Showing posts with label ওয়েস্ট ইন্ডিজ. Show all posts
Showing posts with label ওয়েস্ট ইন্ডিজ. Show all posts
সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

সাকিব-লিটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টাইগারদের ইতিহাস গড়া জয়

admin June 18, 2019

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে টাইগারদের জয়। ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৩২২ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা। সোমবার ইংল্যান্ডের টনটনে শাই হোপ, এভিন লুইস ও সিমরন হিতমারের ঝড়ো ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৯৯বলে ১২৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৬৯ বলে ৯৪ রান করেন লিটন কুমার দাস। ৪৮ রান করেন তামিম ইকবাল।


উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৫২ রান করেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সৌম্য।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। তার বিদায়ের পর রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাকিব।


চতুর্থ উইকেটে তাদের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আর এই জুটিতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ হজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২১/৮


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ (৯৬) ও এভিন লুইসের (৭০) অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়েছে ক্যারিবীয়রা। এছাড়া ২৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিমরন হিতমার।


বিশ্বকাপে টাইগারদের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৪/৯ রান করেছিল কার্ল হুপারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দল।


সোমবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানে ক্রিস গেইলের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় উইন্ডিজ। ব্যাটিং দানব গেইলকে দ্রুত আউট করে টাইগার শিবিরে খানিকটা স্বস্তির পরশ এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেই বিপর্যয় কাটিয়ে তুলেন শাই হোপ ও এভিন লুইস জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা অনবদ্য ১১৬ রানের জুটি গড়েন।


উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান এভিন লুইস। ৫৮ বলে ফিফটি গড়ার পর বল আর মাটিতে ফেলতে দেননি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যারিবীয় এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার আগে ৬৭ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৭০ রান করেন লুইস।


সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিকোলাস পুরান। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পুরান। তার আগে ৩০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সিমরন হিতমার। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটি করার পরের বলে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন হিতমার।


এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। কাটার মাস্টারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাসেল। ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন হোল্ডার।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শাই হোপ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন তিনি। ৭৭ বলে ফিফটি করার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তিনি। মোস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২১ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করেন হোপ। ইনিংসের একিবারে শেষ দিকে ১৫ বলে ১৯ রান করে সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ড্যারেন ব্রাভো।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (শাই হোপ ৯৬, এভিন লুইস ৭০, হিতমার ৫০, হোল্ডার ৩৩, নিকোলাস ২৫, ড্যারেন ব্রাভো ১৯; মোস্তাফিজ ৩/৫৯, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, সাকিব ২/৫৪)।

টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো টাইগাররা

টস জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো টাইগাররা

admin June 17, 2019

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুদলই একটি করে জয় পেয়েছে, হারের মুখ দেখেছে দুটি এবং একটি করে পরিত্যক্ত হয়েছে। উভয় দলেরই দখলে ৩ পয়েন্ট। ফলে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই কোনো দলেরই।


এ অবস্থায় টনটনে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাতে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টাইগার একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় ঢুকেছেন লিটন দাস।


বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড

admin June 15, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ জয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪.৪ ওভারে ২১২ রান করে অলআউট হয়। জবাবে ৩৩.১ ওভারে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জো রুট দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হন তিনি।


ইংল্যান্ড প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেল। তাই ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে অবস্থান নিয়েছে ইংলিশরা। অপরদিকে সমান ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় ও দুটিতে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় তিন পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে।


শুক্রবার সাউদাম্পটনে এই ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্ট ও জো রুট সাবলীল গতিতেই ব্যাট করতে থাকেন। দলীয় ৯৫ রানে বেয়ারস্ট আউট হন ৪৫ রান করে। এরপর দলীয় ১৯৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস ওয়েকস (৪০) আউট হন। তবে রেুট জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৯৪ বল থেকে ১১টি চারের মারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।


এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানেই এভিন লুইস বোল্ড হয়ে যান। সেই ধাক্কা কাটাতে দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস গেইল ও শাই হোপ চেষ্টা করছিলেন। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ৫৪ রানে ক্রিস গেইল এবং এক রানের ব্যবধানে শাই হোপ আউট হয়ে যান। এর মধ্যে ক্রিস গেইল ৩৬ রান করেছেন।


মাত্র ৫৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সামনে এগুতে থাকেন নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমায়ের জুটি। চতুর্থ উইকেটে এ দু’জন ৮৯ রান করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৪৪ রানে জো রুটের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন হেটমায়ের। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৯ রান।


