Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts
Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts
আবারও বিয়ে করলেন এমপি শিবলী সাদিক

আবারও বিয়ে করলেন এমপি শিবলী সাদিক

admin June 10, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আবারও বিয়ে করলেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। শনিবার রাতে এমপির নিজ বাসভবন স্বপ্নপুরীতে পারিবারিকভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে।


এর আগে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ক্লোজআপওয়ান খ্যাত সালমার সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। সালমা-শিবলীর সংসারে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়


গত শনিবার দিবাগত রাতে নিজ নির্বাচনী এলাকা হাকিমপুর উপজেলার সিপি রোড নিবাসী বাবু মল্লিকের তৃতীয় সন্তান খাদিজা শিমুর সঙ্গে এমপি শিবলী সাদিকের বিয়ে সম্পন্ন হয়।


এমপির নিজ বাসভবন নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বপ্নপুরীতে এ বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন, তার নির্বাচনী এলাকার ৪টি উপজেলার (নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, বিরামপুর ও হাকিমপুর) আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


২০১১ সালে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত কুষ্টিয়ার মেয়ে মৌসুমি আক্তার সালমার সঙ্গে পারিবারিকভাবেই শিবলী সাদিকের প্রথম সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর লালনকন্যা খ্যাত সালমা ও তৎকালীন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বর্তমানে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলীর ঘরে আসে একমাত্র কন্যাসন্তান স্নেহা।


২০১৬ সালে এমপি শিবলী সাদিক ও কন্ঠ শিল্পী সালমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু একমাত্র কন্যা শিবলী সাদিকের সঙ্গেই রয়েছে। এমপি শিবলী সাদিক পরম স্নেহে আগলে ধরে রাখেন কন্যা স্নেহাকে।

ঈদের দিনের সাজ হবে যেমন

ঈদের দিনের সাজ হবে যেমন

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ঈদ মানেই আনন্দ আর আনন্দ মানেই নতুন পোষাকের সঙ্গে সুন্দর সাজে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। তাই সেই সাজটা হওয়া চাই আকর্ষণীয় এবং মানানসই। তা ছাড়া ঈদের সাজটা সুন্দর না হলে যেন ঈদ উৎসবটাই ম্লান হয়ে যায়। মেয়েদের সাজে সময় ও আবহাওয়া বুঝে নেওয়া উচিত।


আবার হাওয়া বুঝে ট্রেন্ড বদল করাও যে আরেকটি ফ্যাশন। সাজের ক্ষেত্রে গত দুই বছরে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মেয়েদের কাছে নো মেকআপ লুকই বেশি পছন্দের। তা ছাড়া এবারের ঈদটাও হবে তীব্র গরমের ভিতর। তাই সাজগোজে যত সাধারণ থাকা যায় ততই ভালো। তবে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে মেকআপ নেওয়াটা বুদ্ধিমানের


ঈদের আনন্দের পূর্ণতা পায় নতুন জামা-কাপড়, সাজসজ্জা, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া এবং বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে। তাই সবার মাঝে নিজেকে আকর্ষণীয় রাখতে যা করতে পারেন।


ঈদের দিনে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গোসলটা সেরে নিলে সারাদিনের জন্য টেনশনমুক্ত থাকা যায়। এরপর নতুন পোশাক পরে দিনের শুরু।



কেমন হবে ঈদের দিনের পোশাক

ঈদের দিন একটু আরামদায়ক পোশাক পরিধান করাই ভালো। এক্ষেত্রে হালকা সুতি হলে বেশি ভালো হয়। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, জিন্স যেটাই হোক তার সঙ্গে ম্যাচিং করে পরা যায় দুটি চুড়ি, পায়ে দুই ফিতার চটি। সবার মধ্যেই খুশিখুশি ভাবটা থাকে, তাই সাজগোজের ব্যাপারটিও এ সময় বেশি প্রাধান্য পায়। তবে এদিন শিফন, জর্জেট, সুতি, ঢাকাই জামদানি, মসলিন, টাঙ্গাইলের জামদানি কাপড়গুলোও পরতে পারেন। কারণ এগুলো হালকা হওয়ায় খুব আরামদায়ক হবে।



