Showing posts with label শেখ হাসিনা. Show all posts
Showing posts with label শেখ হাসিনা. Show all posts
উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশর উন্নয়নের দরকার কিন্তু এর সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন ও জলাধার নির্মাণেও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষিত থাকে।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আমাদের ওপর আসবে। এর জন্য আমরা দায়ী না, আমরা ভুক্তভোগী। এর প্রতিকারের ব্যবস্থা আমরা নিতে শুরু করেছি। এর জন্য ফান্ডও তৈরি করা হয়েছে।


বিদেশ থেকে এ ব্যাপারে খুব একটা সহায়তা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্যারিসে পরিবেশ বিষয়ে একটা চুক্তি হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে এর সহায়তা পাওয়া যাবে।


পরিবেশ দূষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা আর ক’দিন থাকবো। কিন্তু আমাদের বংশধররা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, টিকে থাকতে পারে, সেজন্য শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি।


প্রধানমন্ত্রী সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে। প্রত্যেকে নিজের এলাকায় যতো ইচ্ছে গাছ লাগাবেন। এতে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।


এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন।


সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কর্মসূচির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। এই বন রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বনে বেশি বাঘ থাকলে অনেকে ভেতরে গিয়ে বনের ক্ষতিকর কিছু করার সাহস পায় না।


তিনি বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় নদীর লবণাক্ততা দূর করতে হবে। লবণাক্ততা দূর হলে হোগলা বন বেড়ে যায়। আর হোগলা বনে বাঘের বিচরণ বেড়ে যায়। নদীর নাব্যতা বাড়ানোরও কাজ করা হচ্ছে।


সরকারপ্রধান এসময় বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও ধ্বংস হয়ে গেছে পাহাড়ি বনাঞ্চল।

সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

admin June 17, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক
সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এর নেতৃত্ব যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে ন্যস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। এজন্য এর নেতৃত্ব যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে ন্যস্ত করতে হবে।


রোববার ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯ এর সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।


প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনী পর্ষদ পদোন্নতির জন্য এমন সব সেনা কর্মকর্তাদের সুপারিশ করবে যাদের দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা এবং আনুগত্য রয়েছে।


তিনি বলেন, জাতির পিতা উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। সেই আলোকেই বর্তমান সরকার একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য আর্ম ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে।


এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেই এদেশ শাসন করেছেন। এর আগে যারা শাসন করেন তাদের কারোই জন্ম এদেশে নয়।


প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্যই তার সরকার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। যেখানে কেউ আর ক্ষুধার্ত থাকবে না।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হুসেইন ভুইয়া এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

মিডিয়া মালিকদের খেলাপি ঋণ নিয়ে অনুসন্ধান করুন: প্রধানমন্ত্রী

মিডিয়া মালিকদের খেলাপি ঋণ নিয়ে অনুসন্ধান করুন: প্রধানমন্ত্রী

admin June 15, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
সংবাদমাধ্যমের মালিকদের কার কত খেলাপি ঋণ আছে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তারা (মিডিয়া মালিকরা) যেন তাদের টাকাটা শোধ দিয়ে তারপরে তাদের পত্রিকায় এ ব্যাপরে (খেলাপি ঋণ নিয়ে) লেখেন, সে ব্যাপারে আমার অনুরোধ থাকবে।


‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে নতুন অর্থবছরের জন্য সোয়া পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি অসুস্থ থাকায় শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শুরুতে এবারের বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। পরে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।


ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত ১০ বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে সফল হচ্ছে না কেন।


জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ওই সাংবাদিকের কাছে জানতে চান তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।


