Showing posts with label রৌমারী. Show all posts
Showing posts with label রৌমারী. Show all posts
চরম ভোগান্তিতে রৌমারীর ১১ গ্রামের মানুষ

চরম ভোগান্তিতে রৌমারীর ১১ গ্রামের মানুষ

admin June 23, 2019

রৌমারী প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার জিঞ্জিরাম নদীর ব্রিজ নির্মাণ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ১১ গ্রামের ২২ হাজার মানুষ।


স্থানীয়দের অভিযোগ, ইজলামারী নামক এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলাতিতে ব্রিজ নির্মাণ দেরি হচ্ছে। এতে মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একমাত্র এই ব্রিজটিই রৌমারী উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ওই গ্রামগুলো।


জানা যায়, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। ইজলামারী নদীর উপর সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সরকারী বরাদ্দ দেয়া ব্রিজটি নির্মাণ কাজে দেরি হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বড়াইবাড়ী, ঝাউবাড়ী, পুর্ব বারবান্দা, চুলিয়ারচর, বাওয়াইর গ্রাম, বকবান্দা, খেওয়ারচর, পূর্ব দুবলাবাড়ী, পাটা ধোয়াপাড়া, চর কলাবাড়ী, কলাবাড়ী, দুবলাবাড়ীসহ প্রায় ১১টি গ্রামের মানুষ।


লাকাবাসি দীর্ঘদিন থেকে জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা কিংবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাট-বাজার স্কুল,কলেজে চলাচল করছে। দীর্ঘদিনের জিঞ্জিরাম নদীর উপরব্রিজের দাবীতে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের প্রচেষ্টায় এলাকার মানুষের একটিব্রিজের বরাদ্দ পাশ করেন যাহা ৪কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত ২০১৭ সালের শেষের দিকেব্রিজটির নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলাতিতে অদ্যবধিব্রিজের নিমার্ণ কাজটি শেষ হয়নি।


এ বিষয়ে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এমপি হওয়ার পরপরেই এ এলাকার মানুষের ইজলামারী নামক এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর দীর্ঘদিনের দাবী এবং আমার বাড়ীও তাদের সাথে। ফলে সেই সুবাদে এমপি হয়েই প্রথমেই জিঞ্জিরাম নদীর উপরব্রিজের বরাদ্দ এনে দেওয়া হয়, তা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার কাজটি পায়।


গত ২০১৭ সালের শেষের দিকেব্রিজ নিমার্ণ কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ এলাকার জনমানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে আমার দাবী যতো দ্রুত সম্ভবব্রিজটির নিমার্ণ কাজ শেষ করে এলাকার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি নিরসন করা হউক।

রৌমারীতে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের সহায়তা বিষয়ক কর্মশালা

রৌমারীতে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের সহায়তা বিষয়ক কর্মশালা

admin June 21, 2019

রৌমারী প্রতিনিধি:
বিল্ডিং প্রিপেয়ার্ডনেস অফ ভালনারেবল কমিউনিটিস থ্রো ইনক্লুসিভ ডিজাস্টার রিক্স রিডাকসান ইনিসিয়েটিভস প্রজেক্ট’র মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের অর্ন্তভুক্তিকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বন্দবেড় ইউপি সদস্য আজিজুল হক আজিবর রহমানের সভাপতিত্বে স্লুইলজগেট মোড় আইডিআর-২, প্রকল্প অফিস কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধিবর্গ।


এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দবেড় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, সেলিম রেজা, সাইদুর রহমান, কাবিল উদ্দিন, ভার্জিনা পারভীন, সাজেদা খাতুন, আলেয়া খাতুন, খনজনমারা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য উদ্যক্ততা আবু আসাদ, ইমাম ও হাফেজ আমিনুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সাজু আহমেদ, গণউন্নয়ন কেন্দ্রে (জিইউকে) প্রকল্প সমন্বয়কারি মনির হোসেন, এইড কুমিল্লা প্রজেক্ট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকে।

বাজেটে কৃষিখাতে ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে রৌমারীতে বিক্ষোভ

