Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
বায়ু দূষণ: দেশে প্রতিবছর পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু

বায়ু দূষণ: দেশে প্রতিবছর পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এশিয়ায় এ সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। আর বিশ্বজুড়ে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর কারণ এই বায়ু দূষণ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত এক সেমিনারে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এমনটা জানিয়েছেন।


‘আসুন, বায়ু দূষণ রোধ করি’ স্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘বায়ু দূষণ ও করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ, ইকো সোসাইটিসহ ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান।


তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলের তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু বায়ু দূষণ জনিত কারণে। প্রতি বছর এশিয়ায় মৃত্যু হয় প্রায় ২৬ লাখ মানুষের। বিশ্বে ৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণও এটি। আর শুধু বাংলাদেশেই প্রতিবছর মারা যায় প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও যে ১০ টি রোগের কারণে বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে পাঁচটিই বায়ু দূষণ জনিত রোগ।


তিনি বলেন, পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বায়ু দূষিত দেশ বাংলাদেশ, আর দিল্লির পর দূষিত শহর ঢাকা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শহুরে জনগণ এবং শিশু, দারিদ্র্য এবং বয়স্ক নাগরিকেরা। বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিন বলেন, চীনের একটি নীতি ছিল যে, আগে উন্নয়ন করি পরে দূষণ সামলাবো। সরকার এমন কোনো নীতিই বাংলাদেশের জন্য নিচ্ছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা পরিবেশকে দূষিত করে ফেলছি। তবে চীন সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আমরা পারবো না। তাই এমন নীতি হবে আমাদের জন্য আত্মঘাতী।


কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে কয়লাকে বলা হয় ‘ডার্টি ফুয়েল’। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা গ্রাফ দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, রামপালের ফলে যে বায়ু দূষিত হবে সেটি ঢাকা, নরসিংদীসহ কলকাতাও পৌঁছাবে। আমরা সরকারকে দেখিয়েছি যে, আমাদের দেশে কয়লা ও পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দরকার নেই। তবুও সরকার তা শুনছে না।


প্রখ্যাত কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে বাপা’র সহ সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, পরিবেশ রক্ষার দায় সবচেয়ে বেশি সরকারের। কারণ ব্যক্তি পর্যায় থেকে সরকারের পদক্ষেপে অথবা দূষণকারী ব্যক্তি পর্যায়ের কর্মকাÐে সরকারের নির্লিপ্ততার জন্যই পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।


সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা ছিলেন না। সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহম্মদ পরিবেশ সুরক্ষায় নিজ অধিদপ্তরের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরেন।


তিনি বলেন, পরিবেশ ও বায়ু দূষণের বিভিন্ন সোর্স আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোকে আইনের আওতায় এনেছি। আগে বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় সোর্স ছিল ইট ভাটা। এখন সেটি নেই। এখন হচ্ছে যানবাহন ও কারখানা। প্রায় ৭১ শতাংশ ইট ভাটাকে আমরা পরিবেশবান্ধব করেছি অথবা কম দূষণের তালিকায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। দেশের ৩৩টি জেলায় এখন পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় আছে, প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত আছে। তবে এটা ঠিক যে, আমাদের আরও কাজ করার আছে।


সভায় অন্যান্যের মাঝে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। এর আগে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামানের লেখা ‘সমসাময়িক পরিবেশ ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বাংলাদেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির তালিকা সংসদে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও দিয়েছেন তিনি। শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।


শীর্ষ ১০ ঋণ খেলাপির মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রামের মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি), গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)। শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপি, যাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।


আরেক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন। সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান তার প্রশ্নে ২০০৯ সালে ঋণ খেলাপি কত ছিল ও তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের পরিমাণ এবং ২০১৮ সালে ওই সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণও জানতে চেয়েছিলেন।


তবে অর্থমন্ত্রীর উত্তরে বলা হয়, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেইজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে লুৎফুন নেসার প্রশ্নের জবাবে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ঋণ খেলাপি ও তাদের ঋণের পরিমাণ সংসদকে জানান অর্থমন্ত্রী। এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হতদরিদ্র কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হয়নি। ব্যাংক আমানতকারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ গ্রাহকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে। সংগৃহীত আমানতের উপর ব্যাংকের মাধ্যমে আমানতকারীদের সুদ দিতে হয় বলে ব্যাংকের পক্ষে বিনাসুদে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয় না। আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ২,৮০,০৬৩ (দুই লাখ আশি হাজার তেষট্টি) কোটি টাকা (সংশোধিত)। বিগত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এ লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২,২৫,০০০ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে ২,০২,৩১৪.৯৪ (দুই লাখ দুই হাজার তিনশত চৌদ্দ দশমিক নয় চার) কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।


সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে গত বছরে (জানুয়ারি ২০১৮-ডিসেম্বর ২০১৮) ছয় হাজার ১৬৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে এক হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি ২০০৮টি ঋণের বিপরীতে ৪৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। আর বাংলাদেশ ডেভোলপমেন্ট ব্যাংক কোনও সুদ মওকুফ করেনি। অন্যান্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১৩৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংক ২৪৭৩টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১৩৮০টি ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং বেসিক ব্যাংক ১৯টি ব্যাংক হিসাবের বিপরীতে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে।