সেই প্রতিবেদক নিজের পত্রিকার নাম বলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এখানে পত্রিকায় চাকরি করেন, তাদের আমি একটা কথা জিজ্ঞেস করব, আপনারা কি একটা খবর নেবেন, যে আপনাদের মালিকরা কে কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন, আর ঋণগুলো শোধ দিয়েছে কি না। আপনারা দয়া করে সমস্ত ব্যাংকগুলি থেকে এ তথ্যটা আগে বের করেন, যত মিডিয়া এখানে আছেন… প্রত্যেকেই বলবেন যে আমি অনুরোধ করেছি আপনাদের, যে কোন মালিক কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়ে কত টাকা শোধ দেয়নি বা খেলাপি হয়ে সেটাকে আবার পুনরায় ই (পুনঃতফসিল) করে গেছেন। এটার একটা হিসাব বের করলে আমাকে আর প্রশ্ন করা লাগবে না


সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, যার যার মালিককে বলেন, খেলাপি ঋণ শোধ দিতে, তাহলে আর খেলাপি ঋণ থাকবে না।


শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ব্যাংক খাতে সুদের হার অত্যন্ত বেশি, আর সুদ ধরা হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। ফলে যখন হিসাব প্রকাশ করা হয় তখন চক্রবৃদ্ধি হারে খেলাপি ঋণের পরিমাণটা অনেক বড় দেখায়। প্রকৃত ঋণটা যদি ধরা হয়, তাহলে দেখা যাবে অত বড় না। এর পেছনে নিশ্চয় কোনো ইন্টারেস্ট আছে যেজন্য ওই চক্রবৃদ্ধি হারে যেটা বর্ধিত সুদ, সেটাসহ সেটাকে খেলাপি ঋণ ধরা হয়। সেটা একটা দুর্বলতা আছে আমাদের। সেটা আমরা অ্যাড্রেস করে এবং সেটা যাতে না হয়, তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।


যারা খেলাপি হয়েছেন, তাদের তা পরিশোধ করার জন্য ‘একটা সুযোগ’ দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সাথে সাথে সব পত্রিকাগুলোর মালিকরা কে কত ঋণ নিয়েছে, বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা অন্যান্য মিডিয়া, সেগুলোর একটা হিসাব নেওয়া হবে।


বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায়, গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।


মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণের (রাইট অফ) স্থিতি ছিল ৩৯ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের সঙ্গে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ যোগ করলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৫০ হাজার ১২২ কোটি টাকা।


বছরের পর বছর ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় মন্দ মানে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ স্থিতিপত্র (ব্যালেন্স শিট) থেকে বাদ দেওয়াকে ঋণ অবলোপন-রাইট অফ বলে। যদিও এধরনের ঋণগ্রহীতা পুরো টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন।


বছরের শুরুতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ আর ‘এক টাকাও বাড়বে না’।


সেজন্য ঋণ অবলোপনের নীতিমালা শিথিলসহ কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সে কথা ফলেনি, খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে।

দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

admin June 10, 2019

দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন আমাদের বড় সমস্যা দারিদ্রতা। এই দারিদ্রতা দূর করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১১ দিনের সফর সম্পর্কে জানাতে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আজ রবিবার বিকেল পাঁচটা ৭ মিনিটে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। এর আগে গতকাল শনিবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।


ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশ্যে গত ২৮ মে প্রথমে জাপান যান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড যান তিনি। ফিনল্যান্ডে পাঁচ দিনের সফর শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় হেলসিংকি থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। এ সময় সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী দোহায় কিছুক্ষণ যাত্রাবিরতি করেন।


প্রধানমন্ত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।


পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ২৫০ কোটি ডলারের ৪০তম অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি সেখানে তার সম্মানে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জাপানি নাগরিকদের পরিবার এবং জাইকা সভাপতি শিনিচি কিতাওকা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ৩১ মে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে পবিত্র মক্কা নগরীতে অনুষ্ঠিত ওআইসির ১৪তম সম্মেলনে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ওমরাহ পালন ও মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। এর পর ৩ জুন ফিনল্যান্ড যান তিনি। সেখানে তিনি ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সউলি নিনিয়েস্তোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তার সম্মানে অল ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন।