পরবর্তী ব্যাটসম্যানরাও আর সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তবে পুরান ৬৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল ২১ ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ১৪ রান করেন। ইংলিশ বোলারদের মার্ক উড এবং জোফরা আর্চার তিনটি করে উইকেট নেন।

নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় পরাজয় শ্রীলঙ্কার

নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় পরাজয় শ্রীলঙ্কার

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসনের বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ১৩৬ রানেই শেষ লঙ্কানদের ইনিংস। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটেই ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।


খুব সাধারণ লক্ষ্যে খেলতে নেমে মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো মিলেই জয় তুলে নেন। গাপটিল করেন ৫১ বলে ৭৩ রান যেখানে তিনি খেলেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কার মার। তার সঙ্গী মুনরো করেন ৪৭ বলে ৫৮। তিনি হাঁকান ৬টি চার ও একটি ছক্কা।


এর আগে দলীয় মাত্র ৪ রানেই পড়ে যায় লঙ্কার প্রথম উইকেট। হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান লাহিরু থিরিমান্নে। তার নামের পাশে তখন সেই ৪ রান। এর পর ফেরেন কুশল পেরেরা। বোল হাতে সেই হেনরি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে ফেরেন পেরারা।


এর পর একে একে কূশল মেন্ডিস (০), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৪), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (০) ও জীবন মেন্ডিস (১) ফিরে যান। কিছুটা সময় চেষ্টা করে ফেরেন থিসারা পেরেরাও। ২৪ রানে তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার।


দলীয় ১১৪ রানে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন ইসুরু উদানাও। তাকে ফেরান জেমস নিশাম। ৭ রানে সুরঙ্গা লাকমলকে ফিরিয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। সবশেষ লাসিথ মালিঙ্গা ফিরে গেলে লঙ্কানরা থামে ১৩৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার দিমুথ করুনাওরত্নে।


হেনরির তিন উইকেটের পাশাপাশি তিন উইকেট নেন ফার্গুসন। একটি করে নেন গ্রান্ডহোম, বোল্ট, নিশাম ও স্যান্টনার।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেল লঙ্কানরা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেল লঙ্কানরা

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন। শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে হাফসেঞ্চুরিয়ান দ্বিমুথ করুনারত্নে আগলে রাখেন একপ্রান্ত। তাকে রেখে অপরপ্রান্ত থেকে সব সঙ্গীই বিদায় নেন ২৯.২ ওভারের মধ্যে।


এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামনস। ব্যাট হাতে নেমে দলীয় ৪ রানেই লাহিরু থিরিমান্নে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন। দিমুথ করুণারত্নে ও কুশাল পেরেরা এরপর কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তবে ৪৬ রানে পেরেরা ফিরে গেলে শুরু হয় আসা যাওয়ার পালা।


দলীয় ৬০ রানের মধ্যেই আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন কুশাল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও জীবন মেন্ডিস। এরপর দিমুথ করুণারত্নের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন থিসারা পেরেরা। তবে এ দুজন ৫২ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন পেরেরা। তাকে অনুসরণ করেন ইসুরু উদানা।


শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। করুনারত্নে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কুশাল পেরেরা (২৯) ও থিসারা পেরেরা (২৭) ছাড়া কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ম্যাট হেনরি ও লুকি ফার্গুসন তিনটি করে উইকেট নেন।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নিউজিল্যান্ড

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নিউজিল্যান্ড

admin June 01, 2019

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বকাপের শনিবারের (০১ জুন) প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মুখোমুখি দু দলের আইসিসি র‌্যাংকিংয়েও পার্থক্য বেশ স্পষ্ট। ওয়ানডে দলগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কিউইরা। অন্যদিকে লঙ্কানদের অবস্থান নবম। তাই বলাই যায় যে, শ্রীলঙ্কাকে জিততে হলে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।


ধারাবাহিকতার দিক দিয়েও নিউজিল্যান্ড এগিয়ে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয়বার সেমিফাইনাল খেলেছে দলটি। তবে গেল বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতছাড়া হয় তাদের।


এবারও দারুণ ছন্দে রয়েছে দলটি। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের নিয়ে গড়া হয়েছে শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ। সঙ্গে রস টেইলর, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলসের মতো অভিজ্ঞরা রয়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দাপুটে জয়সহ শেষ দশ ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।


অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ তিন ওয়ানডেতে হেরেছে তারা। আবার চলতি বছর মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। তবে দলে রয়েছেন থিসারা পেরেরা, লাসিথ মালিঙ্গা, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউজের মতো ক্রিকেটার। তাই প্রথম ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কা।


কার্ডিফ সিটির সোফিয়া গার্ডেন্সে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।


নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, রস টেইলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), কলিন মুনরো, টম ব্লান্ডেল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম, ইশ সোধি, ম্যাট হেনরি, লুকি ফার্গুসন, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।


শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড: দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, থিসারা পেরেরা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, ইসুরু উদানা, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, আভিস্কা ফার্নান্দো, জীবন মেন্ডিস, লাহিরু থিরিমান্নে, জেফরি ভ্যান্ডারসে, নুয়ান প্রদীপ, সুরঙ্গা লাকমল।

আজ কার্ডিফে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা

আজ কার্ডিফে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শেষ চারে ছয়বার হারের পর চার বছর আগে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল তারা। সেবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ট্রফি অধরাই থেকেই যায়। আবার যখন বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড, সেই সময়েও তাদের কেউ ফেভারিট ভাবছে না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আজ শনিবার মাঠে নামার আগে নিউজিল্যান্ড আলোচনার বাইরে থাকাটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে।


নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার খেলাটি হবে কার্ডিফে। বাংলাদেশ সময় সাড়ে তিনটায়। কেন উইলিয়ামসন এবার ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শিরোপার কাছাকাছি যাওয়া সে দলটির মূল অংশকে নিয়ে ইংল্যান্ডে এসেছেন। গত বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। কিন্তু নিজের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ভারতের কাছে হারে। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে এসে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপরা।


সাবেক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার পেসার জেমস ফ্রাঙ্কলিনের দৃঢ় বিশ্বাস উইলিয়ামসনের দল তাদের প্রথম বিশ্বকাপটির দেখা পেতে পারে। তিনি দ্বাদশ এই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড একটা ভালো অবস্থায় আছে। কেউই আমাদের সম্পর্কে বেশি কিছু বলছে না। আমরা চিরকালের আন্ডারডগ এবং সেটা আমাদের ভালোভাবেই মানিয়েছে। এখন আমরা যদি আগামী কয়েক সপ্তাহে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারি, তাহলে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ জিততে পারবে।’


রস টেলর সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ভালো ফর্মে আছেন। ২০১৭ সালে তার গড় ছিল ৬০। গেল বছর এটা ছিল ৯০ এরও বেশি। বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ১২ ও ১০ নম্বরে থাকা উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপটিল নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের অপর দুই স্তম্ভ। ট্রেন্ট বোল্ট তাদের নজরকাড়া বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি আছেন তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। স্পিনার ইস সোধি ও মিশেল সেন্টনার এই বোলিংয়ে বৈচিত্র্য দিয়ে থাকেন।


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড ফেভারিট হিসেবেই শুরু করবে। কারণ ১৯৯৬ -এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেট র‌্যাংকিংয়ে নবম স্থানে গড়িয়ে গেছে। নবনিযুক্ত অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেও ওয়ানডেতে এসেছেন প্রায় চার বছর পর। তার জন্য কাজটাও কঠিন। কেননা গত ৯টি ওয়ানডের মধ্যে আটটিতে হারা দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব তার কাঁধে।


অবশ্য দ্বীপদেশটির বিশ্বকাপ রেকর্ড ভালো। একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও লঙ্কানরা দুবার রানার্স আপ হয়েছিল। এছাড়াও একবার সেমিফাইনালে খেলেছিল। সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য একটা পথ খুঁজে নেয়। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে দলটাতে কিছুটা ভিন্ন পরিবর্তন আছে। অধিনায়ক নিজেই অনেকদিন ওয়ানডে খেলেনি। কিন্তু সে দারুণ খেলোয়াড়। এছাড়াও আছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, কুসল পেরেরা ও কুসল মেন্ডিসের মতো মেধাবিরা। দলটিতে জেতানোর মতো খেলোয়াড়ও আছে।’


জয়াবর্ধনা মনে করেন, ‘চার পাঁচটি জয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া সম্ভব। আমি এখনো মনে করি তাদের ভালো সুযোগ আছে।’

