Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
আশুলিয়ায় দুই পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

আশুলিয়ায় দুই পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঢাকার আশুলিয়ায় পৃথক স্থান থেকে রুবি আক্তার (৩০) ও জান্নাতি (১৯) নামে দুই পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী কোনাপাড়া চিরিঙ্গা পুকুরপাড় এলাকা ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউসুফ মার্কেট এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।


রুবি আক্তার ধামরাই উপজেলার চন্ডিশ্বর গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে। তিনি স্বামী-সন্তানের সঙ্গে আশুলিয়ার কোনাপাড়া চিরিঙ্গা পুকুর পাড় এলাকায় ভাড়া থেকে ডিইপিজেড পুরাতন জোনের লেনীফ্যাশনে চাকরি করতেন। জান্নাতি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।


পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় রুবির ছেলে মাদ্রাসা থেকে ফিরে বাসায় এসে তার মাকে ডাকাডাকি করে। এ সময় ভেতর দিয়ে দরজা লাগানো দেখে জানালা দিয়ে তার মাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।


অপরদিকে বোন জামেলা জান্নাতিকে বাসা পরিবর্তনে সহযোগীতা করতে বললে সে না করে নিজ বাসায় চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে জান্নাতির স্বামী জামেলাকে ফোন করে বলে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এরপর জামেলা তার বাসায় গিয়ে দেখেন জান্নাতি বিছানায় পরে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ শনিবার বলেন, স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় রুবির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া জান্নাতির লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাত্র চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তার হওয়া আরথিন মোড়ল মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গারামপুর এলাকার এমারাত মোড়লের ছেলে। সে মুন্সিগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।


মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গরামপুর গ্রামের এক দিন মজুরের শিশু কন্যাকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল বাড়ির পাশের পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার মা বিষয়টি টের পেলে পরে সে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।


এ ঘটনায় স্থানীয়রা কয়েক দফা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এতে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় থানায় মামলা করেন মেয়েটির মা।


এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তাকে বিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


এদিকে নির্যাতিতা শিশুটিকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা।


তিনি বলেন, ওই ছেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে আমি বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে। আমাকে দেখে ওই ছেলে পালিয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ। প্রথমে এলাকার লোকজন সালিশ করে দিবে বলেছিল। পরে তারা কিছুই করেনি। আমি এর বিচার চাই।


স্থানীয় মাতুব্বর ফিরোজ মল্লিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি। সত্য ঘটনা তো চাপা থাকে না। অনেকেই চেয়েছিল সালিসের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। আমি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই ছেলে এর আগেও অন্য একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো।

দাদিকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ

দাদিকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মৌলভীবাজারে ঘরের মধ্যে দাদিকে বেঁধে রেখে উঠানে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জুন রাতে সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন ঘটনান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।


মামলার আসামিরা হলেন- জাহিদ মিয়া (৩০) ও রাব্বি মিয়া (২৮)। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।


ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর মা জানান, গত ১৫ জুন মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন গভীর রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় অভিযুক্ত জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। পরে ওই কিশোরী ও তার দাদিকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে তারা ঘর থেকে বের করে উঠানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।


এসময় ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে রাখে তারা। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই কিশোরী। ভোরবেলা জ্ঞান ফেরার পর দাদির বাঁধন খুলে মাকে ফোন করে জানায় সে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.ইমরান হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।


এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামি রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা পুত্রের, লজ্জায় পিতার আত্মহত্যা

শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা পুত্রের, লজ্জায় পিতার আত্মহত্যা

admin June 23, 2019

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল কবির জানান, গতকাল ভোরে অষ্টগ্রামে এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. নাইম ইসলাম (২৭) সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বসু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নাইমের বাড়ি থেকে তার শ্যালিকা তামান্নার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে নাইম পলাতক ছিলেন।


এদিকে ছেলের অপকর্মের কারণে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে নাঈম ইসলামের পিতা বসু মিয়া (৫০)। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোসাইপুর গ্রাম থেকে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বসু মিয়া জেলার সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে।


