গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আটক করেছে। পৌরসভার বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা হয়। আহত সাজু মিয়াকে (৩২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাজু মিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (মীরগঞ্জ-থানাপাড়া) কাউন্সির ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি উপজেলা সদরের থানাপাড়ার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার সাজু মিয়ার চাচা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেছেন।
সাজুর পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুস সোবহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে সাজু মিয়াকে ফোন করে তাদের থানাপাড়া বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে কয়েকজন যুবক অতর্কিত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।
ওসি জানান, তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, এ ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা সদর ও মীরগঞ্জ বাজারের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে। জনশূন্য হয়ে পরে উপজেলা সদর। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ মোতায়েত করা হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় সাজুর চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি দেখিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজার দাবি, তাদের সংগঠনের দ্বন্দ্বের সঙ্গে দলীয় কোনো বিষয় জড়িত নয়, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত।