Showing posts with label ধর্ষণ. Show all posts
Showing posts with label ধর্ষণ. Show all posts
মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

মাদ্রাসাছাত্র কর্তৃক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাত্র চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তার হওয়া আরথিন মোড়ল মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গারামপুর এলাকার এমারাত মোড়লের ছেলে। সে মুন্সিগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।


মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উত্তর গঙ্গরামপুর গ্রামের এক দিন মজুরের শিশু কন্যাকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল বাড়ির পাশের পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতীতার মা বিষয়টি টের পেলে পরে সে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।


এ ঘটনায় স্থানীয়রা কয়েক দফা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এতে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় থানায় মামলা করেন মেয়েটির মা।


এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাগদী এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র আরথিন মোড়ল (১২) গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তাকে বিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


এদিকে নির্যাতিতা শিশুটিকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার মা।


তিনি বলেন, ওই ছেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে আমি বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে। আমাকে দেখে ওই ছেলে পালিয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ। প্রথমে এলাকার লোকজন সালিশ করে দিবে বলেছিল। পরে তারা কিছুই করেনি। আমি এর বিচার চাই।


স্থানীয় মাতুব্বর ফিরোজ মল্লিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি। সত্য ঘটনা তো চাপা থাকে না। অনেকেই চেয়েছিল সালিসের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। আমি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। ওই ছেলে এর আগেও অন্য একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলো।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গিলাবাড়ীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতে ভিকটিমের বাবা ঠাকুরগাঁও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের ভূট্টাক্ষেতে শুকনো ভুট্টার খড়ি সংগ্রহ করতে যায়। এসময় একই এলাকার মোহাম্মদ মোতালেবের ছেলে সবুজ ও তার সঙ্গী সাইফুল, বাবুসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীটিকে জোর করে ভুট্টাক্ষেতের ভেতর নিয়ে প্রথমে সবুজ ধর্ষণ করে। পরে তার অন্য সঙ্গীরাও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।


এ সময় প্রতিবেশি কালু ও ওসমান পাওয়ার টলি নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। মেয়েটির চিৎকারে তারা ঘটনা বুঝতে পেরে ধর্ষকদের ধাওয়া করেন। এসময় বখাটে সবুজ ও তার সঙ্গীরা পাল্টা তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে গুরুতর আহত হন কালু ও ওসমান। বর্তমানে তারা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

দাদিকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ

দাদিকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মৌলভীবাজারে ঘরের মধ্যে দাদিকে বেঁধে রেখে উঠানে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জুন রাতে সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন ঘটনান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।


মামলার আসামিরা হলেন- জাহিদ মিয়া (৩০) ও রাব্বি মিয়া (২৮)। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।


ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর মা জানান, গত ১৫ জুন মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন গভীর রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় অভিযুক্ত জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। পরে ওই কিশোরী ও তার দাদিকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে তারা ঘর থেকে বের করে উঠানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।


এসময় ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে রাখে তারা। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই কিশোরী। ভোরবেলা জ্ঞান ফেরার পর দাদির বাঁধন খুলে মাকে ফোন করে জানায় সে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.ইমরান হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।


এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসামি রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা পুত্রের, লজ্জায় পিতার আত্মহত্যা

শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা পুত্রের, লজ্জায় পিতার আত্মহত্যা

admin June 23, 2019

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল কবির জানান, গতকাল ভোরে অষ্টগ্রামে এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. নাইম ইসলাম (২৭) সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বসু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নাইমের বাড়ি থেকে তার শ্যালিকা তামান্নার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে নাইম পলাতক ছিলেন।


এদিকে ছেলের অপকর্মের কারণে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে নাঈম ইসলামের পিতা বসু মিয়া (৫০)। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোসাইপুর গ্রাম থেকে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বসু মিয়া জেলার সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে।


গত ২০ জুন বসু মিয়ার ছেলে নাঈম ইসলাম (২৭) তার শ্যালিকা তামান্না আক্তারকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যা করে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ছেলের ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার ভয়ে বসু মিয়া বাড়ি ছেড়ে গোসাইপুর গ্রামের তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনাটি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।


প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভোরে আত্মীয়ের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বসু মিয়া।