গত ২০ জুন বসু মিয়ার ছেলে নাঈম ইসলাম (২৭) তার শ্যালিকা তামান্না আক্তারকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যা করে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।


প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বসু মিয়া।


উলে­খ্য, নাঈম তার বাবা বসু মিয়ার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্নাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন নাঈম।


বুধবার রাতে বসু মিয়া কাজে গেলেও নাঈম যাননি। নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানান তিনি সকালে ঢাকা থেকে তার মাকে আনতে যাবেন।


রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ান। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন।


সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত।


খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী স্মৃতি।


এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম শনিবার ভোরে সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ছাত্রকে হাত-পা-মুখ বেঁধে রড দিয়ে পেটালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

ছাত্রকে হাত-পা-মুখ বেঁধে রড দিয়ে পেটালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

admin June 22, 2019

চোর সন্দেহে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় সুমন চৌকিদার (১৩) নামের এক ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ এঁটে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক আহসানউল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।


শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে হাজির করা হলে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


মারধরের শিকার সুমন সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বশাকবাজার এলাকার রহিম চৌকিদারের ছেলে ও হেতালিয়া বাধঘাট আকন বাড়ি হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক আহসানউল্লাহ একই উপজেলার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের আওলিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা।


সুমনের মামা ইলিয়াস বলেন, ‘হেতালিয়া বাধঘাট আকন বাড়ি হাফেজি মাদ্রাসার পাশেই একটি দোকান আছে শিক্ষক আহসানউল্লাহর। সম্প্রতি সেই দোকান থেকে দুই হাজার টাকা চুরি হয়। সে টাকা চুরির সন্দেহে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে সুমনকে বেত দিয়ে মারধর করেন আহসানউল্লাহ। একপর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে তিনি রড দিয়ে সুমনকে পেটান।’


একই কথা জানান ওই মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, মারধরের একপর্যায়ে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ওই কক্ষে রেখে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যান আহসানউল্লাহ। এরপর সুমনের বাড়িতে খবর পাঠালে তার স্বজনেরা মাদ্রাসায় গিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতলে ভর্তি করেন।


সুমনের বাবা রহিম চৌকিদার বলেন, ‘আমরা আহসানউল্লাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার ছেলের অবস্থা খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বরিশালে নিয়ে যাচ্ছি।’


পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিম মাতুব্বর বলেন, ‘সুমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।’


ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় সুমনের মা রেহেনা বেগম থানায় মামলা করেছেন। গ্রেফতার আহসানউল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

admin June 21, 2019

ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।


শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ওয়াজঘাট এলাকা থেকে মিসকাত হোসেন (১২) ও নুসরাত আকতারের (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থানার ওসি রেজাউল করিম ভূইয়া।


এর আগে সকালে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল মসজিদ ঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে গিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টায় এম ভি পূবালী -৭ নামের এক লঞ্চের ধাক্কায় একই পরিবারের চার সদস্যসহ ৫ যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবে যায়।


পরে নৌকার মাঝিরা এক বছরের শিশুকন্যা নুসাইবাসহ মা জোছনা বেগম ও মামাকে উদ্ধার করলেও ভাই-বোন মিসকাত হোসেন ও নুসরাত আকতার নদীতে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

পটুয়াখালীতে এক বেওয়ারিশসহ ৩ লাশ উদ্ধার

পটুয়াখালীতে এক বেওয়ারিশসহ ৩ লাশ উদ্ধার

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
পটুয়াখালীর বাউফল ও মহিপুর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাউফলের বগা ফেরিঘাট সংলগ্ন লোহালিয়া নদীর চর থেকে পুলিশ একজন নারী ও একজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না-তদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।


পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। বোরকা পরিহিত ওই নারীর পরনে সালোয়ার-কামিজ ছিল। তাকে ভুড়ি বের হওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই-একদিন আগে ওই নারীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে। কারণ ওই নারীর পেট কাঁটা থাকলেও তার ব্যবহৃত বোরকা এবং পরনের পোশাক অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।