ত্রিদেশীয় সফর বিষয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

ত্রিদেশীয় সফর বিষয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১২ দিনের সফর নিয়ে রোববার (৯ জুন) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল পাঁচটায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।


ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে কাতার এয়ারলাইনসের একটি বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানটি কাতারের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দোহায় যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে শনিবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।


এই সফরে ২৮ মে জাপানের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। টোকিওতে ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রীর সফরে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপানের সঙ্গে আড়াইশ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহায়তা চুক্তি হয়। জাপান সফর শেষে ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে ৩০ মে শেখ হাসিনা সৌদি আরবে যান। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর ওমরাহ পালন করেন তিনি, জিয়ারত করেন মহানবীর (স.) রওজা। সৌদি আরব থেকে গত ৩ জুন ফিনল্যান্ড যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।

পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড: ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বরখাস্ত

পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড: ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বরখাস্ত

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে আনতে পাইলটের পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া কাতারে গিয়ে সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে আটক হন। এ ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। যেহেতু পাইলট ফজল মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজের পাইলট সেই জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরও বৃদ্ধি পায়।


পরে এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্নে ওঠে। এ জন্য পাসপোর্ট না দেখেই পাইলট ফজল মাহমুদকে কাতারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় ইমিগ্রেশনের এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।


ইসমাইল হোসেন বলেন, পাইলট ফজল মাহমুদ ইমিগ্রেশন পুলিশকে বলেছিল তার পাসপোর্ট রয়েছে। তিনি সিনিয়র পাইলট হওয়ায়, তার কথায় ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশ্বাস করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারপরও তার পাসপোর্ট না দেখে ওই পাইলটকে ইমিগ্রেশন পার করতে দেওয়ায় এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


এদিকে সাবংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট নেননি। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান ছিল, সেহেতু পাইলটের ভুল করা উচিত হয়নি।

ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।


এর আগে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ফিনল্যান্ড সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে দোহার উদ্দেশে হেলসিনকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। কাতারের রাজধানী দোহায় কিছুক্ষণের যাত্রা বিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী।


ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুন ফিনিস প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন। সৌদি আরবে তিন দিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত ৩ জুন জেদ্দা থেকে হেলসিংকি পৌঁছান। সৌদি আরবে তিন দিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাদশাহর আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।


এছাড়া, তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন এবং মদিনায় প্রিয় নবি হজরত মুহম্মদ (স)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চার দিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই হাজার বিলিয়নের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।


এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’ বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনেও যোগ দেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও গোলটেবিল বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা হলি আর্টিজান হামলায় হতাহতদের পরিবার এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

ত্রিদেশীয় সফর শেষ: আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

ত্রিদেশীয় সফর শেষ: আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডে তার পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষ করে আজ শনিবার দেশে ফিরবেন। এটি ছিল তার ত্রিদেশীয় সফরের তৃতীয় ও শেষ সফর।


ফিনিস রাজধানী থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম টেলিফোনে জানান, কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ফিনল্যান্ড সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে দোহার উদ্দেশে হেলসিনকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।


কাতারের রাজধানী দোহায় কিছুক্ষণের যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বিমানটি আগামীকাল সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।


ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুন ফিনিস প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।


সৌদি আরবে তিন দিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত ৩ জুন জেদ্দা থেকে হেলসিনকি পৌঁছেন। এ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।

এ ছাড়া তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন এবং মদিনায় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।


ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চার দিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়নের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।


এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনেও যোগ দেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও গোলটেবিল বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা হলি আর্টিজান হামলায় হতাহতদের পরিবার এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

admin June 07, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঐতিহাসিক ৭ জুনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুনমাত্রা পায়।


৭ জুনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


ছয় দফা আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল এই বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান)। সেই সময় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনের আহ্বান করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন বঙ্গবন্ধু।’


এর পর ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু ছয় দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার জনমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছয় দফার প্রতি সমর্থন জানান। ছয় দফা হয়ে ওঠে দেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।’