সুন্দর লুকে নিজেকে উপস্থাপন

ঈদের দিনে এত কাজের ভিড়েও নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হলে একটু সচেতন হতেই হয়। আগে ঈদের দিনে সাজটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর ও রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।



সকালের সাজ

সকালে একটু-আধটু কাজের চাপ থাকে, তাই চলাফেরা করতে সহজ হয় এমন কোনো পোশাক বেছে নিন। সকালের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই কোনো হালকা কালারের পোশাক পরতে পারেন। মেকআপের শুরুতে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিয়ে পাউডার ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। সকাল বেলায় ভারী মেকআপ না নেওয়াই ভালো। এ সময় চোখে কাজল পরতে চাইলে কালো না পরে ব্রাউন কালার বেছে নিতে পারেন।


এছাড়া সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কেমন সাজ নেবেন এ প্রসঙ্গে বিউটি এক্সপার্ট শারমিন আখতার বলেন, সকালে সুতির সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে সাজটা একেবারে শুভ্র ও ন্যাচারাল হবে। চোখে কাজল এবং ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপস্টিক লাগিয়ে নিলে চেহারায় সকালের শুভ্রতার একটা প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে। চুলটা এ সময় বাঁধা থাকবে।



দুপুরের সাজ

ঈদের দিন দুপুরে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। দুপুরে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর দিতে পারেন লিপগ্লোস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে শ্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না পরুন।


দুপুরে আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে ম্যাচ করতে পারেন, আবার কন্ট্র্যাস্টও করতে পারেন। চোখের পুরোটা পাতায় বেজ কালার করে নিন। তারপর অন্য কালারগুলো লাগান। চোখের লেশের কোল ঘেঁষে পেনসিল আইলাইনারের টান আবার আউটার কর্নারটাও একটু টেনে দিতে পারেন। গালে আলতো করে একটু ব্লাশন ছুঁইয়ে নিন। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন।



রাতের সাজ

রাতে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো সাজুন। বাইরে গেলে শাড়ি পরুন। বাঙালি নারীর শাড়িতেই পূর্ণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে মেকআপ বসিয়ে নিন। চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রঙের শ্যাডো ব্যবহার করুন।


রাতের সাজে শাড়ি খুব বেশি গর্জিয়াস হলে মেকআপটা পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল হবে। চোখের ওপর অ্যাকোয়া ব্লু এবং গ্রে আইশ্যাডো একসঙ্গে মিলিয়ে লাগান। চোখের ইনার কর্নারে গোল্ড বা শিমারি পিঙ্ক আইশ্যাডো স্মাজ করে লাগিয়ে নিন। তবে ব্লাশনের রং বেশি উজ্জ্বল না হওয়াই ভালো। হালকা রঙের লিপস্টিক রাতের সাজের জন্য বেশি মানানসই হবে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করে!

যেসব লক্ষণে বুঝবেন মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করে!

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রচলিতভাবে বলা হয়, পুরুষ এসেছে মঙ্গল গ্রহ থেকে, আর নারী শুক্র গ্রহ থেকে। এর মানে অনেকটা এ রকম, পুরুষ হলো রণদেব, আর নারী হলো প্রেমের দেবী।


মজা করে তাই বলতেই হয়, এত প্রেমের দেবীর ভেতরে কীভাবে খুঁজে নেবেন আপনার স্বপ্ন কন্যাকে বা কীভাবে বুঝবেন কোনো মেয়ে আপনাকে পছন্দ করছে? এর কিছু কৌশল জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট সাইনস ইউ।


১. মেয়েটির বন্ধু আপনার বিষয়ে জানে
সাধারণত অধিকাংশ মেয়েই তাঁর পছন্দের মানুষের কথা প্রথমে তাঁর খুব কাছের বন্ধুকে খুলে বলে। মেয়েটি আপনাকে ভবিষতের সঙ্গী হিসেবে চায়, এটি এর ছোট্ট একটি ইঙ্গিত।


২. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
যেই মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করবে তার অঙ্গভঙ্গী বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজে একটু আলাদা হবে অন্য নারীর তুলনায়। আপনাকে দেখলে মেয়েটির চোখে-মুখে প্রেমভাব ফুটে উঠবে, এমনই বলেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।


