Showing posts with label নরেন্দ্র মোদি. Show all posts
Showing posts with label নরেন্দ্র মোদি. Show all posts
শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মোদি

শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন মোদি

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে এক ‘অভূতপূর্ব নতুন উচ্চতায়’ উন্নীত করার জন্য এ সফর অনুষ্ঠিত হবে।


ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) জানায়, মোদি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণ আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছেন এবং সফরের সময়সূচি কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।


তবে মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরে মালদ্বীপ যাবেন বলে এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সফরের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হওয়ায় ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপিকে জানান, মোদি ৮ জুন মালদ্বীপ সফর করবেন।


মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ টুইটারে জানিয়েছে, সফরকালে মোদিকে দেশটির সংসদে ভাষণ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি রেজল্যুশন গ্রহণ করা হয়েছে।


শুক্রবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে তাদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ আসেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৭-১০ এপ্রিল ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে যান।


ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো প্রথম বিদেশি নেতাদের অন্যতম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ‘অসাধারণ নিবিড় ও আন্তরিক বন্ধন’ এবং দুই নেতার চমৎকার সম্পর্কের প্রতিফলন করে।


রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে সাক্ষাৎকালে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ওপর জোর দেন।


তিনি বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপনের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এটা করা উচিত।


মোদি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটি ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়ে আছে।


তিনি বলেন, স্থল সীমান্ত নির্ধারণসহ বেশকিছু জটিল অমীমাংসিত সমস্যা নিরসনে গত পাঁচ বছরে দুই দেশ অত্যন্ত পরিপক্বতা এবং ধৈর্য দেখিয়েছে।


সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার অবস্থা নিয়ে পরম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


রাষ্ট্রপতি হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদিকে পৌঁছে দেন। শেখ হাসিনা পূর্ব নির্ধারিত সফরে সৌদি আরব থাকায় ভারত যেতে পারেননি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভারতের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার নয়াদিল্লি যান রাষ্ট্রপতি হামিদ।

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস মোদির

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস মোদির

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে দিল্লীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হায়দরাবাদ হাউসে সাক্ষাৎ করতে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যৌথভাবে করার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।


বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে মোদি বলেন, ‘আমরা মনে করি জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। কাজেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।’ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়। এটা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি। দীর্ঘস্থায়ী ও দ্বিপক্ষীয় ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেন, ভারত এবং এ দেশের জনগণ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।


বৈঠকে রাষ্ট্রপতি হামিদ মোদিকে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছে।ভারতও অমীমাংসিত বিষয়টির সমাধান চায় উল্লেখ করে মোদি যৌথ নদী কমিশনের কার্যকারিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশিদারিত্ব বিকশিত হয়েছে।


রাষ্ট্রপতি হামিদ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ সম্পর্ক জোরদার ও সমৃদ্ধ হয়েছে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্র নায়কোচিত নেতৃত্বের কারণে।


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


রাষ্ট্রপতি হামিদ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের লক্ষ্যে তিন দিনের সফরে বুধবার নয়াদিল্লী পৌঁছেন। বাসস।

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি

দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি

admin May 31, 2019

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি শপথ নেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর একে একে শপথ নিচ্ছেন ৫৫ জন মন্ত্রী। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রিসভায় অন্তত তিনজনের আসন নিশ্চিত হয়েছে।


নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে রাষ্ট্রপতিভবনে করা হয় এলাহি আয়োজন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। তারা সবাই যথাসময়ে সেখানে পৌঁছান। অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত হন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীও।


২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগেরবার মোদীর শপথের সময় রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হয়। এবারও সেখানেই শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।


বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে শপথগ্রহণে যোগ দেওয়ার কথা বললেও পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করেন।



বাংলায় তিন মন্ত্রী


মন্ত্রিসভায় নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তার পদোন্নতিও হতে পারে। পেতে পারেন পূর্ণ মন্ত্রক। আগের বারের মন্ত্রী ও সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার মন্ত্রিত্বও কার্যত নিশ্চিত। অন্য দিকে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন এসেছে বলে দেবশ্রী নিজেই জানিয়েছেন।

নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

admin May 28, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
৩০ মে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।


সোমবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল। পরে এতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে মোজাম্মেল হক বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে থাকছেন।


যদিও রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, এবার স্পিকারের পূর্বনির্ধারিত আরেকটি অনুষ্ঠান থাকায় তিনিও দিল্লি যেতে পারবেন না। ফলে এবার কেবিনেটের সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে মোজাম্মেল হক যাচ্ছেন মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

admin May 27, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শান্তির আলোচনায় বসতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বোববার টেলিফোনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ইমরান।


কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলাল ঘটনার পরে এই প্রথম টেলিফোনে কথা বললেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


ইমরান খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান ভারতের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।


এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেদের বিশ্বাস বাড়াতে হবে, হিংস্রতা মুক্ত এবং সন্ত্রাসবাদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় দেশ তাদের জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।


এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মোদিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সরকারি লাইনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইমরানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা সবার আগে লড়তে হবে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য।


এই অঞ্চলে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা আর সংঘর্ষ বন্ধ করাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি ইমরান খানকে সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। সূত্র: এএফপি

৩০ মে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি

৩০ মে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫২ আসন পেয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করছে বিজেপি তথা এনডিএ। আগামী ৩০ মে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি।


রোববার বিকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটার এ কথা জানান। এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই দিনই শপথ নিতে পারেন কয়েকজন মন্ত্রী। তবে সেই তালিকায় কারা থাকবেন, তা নিয়ে বিজেপি গোপনীয়তা বজায় রাখছে।


ভারতীয় গণমাধ্যম মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ঘনিষ্ঠদের বরাত দিয়ে জানায়, মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন মুখ মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পাবে। তাই ৩০ মে রাষ্ট্রপতি ভবনে একাধিক বাঙালিকে শপথ নিতে দেখা যেতে পারে বলেও জানানো হয়।


এর আগে শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সরকার গঠনের জন্য দাবিপত্র দিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এর পরই প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কারা শপথ নেবেন, তা জানাতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।


বিজেপির পক্ষ থেকে সম্মতি পেয়ে ৩০ মে সন্ধ্যা ৭টায় শপথগ্রহণের দিন ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি ভবন। সেই অনুযায়ী শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিও।

বিজেপির জয়: এই সময়ে এসেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজয়ী?

বিজেপির জয়: এই সময়ে এসেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজয়ী?

admin May 24, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটির দেয়ালে লেখা- ‘এই সময়ে এসে ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিজয়ী হয়েছে’। আর এটিই প্রজাতন্ত্রটির ভবিষ্যৎ নিরূপণ করে দেবে। বুদ্ধিজীবীদের দেয়া পূর্বাভাসকে নাকচ করে দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভারতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।


বুদ্ধিজীবীরা বলেছিলেন, ভারতের অর্থনৈতিক সংকটে মোদির ভোট ব্যাংকে ভাটা পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের এই ফল সত্যিই বিস্ময়কর ও দুঃখজনকভাবে দেখিয়েছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ব্যবহার করেও ভোটারদের প্রলুব্ধ করা সম্ভব হচ্ছে।


উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নির্বাচনের আগের কয়েকটি মাস মোদির প্রচার মুসলিমবিদ্বেষ ও পাকিস্তানবিরোধী বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তৃতায় টইটম্বুর ছিল। জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তুলতে এই সময়ে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের সরাসরি বোমা হামলা চালিয়েছে ভারত।


এখন সেই উত্তেজনা নেই। আমরা আশা রাখছি, সংখ্যালঘুদের ভীতি প্রদর্শন জোরদারে হিন্দু উগ্রপন্থীদের উসকানি দিতে পারে এমন গলাবাজি বন্ধ করবেন মোদি।


এবং উপমহাদেশে টেকসই শান্তির জন্য বাস্তবিক পথকে এগিয়ে নিতে তিনি অবশ্যই মনোযোগ দেবেন বলে আশা রাখছি। আর এটা সম্ভব কেবল সংলাপের অবিচল প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে, পাকিস্তান বারবার যে প্রস্তাব দিয়েছে এবং ভারত অনবরত তা প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।


