অনলাইন ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়কপথে ঘরমুখি মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে ১২ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই সুপারিশ উত্থাপন করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদ-যাতায়াত পরিস্থিতির আলোকে সুপারিশগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
সুপারিশসমূহ হলো- দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ। বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সকল টার্মিনাল ও মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। বাসের ছাদে, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহন বন্ধে জাতীয় মহাসড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা।
সারাদেশে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সকল জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্তকরণ। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ। দূরপাল্লার সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল ও বেআইনিভাবে ওভারটেকিং বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। জাল লাইসেন্সধারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের গাড়ি চালানো ও চলন্ত অবস্থায় চালকদের মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমতা প্রদান।
জাতীয় মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলাগুলোর নির্বিঘ্ন সড়ক যোগাযোগের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নিরবিচ্ছিন্ন ফেরি ও লঞ্চ চলাচল নিশ্চিতকরণ।
ঈদের আগে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া এবং ঈদের পরে কাঁঠালবাড়ি ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাতদিন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোর তৎপরতা পরিচালনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুঃসহ যানজট রোধে সড়ক-সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ ও ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ। সকল আন্তঃজেলা রুটের নৈশবাস ছাড়ার আগে যাত্রীদের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা সংরক্ষণ।
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা জননিরাপত্তার স্বার্থে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই ১২ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।