Showing posts with label ফণী. Show all posts
Showing posts with label ফণী. Show all posts
ফণীর প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

ফণীর প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

admin May 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ফণী গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেও এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে দেশে ও দেশের বাইরে আসাম, মেঘালয়, সিকিমে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ছে। ফলে আগামীকাল নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা হতে পারে।


ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ৫ মে অর্থাৎ রোববার নাগাদ আসাম, মেঘালয়, ময়মনিসংহ ও সিলেট অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৬ মে নাগাদ ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওয়া বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফণী’র প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলগুলোর কতিপয় স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে ৬ মে (সোমবার) নাগাদ উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীগুলো বিশেষত সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যদুকাটা ও তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে আকষ্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯টি স্টেশনের মধ্যে শনিবার ২৯টি পয়েন্টে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে ৯ টিতে আর ১টির তথ্য পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাইজদীকোর্টে, ১২১ মিলিমিটার।

বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে কন্ট্রোলরুম খুলেছে। কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙলে অথবা ভাঙার উপক্রম হলে জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোলরুমে ফোন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


এই মন্ত্রণালয় থেকে হাওর ও বন্যার ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলের জেলা প্রশাসকদের বিশেষ সতর্ক থাকতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ফণীর আঘাতে ১৪ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে ফণীর আঘাতে ১৪ জনের মৃত্যু

admin May 04, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবেশ করে। ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়।


খবর অনুযায়ী, ফণীর প্রভাবে ও আঘাতে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


ভোলা : ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে আজ ভোলার সাত উপজেলায় প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার দক্ষিণ দিঘলদী এলাকায় ঘরচাপা পড়ে রাণী বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।


এছাড়াও ভোলার বোরহানউদ্দিনের চর জহিরউদ্দিন, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল, মনপুরার চর নিজাম, চরফ্যাশনের ঢাল চর, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলাসহ কয়েকটি চরে ঘরবাড়ি ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে প্রায় ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।


নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজব্বর ইউনিয়নের চর আমিনুল হক নামক গ্রামটি টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আজ ভোর ৪টায় এক থেকে দেড় মিনিটের এ টর্নেডোতে প্রায় শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘরচাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০-৩৫ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


কিশোরগঞ্জ : ফণীর প্রভাবে গতকাল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়ার তিনজন, মিঠামইনের দুইজন ও ইটনার একজন রয়েছেন।


নিহতরা হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), একই উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০), একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর (১৭), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), একই উপজেলার কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।


নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল বারেক (৩৫)। তিনি মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের মনিকা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত রোমালির ছেলে।


বরগুনা : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে কাঠের ঘর ভেঙে পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামের বাঁধঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নুরজাহান (৬০) ও তার নাতি জাহিদুর (৯)। জাহিদুর বাঁধঘাট এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে।


বাগেরহাট : প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বইছে ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত হন। তিনি ওই গ্রামের মোজাহারের স্ত্রী।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ বজ্রপাত হয়। নিহত আপেল ওই গ্রামের উরমুজ আলীর ছেলে। তিনি ক্ষেতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন।


মাদারীপুর : ঘূর্ণিঝড় ফণীকে ঘিরে দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের সময় গতকাল বিকেলে এক যাত্রী নিহত ও ১০ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় আমির হামজা নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শিশুটি উদ্ধার করতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে কাজ শুরু করলেও বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে। এ দুর্ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৯ স্পিডবোট চালককে আটক করেছে পুলিশ।

‘ফণী’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

‘ফণী’ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

admin May 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।


জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘দুর্যোগের পূর্বে আমাদের কোথাও যদি কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় অথবা দুর্যোগ চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আশেপাশের এলাকায় বা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় যেকোনো দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’


সেনাবাহিনীর সকল ডিভিশন এবং এরিয়া হেড কোয়ার্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


গত ২৪ এপ্রিল সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’তে রূপ নেয় ২৭ এপ্রিল। এটি ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।


গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে ‘ফণী’ মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপকূলীয় সেনা ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।


ইতিমধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় জেলার ডিসিদের দুইশ মেট্রিক টন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে; জেলা প্রশাসকদের পাঁচ লাখ করে টাকা দেওয়া আছে জরুরি সহায়তার জন্য। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করে তাদেরকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


এদিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শক্তি সঞ্চয় করে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ কারণে চার সমুদ্রবন্দরে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three