শেখ হাসিনা যোগ করেন, ‘ছয় দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনে ভীত হয়ে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার বঙ্গবন্ধুকে ৮ মে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। তিনি বলেন, ‘৭ জুন বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।’


ছয় দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থন থেকেই স্বাধীনতার রূপরেখা রচিত হয়েছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।


৭ জুনের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে। গত সাড়ে ১০ বছরে আমরা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বিশ্বে আজ উন্নয়নের বাংলাদেশ রোল মডেল।


তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সম্প্রতি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। ইনশাআল্লাহ, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ।

বিএনপি-জামাতের অপপ্রচারের সমুচিৎ জবাব দিন: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি-জামাতের অপপ্রচারের সমুচিৎ জবাব দিন: প্রধানমন্ত্রী

admin June 07, 2019

নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি-জামাত জোট বিদেশে-দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তার সমুচিৎ জবাব দিতে প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বুধবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে প্রবাসীদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিতে অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ হেলসিংকির হোটেল কেম্পে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।


বিএনপি-জামাত জোটের অপপ্রচারের জবাব দেয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘স্পিচ রাইটার’ মো. নজরুল ইসলাম।


শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামাত জোট বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে, নানা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাই প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উচিৎ হবে, এর সমুচিৎ জবাব দেয়া।


আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বাংলাদেশে যে অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে, তা বিশ্বের দরবারে মেলে ধরার জন্যও প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


দেশে ও প্রবাসে থাকা সব বাংলাদেশিদের ঈদের শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবার সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টার কারণে ঈদযাত্রায় কোনো সমস্যা হয়নি।


শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, লক্ষ্য হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।


১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণে দেশে পরিণত করার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর পুনরায় দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করেছিলো।


২০০১ সালে বাংলাদেশের ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা’ দিয়ে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় গিয়েছিলো বলে জানান তিনি। তখন পাঁচ বার বাংলাদেশের দুর্নীতিতে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার কথাও বলেন তিনি।


বক্তব্যে পঁচাত্তর ট্রাজেডির পর নিজের নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসাও করেন তিনি।


আওয়ামী লীগের গত ১০ বছরের শাসনকালে বাংলাদেশে নজিরবিহীন উন্নয়নের চিত্র প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, এজন্য বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘রোল মডেল’।


সৌদি আরবের মক্কায় সর্বসাম্প্রতিক ওআইসি সম্মেলনের প্রসঙ্গ ধরে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে তোলার জন্য তার প্রস্তাব সেখানে গৃহীত হয়েছে।


এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী রমজানও।


বিদেশ সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী এবার রোজার ঈদ করেছেন ফিনল্যান্ডে। জাপান ও সৌদি আরব সফর শেষে গত সোমবার হেলসিংকি পৌঁছান তিনি।

বিদেশে থাকলেও মন পড়ে আছে দেশে: ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী

বিদেশে থাকলেও মন পড়ে আছে দেশে: ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী

admin June 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় সফরে ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানান।


ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশবাসী সকলকে আমার পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা। সঙ্গত কারণে এবারের ঈদে বিদেশে থাকতে হলো। বিদেশে থাকলেও মনটা পড়ে আছে দেশে।’


দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'দেশে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার সুবিধা ইতিমধ্যে জনগণ পেতে শুরু করেছে। এবারে ঈদ যাত্রায় রেলপথ, সড়কপথ, আকাশ পথ- প্রতিটি পথেই সু ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।’

ফিনল্যান্ডে পৌছেছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 04, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে পাঁচদিনের জন্য ফিনল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার তাকে বহনকারী লুফথানসা এয়ারের বিমানটি স্থানীয় সময় বেলা ১টা ১০ মিনিটে দেশটির হেলসিনকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফিনল্যান্ডের যাওয়ার পথে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চারঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী।


এরআগে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে তিনদিনের এক সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ মিনিটে জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্র্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করেন।