পহেলা জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট পচ্ছেন দেশের নাগরিকরা

পহেলা জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট পচ্ছেন দেশের নাগরিকরা

admin June 22, 2019

আগামী ১ জুলাই থেকে অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন দেশের নাগরিকরা। জুনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে ১ জুলাই থেকেই নাগরিকদের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেয়ার কাজ চলছে।


প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেলে আগামী ১ জুলাই থেকেই ই-পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হবে।


সূত্র জানায়, পৃথিবীতে ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে। এবার ওই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।


বর্তমানের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতোই ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, তা ই-পাসপোর্টে থাকবে না। সেখানে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড থাকবে। এই কার্ডে সংরক্ষিত চিপে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।


পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডাটা পেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এই ই-পাসপোর্টের মেয়াদ বয়স অনুপাতে ৫ ও ১০ বছর হবে।


এ ছাড়া ই-পাসপোর্ট চালু হলেই এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হবে না বলে জানায় পাসপোর্ট অধিদফতর।


তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়া হবে না। যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা নবায়ন করতে গেলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেয়া হবে।


সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে দ্রুততম সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।


২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিআইপি) তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদফতর।


সূত্র আরও জানায়, বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। কারণ ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে।


ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য। ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন।


তাছাড়া সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ঝামেলাহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যাবে।


সূত্র বলছে, বর্তমানে পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে যে ধরনের এমআরপি বই দেয়া হচ্ছে সেগুলো জাল করা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এ ধরনের কয়েকটি জাল এমআরপি ধরাও পড়েছে। বিদ্যমান এমআরপিতে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকলেও এর বেশিরভাগই জাল করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু ই-পাসপোর্ট বইয়ের পলিকার্বোনেট ডেটা পেজ জাল করা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া ই-পাসপোর্টে থাকছে ৪২টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য।

চার ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

চার ঘণ্টা পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

admin June 21, 2019

চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলরুটে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টায় গাজীপুরের সালনায় আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।


জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল পৌনে ১০টা থেকে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।


জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত দাস জানান, রংপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাজীপুরের সালনা এলাকায় এসে পৌঁছালে ট্রেনের একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।


ফলে এ রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধারের পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।


উত্তরবঙ্গগামী এ রেলরুটে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় সকাল থেকে গাজীপুর, টঙ্গী, কালিয়াকৈর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে। এ সময় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

admin June 21, 2019

ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।


শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ওয়াজঘাট এলাকা থেকে মিসকাত হোসেন (১২) ও নুসরাত আকতারের (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থানার ওসি রেজাউল করিম ভূইয়া।


এর আগে সকালে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল মসজিদ ঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে গিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টায় এম ভি পূবালী -৭ নামের এক লঞ্চের ধাক্কায় একই পরিবারের চার সদস্যসহ ৫ যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবে যায়।


পরে নৌকার মাঝিরা এক বছরের শিশুকন্যা নুসাইবাসহ মা জোছনা বেগম ও মামাকে উদ্ধার করলেও ভাই-বোন মিসকাত হোসেন ও নুসরাত আকতার নদীতে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের টয়লেটে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক আটক

admin June 21, 2019

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলামকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাসিন্দা।


পুলিশ জানায়, চলন্ত ট্রেনে শ্লীলতাহানির শিকার ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার নানার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়াহাট এলাকায়। নানি ও খালার সঙ্গে সে রাজশাহী আসছিল। সিরাজগঞ্জের মনসুর আলী স্টেশনে তারা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে উঠেছিলেন।


ওই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনিই ওই কিশোরীকে ট্রেনের টয়লেট থেকে উদ্ধার করেন। তিনি জানান, পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস পার হওয়ার পর ওই কিশোরী ট্রেনের টয়লেটে ঢোকে। তখন টয়লেটের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ওই কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললেই তিনি ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন আসা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট তিনি ওই কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি করেন।


এএসআই উজ্জ্বল বলেন, ট্রেনের শব্দের কারণে ওই কিশোরীর চিৎকার শোনা যায়নি। তবে যাত্রীরা লক্ষ্য করেন অনেকক্ষণ ধরেই টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলেন। কিন্তু দরজা খোলা হচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা ওই কিশোরীর চিৎকার শুনতে পান। এরপরই দায়িত্বরত পুলিশকে ডাকা হয়। তিনি গিয়ে টয়লেটের দরজা খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ওই কিশোরী বেরিয়ে আসে।


রাত পৌনে ১১টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় অভিযুক্ত যুবক, ওই কিশোরী এবং তার খালা ও নানিকে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল জানান, নির্মাণ শ্রমিক মমিনুল ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন। ওই কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রেনের টয়লেটের ভেতর মমিনুল দীর্ঘ সময় ধরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শ্লীলতাহানি ঘটেছে।


ওসি বলেন, ঘটনাস্থল রেলওয়ের ঈশ্বরদী থানার অধীনে। তাই রাত ১২টার ঢাকাগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযুক্ত যুবককে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে নিয়ে তার নানি এবং খালাও গেছেন। ঈশ্বরদী থানায় তারা মমিনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন।