উলে­খ্য, নাঈম তার বাবা বসু মিয়ার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্নাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন নাঈম।


বুধবার রাতে বসু মিয়া কাজে গেলেও নাঈম যাননি। নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানান তিনি সকালে ঢাকা থেকে তার মাকে আনতে যাবেন।


রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ান। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন।


সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত।


খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী স্মৃতি।


এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম শনিবার ভোরে সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

admin June 23, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষকের বিরুদ্ধে ।


ওই এলাকার ছয়ফুর ইসলাম ও লতিফ সরকার জানান যায়, ঝালু বিশ্বাসের মেয়ে ও গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পার্শ্ববর্তী হযরত আলীর বাড়িতে সুপারি কুড়াতে যায়। এ সময় কৌশলে জাবদুল হোসেন (৫০) ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে বাড়ি সংলগ্ন পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার আর্তচিৎকারে লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে জাবদুল পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।


জাবদুল ওই এলাকার নাড়িয়া বাজারির ছেলে। সে পাঁচ সন্তানের জনক।


এদিকে দিনভোর স্থানীয় মাতব্বরা সালিশী বৈঠক করার পর দেনদরবারে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় বাধ্য হয়ে মামলা দায়েরের জন্য মেয়েটিকে শনিবার থানায় পাঠানো হয়।


কাশিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফছার হোসেন জানান এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এর উপযুক্ত বিচার হওয়ার দরকার। তা না হলে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাবে ।


ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে ।

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

admin June 21, 2019

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলামকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাসিন্দা।


পুলিশ জানায়, চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার নানার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়াহাট এলাকায়। নানি ও খালার সঙ্গে সে রাজশাহী আসছিল। সিরাজগঞ্জের মনসুর আলী স্টেশনে তারা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে উঠেছিলেন।


ওই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনিই ওই কিশোরীকে ট্রেনের টয়লেট থেকে উদ্ধার করেন। তিনি জানান, পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস পার হওয়ার পর ওই কিশোরী ট্রেনের টয়লেটে ঢোকে। তখন টয়লেটের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ওই কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললেই তিনি ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট তিনি ওই কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি করেন।


এএসআই উজ্জ্বল বলেন, ট্রেনের শব্দের কারণে ওই কিশোরীর চিৎকার শোনা যায়নি। তবে যাত্রীরা লক্ষ্য করেন অনেকক্ষণ ধরেই টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলেন। কিন্তু দরজা খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা ওই কিশোরীর চিৎকার শুনতে পান। এরপরই দায়িত্বরত পুলিশকে ডাকা হয়। তিনি গিয়ে টয়লেটের দরজা খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ওই কিশোরী বেরিয়ে আসে।


রাত পৌনে ১১টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় অভিযুক্ত যুবক, ওই কিশোরী এবং তার খালা ও নানিকে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, নির্মাণ শ্রমিক মমিনুল ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন। ওই কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রেনের টয়লেটের ভেতর মমিনুল দীর্ঘ সময় ধরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শ্লীলতাহানি ঘটেছে।


ওসি বলেন, ঘটনাস্থল রেলওয়ের ঈশ্বরদী থানার অধীনে। তাই রাত ১২টার ঢাকাগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযুক্ত যুবককে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে নিয়ে তার নানি এবং খালাও গেছেন। ঈশ্বরদী থানায় তারা মমিনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।

হারাগাছে শিশু নাতনিকে ধর্ষণ, দাদা গ্রেফতার

হারাগাছে শিশু নাতনিকে ধর্ষণ, দাদা গ্রেফতার

admin June 21, 2019

মিজানুর রহমান, কাউনিয়া প্রতিনিধি:
রংপুরের হারাগাছে সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশু নাতনিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মোজাম্মেল হক (৫৫) নামে প্রতিবেশী এক দাদার বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করেছে হারাগাছ থানা পুলিশ।


জানা যায়, বুধবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আরপিএমপি-হারাগাছ থানা এলাকার রংপুর সিটির ৮নং ওয়ার্ডের কার্তিক মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। যৌন নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


ওই শিশুটির মা বলেন, ঘটনার দিন দুপুরের দিকে ৫ বছর ৪ মাস বয়সের শিশু কন্যা বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এরই একপর্যায়ে প্রতিবেশী দাদা সর্ম্পকের মোজাম্মেল হক তার শিশু কন্যাকে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করে। এসময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।


তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে আরপিএমপি-হারাগাছ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাজমুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে আটক করা হয়েছে।


মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভুরুঙ্গামারীতে তিন বছর ধরে বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণকারী গ্রেপ্তার

ভুরুঙ্গামারীতে তিন বছর ধরে বন্ধুর মেয়েকে ধর্ষণকারী গ্রেপ্তার

admin June 18, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে তিন বছর ধরে বন্ধুর মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণকারী মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


সোমবার দুপুরে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের নেতৃত্বে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহায়তায় সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক মকবুল হোসেন বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস প্রধানের ছেলে।


নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বাবার বন্ধু মকবুল হোসেন প্রধান তার শশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। তিনবছরে অসংখ্যবার তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। শুরুটা ধর্ষকের স্ত্রীর মাধমে হলেও শেষে বাধ্য হয়ে স্ত্রীই বিষয়টি জনসম্মুখে নিয়ে আসে।


গত বুধবার সকালে মিলনরত অবস্থায় তাদের দেখে ঘটনা জনসম্মুখে নিয়ে আসে ধর্ষকের স্ত্রী। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে একটি মহল। শেষে সোমবার ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার ভিত্তিতে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


নির্যাযিত মেয়েটি জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। তাদের পরিবারও মকবুলের বাড়িতে যাতায়াত করত। দুই পরিবারের মাঝে সখ্যতা রয়েছে। সে যখন ব্যাপারীটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে সে সময় মকবুল ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম তাকে সাথে করে নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া গ্রামে মুক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে মকবুল ও মেয়েটিকে রেখে মকবুলের স্ত্রী মুক্তা ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে দিয়ে চলে যায়। সেখানে মেয়েটিকে জোড় করে ধর্ষণ করে মকবুল। পরে মেয়েটি কান্নাকাটি করলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেয়।


এক পর্যায়ে কুড়িগ্রাম নিয়ে গিয়ে লোক দেখানে বিয়ে করে। তারপর থেকে প্রায়ই ডেকে মিলনে বাধ্য করতো মকবুল। গত বুধবার সকালে তার বাড়ির মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভ্যানচালক শামছুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে মিলনে বাধ্য করে মকবুল। এ সময় মকবুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম এসে তাদের মিলনরত অবস্থায় আটক করে মেয়েটিকে মারধোর করে। পরে লোকজন এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।


সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (ভুরুঙ্গামারী সার্কেল) শওকত আলী জানান, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আমরা সোর্স লাগাই। অবশেষে সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলা চত্বরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামন থেকে মুল অভিযুক্তকে আটক করা হয়। তাকে কচাকাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

নরসিংদী: হত্যার পর লাশকে ধর্ষণ, ধর্ষক সাইফুল গ্রেপ্তার

নরসিংদী: হত্যার পর লাশকে ধর্ষণ, ধর্ষক সাইফুল গ্রেপ্তার

admin June 12, 2019

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা।


একই সঙ্গে ধর্ষক সাইফুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবন্ধী তরুণীর মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক কাজী শামসের আহম্মেদ।


তিনি জানান, গত ৬ জুন বিকেলে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার (২১) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৮) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজি যোগে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে সাবিনা বাধা দিলে সাইফুল তার জামা দিয়ে সাবিনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং তার লাশকে ধর্ষণ করে। পরে তার লাশ কলা ক্ষেতে ফেলে চলে যায়।


এ সময় সে সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে সাইফুল আত্মগোপন করে থাকে। গত ৮ জুন স্থানীয় লোকজন উল্লেখিত কলাবাগানে লাশ দেখে শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে সাবিনার মা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।


র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ বিষয়ে খবর পেয়ে র‌্যাব তাদের একটি গোয়েন্দা দল এএসপি মোঃ আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। গত ১১ জুন র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল শিবপুর থানার কলেজ গেইট এলাকা থেকে হত্যা ও ধর্ষণকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সাইফুলের দেখানো মতে তার বাড়ির বাথরুম থেকে সাবিনার মোবাইল ফোন ও বাড়ীর পাশের একটি নর্দমা থেকে সাবিনার ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