অপরদিকে অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে। ওই ব্যক্তি ৪-৫ দিন আগে মারা যাওয়ায় মরদেহে পচন ধরেছে। এটি নদীর চরে আটকে ছিল বলেও জানান তিনি।


পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, যারাই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক না কেন ময়না-তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা চলেছে।


এদিকে গত বুধবার রাতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের গঙ্গামতি পয়েন্ট থেকে সাগরে ভেসে আসা একটি বেওয়ারিশ লাশ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।


মহিপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহের নাম-পরিচয় পাওয়া যায় নাই। ময়না-তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার দুই উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে ৬ লাশ উদ্ধার

ঢাকার দুই উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে ৬ লাশ উদ্ধার

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঢাকার অদূরে সাভার ও আশুলিয়া থেকে এক রাতে ৪ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি নারী ও দুটি পুরুষের লাশ। গত বুধবার রাতে সাভারের উলাইল এলাকার ভাণ্ডারির মোড়, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইটাখোলা, পলাশবাড়ী ও ডেন্ডাবর এলাকা থেকে ওইসব লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও এক দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা দুই নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।


পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে সাভারের উলাইলের ভাণ্ডারির মোড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।


অন্যদিকে রাতেই আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ইটাখোলা এলাকা ও ডেন্ডাবর এলাকার দুটি বাড়ি থেকে দুই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত বুধবার রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর পাল গার্মেন্টসের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।


আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, কীভাবে ওইসব ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


অপরদিকে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. লিটন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেফটির ট্যাংক থেকে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের বয়স আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫।


জানা গেছে, বিকাল ৫ টার দিকে ওই দুই শ্রমিক সেফটিক ট্যাংকির ভিতরে সেন্টারিংয়ের বাঁশ-কাঠ খোলানোর জন্য নামে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় সেখানে অক্সিজেনের অভাবে তারা দুজনই অচেতন হয়ে যায়। ট্যাংকির ভিতর জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পড়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায়।।


লিটন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে দুই শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে অন্য কোন নির্মাণ শ্রমিক কিংবা ঠিকাদার না থাকায় তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।


সাভার মডেল থানার এসআই মো. আবু সাঈদ পিয়াল বলেন, দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় সনাক্ত এবং মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বরগুনার পাথরঘাটায় এক যুবক ঘরে আগুন দিয়ে সৎ মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


গত বুধবার গভীর রাতে রুহিতা গ্রামের এ ঘটনায় মেয়েটির মা দগ্ধ হয়েছেন বলে পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ শিকদার জানিয়েছেন।


নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সাজেনূর বেগমের মেয়ে সখিনা (১০) ও সাজেনুরের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হোসেন (৩৫)।


সাজেনুরের চাচাত ভাই মো. ইব্রাহিম বলেন, বছর দেড়েক আগে ৩০ বছর বয়সী সাজেনুরের সঙ্গে বেলালের বিয়ে হয়। প্রথম দিকেই কলহ দেখা দিলে একাধিকবার শালিস হয়। সাজেনূর ও তার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দেন বেলাল।


গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ঘরে আগুন দিয়ে বেলাল দরজা বন্ধ করে দেন। আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করার আগেই সখিনা মারা যায়। সাজেনুরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ে। এদিকে বেলাল একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, সাজেনুরের শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।


তার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির।


শাজেনূরের ফুফাতো বোন ফাতেমা বেগম জানান, দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শাজেনূর জানিয়েছেন, রাতে তার ঘরে হঠাৎ করে আগুন জ¦লে উঠে। এ সময় মা-মেয়ে ঘর থেকে বের হতে চাইলে (তার দ্বিতীয় স্বামী) বেলাল হোসেন রাম দা দিয়ে ধাওয়া দেয়, এজন্য তারা ঘর থেকেও বের হতে পারেননি। এতে ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে মারা যায় কারিনা। দগ্ধ হন শাজেনূর। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীরা।


পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জিয়া উদ্দিন আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শাজেনূর নামে এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে।