বাজেটে কৃষিখাতে ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে রৌমারীতে বিক্ষোভ

admin June 17, 2019

রৌমারী প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম:
বাজেটে কৃষিখাতে ৪০ শতাংশ বরাদ্দের দাবিসহ বেশ কিছু দাবিতে রৌমারীতে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।


কৃষি কৃষক ক্ষেতমজুর রক্ষণ সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে রবিবার সকাল ১১ টায় রৌমারী উপজেলা সদরে বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্ত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগ্রাম কমিটির ও বাসদ মার্কসবাদী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, মঈন উদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ, ফারুক আহমেদসহ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা গরীব মানুষ মারার বাজেট। এই বাজেট বাতিল করে অবিলম্বে কৃষি খাতে ৪০% বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই সাথে ধান ক্রয়ে দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবিও করেন বক্তারা।


মানববন্ধনে বক্তরা ধান কেনা-বেচা অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ, ক্ষেত মজুরদের সারাবছর কাজ, আর্মি দরে রেশন, বাজেটের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দ, কৃষি ঋণ মওকুফ, বিনা পয়সায় শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থা, কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবি তুলে ধরেন।

রৌমারীতে খানাখন্দে ভরপুর ১৫০ কি.মি. সড়ক, দুর্ভোগে ৬ ইউনিয়নের মানুষ

রৌমারীতে খানাখন্দে ভরপুর ১৫০ কি.মি. সড়ক, দুর্ভোগে ৬ ইউনিয়নের মানুষ

admin June 14, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলার কাচা-পাকা প্রায় ৪৭টি সড়কে খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ দিন রাস্তা সংস্কার না করায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।


সরেজমিনে, বন্দবেড়, চর শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা, শৌলমারী, রৌমারী সদর, যাদুরচর ইউনিয়নের গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ কাচা-পাকা ছোট ও বড় প্রায় ৪৭টি সড়কের বেহাল অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। ৬টি ইউনিয়নে চলাচলের অযোগ্য প্রায় দেড়শ কিলোমিটার রাস্তা।


রৌমারী উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, টিআর কাবিখা প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে তালিকাভুক্ত কাঁচা রাস্তা গুলোর সংস্কার ও মেরামতের কাজ করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের অনেক কাঁচা-পাকা রাস্তা সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়েছে। রাস্তা গুলো সংস্কার ও মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। অনেক রাস্তা পাকাকরণের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।


রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা-পাকা রাস্তা গুলোর বিভিন্ন জাগায় ভেঙ্গে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার জন্য ইটের খোয়া ও বালি দিয়ে মেরামত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।

রৌমারীতে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রৌমারীতে বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

admin May 31, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম (২৫) এর লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ার চর গ্রাম এলাকায় জিঞ্জিরাম নদী তার লাশ উদ্ধার করা হয়।


এর আগে বুধবার রাত ৩টার দিকে রৌমারী উপজেলার পুর্বকানিয়ারচর সীমান্তের ১০৫৮ নম্বর আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলারের নিকট বাংলাদেশী কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলিতে মাইদুল নিহত হয়।


ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ মাইদুলকে তার অন্যান্য সঙ্গিরা কাঁধে করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ পরিস্থিতিতে আইনি জটিলতা এড়াকে নিহত মাইদুলের লাশ তার সঙ্গিরা জিঞ্জিরাম নদীতে ফেলে দেয়। নিহত গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামের সাইজুদ্দিনের পুত্র।


৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সতত্য স্বীকার করে জানান, এঘটনায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র নিকট তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রৌমারীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাবেক এমপির সহযোগীকে মারপিট

রৌমারীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাবেক এমপির সহযোগীকে মারপিট

admin September 07, 2018

রৌমারী, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাবেক এমপি জাকিরের সহযোগী সেকেন্দার আলী বাবলু (৩৪) কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বেদম মারপিট করেছে দুর্বৃত্বরা। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দবেড় ইউনিয়নের উত্তর বাইটকামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে।