ফিনল্যান্ডে সফরকালে শেখ হাসিনা ৪ জুন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সাথে বৈঠক করবেন। ৭ জুন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড ত্যাগ করবেন। পরের দিন তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।



এর আগে ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী টোকিও’র উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথমভাগে তিনি জাপান সফর করেন।


শেখ হাসিনার চারদিনের জাপান সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে দু’দেশের মধ্যে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ৪০তম অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী জাপানে ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক নিক্কেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, তার সম্মানে আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি ভোজসভায় অংশ নেন।


এছাড়াও এ সফরকালে হলি আর্টিজেনের ঘটনায় নিহত জাপানী নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা পৃথকভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।


৩১ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের উদ্দেশে জাপান ত্যাগ করেন। তিনি মক্কায় ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন ২০১৯ তে অংশ নেন।


তিনদিনের সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মক্কায় ওআইসি ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে যোগ দেন, পবিত্র ওমরা পালন করেন এবং মদিনায় মহানবী হজরত মুহম্মদ সা. এর রওজা মুবারক জিয়ারত করেন।

টাইগারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

টাইগারদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 03, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রোববার ইংল্যান্ডের ওভালে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩০ রান করে তাদের ২১ রানে হারায় বাংলাদেশ।


এই জয়ের পর সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার, কোচ ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।


শনিবার রাতে মক্কায় ওমরাহ পালনের পর রোববার মদিনায় গিয়ে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী। মদিনা থেকে জেদ্দায় ফিরে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি।


ফিনল্যান্ড সফর শেষে ৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

‘রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসুন’

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
নির্যাতিত মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ভোররাতে সৌদি আরবের মক্কার সাফা প্যালেসে ইসলামি দেশগুলোর জোট ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।


অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বাস্তুতন্ত্র নিয়ে বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা মোকাবিলায় ওআইসিকে একটি কৌশল গড়ে তোলার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা, যাতে জোটের সদস্য দেশগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে। ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধরা অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।


শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেন সৌদি বাদশাহ। সংস্থার মহাসচিবের বক্তব্যের পর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দেন।


সম্মেলনে ওআইসির এশিয়া গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিপীড়িত হওয়া এবং তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।


শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।



গত মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এবং জবাবদিহি ও বিচার সম্পর্কিত প্রশ্নের বিষয়টি সামনে আনার লক্ষ্যে এই ইস্যুকে আন্তনর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার একটি পথ নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।


এ প্রক্রিয়াকে এতদূর নিয়ে আসার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় তহবিল ও কারিগরি সহায়তার দিয়ে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আছে আবেদন করছি।’ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রতি বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ তিনি তা মোকাবেলায় ওআইসির সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।


রিয়াদ সম্মেলনে নিজের দেয়া চারটি প্রস্তাব মক্কা সম্মেলনেও তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হল- অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভেদাভেদ নিরসন, সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল অন্ধকার জগতের আলোকবর্তিকা হিসেবে। কিন্তু অপব্যাখ্যার কারণে সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের ভাবধারা হিসেবে ইসলামকে ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।’


শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘খ্রিস্টান চার্চ আক্রমণের দুঃখভোগী পরিবারের প্রতি আমরা সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়েছি, যে হামলার আমার আট বছর বয়সী নাতি শেখ জায়ানও নিহত হয়।’


ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সাহায্য-সহযোগিতাহীন মানুষ যেভাবে হত্যাকাণ্ডে শিকার হচ্ছে সেসব অসহায় মানুষের বেদনা ও যন্ত্রণার সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ওআইসি যে লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়ার কথাও সম্মেলনে তুলে আনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের জমি ও সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, উম্মাহর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের জনগণের মধ্যে একাত্মতা ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য লক্ষ্যে ওআইসির জন্য হয়েছিল। কিন্তু সাত দশক পরেও ফিলিস্তিনের সমস্যা এখনও বিদ্যমান এবং এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহ এখনও বিভক্ত।