পাথরঘাটা থানা ওসি হানিফ শিকদার বলেন, ময়না-তদন্তের জন্য শিশু কারিনার লাশ বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে মাদ্রাসাছাত্র পরানকে হত্যা করে শিক্ষক

বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে মাদ্রাসাছাত্র পরানকে হত্যা করে শিক্ষক

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
যশোরের শার্শায় মাদ্রাসা ছাত্র শাহ পরানকে তার শিক্ষক হত্যা করেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বলাৎকার করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে পুলিশের ভাষ্য।


শার্শা থানার এসআই মামুনুর রশিদ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে খুলনা জেলার দিঘলিয়া আরাবিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে হাফিজুর রহমান নামে এই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করার পর ‘তিনি হত্যার দায় স্বীকার’ করেছেন।


গত ২ জুন শার্শার গোগা গাজীপাড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজুর রহমানের ঘরের খাটের নিচে থেকে শাহ পরান (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে হাফিজুর পলাতক ছিলেন।


এসআই রশিদ হাফিজুরের বরাতে বলেন, রোজার সময় তারাবি শেষে মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে ওই শিশুকে হাফিজুর মাথা টিপে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরদিন ওই শিশুকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন।


‘সেখানে তাকে নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে আত্মগোপন করেন। হাফিজুর গোগা গাজিপাড়া গ্রামের মুজিবর রহমান মোল্লার ছেলে। বেনাপোলের কাগজপুকুর খেদাপাড়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম তিনি। নিহত শাহ পরান কাগজপুকুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে।’


শার্শা থানার ওসি এম মসিউর রহমান বলেন, বুধবার দুপুরে হাফিজুরকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অটোরিকশার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ: নওগাঁ ও পাবনায় নিহত ৫

অটোরিকশার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ: নওগাঁ ও পাবনায় নিহত ৫

admin June 13, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নওগাঁ ও পাবনায় অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পাবনা শহরের চাঁদমারী এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।


মহদেবপুর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, নওগাঁ-পত্নীতলা সড়কের মহিষবাথান এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল আরোহী মহাদেবপুরের বিজয়পুর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে সাগর হোসেন (১৮), একই গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে রুহানী (১৯) এবং দুলাল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (১৮)। আহত ইজিবাইক চালক কালুমিয়া ওরফে বাবু (১৯) মহাদেবপুরের কালুশহর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তাকে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


মহদেবপুর ধানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, তিন যুবক একটি মোটরসাইকেলযোগে বিজয়পুর ফিরছিলেন। পথে মহিষবাথান ও কালনার মধ্যবর্তী স্থানে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শরিফুল ইসলাম ও রুহানীর মৃত্যু হয়। সাগর ও কালু মিয়াকে মহাদেবপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাগরের মৃত্যু হয়। কালু মিয়াকে আশংকাজনক জনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি সাজ্জাদ হোসেন।


অপরদিকে পাবনা সকালে শহরের চাঁদমারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক জানান। নিহতরা হলেন- সদরের বললামপুর গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে ওয়ালিদ হোসেন ওরফে অলিব (২০) ও তার ভাই শফিকুলের ছেলে প্রান্ত (১৫)।


ওসি বলেন, ওয়ালিদ ও প্রান্ত মোটর সাইকেলে করে পাবনা বিসিক শিল্প নগরীতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল। পথে বিপরীত দিক থেকে একটি অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোট রসাইকেলের সংঘর্ষ হলে চাচা ভাতিজা আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী: হত্যার পর লাশকে ধর্ষণ, ধর্ষক সাইফুল গ্রেপ্তার

নরসিংদী: হত্যার পর লাশকে ধর্ষণ, ধর্ষক সাইফুল গ্রেপ্তার

admin June 12, 2019

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা।


একই সঙ্গে ধর্ষক সাইফুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবন্ধী তরুণীর মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক কাজী শামসের আহম্মেদ।


তিনি জানান, গত ৬ জুন বিকেলে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার (২১) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৮) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজি যোগে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে সাবিনা বাধা দিলে সাইফুল তার জামা দিয়ে সাবিনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং তার লাশকে ধর্ষণ করে। পরে তার লাশ কলা ক্ষেতে ফেলে চলে যায়।


