Showing posts with label পশু বিক্রেতা. Show all posts
Showing posts with label পশু বিক্রেতা. Show all posts
ইদুল আজহা ঘিরে উত্তরাঞ্চলে জমছে পশুর হাট, দাম কম থাকায় নিরাশ খামারিরা

ইদুল আজহা ঘিরে উত্তরাঞ্চলে জমছে পশুর হাট, দাম কম থাকায় নিরাশ খামারিরা

admin August 12, 2018

রংপুর  এক্সপ্রেস: আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ইদুল আজহা। ইদুল আজহায় সাধ্যমত পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। তাই ইদের আগেই পশু কেনা-বেচার হিড়িক পরে হাটগুলোতে। আর এবছর ইদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই জমছে উত্তরাঞ্চলের কোরবানির পশুর হাটগুলো। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ি ও খামারিরা হাটে গরু আনতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু বাজারে ঢুকতে না পারায় দেশি গরুর খামারিরা অনেকটা খুশি। তবে চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকায় দাম অনেকটা কম, এতে অনেকটা নিরাশ গরু খামারিরা।


গরু খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান যে বাজার মূল্যে তাতে গরু বিক্রি করলে তাদের অনেকটা ক্ষতি হবে তাদের। গুনতে হতে পারে লোকশান। জানা গেছে, এ অঞ্চলে চাহিদার তুলনায় ৩ লাখ পশু অতিরিক্ত রয়েছে।


তবে বাজারে গরুর দাম কম থাকার বিষয়টিকে নিছক গুজব উল্লেখ করে রংপুর বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শেখ আজিজুর রহমান জানান, বেশি মুনাফা লাভের আশায় খামরিদের থেকে কম দামে গরু হাতিয়ে নিতে দালাল ও ব্যবসায়িরা এসব গুজব রটায়। মূলত খামারিরা ঠিকই দাম পাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ইদ যত নিকটে আসবে সাথে সাথে গরুর দামও বাড়বে। ক্ষতিকারক কোনো ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে যাতে কোনো খামারি গরু মোটাতাজা করতে না পারে সে জন্য মাঠ কর্মীরা দিনরাত কাজ করছে বলেও জানান তিনি।


চাহিদার চেয়ে বেশি ৩ লাখ পশু
* দাম না থাকায় হতাশ খামারিরা
* দেশি গরু-ছাগলের প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা


বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উত্তরের ৮ জেলায় ৫৪ হাজার ২১ জন খামারি ও ২ লক্ষাধিক গৃহস্থ মিলে মোট ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩১ টি পশু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু এবারে বিভাগে কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১২ লাখ পশু। ফলে অতিরিক্ত প্রায় ৩ লাখ পশু অতিরিক্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পশু ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে বলেও জানায় তারা।


রংপুর নগরীর এক খামারি জানান, তিনি আসন্ন কোরবানি ইদ সামনে রেখে ৬০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ওই গরুগুলো বিক্রি করলে তাকে অনেক লোকসান গুনতে হবে। তাই এখনো গরু বিক্রি করেননি। তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে ইদের আগে দেশি গরুর দাম বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


সরেজমিনে কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার গতবারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি। হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর চাহিদা নেই বললেই চলে। হাটে হাটে ক্রেতারা ছুটছেন ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরু ও ছাগলের দিকেই। এসব গরুর দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় এবং দেশীয় খাদ্যে লালন-পালন হওয়ায় ওসব গরুর প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।


পাশাপাশি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের গরু ব্যবসায়ি এবং ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন অঞ্চলের হাটগুলোতে। তবে দাম না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বিক্রেতাদের। ক্রেতারা আসছেন, পছন্দ করছেন তবে কিনছেন কম। পাইকারি গরুর ব্যবসায়িরাই মূলত গরু কিনছেন বেশি। হাটগুলোতে প্রকারভেদে দেশি গরু ৩৫ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এখন যে দাম যাচ্ছে তাতে লাভের মুখ দেখছেন না তারা।


বাচ্চা মিয়া ও আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন বিক্রেতা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম কম। ক্রেতা কম থাকায় গরুর দাম উঠছে না। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, পশুর মালিক তার পশুটি ঠিকই কম মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন, কিন্তু দালাল ও ব্যবসায়িরা সেটি কিনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন উচ্চ মূল্য হাঁকিয়ে।


Rangpur Cow Market

অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন এবারে গরুর দাম গতবারের তুলনায় একটু বেশি। তারা মনে করেন ভারতীয় গরু ঢুকলে গরুর দাম অনেকটা কমবে। বুড়িরহাটে গরু কিনতে আসা রংপুর নগরীর ইসলামবাগ এর বাসিন্দা এস.এম মোহসীন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। গত দুই হাট ঘুরেও আমার সামর্থের মধ্যে গরু কিনতে পারিনি। অথচ এর চেয়ে কম দামে গত বছর গরু কিনেছি।


ওই হাটের ইজারাদার বাবুল মিয়া জানান, বুড়িরহাটে দেশি ছোট ও মাঝারি গরু বেশি কেনাবেচা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হাটে ভারতীয় গরু ওঠেনি। ইদের আগের দুই হাটে বেশি দেশি গরু বিক্রি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three