নির্বাচনের ফল ঘোষণার একদিন আগে কিরগিজস্তানের বিসকেকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন পাকিস্তানে তার সমকক্ষ শাহ মেহমুদ কোরাইশি। এতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলেছে বলে আশা জাগিয়েছে।


পত্রিকার খবরে দেখা গেছে, সুষমা স্বরাজ মিষ্টি ভাগাভাগি করেছেন এবং স্বীকার করেছেন, অতীতের আলাপচারিতা ছিল তিক্ততায় পূর্ণ।


আগের ঘটনাবলিকে পেছনে ফেলে ওই বৈঠক বলে দিচ্ছে, গত কয়েক মাসের সম্পর্কের অবনতির পর ওই বৈঠকে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠা হয়েছে।


কিন্তু এই আশাবাদ থাকলেও ভারতের অতীত ইতিহাস বলছে না দেশটির সত্যিকার শান্তির আকাঙ্ক্ষা লালন করছে। এমনকি পুলওয়ামায় হামলার আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কার্তারপুরের অনুষ্ঠানে একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।


এতে নিজের অনুপস্থিতি দিয়ে সুষমা স্বরাজ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলনের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেনও তিনি।


পাকিস্তানে পিটিআই ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কয়েকবার ভারতের সঙ্গে সংলাপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শান্তির সুযোগ দিতে মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইমরানের এসব আমন্ত্রণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি।


ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে ধারাবাহিক শীতল আচরণ আসা সত্ত্বেও পাকিস্তান সংযম ও বাস্তবিকতার পরিচয় দিয়েছে। বুধবার বিসকেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরাইশি তেমনই একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি সংলাপের প্রস্তাব ফের টেবিলে রেখেছেন।


ভারতে কট্টরপন্থী সরকার শান্তি আলোচনার জন্য ভালো বলে যে দাবি ইমরান খান করেছেন, সেটির সত্যাসত্য নিয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এসবের অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের আচরণের পরিবর্তনের ওপর।


শান্তির পথে এগোনোর প্রধান বাধা হচ্ছে দেশটির কট্টরপন্থী আচরণ। তবে এই আশাবাদ পুরোটাই যে ভুল, তা বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এ জন্য বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে। আর এটা নিশ্চিত করতে ভারতের ব্যর্থতা আঞ্চলিক শান্তির জন্য মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি।

মোদির বিজয়ে কীসের বার্তা?

মোদির বিজয়ে কীসের বার্তা?

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক
নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার মেয়াদ যখন ২০২৪ সালে শেষ হবে, তখন তার দেশ ভারত চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে, যে দেশটি হবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।


তার দলের মূল নীতিতে হিন্দু জাতীয়তাবাদ থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতৃত্ব দেবেন মোদি। যে দেশটি কাশ্মীর আর দক্ষিণ চীন সাগরের মতো দুইটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।


তিনি এমন এক সময় ভারতকে দ্বিতীয়বারের মতো নেতৃত্ব দিতে চলেছেন, যখন দেশটির সামনে অনেক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে।


তার এই বিজয় বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে, এখানে এমন পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হলো-


ভারতের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরই যুক্তরাজ্যকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত, যাদের রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য জরুরি এক বিশাল তরুণ কর্মশক্তি।


শুধুমাত্র গত বছরেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় কোম্পানিগুলোয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।


দেশটিতে অনেক নতুন নতুন সড়ক তৈরি রয়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন, গরীবদের জন্য সস্তার রান্নার গ্যাস, গ্রামে পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি, একটি একক বিক্রয় কর, প্রতিশ্রুতিশীল একটি স্বাস্থ্য বিমা নীতি তৈরির মতো অনেক কাজ হয়েছে।


তবে শ্লথগতির চাহিদার কারণে এখনো দেশটিতে অনেক অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে কয়েক দশক ধরে চলা বেকারত্ব।


বাড়তে থাকা অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে হলে দেশটিকে প্রতিমাসে কয়েক লাখ নতুন চাকরি তৈরি করতে হবে, যাতে ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। গত মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির সরকার এটি করতে পারেনি, কিন্তু এবার তাদের তা করতেই হবে।


এখন প্রশ্ন হলো, এই নতুন চাকরি তৈরি করতে গিয়ে ভারতকে কি অর্থনৈতিক সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে হতে পারে?