এ সময় সে সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে সাইফুল আত্মগোপন করে থাকে। গত ৮ জুন স্থানীয় লোকজন উল্লেখিত কলাবাগানে লাশ দেখে শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে সাবিনার মা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।


র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ বিষয়ে খবর পেয়ে র‌্যাব তাদের একটি গোয়েন্দা দল এএসপি মোঃ আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। গত ১১ জুন র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল শিবপুর থানার কলেজ গেইট এলাকা থেকে হত্যা ও ধর্ষণকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সাইফুলের দেখানো মতে তার বাড়ির বাথরুম থেকে সাবিনার মোবাইল ফোন ও বাড়ীর পাশের একটি নর্দমা থেকে সাবিনার ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

শেরপুরে অন্তঃসত্ত্বাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ!

শেরপুরে অন্তঃসত্ত্বাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ!

admin June 12, 2019

নিউজ ডেস্ক:



শেরপুরের নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়েছে। ওই নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার রাতে ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র ফাঁস হওয়ায় এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।



 



ডলি খানম পৌর শহরের কায়দা এলাকার দরিদ্র কৃষক শফিউল্লাহর স্ত্রী ও স্থানীয় চন্দ্রকোনা কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ঘটনার হোতা নির্যাতিতা গৃহবধূর ভাসুর আবু সালেহসহ জড়িতরা এখনও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়।



 



এ ঘটনায় অসহায় শফিউল্লাহ গত ৩ জুন শেরপুরের আমলী আদালতে তার ভাই আবু সালেহসহ ৫ জনকে স্বনামে ও আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করে একটি নালিশী মামলা দায়ের করছেন। আদালতের বিচারিক হাকিম শরীফুল ইসলাম খান ভিকটিমের এমসি তলব (ডাক্তারি পরীক্ষার সনদ) সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুর পিবিআই’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।



 



মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নকলা পৌর শহরের উপকণ্ঠ কায়দা গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে মো. শফিউল্লাহর সঙ্গে এক খণ্ড জায়গা নিয়ে তার সহোদর বড়ভাই আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিম উল্লাহর (৪৪) বিরোধ ও মামলা চলে আসছিল। এর জের ধরে ১০ মে সকালে স্থানীয় গোরস্থান সংলগ্ন শফিউল্লাহর দখলীয় জমির ইরি-বোরো ধান আবু সালেহ ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কাটতে গেলে শফিউল্লাহ বাধা দেন।



 



এতে তিনি প্রতিপক্ষের ধাওয়ার মুখে পিছু হটে নকলা থানায় ছুটে যান। ততক্ষণে আবু সালেহর নেতৃত্বে একদল লোক ধান কাটতে শুরু করে। পরে শফিউল্লাহর ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানম ডাক-চিৎকার দিয়ে বাঁধা দিতে গেলে আবু সালেহর হুকুমে তার ছোটভাই সলিমউল্লাহ, ভাইবউ লাখী আক্তারসহ অন্যান্যরা তাকে ঘেরাও করে ফেলে।



 



এক পর্যায়ে তার চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে তাকে টানা-হেঁচড়া করে পাশের ক্ষেতের আইলের থাকা একটি গাছের সঙ্গে পেছনে হাত রেখে বেঁধে ফেলে। একইসঙ্গে পাশের অন্য গাছের সঙ্গে টানা দিয়ে বেঁধে ফেলে তার ২ পা। এছাড়া তার গোপনাঙ্গসহ পেটে, বুকে, পিঠে উপুর্যপরি কিল-ঘুষি-লাথির আঘাতে তাকে নিস্তেজ করে ফেলে। ওই নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে লাখী আক্তার।



 



এ ঘটনা দেখে শফিউল্লাহকে ওই নির্যাতনের খবর জানাতে ছুটে যায় থানায় এক প্রতিবেশী। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় ডলি খানমকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত আবু সালেহ ও তার ছোট ভাই বউ লাখী আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসার কথা বলে ডলি খানমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর পর প্রভাবশালীদের তদবিরে ছাড়া পেয়ে যান আটক ২ জন।