১১ দিন পর সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভ উদ্ধার

১১ দিন পর সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভ উদ্ধার

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নিখোঁজ ভাগ্নে ইফতেখার আলম সৌরভকে (২৫) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা এলাকার একটি রাইস মিলের কাছ থেকে তাকে পাওয়া যায়।


ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, ভোরে কে বা কারা চট্টগ্রামে নিখোঁজ সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভকে তারাকান্দা উপজেলার বটতলা মধুপুর এলাকার জামিল অটো রাইস মিলের সামনের রাস্তায় রেখে যায়।


এর পর সৌরভ ওই মিলে গিয়ে নিজের পরিচয় দিলে মিলের ম্যানেজার সমীর সৌরভের পরিবারকে খবর দেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়।


ভোর ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম এন্টি-টেররিজম ইউনিটের ডিসি আমাকে (ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার) ফোন করে জানান- তারাকান্দা উপজেলার বটতলা মধুপুর এলাকার জামিল অটো রাইস মিলের সামনে সৌরভকে পাওয়া গেছে।


খবর পেয়ে তারাকান্দা থানার পুলিশসহ তিনি নিজে গিয়ে সৌরভকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন। পরে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ পাহারায় তাকে বনানীতে পরিবারের কাছে পাঠানো ব্যবস্থা করা হয়। সৌরভের শারীরিক অবস্থা ভালো এবং তিনি সুস্থ আছেন।


গত ৯ জুন চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেটের আগোরার সামনে থেকে সৌরভ অপহৃত হন।


গত শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ এমনই অভিযোগ করেন।


একই অভিযোগ করে ভাগ্নেকে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় ফেরত চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তার নিখোঁজ ভাগ্নের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান উপস্থিত ছিলেন।


সৌরভ ঢাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষে ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ করতেন। সৌরভ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের মামাতো বোন সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমানের ছেলে।


[embed]https://www.youtube.com/watch?v=WnY7J113tEk&feature=youtu.be[/embed]
কবি সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

কবি সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ‘সাঁঝের মায়া’র কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি বরিশালের শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারে ১৯১১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন।


রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহীয়ষী এই নারীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পৃৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।


সুফিয়া কামাল শৈশবে নানার বাড়ীতে থাকায় বহুভাষায় পন্ডিত বড় মামার সান্নিধ্য এবং তার সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর সংস্পর্শে জ্ঞানচর্চার প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠেন। সাহিত্য পাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনা করেন। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্ত’ সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তার গল্পের সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’র মুখবন্ধ লিখেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কোলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।


পাকিস্তন সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন। এ বছর তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নির্বাচিত এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন।


১৯৭০ সালে তিনি মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন।


স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ কার্ফু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেন।


সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।


সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরী তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ।


সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।


মহীয়ষী এই নারী ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদীঘি গ্রামের মৃত আলী ঘোষের ছেলে আখেরুল ইসলাম, একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চুতুরপুর গ্রামের মো. সেন্টুর রাছেল তোহরুল ইসলাম টুটুল, রশিকনগর গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে আবদুল মালেক, সাহাপাড়ার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চরভবানিপুরের কশিমুদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, পারচৌকার রানীনগরের আবদুর রশিদের ছেলে আবদুল মাসুদ, রশিকনগরের হোসেন মণ্ডলের ছেলে সেন্টু এবং ছত্রাজিতপুরের মসলিম উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম।


অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


মামলার বিবরণে জানা গেছে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলের সঙ্গে বিরোধ হয় কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের।


এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিকালে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের একটি আমবাগানে মনিরুল ইসলামকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।


এ ঘটনায় নিহত মনিরুলের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ২৫ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোহরুল ইসলাম টুটুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


এর পর ২০১৫ সালের ১৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এর পর ২৩ সাক্ষী সাক্ষ্য ও যুক্ততর্ক শেষে বিচারক আজ এ মামলার রায় দেন।

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশর উন্নয়নের দরকার কিন্তু এর সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে বৃক্ষরোপন ও জলাধার নির্মাণেও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষিত থাকে।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আমাদের ওপর আসবে। এর জন্য আমরা দায়ী না, আমরা ভুক্তভোগী। এর প্রতিকারের ব্যবস্থা আমরা নিতে শুরু করেছি। এর জন্য ফান্ডও তৈরি করা হয়েছে।


বিদেশ থেকে এ ব্যাপারে খুব একটা সহায়তা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্যারিসে পরিবেশ বিষয়ে একটা চুক্তি হয়েছে, আশা করি ভবিষ্যতে এর সহায়তা পাওয়া যাবে।


পরিবেশ দূষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেরা আর ক’দিন থাকবো। কিন্তু আমাদের বংশধররা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, টিকে থাকতে পারে, সেজন্য শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছি।


প্রধানমন্ত্রী সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। বনজ, ফলজ, ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে। প্রত্যেকে নিজের এলাকায় যতো ইচ্ছে গাছ লাগাবেন। এতে কয়েকবছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে।


এসময় শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন।


সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কর্মসূচির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। এই বন রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বনে বেশি বাঘ থাকলে অনেকে ভেতরে গিয়ে বনের ক্ষতিকর কিছু করার সাহস পায় না।