জাতীয়তাবাদের লড়াই বিশ্বের অনেক দেশেই এখন জাতীয়তাবাদের শ্লোগান শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’, পুতিনের ‘মেক রাশিয়াকে গ্রেট এগেইন’, শী জিনপিংয়ের ‘চীনের মানুষের নতুন করে জেগে ওঠা’র মতো শ্লোগান রয়েছে।


মোদিও তার নির্বাচনের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাম ও এবং তার রাজত্বের হারিয়ে যাওয়া গৌরবের শ্লোগান ব্যবহার করেছেন।


তিনি বলেছেন, ‘রাম ছিলেন একজন আদর্শ রাজা এবং তার শাসন ছিল আদর্শ ব্যবস্থা’, ‘রাম রাজ্য ছিল আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জনক এবং বিজেপি সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে’ ইত্যাদি।


যদিও বিজেপি নেতারা বরাবরই বলে আসছেন যে, তারা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নন। ‘তাদের দল ১৩০ কোটি ভারতীয়র জন্যই, ধর্ম নিয়ে তারা কোনো বিভেদ করেন না’, বলেছেন বিজেপি মুখপাত্র নালিন কোহলি।


এখন বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসছে আর যারা হিন্দু জাতীয়তাবাদী পরিচয়ের দাবি করছেন, তাদের পোস্টারে দেখা যাচ্ছে রামের ছবি।


গত নভেম্বরে বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে যে, এরকম একটি জাতীয়তাবাদের পরিচয় তৈরির চেষ্টায় মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়েছে, ডানপন্থী নেটওয়ার্কে মিথ্যা গল্প তৈরি করা হয়েছে আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এরকম একটি বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।


শক্তিমান ব্যক্তিত্বের রাজনীতি আর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব নরেন্দ্র মোদিকে নিজেদের ম্যানিফেস্টোতে শক্তির প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছে বিজেপি, বিশেষ করে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাটিতে অভিযান চালানোর পর।


আগের কয়েকটি রাজ্য নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কমে গেলেও, ওই হামলার পর তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে।


তার সমর্থকরা বরাবরই, তাদের ভাষায় নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে তৃণমূল থেকে নিজের চেষ্টায় তার উঠে আসার বিষয়কে তুলে ধরেছেন।


সাধারণ ভারতীয়দের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে যে, তিনি একজন একনিষ্ঠ, কঠোর পরিশ্রমী আর চৌকস ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে ভারত দুইবার পাকিস্তানকে মোকাবেলা করেছে আর একবার চীনকে- যারা এই অঞ্চলের অপর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।


বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে আস্তে আস্তে চীনের পাল্টা শক্তি হয়ে উঠছে ভারত, বলছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স।


দ্বিতীয় মেয়াদেও যদি মোদি ভারতীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন, তাহলে হয়তো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক জোট এবং বন্ধুত্বের পালাবদল দেখা যেতে পারে।


ডানপন্থীদের উত্থান ও জনপ্রিয়তা জনপ্রিয় শ্লোগান এবং ধারণা নিয়ে ডানপন্থী রাজনীতি করছে বিজেপি। যখন অভিবাসীদের ‘পশু’ বলে বর্ণনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তখন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ অবৈধ অভিবাসীদের বর্ণনা করেছেন ‘তেলাপোকা’ বলে, এবং তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার অঙ্গীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি হিন্দু আর বুদ্ধ শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ারও প্রস্তাব করেছেন।


উত্তর প্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কংগ্রেস সবুজ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। (সবুজ বলতে ইসলামকে বর্ণনা করা হচ্ছে)


গত পাঁচ বছরে বিজেপির শাসনামলে ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক সবচেয়ে অবনতি হয়েছে এবং দেশটিতে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


হয়তো নির্বাচনে জয়ের কৌশল হিসাবেও বিভেদের এসব শ্লোগান নেয়া হতে পারে, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসাটা কঠিন। আর বাস্তবতা হলো, জনপ্রিয় নেতারা সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের সঙ্গেই থাকেন। ফলে প্রশ্ন হলো, তারা কি আসলে কখনো সেখান থেকে ফিরতে চাইবেন কিনা?