টাঙ্গাইলে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার

admin May 24, 2019

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে একশ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরের বাড়ি উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নে।


বুধরাতে রাতে ওই বৃদ্ধার ছেলে দুদু মিয়া বাদি হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানিয়েছেন।


ওসি তারিক বলেন গত সোমবার দুপুরে আঙ্গারিয়া গ্রামে বয়সের ভারে অচল অন্ধ ওই নারীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করা হয় বলে তার ছেলে অভিযোগ করেছেন। আসামিকে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের আদালতে এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই বৃদ্ধাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রংপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত

রংপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত

admin May 07, 2019

রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন, যিনি ধর্ষণ মামলার আসামি বলে দাবি করছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব ইছলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।


সুমনের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্বেশ্বর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নারী অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১২টি মামলা আছে।


পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের চর ইছলী এলাকায় যায় পুলিশ। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে সুমন নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা, একটি দেশি পিস্তল ও ২২টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।


রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, শহিদুল একজন সন্ত্রাসী। তিনি নারী অপহরণ ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

আশুলিয়ায় মা-মেয়েসহ ৩ নারীকে ধর্ষণ, পীর গ্রেপ্তার

আশুলিয়ায় মা-মেয়েসহ ৩ নারীকে ধর্ষণ, পীর গ্রেপ্তার

admin May 07, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় মা মেয়েসহ একই পরিবারের তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভণ্ড পীর মনির হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ভণ্ডপীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার মৃত আ. রহিমের ছেলে। তবে এ ঘটনার পর থেকে ভণ্ড পীরের সহযোগী মকবুল হোসেন পলাতক।


জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে এক প্রবাসীর স্ত্রী একই এলাকার ভণ্ডপীর মনির হোসেনের কাছে মুরীদ হন। ফলে ভণ্ড পীরের আস্তানায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে কৌশলে ওই নারীর সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ভণ্ড পীর মনির।


তারপর ওই ভণ্ড পীরের নজর পরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরীদ করে নেয় ভণ্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে সে। সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ভণ্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে ভণ্ড পীর।


আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে ভণ্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ভণ্ডপীর মনিরকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার হয়। এ বাড়ির পাঁচ তলায় সে নিজের আস্তানা তৈরি করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আর তার এসব অপকর্মে সহায়তা এবং বিভিন্ন হতাশাগ্রস্ত নারীকে ফুসলিয়ে পীরের আস্তানায় নিয়ে আসার কাজ করতো সহযোগী মকবুল হোসেন।


ভুক্তভোগী ওই তিন নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

টাঙ্গাইলে আবারও চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, আটক ১

টাঙ্গাইলে আবারও চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, আটক ১

admin September 01, 2018

টাঙ্গাইল: এক বছরের মাথায় টাঙ্গাইলে আবারও চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে; যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে ধারণা পুলিশের। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, টাঙ্গাইল থেকে বাসে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় এলাকায় যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ‘ধর্ষণের’ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটির চালকের সহকারী নাজমুলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


টাঙ্গাইল কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকালে আদালতে হাজির করা হলে হেলপার নাজমুলকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হলপার নাজমুল, চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষুকে আসামি করা হয়েছে।


এর আগে টাঙ্গাইলের মধুপুরে গত বছর চলন্ত বাসে সিরাজগঞ্জের এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ শেষে হত্যা এবং তারও এক বছর আগে মধুপুরে চলন্ত বাসে আরেক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মোশাররফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাস যাত্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। রাতে যাত্রী কম থাকায় পথে ওই মেয়েটি (২৫) ছাড়া সবাই তাদের গন্তব্যে নেমে যায়। এ সুযোগে একা পেয়ে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।


ওসি বলেন, মহাসড়কে টহলরত পুলিশ মেয়েটির চিৎকার শুনে বাসটিকে অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে হাতেনাতে হেলপারকে ধরতে সক্ষম হয়। চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষু পালিয়ে যায়। তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। মেয়েটি তার নাম আর বাড়ি কুষ্টিয়া ছাড়া কিছু বলতে পারছে না। তাই তাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে ধারণা করছে পুলিশ।