৩. রক্ষাকারী
যদি সে আপনার সঙ্গে প্রেমের ভান না করে থাকে, তাহলে সে আপনাকে রক্ষা করবে। সে আপনার সর্বোচ্চ যত্ন করার চেষ্টা করবে।


৪. বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আপনার পরিচয় করাতে চাইবে
সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো মেয়ে আপনাকে পছন্দ করলে সে অবশ্যই তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইবে। সে চাইবে তার পছন্দের মানুষের সঙ্গে আপনিও আন্তরিকভাবে মিশুন।


৫. আপনার মতের সঙ্গে সম্মতি দেওয়া
এমনকি আপনি ভুল করলেও সে আপনার মতে সঙ্গে সম্মতি জানাবে। সে আপনাকে সবসময় আবেগীয় সহযোগিতা করতে চাইবে, আপনার সহযোদ্ধা হতে চাইবে। আর পছন্দ না করলে অতটা চেষ্টা করবে না।

যে চার কাজ তৈলাক্ত ত্বকে করা ঠিক নয়

যে চার কাজ তৈলাক্ত ত্বকে করা ঠিক নয়

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ত্বক সাধারণত তিন ধরনের হয়। এগুলো হলো : তৈলাক্ত, শুষ্ক ও স্বাভাবিক। তৈলাক্ত ত্বককে স্পর্শকাতরই বলা চলে। একটু অযত্ন করলেই এই ধরনের ত্বকে ব্রণ, ব্লেক হেড, হোয়াইট হেডের মতো সমস্যা তৈরি হয়।


কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো তৈলাক্ত ত্বকে সমস্যা তৈরি করে। তাই এ ধরনের ত্বক ভালো রাখতে এ কাজগুলো না করাই ভালো। তৈলাক্ত ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কিছু বিষয় জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই। আসুন জানি সেগুলো :


১. মেকআপ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া
বাইরে বের হতে হলে খানিকটা মেকআপ করতে হয়। তবে অনেকেই বাড়িতে ফিরে মেকআপ না ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এই অভ্যাসটি ত্বকের ক্ষতি করে। বিশেষ করে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এতে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে ব্লাক হেড, হোয়াইট হেডের মতো সমস্যা হতে পারে।


২. ভারি মেকআপ ব্যবহার করা
কখনোই তৈলাক্ত ত্বকে ভারি মেকআপ ব্যবহার ঠিক নয়। আর মেকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেলহীন মেকআপ ব্যবহার করাই ভালো।


৩. ক্ষারযুক্ত ক্লিনজার
ক্লিনজার মুখের ময়লা ও তেল দূর করতে কাজ করে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্তত দুবেলা মুখ ধোয়ার কথা বলেন। তবে তৈলাক্ত ত্বক হলে দিনে তিন থেকে চারবার মুখ ধুতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ক্ষারহীন ক্লিনজার অবশ্যই ব্যবহার করুন।


৪. ভুল ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ময়েশ্চারাইজার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার, আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন ওয়েল বেজ ময়েশ্চারাইজার।

মুখ দেখে জেনে নিন রোগের লক্ষণ

মুখ দেখে জেনে নিন রোগের লক্ষণ

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রোগের লক্ষণ প্রথমে মুখে মুখটা কি একটু ফোলা লাগছে, গালগুলো হঠাৎ লাল হয়ে যাচ্ছে, ছোট ছোট তিলে ভরে গেছে মুখ? প্রায়ই এই ধরনের পরিবর্তন হলে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলেন, নানা রোগের লক্ষণ প্রথমে মুখেই দেখা যায়।


জেনে নিন, মুখের কোন লক্ষণে কি অসুস্থতা বোঝায়:




  • চোখ, মুখ হলুদ হয়ে গেলে জন্ডিস হয়েছে কিনা পরীক্ষা করিয়ে নিন

  • ঠান্ডা লেগে ও অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণেও মুখে গোটা উঠতে পারে

  • নাকের দুপাশ থেকে সারা গালে লাল ছোপ হলে বুঝতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো কাজ করছে না বা দুর্বল হয়ে পড়েছে

  • যদি গরমকালেও ঠোঁট ফাটে, তবে বুঝে নিন অ্যালার্জির কারণে হচ্ছে

  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তার ছাপ পড়ে ত্বকে৷ চোখের পাতার ওপর হলুদ ছাপ এভাবেই জানান দেয় কোলেস্টেরল বেড়েছে