জলবায়ু পরিবর্তন গ্রিনপিস এন্ড অ্যানালাইসিসের মার্চ ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ৩০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ২২তম।


যদিও চীনের জনসংখ্যাকে ছাড়াতে ভারতের আরো পাঁচবছর সময় লাগবে, তবে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে, সামনের বছর নাগাদ ভারতের পানি, বাতাস, মাটি এবং বনের ওপর চাপের দিক থেকে দেশটি বিশ্বের শীর্ষে উঠে যাবে।


একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, ঘন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আর লাখ লাখ মানুষের দারিদ্রসীমার নীচে থাকার বিষয়টি নরেন্দ্র মোদিকে কঠিন সংকটের মুখে ফেলতে পারে।


অর্থনীতির যেকোনো ধরণের শ্লথগতির ফলে চাকরি বাজারে মন্দা নামবে। অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশটির প্রকৃতির ওপর প্রভাব ফেলবে, যা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।


তবে এসব কিছু সত্ত্বেও প্যারিস চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হার আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।


সূত্র: বিবিসি বাংলা

আরও শক্তিশালী হয়ে দিল্লির মসনদে মোদি

আরও শক্তিশালী হয়ে দিল্লির মসনদে মোদি

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
৭ ধাপের দীর্ঘ ভোটগ্রহণ পর বুথফেরত জরিপের ফলাফলকে বিরোধীরা পাত্তা না দিলেও সেটাই সত্যি হলো; ভারতের মসনদে থাকছেন নরেন্দ্র মোদি এবং আরও শক্তিশালী হয়ে।


বিতর্কিত নানা অধ্যায় ছাপিয়ে নিজেকে 'চায়েওয়ালা' পরিচয় দিয়ে পাঁচ বছর আগে ভোটের লড়াইয়ে জিতে দিলিস্নর মসনদে বসেছিলেন মোদি। এবার ভোটের আগে শাসক পরিচয়ের পরিবর্তে নিজেকে 'চৌকিদার' হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি।


বৃহস্পতিবার ভোট গণনায় দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেস পরিবারের প্রতিনিধি অভিজাত রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে 'চৌকিদার' মোদিতেই ভরসা খুঁজেছেন ভারতের প্রায় ৯০ কোটি ভোটার।


প্রাথমিক দেখে উচ্ছ্বসিত মোদি বলেছেন, 'আবারও জিতল ভারত। আমরা বেড়ে উঠেছি একসঙ্গে, সমৃদ্ধি এনেছি একসঙ্গে, একসঙ্গে থেকেই আমরা শক্তিশালী ভারত গড়ব, যা হবে সবার জন্য। ভারত আবারও জিতে গেল।'


ভোটের পুরোটা সময় কংগ্রেস এবং আঞ্চলিক দলগুলো মোদিবিরোধী জোয়ার তৈরির চেষ্টা করলেও তা যে কাজে আসেনি তা দেখা যাচ্ছে ফলাফলে।


ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে তামিলনাড়ুর একটি বাদে সবকটি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটকে পেতে হবে ২৭২টি আসন।


ঘোষিত ফলে দেখা যায়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৩৫১ আসন। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৯৮ আসন। যা গতবারের চেয়ে ১৬ আসন বেশি।


এবার কংগ্রেস নেতৃত্বধীন জোট ইউপিএ ৯২টি আসনে এবং ১০০টি আসনে অন্যান্য দল জয় পেয়েছে।


২০১৪ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন, যা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরনো দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে পরাজয়। এবার কংগ্রেস পেয়েছে ৫৩টি আসন।


এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে হারাতে একাট্টা হয়েছিল বিভিন্ন আঞ্চলিক দল, কংগ্রেস তো ছিলই। বিশেষ করে ভোটের প্রচারে রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোদির কথার লড়াই বেশ জমে উঠেছিল।


কিন্তু সব বাক্যবাণকে পেছনে ফেলে শেষতক মোদি ম্যাজিকেই বাজিমাত হয়েছে। কয়েকটি আসনে হারলেও তার বিজেপি এবং জোট এনডিএই সাড়ে ৩০০ আসন পেয়েছে।


বিশ্লেষকরা বলছে, এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, বিজেপির পক্ষে ভোট টানতে মোদি একাই যথেষ্ট।


যদিও সমালোচকরা বলছেন, মোদি অর্থনীতির যে ব্যাপক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন তা কখনোই পূরণ করা সম্ভব তো হবেই না, পাশাপাশি তার নেতৃত্বে ভারতে আরও বেশি ধর্মভিত্তিক মেরুকরণ ঘটবে।


দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে পারিবারিক প্রভাব দূর করার ক্লান্তিকর লড়াই চালিয়ে আসা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীই এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোদির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। কিন্তু তার দলের যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সম্ভব ছিল না, সে বিষয়ে আগেই আভাস দিয়ে রেখেছিলেন বিশ্লেষকরা।


ভোটের আগে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে কার্যকর জোট গড়তে ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই মূলত শতবছরের বেশি বয়সী দলটির দুর্বলতা পরিষ্কার হয়ে যায়।


গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর প্রদেশের আমেথিতেই হেরে গেছেন রাহুল; যদিও কেরালার আসনে জিতেছেন তিনি।


বড় দুই দল জিততে না পারলে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনে শক্তিশালী আঞ্চলিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত। বুথফেরত বিভিন্ন জরিপে অবশ্য সে সম্ভাবনা একেবারেই উড়ে গিয়ে বিজেপির জয়ের আভাসই মেলে, যদিও মোদিবিরোধীরা সেই আভাস মানতে নারাজ ছিলেন।


ভারতের লোকসভা নিরবাচনে উত্তর প্রদেশ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে, উত্তর প্রদেশ জয় মানেই পুরো নির্বাচনেই জয়। ২০১৪ সালের মতো এবার অবশ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপির একচেটিয়া প্রাধান্য থাকছে না।


উত্তর প্রদেশে মোদিকে ঠেকাতে বহুদিনের তিক্ততা ভুলে বিস্ময়করভাবে একাট্টা হয়েছিল বহুজন সমাজপার্টি (বিএসপি) ও সমাজবাদী পার্টির (এসপি)। মূলত তাদের 'মহাজোটই' এবার বিজেপির আসনে ভাগ বসায়।


২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপির ছিল ৭১টি। এবার উত্তর প্রদেশের ৫৬ আসনে বিজয়ী হয় বিজেপি। বিএসপি ও এসপির জোট ২৩টি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী হয়েছে।


যার সঙ্গে মোদির বাকযুদ্ধ এবার সবচেয়ে বেশি আলোচনার খোরাক হয়েছিল, সেই মমতার পশ্চিমবঙ্গেও এবার গতবারের তুলনায় বলতে গেলে অভাবনীয় ফল এসেছে বিজেপির। মমতার তৃণমূল আর কংগ্রেসের আসনে এবার ভাগ বসাতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।


এ রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০১৪ সালে বিজেপির ছিল দুটি, এবার সেখানে ১৯টি আসন পেয়েছে তারা। বিপরীতে মমতার তৃণমূলের আসন কমে হয়েছে ২২টিতে, গেলবার ছিল ৩৪টি। আর এবার কংগ্রেসের আসন তিনটি কমে একটি হচ্ছে। এ রাজ্যে প্রায় তিন দশক ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্ট ২০১৪ সালে ২টি আসনে জিতলেও এবার ফিরেছে শূন্য হাতে।


সারাদেশে জয়ের বিপরীতে দক্ষিণের পাঁচটি রাজ্যের চারটি- অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও কেরালায় হেরেছে বিজেপি। এসব রাজ্যের ৯১টি আসনের মধ্যে বিজেপি জোটের অর্জন আটটি আসন।



কী আভাস দিচ্ছে ফলাফল?