তিনি বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় নদীর লবণাক্ততা দূর করতে হবে। লবণাক্ততা দূর হলে হোগলা বন বেড়ে যায়। আর হোগলা বনে বাঘের বিচরণ বেড়ে যায়। নদীর নাব্যতা বাড়ানোরও কাজ করা হচ্ছে।


সরকারপ্রধান এসময় বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও ধ্বংস হয়ে গেছে পাহাড়ি বনাঞ্চল।

বাড়ছে জন্মহার-অপরাধ, সাথে বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট

বাড়ছে জন্মহার-অপরাধ, সাথে বাড়ছে রোহিঙ্গা সংকট

admin June 21, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়। যুদ্ধ, জাতিগত সন্ত্রাসের কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ছয় কোটি মানুষ শরণার্থী। এটি এযাবৎ কালের শরণার্থী সংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড।


বাংলাদেশেও জাতিগত সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নিয়েছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন থেকে বাংলাদেশে নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্রোত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর থেকে সাত লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ঠাঁই নেয় বাংলাদেশে।


আগে থেকেই এ দেশে ছিল বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, পটুয়াখালীসহ ৫০ জেলায় এখন রোহিঙ্গাদের অবস্থান রয়েছে।


এদিকে রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ, নিরাপত্তা ও উগ্রপন্থি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়া ঠেকানো নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও নিজ দেশে তাদের প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের আর্থিক সহায়তাও কমে আসছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সংকট আরো গভীরতর হচ্ছে।


রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয় গ্রুপ আইএসসিজির কর্মকর্তা সৈকত বিশ্বাস বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাদের পুনর্বাসনে ব্যাপক কর্মসূচি নিতে হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে না।


রোহিঙ্গাদের নিয়ে এরকম নানা উদ্বেগের মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। দিবস উপলক্ষে উখিয়া ও টেকনাফের কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্টেপস উইথ রিফিউজিস’ বা ‘শরণার্থীদের সঙ্গে পথচলা’।


শরণার্থী দিবসে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের ২ নম্বর ব্লক থেকে একটি র‌্যালি বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ওই ক্যাম্পে আলোচনা সভা, খেলাধুলাসহ রয়েছে নানা কর্মসূচি। রোহিঙ্গাদের জন্য অন্যতম বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের এসব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।


তবে এসব কর্মসূচিতে রোহিঙ্গাদের তেমন উৎসাহ নেই। নিজ দেশের বাইরে এভাবে অনিশ্চিত জীবনযাত্রায় রোহিঙ্গারাও হতাশ। রোহিঙ্গার জন্য তহবিল সংকটে এখানে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও উদ্বিগ্ন। তহবিল বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে অব্যাহতভাবে ধরনা দিয়ে যাচ্ছে তারা।


কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা মারিন ডিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য যে বরাদ্দ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী তিন মাস পর্যন্ত খাবার ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পাওয়া না গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। চলতি বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২ কোটি ডলার সাহায্য চেয়েছে জাতিসংঘ।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির এখন কক্সবাজারে। এ জেলায় চার দফায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখন এখানে ঠিক কত রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, তার সঠিক হিসাব পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।


জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৯ লাখ ১০ হাজার।


তবে বুধবার জেনেভা থেকে প্রকাশিত ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন অবস্থান করছে ৯ লাখ ছয় হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা।


শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বর্তমানে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা রয়েছে।


এদিকে, বহিরাগমন বিভাগ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নতুন ও পুরনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৪ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।


সর্বশেষ রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘ তিন বছর হতে চলছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমে বাড়ছে। দিন যতই গড়াচ্ছে বিশ্বের বিশাল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অস্থিরতা। বাড়ছে খুনখারাবি থেকে শুরু করে নানা অপরাধ। স্থানীয় লোকজনও ধৈর্য হারাচ্ছে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একাধিক অপরাধী গ্রুপও সক্রিয় হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১০ মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উদ্ধার হয়েছে ১৬টি অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক।


কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, বিশাল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দেড় হাজার সদস্য রাত-দিন ব্যস্ত রয়েছেন রোহিঙ্গাদের সালিশ বিচার করতে। এখানে পুলিশ সদস্যদের কষ্টের সীমা নেই।


এদিকে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক হারে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় এখানে শিশু জন্মহারও অস্বাভাবিক বেশি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্মহার কত- এ নিয়ে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে জরিপ নেই। তবে বেসরকারি একটি সংস্থার মতে, এখানে প্রতিবছর অর্ধলক্ষ শিশু জন্ম হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫/৭৬ ভোটে অনুমোদিত হয় যে, ২০০১ সালে থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ কারণে এ দিনটি বাছাই করা হয় যে, ১৯৫১ সালে অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের অবস্থান নির্ণয় বিষয়ক একটি কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি হয় ২০০১ সালে।


২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে একটি দিবস বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছিলো। জাতিসংঘ পরবর্তীকালে নিশ্চিত করে যে, অর্গানাইজেশন অফ আফ্রিকান ইউনিটি বা ওএইউ পরবর্তীকালে ২০ জুনকে আফ্রিকান শরণার্থী দিবস-এর পরিবর্তে আন্তর্জাতিকভাবে শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করতে সম্মত হয়েছে।

ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ডিআইজি মিজানের সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

admin June 21, 2019

অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে বলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।


এর আগে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে।


ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেয়া হয়।


প্রসঙ্গত, ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ শিরোনামে ৭ জানুয়ারি যুগান্তরে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।


‘এক সংবাদপাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে পরদিন ৮ জানুয়ারি আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।


এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।


এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামাতে গোপন বৈঠকে বিমানের দুর্নীতিবাজরা!

সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামাতে গোপন বৈঠকে বিমানের দুর্নীতিবাজরা!

admin June 20, 2019

সম্প্রতি বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাকে বহিষ্কার, ওএসডি ও বদলি করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে গোপন বৈঠক করেছে বিমানের দুর্নীতিবাজরা। উদ্দেশ্য সরকারের দুর্নীতিবিরোধী তৎপরতা থামিয়ে দেয়া। এ জন্য তারা তহবিল গঠন করে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। খবর দৈনিক যুগান্তরের।


গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে যুগান্তর জানাচ্ছে, গেল মঙ্গলবার রাতে উত্তরায় একত্রিত হয়ে বৈঠক করে তারা। বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ বিমানেরই এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা, যিনি দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। তার নেতৃত্বে বিমান শ্রমিক লীগ, বিমান সিবিএ ও বিমান পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ১০-১২ জন প্রভাবশালী নেতা উপস্থিত ছিলেন।


এ ছাড়া জনসংযোগ বিভাগের সাবেক একজন কর্মকর্তা এবং ঢাকার বাইরে বদলি হওয়া ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


জানা গেছে, বৈঠকে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিভিন্ন অভিযোগে বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিবিএ নেতাকে বহিষ্কার, ওএসডি ও বদলি করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়েছে।


যদি মন্ত্রণালয় তাতে রাজি না হয়, তাহলে বাপা ও সিবিএ মিলে আগামী হজ ফ্লাইট চলাকালে বড় ধরনের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে দু’দফায় বৈঠকের স্থান বদল করেও তারা গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে পারেনি।


গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বুধবার সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম-পরিচয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি অবগত হয়েছে।


বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ও জানতে পেরেছে। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বৈঠকে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার নিজস্ব সোর্স থাকায় ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানা সম্ভব হয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্র যুগান্তরকে জানায়, মূলত তারা বিমানের দুর্নীতিবিরোধী প্রক্রিয়ার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে অন্যত্র বদলি করার মিশন বাস্তবায়ন করতে চান। তারা মনে করেন, বিমান সচিবসহ এ বিষয়ে তৎপর কয়েকজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে পারলেই সবকিছু দফারফা হয়ে যাবে। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে আর শক্ত মনিটরিং ও ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে না।


এ ছাড়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেসব গণমাধ্যমে বিমানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে তাদেরকে নানাভাবে বয়কট করা হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যেসব কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে ওএসডি, বদলি কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে সেসব আদেশ বাতিল করে তাদেরকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে।


এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন বিমানের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি প্রায় এক মাস বিদেশে অবস্থান করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।


সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ষড়যন্ত্রকারী এ অংশটি এহেন ঘটনার অবতারণা করে রীতিমতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করছে। কেননা, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা, সাহস ও উৎসাহ দেয়া এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জোরদার মনিটরিং ব্যবস্থার কারণে ইতিমধ্যে বিমানের টিকিটিং দুর্নীতিসহ ঘাটে ঘাটে দুর্নীতি জালিয়াতি অনেকাংশে কমে এসেছে।

এখন পর্যন্ত ওসি মোয়াজ্জেমের যতো কুকীর্তি প্রকাশ পেলো

এখন পর্যন্ত ওসি মোয়াজ্জেমের যতো কুকীর্তি প্রকাশ পেলো

admin June 20, 2019

সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) মোয়াজ্জেম হোসেনের নানা কুকীর্তি বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য, থানা এলাকায় দালাল সিন্ডিকেট, চাঁদা আদায়ের জন্য ক্যাশিয়ার নিয়োগ, মাদক মামলা দিয়ে নিরীহ জনগণকে জেলহাজতে প্রেরণ, সব ধরনের ছোট বড় যানবাহন থেকে মাসহারা আদায়সহ সকল ধরনের অপকর্মে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন বিতর্কিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।


সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করার পর নুসরাত জাহান রাফির পাশে দাঁড়াননি সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন (বরখাস্ত)। উল্টো রাফির পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছিলেন তিনি।


রাফির শ্লীলতাহানির ঘটনার পর জেরা করার নামে তাকে হয়রানি করে মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি ছড়িয়ে দেন।


অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, অধ্যক্ষ সিরাউদ্দৌলাকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। এ কারণে রাফির শরীরে আগুন দেওয়ার পরও তিনি ঘটনাটিকে আত্মহত্যার চেষ্টা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এবং এ ঘটনাটি আত্মহত্যার চেষ্টা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছিলেন।


রাফিকে ওসির জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওসির বিব্রতকর প্রশ্নে রাফি লজ্জায় পড়ে। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রাফি কেঁদে কেঁদে বলে, আলিম প্রথম বর্ষে পড়ার সময় তার গায়ে হাত দেয় একজন (নূর উদ্দিন)। অধ্যক্ষ সিরাজ পিয়নের মাধ্যমে তাকে ডাকেন। এরপর শরীরে হাত দেয়। ওসি রাফিকে তখন বলেন, ‘হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছে?’ রাফি বলে, ‘না, দিয়েছেন। ’ ওসি তখন বলেন, ‘তুমি নিজে গেছ?’


এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, সিরাজকে রক্ষা করতে তাঁর সহযোগীদের পক্ষ নিয়ে বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করতে চেষ্টা করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। সোনাগাজীতে ১৫ মাস ওসি থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজি ও অপকর্মের সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া ও সদর থানায় ওসি ছিলেন। ছাগলনাইয়া থানায়ও অভিযোগ ওঠায় তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সেখানে সোনার বার উদ্ধার করে গায়েব করে ফেলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।


ছাগলনাইয়ার সাংবাদিক নূরুজ্জামান সুমন বলেন, ২০১২ সালে ছাগলনাইয়ার কাশিপুর গ্রামের একটি বাড়িতে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই বাড়ি থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১৩ বছরের এক শিশুকে আটক করে ১৮ বছর বলে গ্রেপ্তার দেখায়। অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় ওসিকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।


সোনাগাজী শহরের রিকশাচালক মোশারফ হোসেন ও জয়নাল আবদিন ওসি মোয়াজ্জেম দুর্নীতির বিষয়ে বলেন, সোনাগাজী শহরে ব্যাটারিচালিত প্রতিটি রিকশার কাছ থেকে মাসে ২০০ টাকা করে চাঁদা নিতেন ওসি মোয়াজ্জেম। দরিদ্র রিকশাচালকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ করেছিলেন পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। তখন ওসি সাফ জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে রিকশা চলবে না। রিকশাচালকরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একদিন ধর্মঘটও ডেকেছিল। শেষে উপায় না পেয়ে টাকা দিয়েই রিকশা চালু করে তারা।


সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে সরকারি খাতে ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার পরও ২ হাজার ৭০০ টাকার বেশি দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। তিনি নিজেই নিতেন ১ হাজার। বাকি টাকা পুলিশ সুপার ও অন্য অফিসাররা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মো. শামিম বলেন, ২০১৮ সালে কোরবানির ঈদের ২দিন আগে ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে আমাকে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া অন্যায়ভাবে একদিন থানায় আটকে রেখে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আপনার পরিবারের সদস্যদের নিকট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক সদস্য জানায়, উপজেলায় প্রতি মাসে একটি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলেও ওসি মোয়াজ্জেম কখনো সে সভায় অংশগ্রহণ করতেন না।


তৎকালীন সময় ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক সে সভায় অংশগ্রহণ করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল।


সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের নুরুল আমিন ও আবদুল মান্নান জানান, মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে ওসি মোয়াজ্জেম গত জানুয়ারি মাসে তাদের নিকট থেকে জোর করে দুই লাখ টাকা করে আদায় করেছে।


সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মনগাজী বাজারের ব্যবসায়ী নূর ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম আমাকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা অজুহাতে দুইদিন থানায় আটকে রেখে আমার পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করেন।


এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসি মোয়াজ্জেমের নির্দেশে তার নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার কনস্টেবল আবুল খায়ের মাদক ব্যবসায়ী, যানবাহন, ইটভাটা, করাতকল, বাজার ব্যবসায়ী, বালুমহল, মৎস্য আড়ৎসহ সমগ্র থানা এলাকা থেকে চাঁদা উঠিয়ে তাকে এনে দিতেন।


নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে ওসি মোয়াজ্জেম থানায় মামলা নিতে চাইতেন না। ভুক্তভোগীরা খুব বেশি বিরক্ত করলে তিনি ডাকাতির ঘটনা চুরির মামলা হিসাবে রজু করতেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধি: লালমনিরহাটে বন্যার কবলে কয়েক গ্রামের মানুষ

তিস্তায় আকস্মিক পানি বৃদ্ধি: লালমনিরহাটে বন্যার কবলে কয়েক গ্রামের মানুষ

admin June 19, 2019

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীতে আকস্মিকভাবে পানিবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চলসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।


গ্রামগুলো হচ্ছে- দ্বীপচর, দক্ষিণবালাপাড়া, গোবরধন, চন্ডিমারী ও কুটিরপাড়। সেই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।


সরেজমিন উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা বেষ্টিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিস্তা নদীতে আকস্মিকভাবে পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ করে তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। আর সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে থাকে।


শুধু তাই নয়,পানি বৃদ্ধির ফলে গোবরধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবরধন এম. এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোবরধন হায়দারীয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠায় বিপাকে পড়তে হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।


মহিষখোচা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি ইত্তেফাককে জানান, আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দ্বীপচরের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে চরাঞ্চলের লোকজনের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল বাদাম, ভুট্টাসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।


গোবরধন বাহাদুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করে নদীতে পানিবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে তিনি পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। একই কথা জানালেন আজল মিয়াও।


গোবরধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম জানান, বিদ্যালয়টি পানিবন্দি হওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান।


মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হওয়ার কথা দাবি করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে পানিবন্দি পরিবারের তালিকা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে।


আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, পানিবন্দি পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

অভিযানে গিয়ে নকল ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ ধরা খেল আসল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে

অভিযানে গিয়ে নকল ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ ধরা খেল আসল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে

admin June 19, 2019

প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূইয়া। নিজেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও আদায় করতেন তিনি। কিন্তু তিনি আসলে ম্যাজিস্ট্রেট নন।


মঙ্গলবার (১৮ জুন) গুলশান এভিনিউ’র চিটাগাংবুল নামের একটি রেসটুরেন্টে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করতে গিয়ে অবশেষে আসল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে নিজেই গ্রেফতার হয়েছেন নকল ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব।


জানা গেছে, ওই রেস্টুরেন্টে গিয়ে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তার চালচলনে সন্দেহ হয় রেস্টুরেন্ট কর্মকর্তাদের।


ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, বেলা ৩টায় গুলশান এভিনিউর একটি রেস্টুরেন্ট থেকে মোহাম্মদ বিন জহির সুমন ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।


তিনি ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সারোয়ার পরিচয় দিয়ে রেস্টুরেন্ট ম্যানেজারের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারকে জানালে সাজিদ আনোয়ারের ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করেন।

মোবাইল ব্যাংকিং: ব্যালেন্স দেখতে পয়সা গ্রাহকদের দিতে হবে না

মোবাইল ব্যাংকিং: ব্যালেন্স দেখতে পয়সা গ্রাহকদের দিতে হবে না

admin June 19, 2019

মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবায় (এমএফএস) হিসাবের ব্যালান্স দেখার জন্য গ্রাহকদের কোনো খরচ হবে না। প্রতি বার ব্যালেন্স দেখার জন্য যে ৪০ পয়সা খরচ হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করা হয়।


বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়, বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশ ও নগদের মতো মুঠোফোন ভিত্তিক আর্থিক সেবায় (এমএফএস) ব্যালান্স দেখতে গ্রাহককে কোনো টাকা গুনতে হবে না।


এতে আরো বলা হয়, গত ১৩ জুন যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে গ্রাহকের ওপর নতুন করে চার্জ আরোপের কোনো সুযোগ নেই।


এর আগে, গত ১৩ জুন এ সংক্রান্ত বিটিআরসি’র ওই নির্দেশনায় বলা হয়, একটি আর্থিক লেনদেন ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হলে মুঠোফোন অপারেটররা ৮৫ পয়সা পাবে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেন ছাড়া অন্য কাজের জন্য প্রতিবার ৪০ পয়সা দিতে হবে। উল্লেখ্য, আর্থিক লেনদেন ছাড়া গ্রাহকরা মূলত ব্যালেন্স দেখার কাজই করেন।


তবে, নির্দেশনায় আর্থিক লেনদেন ব্যতীত অন্য কাজের জন্য নির্ধারিত ৪০ পয়সা গ্রাহক নাকি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দেবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে আজকের এই নির্দেশনার মাধ্যমে এই ধোঁয়াশা দূর করলো বিটিআরসি।

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

admin June 18, 2019

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে টাইগারদের জয়। ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩২২ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা। সোমবার ইংল্যান্ডের টনটনে শাই হোপ, এভিন লুইস ও সিমরন হিতমারের ঝড়ো ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৯৯বলে ১২৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৬৯ বলে ৯৪ রান করেন লিটন কুমার দাস। ৪৮ রান করেন তামিম ইকবাল।


উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৫২ রান করেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সৌম্য।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। তার বিদায়ের পর রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব।


চতুর্থ উইকেটে তাদের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আর এই জুটিতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ হজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২১/৮


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ (৯৬) ও এভিন লুইসের (৭০) অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়েছে ক্যারিবীয়রা। এছাড়া ২৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিমরন হিতমার।


বিশ্বকাপে টাইগারদের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৪/৯ রান করেছিল কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দল।


সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানে ক্রিস গেইলের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় উইন্ডিজ। ব্যাটিং দানব গেইলকে দ্রুত আউট করে টাইগার শিবিরে খানিকটা স্বস্তির পরশ এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেই বিপর্যয় কাটিয়ে তুলেন শাই হোপ ও এভিন লুইস জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা অনবদ্য ১১৬ রানের জুটি গড়েন।


উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান এভিন লুইস। ৫৮ বলে ফিফটি গড়ার পর বল আর মাটিতে ফেলতে দেননি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যারিবীয় এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার আগে ৬৭ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৭০ রান করেন লুইস।


সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিকোলাস পুরান। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পুরান। তার আগে ৩০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সিমরন হিতমার। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটি করার পরের বলে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন হিতমার।


এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। কাটার মাস্টারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাসেল। ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন হোল্ডার।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শাই হোপ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন তিনি। ৭৭ বলে ফিফটি করার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তিনি। মোস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২১ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করেন হোপ। ইনিংসের একিবারে শেষ দিকে ১৫ বলে ১৯ রান করে সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ড্যারেন ব্রাভো।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (শাই হোপ ৯৬, এভিন লুইস ৭০, হিতমার ৫০, হোল্ডার ৩৩, নিকোলাস ২৫, ড্যারেন ব্রাভো ১৯; মোস্তাফিজ ৩/৫৯, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, সাকিব ২/৫৪)।

ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজির

ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজির

admin June 17, 2019

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার পর পালিয়ে বেড়ানো ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতারের পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার শাহবাগ থানা থেকে প্রিজনভ্যান করে তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।


তাকে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক অপারেশনস মাহবুবুর রহমান।


শাহবাগ থানার এক এসআই বলেছেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের পরনে রয়েছে হাফ হাতা গেঞ্জি, চোখে সানগ্লাস, মুখে দাঁড়ি। অবশ্য গ্রেফতারের সময় তিনি শার্ট পরিহিত ছিলেন।


এরআগে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মোয়াজ্জেমকে সোনাগাজী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে শাহবাগ থানা পুলিশ। রবিবার বিকালে ওসি মোয়াজ্জেমকে ঢাকার হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হলো।


ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি গত মার্চ মাসে অধ্যক্ষ সিরাজ্জুদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে ওসি মোয়াজ্জেম তাকে থানায় ডেকে জবানবন্দি নিয়েছিলেন।


তার কয়েক দিনের মাথায় নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করা হয়। এরপর সারাদেশে আলোড়ন শুরু হয়। নুসরাতের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।


ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, মোয়াজ্জেম হোসেন বেআইনিভাবে মোবাইল ফোনে নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও করেছেন এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

বেহাত দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ পরিত্যক্ত সম্পত্তি

বেহাত দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ পরিত্যক্ত সম্পত্তি

admin June 17, 2019

বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমের বিপুল পরিমাণ পরিত্যক্ত সম্পত্ত বেহাত হয়ে রয়েছে। কে কোনভাবে কোথা থেকে কিভাবে লীজ নিয়ে যুগ যুগ ভোগদখল করছে তার কোন হিসাব নেই। যদিও রলওয়ের ভূমি অফিস সংশ্লিষ্টদের মতে, রেলওয়ের অব্যবহৃত সম্পত্তি লীজ দেয়া আছে। তবে পরিত্যক্ত রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে ও রেল লাইনের দুইধারের কিছু জমি বেদখলে গেছে। উদ্ধারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।


জানা যায়, পশ্চিঞ্চলীয় রেলের মোট ৩৭ হাজার ১৯৮ একর জমি রয়েছে। তাার মধ্যে ৩০ হাজার রেলওয়ের অপারেশনাল কাজে ব্যবহার হয়। বাকি জমি পরিত্যক্ত ও লীজ দেয়া আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোথায় কিভাবে কারা লীজ গ্রহীতা তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এ সুযোগে লীজ গ্রহীতারা নদ-নদীর জমির মতোই রেলওয়ের জমি লীজের নামে বংশ পরম্পরায় ভোগ দখল করে আসছে। যার বেশিরভাগই অনিয়ম ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ভোগদখল হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত রেলওয়ের স্টেট অফিসের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে দখলদারদের সুযোগ করে দিয়েছে।


সূত্র জানায়, বিগত ২০১৪ সালে রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) আইন ২০১৪ নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ের জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার কঠোর নির্দেশ দেন। তারপর সংশ্লিষ্ট বিভাগ নড়েচড়ে বসে। বিভিন্নস্থানে অভিযানও হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আবার ঝিমিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে যশোরের চুড়ামনকাঠি মেহেরুল্লানগর পরিত্যক্ত স্টেশন ঘরের জানালা দরজা ও টিন বহু আগে চুরি গেছে। ওই রকম পরিত্যক্ত স্টেশনের সংখ্যা অসংখ্য। যার আশেপাশের জমি প্রভাবশালীরা দখল করে চাষাবাদ করছে।


সূত্র আরো জানায়, রেলের পশ্চিম জোনে শত শত কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে যাতায়াত করলে স্পষ্ট দেখা যাবে ট্রেন লাইনের প্রায় গা ঘেষে অনেক জমি যে যার মতো ভোগদখল করছে। যশোর রেলওয়ে স্টেশনের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে বস্তি ও দোকানপাট। ট্রেন লাইনের দুই ধারে নির্দিষ্ট এলাকার ফাঁকা জায়গা থাকে। যার অধিকাংশই বেহাত হয়ে গেছে। চোখের সামনে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল হলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নেই। যশোর, খুলনা, নওয়াপাড়া, ঝিকরগাছা, বেনাপোল, নাভারণ, সিঙ্গিয়া, মেহেরুল্লাহনগর, বারোবাজার, কালীগঞ্জ, আবদুলপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী ও রাজশাহীসহ ছোট বড় স্টেশন এলাকায় একরের পর একর জমি লীজের নামে প্রভাবশালীরা ভোগদখল করে আসছে।


এ প্রসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রলওয়ের ভূমি কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ব্যবস্থাপনার অভাব ও জনবল সঙ্কটের কারণে রেলওয়ের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three