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেল উইন্ডিজ

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেল উইন্ডিজ

admin June 01, 2019

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় হার দেখলো পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। মামুলি টার্গেট পেরোতে ক্যারিবীয়দের ওভার লেগেছে মাত্র ১৩ ওভার ৪ বল। উইকেট গেছে ৩টি।


শুরু থেকেই ক্যারিবিয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ওপেনিং জুটি ভাঙে সতেরো রানে। শেলডন কটরেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উমাম উল হক। ফাখার আর বাবর দুজনই করেন ২২ রান। এরপর দাঁড়াতে পারেননি কেউই।


গতির সাথে বাউন্সারের মিশেলে পাকিস্তানিদের ধসিয়ে দিয়েছেন রাসেল, থমাস, হোল্ডাররা। ওশান থমাসের ৪ আর জেসন হোল্ডারের ৩ শিকারের ১০৫ রানেই গুটিয়ে পাকিস্তান। সহজ টার্গেট তাড়া কোরতে নেমে দলীয় ৩৬ রানে শাই হোপের উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।


ড্যারেন ব্রাভো শূন্যতে ফিরলেও ফিফটি তুলেছেন ক্রিস গেইল। উইন্ডিজ ওপেনারের ফেরার পর বাকি কাজ ঠিকঠাকভাবেই কোরে ফিরেছেন নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমেয়ার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতির সামনে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটি। শুক্রবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।


ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।


ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পাকিস্তান। ইনিংসের মাত্র ১৩.১ ওভারে দলীয় ৬২ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি। দলীয় ৬২ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, হারিস সোহেল ও বাবর আজম।


শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৫ রানে দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং ফখর জামানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি হচ্ছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। শুক্রবার নটিংহ্যামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩ টায়। প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা।


টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অতীত থেকেও সাহস সঞ্চার করতে পারেন তারা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজ ৭টিতে।


শাই হোপ, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছেন তারা। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।



উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর সেই খেলাটির সবচেয়ে অনুমানের বাইরে থাকা দলটির নাম পাকিস্তান। টানা হারতে থাকা এই দলটি হুট করে জয়ের ধারায় চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইদানিং ‘আনপ্রেডিক্টেবেল’ তালিকায় পাকিস্তানের সঙ্গে নাম উঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। বাছাইপর্ব খেলে কোনোক্রমে বিশ্বকাপে আসা দলটি হঠাত্ হঠাত্ ফেভারিটদের উড়িয়ে দিয়ে চমকে দিচ্ছে। ফলে দুটি দলই হয়ে উঠেছে অনিশ্চয়তার সমার্থক।


আর আজ বিশ্বকাপে যার যার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই অননুমেয় দল। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


দুই দলেরই সাম্প্রতিক ফলাফল একেবারে বিস্মরণযোগ্য। পাকিস্তান সর্বশেষ ১০ ম্যাচে টানা হেরেছে। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে তারা ১২টি ম্যাচ হেরেছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ৯টি ম্যাচই হেরেছে। যে ৫টি জিতেছে, তার মধ্যেও ২টি জয় এসেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।


তবে মজার ব্যাপার হলো, দুই দলই যার যার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দেখিয়েছে, ইংলিশ কন্ডিশনে কেমন রানবন্যা করতে পারে তারা। সিরিজ কোনো দলই জিততে পারেনি। কিন্তু রানের উৎসবে মেতেছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রানউৎসব করার জায়গাটাই দুই দলের মূল শক্তি।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে আশাভরসার মূল ব্যাপার হলো তাদের দানবীয় ব্যাটিং। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, সেই হোপ এবং আন্দ্রে রাসেল; কাগজে কলমে অন্তত বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাটিং অর্ডার তাদের। নিজেদের দিনে যে কোনো বোলিংকে ম্লান করে বিশাল স্কোর করে ফেলতে পারে তারা।


পাকিস্তানেরও মূল ভরসা ব্যাটিং তরুণ ইমাম-উল হক, ফাখার জামান বা বাবর আজম ভয়ানক যে হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ তারা রেখেছেন। এই তিন জনের সঙ্গে নবীন আসিফ আলী যোগ দিলে পাকিস্তানও বিশাল স্কোরের পথে হাঁটতে পারে।