বিজেপি যে নিরঙ্কুশ বিজয় পাচ্ছে, সেটা এরই মধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের এই ফলাফল সত্যিকার অর্থে কী আভাস দিচ্ছে?


বিবিসির সাংবাদিক সৌতিক বিশ্বাসের দৃষ্টিতে, প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশমা এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে অটুট রইল।


'বিজেপির পক্ষে তিনিই যে ভোট টানেন সেটা আবারও প্রমাণ হলো। বিজেপিকে ভোট দেয়া মানেই তাকে ভোট দেয়া- মোদির এই মন্তব্য কার্যকর হয়েছে, তা ভোটের ফলাফলেই প্রমাণিত।'


দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক দক্ষতা, যোগাযোগের সব ধরনের আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে বিজেপি দল হিসেবে শক্তি অর্জন করেছে, তা এখন অতিক্রম করা যে খুবই কঠিন, যার প্রমাণ ভোটের প্রচারে মিলেছে বলে সৌতিকের মতো।


তিনি বলেন, ভোটের প্রচারে বিজেপি যেভাবে অত্যন্ত কৌশলীভাবে জাতীয়তাবাদ, উন্নয়ন এবং ধর্মীয় মেরুকরণ নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে, তার বিপরীতে বিরোধী দলগুলো কার্যকর বক্তব্য হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে।


'বিজেপির শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়াতে কংগ্রেসকে এখন নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। এ জন্য শত বছরের প্রাচীন দলটিকে এখন কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি আঞ্চলিক পর্যায়ে দক্ষ নেতা এবং তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।


'শহর ও গ্রামে কর্মসংস্থানের যে সঙ্কট, সেটা কখনোই ভোটে জেতার জন্য শক্তিশালী বার্তা হতে পারে না, যেখানে মোদি 'জাতীয়াবাদের' মতো ভাষা দিয়ে বাজিমাত করেছেন।'



মূল চ্যালেঞ্জগুলো কী?


কৃষির সংকট, বাড়তে থাকা বেকারত্ব আর অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ভারতের ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়ার শঙ্কা- সব মিলিয়ে সম্ভবত অর্থনীতিই হয়ে দাঁড়াবে মূল চ্যালেঞ্জ।


একদিকে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন অন্যদিকে পণ্যের দাম কমে যাওয়া- এই দুয়ে ভারতের কৃষি খাতে বিরাজ করছে এক ধরনের স্থবিরতা। বিপুল পরিমাণ ঋণে জড়িয়ে দিশেহারা বহু কৃষক।


মোদির শাসনামলে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি কিছু ক্ষেত্রে গতিহীন হয়ে পড়েছে। প্রবৃদ্ধি আটকে আছে সাত শতাংশে। তাছাড়া এ বছরই সরকারের ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৯৭০-এর পর দেশে বেকারত্বের হার বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।


এবারের নির্বাচনকে অনেকেই দেখেছেন ভারতের নিজস্ব পরিচয় এবং সংখ্যালঘুদের জন্য লড়াই হিসেবে। মোদির গেল পাঁচ বছরে হিন্দু জাতীয়তাবাদই মূল ধারা হয়ে উঠেছে। এ সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা গরু পাচারের অভিযোগ তুলে বহু মুসলিমকে পিটিয়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে।


গত ফেব্রম্নয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মিরে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গ্রম্নপের আত্মঘাতী হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ সদস্য নিহত হওয়ার পর জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।


লোকসভা নির্বাচনের ফল


বিজেপি : ২৯৯ আসন (+১৭)


এনডিএ জোট : ৩৫১ (+১৫)


কংগ্রেস : ৫৩ আসন (+৯)


ইউপিএ জোট : ৯১ (+৩১)


অন্যান্য : ১০০ (-৪৮)

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three