এলাকাবাসি ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ৭/৮ জনের একটি দুর্বৃত্বের দল রাতের অন্ধকারে ঘুমিয়ে থাকা সেকেন্দার আলী বাবলুকে বাহির থেকে ডেকে ঘর থেকে বেড় করে কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতারি মারপিট শুরু করে দুর্বৃত্বরা। বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের ডাক চিৎকার শুনে গ্রামবাসি এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্বরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় গ্রামবাসিরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।


রৌমারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জোবায়ের আহমেদ শিমুল জানান, আহত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রৌমারীতে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের লালসায় অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

রৌমারীতে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকের লালসায় অন্তঃসত্ত্বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

admin August 30, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় উত্তর বাইটকামারী কওমী মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল বাছেদ হুজুরের লালসায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। উপজেলার উত্তর বাইটকামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাওলানা আব্দুল বাছেদ উত্তর বাইটকামারী গ্রামের মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে।
ছাত্রী পাখিউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আল কোরান শিক্ষা করার জন্য সাড়ে ৫মাস আগে ঐ কওমী মাদ্রাসার হুজুরের কাছে পড়তে যায় সে। সে সময় ঐ সুযোগে উত্তর বাইটকামারী গ্রামের মো. নিজামউদ্দিনের ছেলে কওমী মাদ্রাসার মুহ্তামিম মাওলানা আব্দ বাছেদ ঐ ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, উত্তর বাইটকামারী গ্রামের সাদিনা পাগলার মেয়ে ও পূর্ব পাখিউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীকে আল্লাহ্র গজবের ভয় দেখিয়ে মাওলানা আব্দুল বাছেদ তাকে সাড়ে ৫মাস থেকে একটানা ধর্ষন করে আসছে। ঐ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর পেট বড় হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ২৯ আগষ্ট রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষা করে জানতে পারে সে ৫মাসের অন্তসত্তা । এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় শুরু হয়েছে।
মেয়ের বাবা সাদিনা পাগলা জানান, আমি গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে ৫মাসের গর্ভবতী করছে মাদ্রাসার হুজুর বাছেদ। আমি কার কাছে বিচার দিমু আমার বিচার কে করবো। গ্রামের বড় বড় দেওয়ানীরা হুজুরের পক্ষ নিয়া মিমাংসা হওয়ার জন্য চাপ দিতেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাবেল উদ্দিন জানান, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ৫মাসের অন্তসত্তার ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য এলাকাবাসী বসে আপোষ মিমাংসা করার কথা শুনছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন পক্ষ আসে নাই।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ঐ হুজুরের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মাওলানা আব্দুল বাছেদ এর মোবাইল নাম্বারটিও ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। পাশ্ববর্তী লোকজন জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ঐ হুজুরসহ তার পরিবারের লোকজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

রৌমারীতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কারের দাবি

রৌমারীতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কারের দাবি

admin August 23, 2018

কুড়িগ্রাম: চাঁদাবাজি, জমি দখল, পুকুর দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসী তুষারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। গত মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভার চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী এই ছাত্রলীগ নেতাকে অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি এমএ মোমেন, এন আর জাহাঙ্গীর আলম রবু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবিদ শাহনেওয়াজ তুহিন, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজু আহম্মেদ খোকা, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসি তুষার ৩ বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কিছু দুষ্কৃতিদের নিয়ে তুষার বাহিনী বানিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ইফটিজিং, জমি দখলের কন্ট্রাক, পুকুর দখলের কন্টাক, মাদকব্যবসা ও মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। যা দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করছে। তাই তাকে অবিলম্বে দল থেকে বহিস্কার করার দাবি জানান বক্তারা।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ খোকা তার বক্তবে বলেন, সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার নটানপাড় এলাকায় পাখিউড়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য রোকনের শশুর বাড়িতে গিয়ে তুষারসহ তার বাহিনী রোকনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে তার বাড়ির কাজ বন্ধ করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। রোকন কোন উপায় না পেয়ে তার শ্যালক সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বিপ্লব টাকা দিবে বলে তাকে বিদায় করেন। পরে তারা ঐ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে বিপ্লবকে পথরোধ করে চাঁদার টাকা দাবি করলে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। বিপ্লব বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আবগত করেন।
রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগ অফিস সুত্রে জানা যায়, ঘটনার পর অভিযোগের বিষয়টি জানার জন্য তুষারকে একাধিকবার পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু সে কর্ণপাত না করে তার সাঙ্গপাঙ্গসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিপ্লবকে আক্রমন করার জন্য খুঁজে বেড়ায়। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, রাজু আহম্মেদ খোকাসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বিষয়টি নিরসনের জন্য এগিয়ে গেলে তুষার বাহিনী রামদা দিয়ে সভাপতিসহ অনেকের উপর আক্রমন করে। এসময় ছাত্রলীগ সদস্য মণ্ডল মিয়া (২৪) সভাপতিকে রক্ষা করতে গেলে তার দুই হাত কেটে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন।
ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করেন, গত তিন মাসে তুষার বাহিনী কন্ট্রাকে উপজেলার ইছাকুড়িগ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়ি দখল করে। শৌলমারী গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে জমি দখল করে। বাইটকামারী গ্রামে পুকুর দখল করে। মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ২লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। সবুজপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান স্কুল শিক্ষক সুমনকে জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা নেয়। ইফটিজিংসহ অসংখ্য অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজু আহম্মেদ খোকা নিজে বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার এহেন কার্যকলাপের জন্য তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কারের জোরালো দাবী জানান ছাত্রলীগ নেতাসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু বলেন, তুষারের অপকর্মের হিসাব দেওয়া মুসকিল। তাকে এখনেই বহিস্কার না করলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পরবে। আওয়ামী লীগে কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীর স্থান নেই।
রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জাকির হোসেন জানান, সে আমাকেই আক্রমন করার সাহস দেখায় তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা। আমি ছাত্রলীগের সভাপতিকে বলছি তুমি ঈদের পরের দিন মিটিং করে তুষার কে বহিস্কারে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেজুলেশন কর। আমি সুপারিশ দিয়ে জেলায় পাঠাব। 'বর্তমান সরকারের আমলে এরকম সন্ত্রাসীর স্থান আওয়ামী লীগে নেই' -উল্লেখ করেন তিনি।

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

রৌমারীতে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

admin August 19, 2018

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেম্বার দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ৮৮০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৬টি ইউনিয়নের ৪৩ হাজার নয়শত সাতানব্বই পরিবারের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও বাস্তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপিসদস্যদের নামে ভাগাভাগি করে নেওয়ার কারণে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড়, শৌলমারী, রৌমারী ও চরশৌলমারী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, ভিজিএফ কর্মসূচি চাউল বিতরণের তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা চাউল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এসব চাউলের নামের স্লিপ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার দলীয় নেতাকর্মীসহ একশ্রেণির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।
যাদুরচর ইউনিয়নের চাউল নিতে আসা ধনারচর গ্রামের হযরত আলী,আবু সমা, বাইমমারী গ্রামের শুকুর আলী, ইসরাফিল জানান, তালিকায় নাম আছে চাউলের জন্য আসছিলাম, আমাদের নামে স্লিপ বিক্রি হয়ে গেছে, ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাছে বিচার দিলাম কোন লাভ হয় নাই। খালি হাতে বাড়ীতে ঘুইড়া যাই। আমাগো গরীব মানুষের চাল বেইচা চেয়ারম্যান মেম্বার দলের নেতার্কমীর ঈদ উৎসব করবো। আমরা না খাইয়া থাকুম আল্লাহ্ কাছে একদিন গরীবের চাল খায়ার হিসাব হবে।



[কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী-পুলিশ এক রুমে আটক, দেড়লাখ টাকায় মীমাংশা]


রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদশা মিয়া বলেন, প্রতি বস্তায় কেজি চাউল কম হয়। আমার আরো এক শ’ পঞ্চশটি নাম চাউল দেওয়া বাকী আছে চাউল আছে সাত বস্তা। ইউএনও স্যার পরিদর্শন করে দশ কেজি করে চাউল দিতে বলছে। চাউল নাই তালিকায় নাম আছে তাদের কম বেশি চাউল বিদায় করতে হবে।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল হক, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মণ্ডল, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, রৌমারী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারঃ) লালমিয়া জানান, আমরা অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করেছি। তালিকাভূক্ত সবাই চাউল পাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ভিজিএফ কর্মসূচির চাউল বিতরণে জন্য মিটিং করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানরা তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করার কথা। এত নাম মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে দেখা সম্ভব না। চাউল না পাওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের জানান। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় বলেন, আমি দশ কেজি করে চাউল দিতে বলি নাই। চাউল বিতরণ করে বেশি হলে উপস্থিত লোকজনের মাঝে বিতরণ করতে বলেছি।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়া দেখা যায় শতকরা পঞ্চশ জন লোক চাল পায় নাই। চুয়াল্লিশ পরিবারে মাঝে সঠিক ভাবে চাউল বিতরণ করলে একটি গরীব মানুষ বাদ যাবেনা। চেয়ারম্যান, মেম্বার, দলীয় নেতাকর্মীরা গরীবের চাউল বিক্রয় করে ঈদের টাকা খরচের ব্যস্ত আছে। ভিজিএফ কর্মসূচির উপকাভোগীদের নামে তালিকা সঠিক ভাবে করা হয় নাই। এক পরিবারে একাধিক মানুষের নাম আছে, পাশে বাড়ী গরীব মানুষটির নাম নাই। ৬টি ইউনিয়নের একাধিক মানুষের অভিযোগ তালিকায় নাম আছে চাউল পায় নাই। ২০কেজি করে চাউল বিতরণে নিয়ম থাকালেও উপকাভোগীদের দেওয়া করা হচ্ছে ১২/১ কেজি করে চাউল।

রৌমারীতে শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি

রৌমারীতে শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি

admin August 13, 2018

রৌমারী, কুড়িগ্রাম: স্কুল ও বাড়ির লেখাপড়ার কঠোর শাসন, তীব্র প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য একটি শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাবাসীর। ইতোপুর্বে উপজেলা পরিষদের পাশে একটি মিনি শিশুপার্ক স্থাপন করা হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং স্থানীয়দের অযত্নে তা নষ্ট হয়। পরবর্তীতে ওইস্থানে একটি সরকারী নার্সারী করা হয়। বর্তমানে যার অস্তিত্বই নেই।


জানা যায়, রৌমারী উপজেলা সদরে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর ও যুবক। তবুও এখন পর্যন্ত এখানে গড়ে উঠেনি কোন বিনোদন কেন্দ্র। রৌমারীর মানুষ খেলা পাগল, ফুটবল খেলা হলে হাজার হাজার দর্শক খেলার আনন্দে মেতে উঠে। উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, বিনোদন বা খেলাধুলার স্থান না থাকায় রৌমারীর যুব সমাজ অলস সময় কাটায়। এতে করে মাদকব্যবসা, মাদকসেবনসহ মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে পারে তারা। এসব থেকে মুক্ত করার জন্য খেলাধুলা ও শিক্ষা সংস্কৃতির চর্চাসহ বিনোদনের বিকল্প নেই।


মুক্তিযুদ্ধে রৌমারীবাসীর গৌরবগাঁথা ভূমিকা যেমন মুছে ফেলার নয় তেমনি আগামী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তর গৌরবময় ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য, স্মরণীয় করে রাখার জন্য রৌমারীতে সাধারণ জনতার অনেক দাবি সত্ত্বেও গড়ে উঠেনি মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কার্য বা স্মৃতিস্তম্ভ। জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার প্রথম শহীদ মিনার স্থাপিত হয়েছিল রৌমারিতেই ফলে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে বেশ সম্মৃদ্ধ এই এলাকাটি।