মুসলমানদের অমর্যাদা ও দুর্ভোগের অবসানের পথ নির্দেশনা তৈরি করতে সৌদি বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে রয়েছে অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ। এসব মোকাবেলায় ওআইসিকে একটি বিস্তৃত কৌশল গড়ে তুলতে হবে, যার মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে।’


তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কৌশলগত সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং যুবশক্তির বেশিরভাগই রয়েছে আমাদের হাতে। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরেই সমাধান করার সমক্ষতা থাকা উচিত।’


দরিদ্রকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অসঙ্গতি মোকাবেলার জন্য যৌথ ইসলামী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওআইসি-২০২৫ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। ওআইসির ইন্সটিটিউশনগুলোকে বিশেষ করে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের নীতিমালা ও অনুশীলনগুলোকে ওআইসির এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার ওপরও জোর দেন তিনি।


‘পণ্য বাজারজাত ও পরিষেবায় ধারণা ও উদ্ভাবন আজ ইসলামী বিশ্বের প্রয়োজন’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আওএম) উপ মহাপরিচালক পদে প্রার্থী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের জন্য ইসলামী দেশগুলো নেতাদের সমর্থন চান।


এর আগে ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকালে জাপান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেন শেখ হাসিনা।


সৌদি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়াও রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।


সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় ওমরাহ পালন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর রোববার মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন তিনি।


সৌদি আরব সফর শেষে মদিনা থেকে জেদ্দা ফিরে সোমবার ভোরে ফিনলান্ডের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ফিনল্যান্ড সফর শেষে ৮ জুন দেশ ফিরবেন তিনি। ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা।

চারদিনের সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

চারদিনের সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে সৌদি আরব পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৫১২) বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।


এসময় বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন। বিমান বন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে মক্কা যাবেন। তিনি সন্ধ্যায় মক্কার সাফা প্রাসাদে ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাপানে চারদিনের সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন। জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাবা ফাতিমা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।


সৌদি আরব ওআইসির এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ। পবিত্র মক্কা নগরীতে শুক্রবার ও শনিরাব (১ জুন) ওআইসির ১৪তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


শেখ হাসিনা শনিবার মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। রোববার (২ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠের উদ্দেশে জেদ্দা থেকে বিমানযোগে মদিনা রওয়ানা হবেন। সন্ধ্যায় তিনি বিমানযোগে মদিনা থেকে জেদ্দা যাবেন। সোমবার (৩ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির উদ্দেশে সৌদি আরবের জেদ্দা ত্যাগ করবেন। তিনি ওইদিন দুপুর ১ টায় (ফিনল্যান্ড সময়) হেলসিঙ্কি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাবেন।


প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার (২৮ মে) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জাপান অবস্থানকালে দু’দেশের মধ্যে আড়াই বিলিয়ন ডলারের (চার প্রকল্পের জন্য) একটি সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করেন। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।


এছাড়া প্রধানমন্ত্রী টোকিওতে ২৫তম নিক্কেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশে ২৮ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার প্রথম গন্তব্য ছিলো জাপান। পরের গন্তব্য সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড। ১২ দিনের সফর শেষে আগামী শনিরাব (৮ জুন) তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

admin May 31, 2019

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতেরভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এর বিরোধীতা করেন সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।


ডাকসুর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীতে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।


এর আগে, সভায় গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন-সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

ঢাকা-টোকিও'র ২৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি

ঢাকা-টোকিও'র ২৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি

admin May 30, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশের পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পে ২৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা বিষয়ে জাপানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) জাপানে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি হয়। ঋণচুক্তির পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এ সময়ে জাপানের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


জাপানের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীকে জাপানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি দেন।