তবে দুই দলেরই দুর্বলতা বোলিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান থমাসকে বাদ দিলে বাকিরা সেভাবে দাঁত বসাতে পারছেন না। তাদের বাকি পেসাররা ইংলিশ কন্ডিশনে সেভাবে নিজেদের লাইন লেন্থই খুঁজে পাননি। স্পিনাররাও এ কন্ডিশনে কোনো ভূমিকা রাখার মতো নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আছে রহস্যের মধ্যে। দলে শুরুতে রাখা হয়নি মোহাম্মদ আমিরকে। তাকে ছাড়া বোলিং খুব খারাপ করার পর আমিরকে দলে যোগ করা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থ থাকায় তাকে বাজিয়ে দেখতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। ফলে বোলিং নিয়ে তারাও সংকটে আছে। আজ বলা যায়, একই ধরনের দুই দলের লড়াই। কে বেশি অনিশ্চিত, সেটা প্রমাণের লড়াই।


উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ড

admin May 31, 2019

প্রথম দু বিশ্বকাপ জয়ের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে ধীরে ধীরে আধিপত্য হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হট ফেভারিটের তালিকায় এবারো নেই ক্যারিবীয়রা। তবে গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের গেম চেঞ্জিং পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখতেই পারেন সমর্থকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সাথে অপূর্ব মেলবন্ধন ক্রিকেটের। আমুদে জাতি হিসেবে পরিচিত ক্যারিবীয়দের ক্রিকেট দর্শনে ট্রফি জয়ের চেয়ে আনন্দ উপজীব্য।


১৯৭০, ৮০র দশকে ক্রিকেট সাম্রাজ্য শাসন করা উইন্ডিজের গৌরব শুধুই অতীত। ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডসের মত সোনলী প্রজন্মের হাত ধরে ক্যালিপসো সুরের তালে প্রথম দুই বিশ্বকাপ জয়। তৃতীয় টায় রানার্সআপ। এরপর আর কখনোই ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপ উইন্ডিজদের। তারপরও বিশ্বকাপে ৯১ ম্যাচের ৬০ শতাংশ জয় ইংল্যান্ডের চেয়েও এগিয়ে রাখছে মধ্য আমেরিকার দ্বীপপুঞ্জকে। সবমিলিয়ে ৭৯৯ ওয়ানডেতে জয় ৩৯২ টিতে। তবে র‍্যাংকিংয়ে নয় নম্বরে উইন্ডিজ।


২০১৫ তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩৭১ ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ। আর সর্বনিম্ন ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ৯৩ রান। টিমটির বিশ্বকাপ সেরা ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা। ৩৩ ম্যাচে ১২২৫ রান ব্যাটিং জিনিয়াসের। আর ২৭ উইকেট নিয়ে কোর্টনি ওয়ালশ সেরা বোলার। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চ ত্রিদেশীয় সিরিজে হতশ্রী পারফরম্যান্স ছিলো হোল্ডারের টিমের। টানা তিন ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশের সাথে। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সাত ক্রিকেটার ছিলেননা সিরিজে।



এক্স ফ্যাক্টর বিধ্বংসী ক্রিস গেইল তাদের একজন। বর্তমান ক্রিকেটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ৫ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় থাকা গেইল নিজের শেষ বিশ্বকাপটা নিশ্চয়ই রাঙ্গাতে চাইবেন চার, ছয়ের ঝলকে। এছাড়াও ড্যারেন ব্র্যাভো, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়াররা ব্যাটিংয়ের ভরসা। তবে ক্যারিবীয়দের শক্তির জায়গা অলরাউন্ডার ত্রয়ী। আইপিএলের মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল, ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো কার্লোস ব্রাথওয়েট আর অধিনায়ক জেসন হোল্ডারে আস্থা ক্যারিবীয়দের।


সে তুলনায় দূর্বলতা বোলিংয়ে। ওশানে থমাস, শেলডন কটরেলের মত পেসাররা একদিকে যেমন অনভিজ্ঞ তেমনি স্পিনে এখনো পর্যন্ত নির্বীষ অ্যাশলে নার্স, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। ৩১ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে উইন্ডিজের। এপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মত শক্ত প্রতিপক্ষরা অপেক্ষায়।


টেস্ট, ওয়ানডেতে রাজত্ব হারানো উইন্ডিজ টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিছুটা জ্বলজ্বলে। শেষ তিন ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টির দুটিতে জয় তাই বলছে। ছোট ফরম্যাটের ঝলকটা যদি এবারের বিশ্বকাপে দেখাতে পারেন হোল্ডার, রাসেল, গেইলরা তবে র‍্যাংকিং, ফর্মের হিসাব নিকাশ ভুল হওয়া সময়ের ব্যাপার।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three