টাঙ্গাইলের কালিহাতি সার্কেলের জৈষ্ঠ্য পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির বলেন, অপর দুইজনকে আটকে রাতভর অভিযান চলবে।


গত বছরের ২৫ অগাস্ট রাতে বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাস চালক ও হেলপারের হাতে ধর্ষণের পর খুন হন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের জাকিয়া সুলতানা রুপা। ওই রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানা পুলিশ ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পঁচিশ মাইল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থেকে গাজীপুর যাওয়ার পথে বাস চালক ও দুই সহকারী বাসের মধ্যে তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

রংপুরে ধর্ষিত মাদ্রাসা শিক্ষিকার মামলা

রংপুরে ধর্ষিত মাদ্রাসা শিক্ষিকার মামলা

admin August 31, 2018

রংপুর: রংপুরের তারাগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে তারাগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষিকা আনোয়ার নামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র মেকানিকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।


পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড়বাড়ি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র মেকানিক আনোয়ার হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতপুরের একটি বাসায় তারাগঞ্জে হাড়িয়ারকুঠি দাখিল মাদ্রাসার ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই শিক্ষিকা আনোয়ারকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।


ওই শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, দেড় বছর আগে মুঠোফোনে আনোয়ারের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২৬ আগস্ট আনোয়ার দৌলতপুরের একটি বাসায় আমাকে ডেকে নেন। একপর্যায় সেখানে আমাকে ধর্ষণ করেন। এখন বিয়ের কথা বললে আনোয়ার অসম্মতি জানান। বাধ্য হয়ে আমি আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলা করার পর আনোয়ার আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা তবে আনোয়ার দুই দিন থেকে হাসপাতালে অনুপস্থিত আছে বলে জানান তিনি। তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়ে থানায় তা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হবে।

দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

admin August 25, 2018

সারাদেশ: বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যাদেরকে বিজিবি সদস্য বলা হয়েছে এজাহারে।


গত বৃহস্পতিবার লামা থানায় দায়ের করা ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘রবিউল নামে বিজিবির এক নায়েক এবং মারুফ ও সুমন নামের দুই সৈনিক’ গত বুধবার রাতে পাশাপাশি বাড়ির দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। অন্যদিকে স্থানীয় বিজিজির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই নামে কোনো সদস্য ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনফুর বিজিবি ক্যাম্পে নেই।


বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলছেন, লামা থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে ১৭ ও ১৪ বছর বয়সী মেয়ে দুটিকে গত শুক্রবার দুপুরে পুলিশের পাহারায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। সাংবাদিক বা বাইরের কাউকে এ সময় ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মেয়ে দুটির সঙ্গে আসা দুই ভাই সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাত প্রায় ১০টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী এসে মেয়ে দুটিকে ডেকে নেয়। পরিবারের লোকজন জানত না ওই দুই কিশোরী কোথায় গেছে।


পরিবার বলছে, সারা রাত দুশ্চিন্তায় থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোরে পাশের একটা জঙ্গলে ওই দুই কিশোরীকে পাওয়া যায়। বাড়ি নিয়ে আসার পর তারা ‘বিজিবি সদস্যদের’ ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা বলে। তারা জানায়, এ ব্যাপারে মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। পরে এক ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন জানিয়ে লামা থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহ বলেন, তাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংশৈপ্রু সাংবাদিকদের বলেন, ভিকটিমদের গত শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে আনার পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেডিকেল টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেজন্য একটি বোর্ড গঠন করা হবে। তবে কবে মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যাবে- সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।


জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ওইদিন বিজিবি সদস্যরা বনফুর বাজারে ডিউটিতে ছিল। পাড়ার দিকে যাওয়ার কথা ছিল না। আর যে নামে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে ওই নামে আমাদের কোনো বিজিবি সদস্য নেই। তিনি বলেন, বিজিবিকে নিয়ে এটি একটি ‘অপপ্রচার’ বলে তিনি মনে করছেন। তারপরও বিজিবির কেউ এতে জড়িত কিনা- তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম বান্দরাবান জেলার যুগ্ম সম্পাদক শ্রীমন্ত ত্রিপুরা জানান, সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আগামীকাল রোববার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করার কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three