নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১-এর সদস্যরা।
একই সঙ্গে ধর্ষক সাইফুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবন্ধী তরুণীর মোবাইল ও ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক কাজী শামসের আহম্মেদ।
তিনি জানান, গত ৬ জুন বিকেলে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার (২১) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৮) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজি যোগে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে সাবিনা বাধা দিলে সাইফুল তার জামা দিয়ে সাবিনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে এবং তার লাশকে ধর্ষণ করে। পরে তার লাশ কলা ক্ষেতে ফেলে চলে যায়।
এ সময় সে সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে সাইফুল আত্মগোপন করে থাকে। গত ৮ জুন স্থানীয় লোকজন উল্লেখিত কলাবাগানে লাশ দেখে শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে সাবিনার মা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এ বিষয়ে খবর পেয়ে র্যাব তাদের একটি গোয়েন্দা দল এএসপি মোঃ আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। গত ১১ জুন র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল শিবপুর থানার কলেজ গেইট এলাকা থেকে হত্যা ও ধর্ষণকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সাইফুলের দেখানো মতে তার বাড়ির বাথরুম থেকে সাবিনার মোবাইল ফোন ও বাড়ীর পাশের একটি নর্দমা থেকে সাবিনার ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে।