রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদ মানেই আনন্দ আর আনন্দ মানেই নতুন পোষাকের সঙ্গে সুন্দর সাজে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। তাই সেই সাজটা হওয়া চাই আকর্ষণীয় এবং মানানসই। তা ছাড়া ঈদের সাজটা সুন্দর না হলে যেন ঈদ উৎসবটাই ম্লান হয়ে যায়। মেয়েদের সাজে সময় ও আবহাওয়া বুঝে নেওয়া উচিত।
আবার হাওয়া বুঝে ট্রেন্ড বদল করাও যে আরেকটি ফ্যাশন। সাজের ক্ষেত্রে গত দুই বছরে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মেয়েদের কাছে নো মেকআপ লুকই বেশি পছন্দের। তা ছাড়া এবারের ঈদটাও হবে তীব্র গরমের ভিতর। তাই সাজগোজে যত সাধারণ থাকা যায় ততই ভালো। তবে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মেকআপ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের
ঈদের আনন্দের পূর্ণতা পায় নতুন জামা-কাপড়, সাজসজ্জা, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া এবং বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে। তাই সবার মাঝে নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে যা করতে পারেন।
ঈদের দিনে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গোসলটা সেরে নিলে সারাদিনের জন্য টেনশনমুক্ত থাকা যায়। এরপর নতুন পোশাক পরে দিনের শুরু।
কেমন হবে ঈদের দিনের পোশাক
ঈদের দিন একটু আরামদায়ক পোশাক পরিধান করাই ভালো। এক্ষেত্রে হালকা সুতি হলে বেশি ভালো হয়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, জিন্স যেটাই হোক তার সঙ্গে ম্যাচিং করে পরা যায় দুটি চুড়ি, পায়ে দুই ফিতার চটি। সবার মধ্যেই খুশিখুশি ভাবটা থাকে, তাই সাজগোজের ব্যাপারটিও এ সময় বেশি প্রাধান্য পায়। তবে এদিন শিফন, জর্জেট, সুতি, ঢাকাই জামদানি, মসলিন, টাঙ্গাইলের জামদানি কাপড়গুলোও পরতে পারেন। কারণ এগুলো হালকা হওয়ায় খুব আরামদায়ক হবে।
সুন্দর লুকে নিজেকে উপস্থাপন
ঈদের দিনে এত কাজের ভিড়েও নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হলে একটু সচেতন হতেই হয়। আগে ঈদের দিনে সাজটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর ও রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।
সকালের সাজ
সকালে একটু-আধটু কাজের চাপ থাকে, তাই চলাফেরা করতে সহজ হয় এমন কোনো পোশাক বেছে নিন। সকালের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই কোনো হালকা কালারের পোশাক পরতে পারেন। মেকআপের শুরুতে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিয়ে পাউডার ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। সকাল বেলায় ভারী মেকআপ না নেওয়াই ভালো। এ সময় চোখে কাজল পরতে চাইলে কালো না পরে ব্রাউন কালার বেছে নিতে পারেন।
এছাড়া সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কেমন সাজ নেবেন এ প্রসঙ্গে বিউটি এক্সপার্ট শারমিন আখতার বলেন, সকালে সুতির সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাজটা একেবারে শুভ্র ও ন্যাচারাল হবে। চোখে কাজল এবং ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিক লাগিয়ে নিলে চেহারায় সকালের শুভ্রতার একটা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে। চুলটা এ সময় বাঁধা থাকবে।
দুপুরের সাজ
ঈদের দিন দুপুরে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। দুপুরে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর দিতে পারেন লিপগ্লোস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে শ্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না পরুন।
দুপুরে আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে ম্যাচ করতে পারেন, আবার কন্ট্র্যাস্টও করতে পারেন। চোখের পুরোটা পাতায় বেজ কালার করে নিন। তারপর অন্য কালারগুলো লাগান। চোখের লেশের কোল ঘেঁষে পেনসিল আইলাইনারের টান আবার আউটার কর্নারটাও একটু টেনে দিতে পারেন। গালে আলতো করে একটু ব্লাশন ছুঁইয়ে নিন। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন।
রাতের সাজ
রাতে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো সাজুন। বাইরে গেলে শাড়ি পরুন। বাঙালি নারীর শাড়িতেই পূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে মেকআপ বসিয়ে নিন। চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রঙের শ্যাডো ব্যবহার করুন।
রাতের সাজে শাড়ি খুব বেশি গর্জিয়াস হলে মেকআপটা পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল হবে। চোখের ওপর অ্যাকোয়া ব্লু এবং গ্রে আইশ্যাডো একসঙ্গে মিলিয়ে লাগান। চোখের ইনার কর্নারে গোল্ড বা শিমারি পিঙ্ক আইশ্যাডো স্মাজ করে লাগিয়ে নিন। তবে ব্লাশনের রং বেশি উজ্জ্বল না হওয়াই ভালো। হালকা রঙের লিপস্টিক রাতের সাজের জন্য বেশি মানানসই হবে।