Showing posts with label গৃহবধু. Show all posts
Showing posts with label গৃহবধু. Show all posts
রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় ঠাকুরগাঁওয়ে দুই গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগ

রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় ঠাকুরগাঁওয়ে দুই গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগ

admin August 23, 2018

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করায় দুই গৃহবধুকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তারা মারাত্মক আহত অবস্থায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুর হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই গৃহবধু হলেন- আক্তারা বেগম (২৮) ও লিলুফা বেগম (২৫)।


স্থানীয়রা জানান, চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় এর প্রতিবাদ ও বাঁশের বেড়া খুলে দিতে গেলে তাদের চাচাশ্বশুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় তাদের আমাদেরকে বেধরক মারপিট করে জখম করে। পরে ওই দুই নারীর পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।


হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই গৃহবধু অভিযোগ করে জানান, আমাদের রাস্তায় চলাচলে বেড়া দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করায় আমরা এর প্রতিবাদ করি এবং তা সরিয়ে দিতে গেছে চাচা শ্বশুর রুস্তম আলী, তার ছেলে ফজলু, সোহরাব ও তাদের স্ত্রী বিউটি বেগম, তছলিমা বেগম আমাদের মারপিট করে জখম করে। আমরা এর বিচার চাই।


হাসপাতালের চিকিৎসক শুভেন্দু কুমার দেবনাথ বলেন, আহত দুই গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


অভিযুক্ত চাচা শ্বশুর রুস্তম আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।


এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রংপুর ও নীলফামারীতে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার

রংপুর ও নীলফামারীতে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার

admin August 16, 2018

রংপুর ও নীলফামারী:  পৃথক ঘটনায় রংপুর নগরী ও নীলফামারী ডিমলা থেকে দুই গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রংপুর মহানগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের সিট মহব্বত খাঁ বুদুকমলা এলাকার লাবলু মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।


অভিযোগ উঠেছে, আমেনা বেগমকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে পরিবারের সবাই। আমেনার বেগম ৪ নং ওয়ার্ডের বোল্লার চাক আমাশু এলাকার শাহেদ আলীর কন্যা। আমেনার পিতা শাহেদ আলী আলী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে আমেনাকে তার স্বামী নির্যাতন করতো। তিনি দাবি করেন, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় তাদের। আমেনা এবং লাবলু দুজনেরই আগেও একবার করে বিয়ে হয়েছিল। আমেনার আগের সংসারে আকাশ নামে একটি পুত্র আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।



[এক মডেলের ‘লিভ টুগেদার’ ও তিন নিষ্পাপ শিশুর এতিম হওয়ার গল্প]


লাবলুর বড় ভাইয়ের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী জানান, প্রতিদিন রাতে তার দেবর মাছ ধরে আসার পর সেই মাছ স্বামী-স্ত্রী মিলে ধোয়ার পর শুতে যায়। কিন্তু ভোরে হঠাৎ করে লাবলু ডাকাডাকি করে যে, আমেনা গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমরা উঠে গিয়ে দেখি গলায় ওড়া পেচানো। পরে এলাকাবাসি আসলে ওড়না কেটে তাকে ফাঁস থেকে নামানো হয়। তাকে মারপিট করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চান নি।


কোতয়ালী থানার এস আই মামুনুর রশিদ জানান, আমেনা বেগমের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে জানা যাবে যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে সুরুতহাল রিপোর্টে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।


অপরদিকে নিখোঁজের একদিন পর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রী রেনু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রেনু বেগম ওই গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী। এসময় তার শরীরে ইটবাঁধা ছিল। এর আগে গত সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায় নি। এ ব্যাপরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিমলা থানার এসআিইড শাহ সুলতান মোহম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, লাশ উদ্ধারের সময় কোমরে ৪ টি ইট বাঁধা ছিল। রেনু বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। ময়নাদতন্ত রিপোর্ট আসলে রহস্য উদঘাটন হবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three