক্তি কার্যক্রমের জন্য এ বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান রাখা হয়েছে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, খুব শিগগির নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে তা কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে। এখন শেষ পর্যায়ের যাচাই-বাছাই চলছে। এছাড়াও বাজেট বক্তৃতায় মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


এতে বলা হয়, বর্তমানে ২৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ (মূলত শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আগামী অর্থবছরে এ বাবদ বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

বাজেট ২০১৯-২০: শিশুদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা

বাজেট ২০১৯-২০: শিশুদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট জাতীয় বাজেটে শিশুদের জন্য ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের শতকরা ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে শিশুদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ছিলো ৬৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।


বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সম্পৃক্তির বিচারে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করেছে। জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষ অবস্থানে আছে।


মুসলিম বিশ্বে এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো উন্নত দেশগুলো থেকে জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।


শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সরকার কার্যক্রম নিয়েছে। একইসঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিকার ও প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদারসহ সব ক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।


তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে ৪৪টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের নারীদের জন্য বরাদ্দ সম্বলিত জেন্ডার বাজেট পেশ করা হলো। শিশুদের প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানো সরকারের একটি অগ্রাধিকার। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা।


বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।


এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা


নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। আর বাংলাদেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর চলতি মেয়াদের প্রথম ও টানা ১১তম বাজেট এবং সব মিলিয়ে ১৯তম বাজেট। এটি সংসদে পাস হবে ৩০ জুন।

বাজেট ২০১৯-২০: বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

বাজেট ২০১৯-২০: বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সয়াবিন, পামঅয়েল, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের উপর স্থানীয় ও আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করা হয়।


দীর্ঘদিন যাবত সয়াবিন, পামঅয়েল, সূর্যমুখী ও সরিষার তেল শুল্ক অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। সয়াবিন, পামঅয়েল, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের উপর স্থানীয় ও আমদানি শুল্ক আরোপ করা হলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

বাজেট ২০১৯-২০: মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৫.৫ শতাংশ

বাজেট ২০১৯-২০: মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৫.৫ শতাংশ

admin June 14, 2019
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছর বাজেটের আকার চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেটের আকার বাড়ছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ।

নতুন বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এই হিসাবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
বাজেট ২০১৯-২০: প্রণোদনা বাড়লো পোশাক খাতে

বাজেট ২০১৯-২০: প্রণোদনা বাড়লো পোশাক খাতে

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রফতানি প্রণোদনা পেয়ে আসছিল। আগামী অর্থবছর থেকে বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রফাতনি প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে।


আর এজন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়।


বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এসব প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।


অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রফতানি প্রণোদনা পাচ্ছে। আমি আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রফতানি প্রণোদনা প্রস্তাব করছি।

বাজেট ২০১৯-২০: খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলার

বাজেট ২০১৯-২০: খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলার

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাজেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলায় খরচ বাড়বে। আগে কথা বলার ওপর সম্পূরক শুল্ক ছিল ৫ শতাংশ। আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে তা ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে।


বাজেট বক্তৃতায় মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথার বলার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা আছে। যাতে করে গ্রাহককে মোবাইলে কথা বলতে হলে সরাসরি ২২ শতাংশ কর দিতে হয়। আরও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হওয়ায় তা হবে ২৭ শতাংশর কিছু বেশি।


মোবাইল কোম্পানির আয়কর বাড়ছে আড়াই গুণ: নতুন অর্থবছরের মোবাইল কোম্পানির বার্ষিক মোট আয়ের (টার্নওভার) উপর নূন্যতম কর আড়াই গুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।


অর্ধমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা বিবেচনা করে সব ধরনের কোম্পানি করের হার অপরিবর্তিত রাখা হলেও মোবাইল কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভারের উপর নূন্যতম কর দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এই হার ৩৫ শতাংশ।


এছাড় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ছাড়া) জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর এবং অতালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০ শতাংশ করপোরেট কর বহাল আছে। মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির জন্য ৪৫ শতাংশ কর।


তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪০ শতাংশ ও অতালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪৫ শতাংশ কর দেয়। এই করপোরেট করহার বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি হ্রাসকৃত করহার ও কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করছে।


এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে করপোরেট করের কার্যকর হার ৫ শতাংশেরও কম। এছাড়া গতবার ব্যাংক কোম্পানির কর হার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছিল, যার ফলে রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

বাজেট ২০১৯-২০: ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার নতুন এডিপি

বাজেট ২০১৯-২০: ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার নতুন এডিপি

admin June 14, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানান। নতুন এডিপিতে মোট প্রকল্প রাখা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৬টি, জেডিসিএফ প্রকল্প ১টি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে ৮৯টি এবং বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৩৫৮টি। অন্যদিকে সমাপ্তর জন্য নির্ধারিত প্রকল্প ধরা হয়েছে ৩৫৫টি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) প্রকল্প ৬২টি। বৈদেশিক সাহায্যপ্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প ২৪২টি এবং বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৪৫টি। বরাদ্দসহ অনুমোদিত নতুন প্রকল্প ৪১টি।


জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাত। এ খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার বেড়েছে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া মাঝপথে এ অর্থবছরের বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে ধরা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।


সংশোধিত এডিপির তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে মন্ত্রণালয় হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগে সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষা ও ধর্ম খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩ ৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা এডিপির ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা এডিপির ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।


পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা (বা ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ), স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (বা ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ), কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা (বা ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ), পানিসম্পদ খাতে ৫ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা (বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ), জনপ্রশাসন খাতে ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা (বা ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ) বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে।


আগামী এডিপিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ ২৬ হাজার ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৫ হাজার ১৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।


পর্যায়ক্রমে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রথম ১০ নম্বরে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৫ হাজার ৯০৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৫৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৯ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বিভাগ ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা, সেতু বিভাগ ৮ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ২৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা খসড়া বরাদ্দ ধরা হয়েছে।


উল্লেখ্য গত ২১ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three