 



অন্যদিকে বর্বর নির্যাতনে ডলি খানমের রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং তাকে ১৬ মে পর্যন্ত ৭ দিন চিকিৎসা দেয়ার পরও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেও ২২ মে পর্যন্ত ৭ দিন চলে তার চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, নির্যাতনের কারণে ডলি খানমের অকাল গর্ভপাত হয়েছে।



 



ওই ঘটনায় অসহায় শফিউল্লাহ ৩ জুন শেরপুরের আমলী আদালতে আবু সালেহসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম খান ভিকটিমের এমসি তলব সাপেক্ষে ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুরের পিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।



 



মঙ্গলবার বিকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী শফিউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বড়ভাই সেনাসদস্য নেছার উদ্দিনের ইন্ধনে তার স্ত্রী লাখী আক্তার এবং অপর ২ ভাই আবু সালেহ ও সলিমউল্লাহসহ তাদের ভাড়াটে লোকজন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানমকে বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দিয়েছে। এছাড়া তার প্রভাবেই থানা পুলিশের এসআই ওমর ফারুক মহিলা কনস্টেবলসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডলি খানমকে উদ্ধারের পরও কোন প্রতিকার পাইনি।



 



এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটিও থানাতেই গায়েব করে দেয়া হয়েছে। তবে অনেক চেষ্টায় ঘটনার প্রায় এক মাস পরে হলেও সেই ভিডিওর কিছু অংশ এক প্রতিবেশির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি।



 



তিনি আরও বলেন, এমন বর্বর নির্যাতনের পরও তারা আজ বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। আর আমি অসহায়। এজন্য আমি ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।



 



বিষয়টি সম্পর্কে নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, জমি-জমার বিষয় নিয়ে ভাই-ভাইদের মধ্যে বিরোধ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে দুপক্ষকেই শান্ত করা হয়েছিল। গৃহবধূকে নির্যাতনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।



 



এ ব্যাপারে জামালপুর পিবিআইয়ের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রাণী সরকার বলেন, আদালতের কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। পেলে অবশ্যই দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুষ্টিয়ায় ডোবা থেকে মুয়াজ্জিনের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় ডোবা থেকে মুয়াজ্জিনের লাশ উদ্ধার

admin June 12, 2019

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ডোবা থেকে মসজিদের এক মুয়াজ্জিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুমারখালী থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে আলতাফ হোসেন (৭০) নামে এই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন তারা। আলফাত উপজেলার গোবিন্দপুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। একই এলকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।


ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান আলতাফ হোসেন। পরে আর ফিরে আসেননি। মঙ্গলবার দুপুরে মসজিদের কাছে একটি ডোবায় লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলতে পারেনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোণায় কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা, যুবক আটক

নেত্রকোণায় কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা, যুবক আটক

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নেত্রকোণার সদর উপজেলায় দা দিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে; এ ঘটনায় এক জড়িত অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।


উপজেলা সাকুয়া এলাকায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা বলে নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান। নিহত উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের বিষ্ণু বর্মণ (৬০)। আটক তাসকিন (৩০) ওই এলাকার এমএ ওয়াহেদের ছেলে।


ওসি বলেন, দুপুরে বিু বাড়িতে একা বসে ছিলেন। এ সময় তাসকিন তার বাড়িতে ঢুকে দা দিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে বিুকে হত্যা করে।


ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাকুয়া বাজার এলাকা থেকে তাসকিনকে আটক করে বলে জানান ওসি। এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি দা ও রক্তমাখা শার্ট জব্দ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: রাস্তায় মৎস্যজীবীরা

সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: রাস্তায় মৎস্যজীবীরা

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিতে সীতাকুণ্ডে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে মৎস্যজীবীদের একটি সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুরে শাহ আমানত সেতু এলাকায় সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির ২০ মিনিটের সড়ক অবরোধ কর্মসূচির সময় সেতু ও আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে গত রোববার উত্তর চট্টলা উপক‚লীয় জলদাস সমবায় কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে জেলেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন।


মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফিশারিঘাট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে কয়েকশ মানুষ শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য শিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকার। বক্তব্য দেন সমিতির নেতারা। সমাবেশে আমিনুল ইসলাম বলেন, অন্য বছর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এটা নতুন করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ৭২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। দাবি না মানলে, আবার আমরা রাজপথে নামব। মৎস্যজীবীদের সবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আন্দোলন করা হবে।


দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ভাসান জাল ব্যবহার করি। আমাদের জালে ছোট মাছ ধরা পড়ে না। তাই এই নিষেধাজ্ঞায় আমাদের অন্তর্ভূক্ত করা অযৌক্তিক। ইলিশের প্রজনন মৌসুমেও ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। আষাঢ় মাসে ইলিশ ধরার মৌসুম শুরু। এখন আমাদের সব বোট বসে আছে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বরাদ্দ আমাদের মৎস্যজীবীরা নেবে না। এতে তাদের পরিবার চলবে না।


বাকলিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন জানান, মৎস্যজীবীরা ১৫ মিনিটের মত সড়কে ছিল। পরে তাদের আশ্বস্ত করে সরিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা সরে যাওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়কে যানজট লেগে ছিল। এ সময় শাহ আমানত সেতুর ওপর যানবাহনের লম্বা লাইন সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা যাত্রীরা অনেকে হেঁটে সেতু পার হন। গত ২০ মে থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। আগামি ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের নৌযানের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।


বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ও কাঁকড়াসহ কঠিন আবরণযুক্ত জলজ প্রাণীর (ক্রাস্টাসিয়ান্স) জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করার স্বার্থে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এ সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তবে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ৪৫ দিন। এ বছর তা বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে।

কুমিল্লা: মেয়ের বিয়ের আগেই প্রেমিকের সঙ্গে লাপাত্তা মা!

কুমিল্লা: মেয়ের বিয়ের আগেই প্রেমিকের সঙ্গে লাপাত্তা মা!

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় যুবলীগ নেতা রজ্বব হোসেন রাজু (৩৮) পাশের গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী রিতা আক্তারকে (৩৬) নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।


রজ্বব হোসেন রাজু আকবপুর ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক। এই ঘটনায় তাকে তার পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী রিতা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। এরই জের ধরে ঈদুল ফিতরের পর ৬ মে রাতে দুইজন পালিয়ে যায়।


রিতা মোহাম্মদপুর আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কিন্ডার গার্টেন স্কুলটি বন্ধ রয়েছে।


প্রবাসী স্বামী ছেড়ে যাওয়া রিতা আক্তারের পরিবারে ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বরপক্ষ এসে তাকে দেখে পছন্দ করে গেছে। ঈদের পর তার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার কথা থাকলেও এখন আর এই বিয়ে হচ্ছে না।


অপরদিকে আকুবপুর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের রজ্বব হোসেন রাজুর পরিবারেও তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ২য় স্ত্রীর পরিবারে ২টি ছেলে সন্তান ও এক মেয়ে রয়েছে।


এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. নাইউম খাঁন বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর এক জরুরি সভা ডেকে রজ্বব হোসেন রাজুকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আকবপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সম্মেলন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন।

দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ: জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন (ভিডিওসহ)

দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ: জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন (ভিডিওসহ)

admin June 10, 2019

বরগুনার পাথরঘাটায় দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রলার মাঝি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে জসিম নামে এক জেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার জেলে পল্লী হাজিরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জসিম ওই এলাকার বাসিন্দা।


জেলে জসিম বলেন, ‘চার মাস আগে পাথরঘাটার নজরুলের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে হিসেবে সাগরে মাছ ধরতে ৮ হাজার টাকা দাদন নিয়েছি। মৌসুমের শুরুতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রলারের মাঝি জাকির সাগরে যেতে তাগিদ দেন। কিন্তু এতে আমি রাজি হইনি।’