বাংলাদেশ মিশন আরও জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়নে ২৫০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা নিয়ে জাপানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন, ঢাকার যোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্প (ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট- লাইন ওয়ান), বৈদেশিক বিনিয়োগে উৎসাহিত করা সংক্রান্ত প্রকল্প (ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন প্রজেক্ট টু), জ্বালানি খাতের উন্নয়ন (এনার্জি ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন প্রমোশন ফিন্যান্সিং প্রজেক্ট ফেইজ টু) এবং মাতারবাড়ি কয়লা উন্নয়ন প্রকল্প (মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট ফাইভ)।


জাপান সরকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে থেকে টোকিও সফরের রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি ও শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টরা সরকারি কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

ত্রিদেশীয় সফরে জাপান পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ত্রিদেশীয় সফরে জাপান পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

admin May 29, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১২ দিনের ত্রিদেশীয় সফরে জাপান পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাংলোদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা) টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে এবং টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান।


এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।


প্রধানমন্ত্রী তার সফরের প্রথমে জাপানে ২৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ফিউচার এশিয়া শীর্ষক ২৫তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভাষণ দেবেন। সেখানে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন শেখ হাসিনা।


জাপানের সফর শেষে শেখ হাসিনা জেদ্দার উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করবেন। তিনি ৩ জুন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। সৌদি আরবে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ১৪তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে মক্কা নগরীতে ৩১ মে ‘মক্কা সামিট : টুগেদার ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।


সৌদি আরব সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ জুন ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির উদ্দেশে জেদ্দা ত্যাগ করবেন। আগামী ৪ জুন ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির সাথে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।


এদিকে জাপান সফরের প্রথম দিনে আজ (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী জাপানি সময় ৮টা ৩০ মিনিটে হোটেল ওকুরাতে কমিউনিটি অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন। ২৯ মে সকালে হোটেল নিউ অটনিতে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে প্রাতরাশ গোলটেবিল সভা করবেন। একই দিন বাংলাদেশে হলি আর্টিসানে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

সমাজে নারী-পুরুষ সমান অধিকার দরকার: প্রধানমন্ত্রী

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
একটি সমাজ গড়ে তুলতে চাইলে সেখানে নারী-পুরুষ সবার অধিকার থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে রোববার জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নস এর বিশেষ সভায় তিনি বলেন, একটা সমাজে শুধু একটা দিকেই উন্নতি করলে সমাজটা পঙ্গু হয়ে যাবে, উন্নতি হবে না।


গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যদি গ্রামের অর্থনীতিকে শক্তিশালী না করি, গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়াই, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করি, তাহলে আমাদের অর্থনীতি কখনই উন্নত হবে না। গ্রামের মেয়েদের জন্য আমরা কি কি কাজের ব্যবস্থা করতে পারি.. এরইমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রামের মেয়েদের মধ্যে যে মেধাটা আছে, যে শক্তিটা আছে তাদের ট্রেনিং দিলে তারা ভালো কাজ করতে পারে। তাদের নিজের উৎপাদিত পণ্যটা তারা নিজেরা বাজারজাত করতে পারে বা তারা নিজেরাও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারে বা সংসারে অবদান রাখতে পারে। সেটা তারা কিভাবে করতে পারে এমন নানামুখী চিন্তা আমরা করেছি এবং সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।




[caption id="" align="aligncenter" width="800"]জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নস এর বিশেষ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জয়িতা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নস এর বিশেষ সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।[/caption]

জয়িতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জয়িতা নামটা দিয়েছিলাম মেয়েদের চিন্তা করে। একটা মেয়ে কাজের মধ্য দিয়ে যখন আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করবে, তার নিজের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস জেগে উঠবে। সে যেন নিজেকে অপাংক্তেয় মনে না করে। সমাজে তারও যে একটা গুরুত্ব আছে সেটা যেন মনে করতে পারে। সেও একটা ক্ষেত্রে জয়ী হল সে কথাটা চিন্তা করে কিন্তু আমরা এই নামটা দিয়েছিলাম। লক্ষ্য ছিল মেয়েদের জন্য আমরা একটা ব্যবস্থা করে দেই, তারা উৎপাদনমুখী কাজ করবে, সেটাকে বাজারজাত করবে এবং তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আসবে। আমাদের সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে কারিগরি শিক্ষার ওপর যাতে কিছু কাজ তারা করে খেতে পারে। সেজন্য কারিগরি শিক্ষায় সবাই যেন সমান সুযোগ পায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।


শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব, জয়িতা যে উৎপাদনগুলো করবে- শুধু কাপড়চোপড় না, খাবারের জিনিস, হাতের জিনিস, বহু জিনিস, এগুলো তৈরি করার মত কিন্তু মেয়েদের যথেষ্ট দক্ষতা আছে। সামান্য একটু ট্রেনিং পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দেওয়া এবং তাদের গাইডলাইন দেওয়া। মেয়েদের অবস্থান সুদৃঢ় করা এবং সম্মানজনক করার জন্যই জয়িতার সৃষ্টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে আবার পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করাই লক্ষ্য।

‘জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার’

admin May 25, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং দেশকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা। তিনি বলেন, দারিদ্র্য হ্রাসের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি ...আমাদের সর্বদা একটি লক্ষ্য- দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, তাদের দারিদ্র থেকে মুক্ত করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করা।


শনিবার গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতি সেতু উদ্বোধনের পর সরকারপ্রধান এসব বলেন। নবনির্মিত সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে খুবই সহায়ক হবে। সেতুগুলো আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বর্তমান বিশ্ব এখন একটি বৈশ্বিক গ্রাম। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সকলের সঙ্গে মিলে চলতে হবে। আমরা মনে করি, এই কাজগুলো শুধু আমাদের জন্য নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও অনেক অবদান রাখবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সড়ক, নৌ, রেলপথ ও বিমান যোগাযোগ উন্নয়ন করছে এবং দেশের জনগণ সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে। ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মেট্রোরেল নির্মাণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে ১৬টি স্টেশন থাকবে এবং এতে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে। একবার এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে, ভোগান্তি থাকবে না।



শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, উন্নয়ন সহযোগী, সর্বোপরি দেশের জনগণের সকল ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে সরকার। সড়কে চলাচলের সময়, বিশেষ করে রাস্তা পারাপারের সময় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে সবাইকে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।


পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে গত ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত একই প্রকল্পের আরেকটি সেতু- দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।


প্রকল্প সূত্র জানায়, জাপানি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেতু তিনটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে আট হাজার ৪৮৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) ছয় হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।


চুক্তি অনুযায়ী, জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালের জুনে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। পরে সরকার নির্মাণ কাজের সময়সীমা ছয় মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাত মাস আগেই সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। এটি পুরানোটির চেয়ে প্রস্থে দুই মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ এরইমধ্যে পুরানো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।


এদিকে ৯৩০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয় এক হাজার ৭৫০ কোটি এবং ১,৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ ব্যয় এক হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করেন তিনি।


এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত মেঘনা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট একেবারে নেই বললেই চলে। সেতুটি হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবার আর ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার পথে মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হবে না বলে আশা করছে চালক-যাত্রীরা। শনিবার উদ্বোধনের পর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হতো দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে, সেখানে একেবারেই ফাঁকা এ সড়কটি। এখানে শুধুমাত্র টোল আদায়ের সময়টুকু ছাড়া আর কোনো জটলাও নেই। জানা যায়, প্রতিবছর ঈদসহ বড় কোনো ছুটি এলেই বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এ সড়কে। এ যানজট ছাড়িয়ে যায় কাঁচপুর সেতু ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কেও। গত বছর রমজানের শেষ দিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে এ যানজট ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত চলে আসে। তবে এবার আর সে ধরনের কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।


স্থানীয় সূত্র মতে, জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। গোমতী-মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছিলো। বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে চলমান এ ভোগান্তির অবসানে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় গোমতী-মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three