Showing posts with label নির্যাতন. Show all posts
Showing posts with label নির্যাতন. Show all posts
থানায় ডেকে ব্যবসায়ীকে নির্মম নির্যাতন

থানায় ডেকে ব্যবসায়ীকে নির্মম নির্যাতন

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বগুড়া সদর থানা হেফাজতে এক ব্যবসায়ীকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের নির্যাতনের শিকার সোহান বাবু আদর (৩২) বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে।


এদিকে এ ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে চারজনের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ আলী ও নিয়ামত উল্লাহ এবং কনস্টেবল এনামুল হক।


সোহান বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত কনস্টেবল এনামুল, এস আই জব্বারসহ কয়েকজন তাকে কখনো ঝুলিয়ে আবার কখনো হ্যান্ডকাফ দিয়ে হাত বেঁধে নির্যাতন করেছেন। নির্যাতনের কারণে তিনি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা থেকেই তার বাবা ও বোনকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষরর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।


জানা যায়, সোহান আগে ইলেকট্রিক সামগ্রীর ব্যবসা করলেও সম্প্রতি একই এলাকায় আল-ফালাহ্ বহুমুখী উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি ঋণদান সমিতির কার্যক্রম চালাতেন। ওই সমিতিতে একই এলাকার সাথী বেগম নামে এক নারীর ৩০ শতাংশ এবং বাপ্পী নামে আদরের এক বন্ধুর ৩০ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে।


নির্যাতনের শিকার আদর ও তার বড় বোন সম্পা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থানার মুন্সি (কনস্টেবল) এনামুল হক মোবাইল ফোনে আদরকে থানায় ডাকেন। ওই ফোন পেয়ে তিনি থানায় যাওয়ার পরপরই তাকে হাজতে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তার বোন সম্পা রাতেই থানায় গেলে জানানো হয়, একই এলাকার সাথী বেগম তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত (ইভটিজিং) ও পাওনা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ কারণে তাকে আটক করা হয়েছে।


সোহান বাবু আদর বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ১১ টা পর্যন্ত কনস্টেবল এনামুল, এস আই জব্বারসহ কয়েকজন তাকে কখনো ঝুলিয়ে আবার কখনো হ্যান্ডকাফ দিয়ে হাত বেঁধে নির্যাতন করেছেন। নির্যাতনের কারণে তিনি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শুক্রবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে থানা থেকেই তার বাবা ও বোনকে থানায় ডেকে নেয়া হয়। এরপর তাদের কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষরর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।


আহত আদরের স্ত্রী পাপিয়া বেগম জানান, থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শুক্রবার রাতেই সোহান বাবু আদরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি তারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে গেলে এসআই জব্বার ও কনস্টেবল এনামুল ভয়ভীতি দেখায়। এ কারণে তারা রাতে বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেননি।


বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আদরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।


বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশ সুপার জেলার বাইরে থাকায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। তবে তার নির্দেশে অভিযুক্ত ওই চার পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হবে।

স্ত্রীকে ঘরে বন্দী করে নির্যাতন কারারক্ষীর, অতঃপর ...

স্ত্রীকে ঘরে বন্দী করে নির্যাতন কারারক্ষীর, অতঃপর ...

admin June 07, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
স্ত্রীকে হাতকড়া লাগিয়ে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে নোয়াখালী জেলা কারগারের কারারক্ষী মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঈদের দিন বুধবার বিকালে ফেনী থেকে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


এরআগে ওইদিন দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর কারাগার সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে হাতকড়া লাগানো আহত অবস্থায় নির্যাতিতা সুবর্ণা আক্তার বীথিকে (১৯) উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অভিযুক্ত কারারক্ষী মো. মামুন চট্টগ্রামের দারোগারহাট গ্রামের মো. বকুলের ছেলে। নির্যাতিতা সুবর্ণা আক্তার বীথি জামালপুরের সানাইবান্ধা গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে তার বাবা-মা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে থাকেন।


নির্যাতিতা ওই নারী জানান, মামুন দুই বছর আগে চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় ভালোবেসে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন আগেও মামুন এক স্ত্রী রয়েছেন। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য মামুন প্রায়ই তাকে মারধর করতো। সাত মাস আগে সে নোয়াখালী জেলা কারাগারে বদলী হয়ে আসে। এর পর থেকে তাকে হাত ও পায়ে হাতকড়া লাগিয়ে নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। আশপাশের লোকজন যাতে তার চিৎকার না শুনতে পায় সেজন্য মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতেন মামুন। এরপরও মাঝে মধ্যে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেলে এ সাত মাসে পাঁচবার বাসা বদল করে সে।


নির্যাতিতা ওই নারী আরো জানান, মামুন নগ্ন করে মারধরের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার এবং পুলিশে অভিযোগ করলে তার বাবা ও ভাইকে মাদকের মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে মামুন শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে ১০ হাজার টাকা এনে দেয়ার জন্য তাকে চাপ দেয়। এতে রাজি না হলে রাতভর নির্যাতনের পর সকালে দুইহাতে হাতকড়া পরিয়ে অফিসে চলে যায়। পাশের বাসার এক নারী বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ জেলা কারাগার সড়কের নুর জাহান মহলে নামের একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত কারারক্ষী মামুনকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন না মজ্ঞুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।


এদিকে জেলা কারাগার সুপার মো. মনির আহমেদ জানান, স্ত্রীকে নির্যাতন করার ঘটনায় কারারক্ষী মামুনকে বুধবার সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়। এর আগে গত ১১ নভেন্বর সে চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ৪ মাস পর এ কারাগারে যোগদান জন্য আসলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে ছিল।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three