তিনি আরও বলেন, ‘রোববার সকালে বাজারে গেলে ট্রলারের মাঝি জাকির হোসেনের সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় জাকির আমাকে তার ট্রলারের কাছে নিয়ে যান। জাকির টাকা ফেরত চাইলে আমি ১৫ দিন সময় চাই। কিন্তু সময় না দিয়ে আমাকে মারধর করে অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে।’


‘সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শিকলে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে ট্রলার মালিকের ছোট ভাই আল-আমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে মুক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠান’ বলেও জানান জসিম।


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাঝি জাকির হোসেন বলেন, ‘জসিম আরও কয়েকটি ট্রলারের দাদন নিয়েছে। আমাদের টাকা ফেরত চাইলে তা ফেরত না দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন পর তার দেখা পেলে তাকে ট্রলারের স্টাফদের কাছে রেখে আমি বাড়িতে যাই। পরে কে বা কারা জসিমকে শিকলে বেঁধেছে আমি জানি না।’


ট্রলার মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৌসুমে মাঝির দায়িত্বেই ট্রলার মাছ শিকারে যায়। জেলে জোগাড় ও দাদন দেওয়াসহ জেলেদের সব দায়িত্ব থাকে মাঝির ওপর। জসিমকে শিকলে বেঁধে রাখার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাইকে পাঠিয়ে জসিমকে মুক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি। মাঝি জাকির যে ঘটনা ঘটিয়েছে জেলে সমিতির মাধ্যমে এর বিচার হবে।’


বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধের কারণে উপকূলীয় হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। দাদনের টাকা নিয়ে পাথরঘাটায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।


বরগুনা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি বলেন, ‘জেলে সমিতিতে ভুক্তভোগী জেলে অভিযোগ করলে তদন্ত করে মাঝির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


[embed]https://youtu.be/-t3UG7etkSo[/embed]
রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৬) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার সদর থানায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে প্রতিবেশি শিল্পী বেগমসহ অজ্ঞাত ৪ ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছেন।


স্কুল ছাত্রীর বাবা ফজলুর রহমান জানান, ঘটনার দিন তিনি ঢাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি এসে জানতে পারেন, কয়েকজন লোক মুখ বেঁধে তার মেয়েকে বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে।


তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুই লাখ টাকার জন্যে পাশের বাড়ির জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শিল্পী বেগম তার মেয়ের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। তাই ওই নারীকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোঃ সোহেল ব্যাপারী জানান, পাশের বাড়ির শিল্পী বেগমকে ধরতে পারলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।


স্থানীয় বাসিন্দা সাথী সরকার জানান, ঘটনার দিন পাট ক্ষেতের পাশে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তারা এগিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং গায়ের জামা কাপড় ছেড়া ছিল।


ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলেন, এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় শিল্পী বেগমসহ অজ্ঞাত চার ব্যক্তির নামে একটি মামলা করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দুটি দল মাঠে কাজ করছে এবং আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাবে না। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর মূল কারণ বলা যাবে। বর্তমানে মেয়েটি সুস্থ আছে। তাকে নিরাপত্তা দিতে সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


এর আগে গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

বাবার কোল থেকে বাসের চাকার নিচে শিশুকন্যা

বাবার কোল থেকে বাসের চাকার নিচে শিশুকন্যা

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বাসের চাপায় দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুর নাম ইসরাত জাহান। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চৌঠাইমহল বাসষ্ট্যাণ্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইসরাত উপজেলার শাখারিকাঠী ইউনিয়নের চালিতাবাড়ি গ্রামের ইসরাফিল বেপারীর মেয়ে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাবা-মাসহ সঙ্গে ভ্যানে করে তারা গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় বেপারোয়া গতিতে ঢাকা থেকে আসা পিরোজপুরগামী গ্রিনলাইন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৯৮৯) একটি বাস ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়।


এতে ওই ভ্যানে বাবার কোলে থাকা শিশুসহ তারা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় ওই গাড়ি শিশুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলের তার মৃত্যু হয়। পিরোজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সরোয়ার জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three