জাগরণ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মো. সামছুল আলম জানান, আমরা লক্ষ করেছি ঈদ বা পুজো কিংবা সরকারি ছুটিতে রৌমারীবাসী বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনসহ পরিবার পরিজন নিয়ে একটু বিনোদন বা মুক্ত বাতাসে নিঃস্বাস নেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী জেলার মধুটিলা কেন্দ্র, ঝিনাইগাতি, গজনি অবকাশ, লাউচাপড়া, কর্ণঝড়া, রাবারড্রাম, রৌমারী স্থলবন্দর, ব্রহ্মপুত্রে বালু চরে ছুটে যায়। ফলে এ উপজেলার শিশু-কিশোর, যুবকদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার বলে মত দেন তিনি।


সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, শিশুপার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা যেতে পারে রৌমারী স্থলবন্দর সংলগ্ন স্থানে অথবা এর আশপাশে জিঞ্জিরাম নদীর তীরে। এটা নির্মাণ হতে পারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আবার সরকারী অর্থায়নে। সরকারি ভাবে নির্মাণ করলে সরকার এই শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে। আর বিনোদন কেন্দ্র হলে তা কোমলমতি ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভুমিকা রাখবে। সরকারের আয়ও বাড়বে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, যুব সমাজ দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবে।


রৌমারীতে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জোর দাবি জানিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজার রহমান, সোনালী ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখার সাবেক এজিএম মো. হাছানুজ্জামান, রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি সদস্য সচিব এবং মাদকমুক্ত সমাজ বাংলাদেশ’র রৌমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোমেন, রৌমারী স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের (আরএসডাব্লিউএ) সভাপতি ফাহিম আকবর মাসুক প্রমুখ।

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থামাতে নদের পাড়ে প্রার্থনা

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন থামাতে নদের পাড়ে প্রার্থনা

admin August 10, 2018

এক লক্ষ চব্বিশ হাজার আল্লাহ নাম, খতমে খাজনা, ইউনুছ খতম, দোয়া মাহফিল


রৌমারী, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে খতমে খাজনা, খতমে ইউনুছ, দোয়া মাহফিলসহ এক লক্ষ ২৪ হাজার আল্লাহ নাম লিখে নদে ফেলা হয়েছে।


Rowmari-Kurigram-Photo-11


আজ শুক্রবার জুমা’র নামাজ আদায় শেষে বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলা বাগুয়ারচর নৌকাঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী গাছ,বাঁশ ফেলে রোধে চেষ্টাসহ বাইটকামারী ক্বওমি মাদ্রাসার মাওলানা মো. আব্দুল বাছেদ মাদ্রাসার ছাত্রসহ এলাকার মুসল্লীদের সাথে নিয়ে নদের ভ্ঙান রোধে খতমে খাজনা, খতমে ইউনুছসহ এক লক্ষ ২৪হাজার বার আল্লাহ্র নাম কাগজে লিখে ময়দা দিয়ে গুটি তৈর করে চার কিলোমিটার ভাঙন এলাকা জুড়ে নদে পানিতে ফেলা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী নদী ভাঙন প্রতিরোধ আনন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের যুদ্ধাহতমুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হানিফ মাস্টার প্রমূখ।


ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাল্লা দিয়ে শুরু হয় ভাঙন। গত ৯ দিনে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ারচর বলদমারা নৌকাঘাট, পশ্চিম পাখিউড়া, বাইসপাড়াসহ প্রায় দুই কি.মি. এর বেশি এলাকায় গাছ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেন এলাকাবাসী। তাতেও কাজ না হওয়ায় বাধ নির্মাণের দাবিতে গত ৬ আগস্ট নদীপাড়ে মানবন্ধন করা হয়। এ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে ২০০ টিরও বেশি পরিবারের সবকিছু। ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতি মুহূর্তে মাথা গোঁজার ঠাই হারানোর আতঙ্ক নিয়ে আছেন নদীপারের মানুষ। বাঁধ নির্মাণে ‌'তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের' জন্য বরাদ্দ ছিল ৯০ লাখ টাকা। পুরো কাজ না হওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে এ উপজেলার নদী পাড়ের মানুষ।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three