  • আপনার মুখে কি তিল বাড়ছে, তিলগুলো কি অসমান? সাবধান হোন, হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার।


মুখের ত্বকে-চোখে, দাঁতে যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গরমের হেয়ারস্টাইল

গরমের হেয়ারস্টাইল

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গরমে খোলা চুলে অন্যকে দেখতেও অস্বস্তি লাগে। আর নিজের মাথার চুল নিয়ে তো যুদ্ধ করতে হয়। খোলা চুলে ঘাম আটকে যায়, যা খুবই যন্ত্রণা ও বিরক্তির। গরমও অনেক বেশি লাগে।


এই সময়ে খোলা চুলে বাইরে যাওয়ার কথা না ভাবাই ভালো। সহজ হেয়ারস্টাইল জেনে নিন। চুল সারাদিন ঠিক থাকবে, আপনিও নিশ্চিন্তে স্বস্তির সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।


ডুয়াল ব্রেইডেড বান
সেসব অনুষ্ঠান যেখানে স্টাইল ও আরাম দু’টিই দরকার, ডুয়াল ব্রেইডেড বান সেখানে করুন। দু’দিক থেকে অল্প চুলের ভাগ নিয়ে নিয়ে বেণি করে মাথার পিছনে কয়েকটা হেয়ার পিন দিয়ে আটকে দিন। সহজেই তৈরি করতে পারবেন এই বান।


কার্লড বান
গরমকালের কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় আপডুর ক্ষেত্রে কার্ল ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ওপরে কার্ল করে পাশ দিয়ে কিছু চুল ছেড়ে রাখুন, এটি আপনার সাজে আলাদা মাত্রা যোগ করবে।


আর কিছুই করতে না চাইলে শুধু চুলগুলোকে ধরে মাথার ওপর একটি টাইট বান বানিয়ে ফেলুন। গরমকালের জন্য এটাই আদর্শ হেয়ারস্টাইল।

গরমে খাবার সংরক্ষণ করুন পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে

গরমে খাবার সংরক্ষণ করুন পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আমরা খাবার তৈরি করার সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে করতে। যেন স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। গরমে খাবার বাইরে থাকলে দ্রুত নষ্ট হয়ে ‍যায়। খাবারগুলো ভালো রেখে আমাদের কাজ সহজ করে দেয় রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ।


খাবার স্বাস্থ্যকর রাখতে, খাবার তৈরির মতোই সচেতন থাকতে হবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করার সময়। নিরাপদে খাবার সংরক্ষণের জন্য যা করতে হবে:




  • ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে খাদ্য সংরক্ষণ করবেন না

  • প্রতিটি খাবারের তৈরির তারিখ আর কতদিন খেতে পারবেন নিশ্চিত হয়ে নিন

  • প্লাস্টিকের পাত্রে খাদ্য গরম করা বা জমানো এড়িয়ে চলুন। কাঁচের বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে
    খবার রাখুন

  • ছোট ছোট বক্সে করে খাবার সংরক্ষণ করুন, বারবার গরম করে আবার সেই খাবার ফ্রিজে রাখলে খাবারের মান কমে যায়

  • সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করুন

  • নির্দিষ্ট স্থানে খাবার রাখুন, যেমন ডিমের ট্রেতে ডিম, নির্দিষ্ট বক্সে সবজি বা ফল

  • ফয়েলের মধ্যে কাঁচা মাছ এবং মাংস সংরক্ষণ করুন

  • দু’টি জিনিসের মধ্যে একটু জায়গা রাখুন ঠাণ্ডা বাতাস চলাচলের জন্য

  • কোনো খাবারই দীর্ঘ দিনের জন্য সংরক্ষণ করবেন না

  • চেষ্টা করুন সপ্তাহে একদিন ফ্রেশ বাজার করতে

  • আর রান্না করা খাবারও সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই খেয়ে নিন।

ঘুমানোর বালিশটি শরীরের জন্য ঠিক তো?

ঘুমানোর বালিশটি শরীরের জন্য ঠিক তো?

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আজকাল বালিশ নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। কিন্তু নিজের ঘুমানোর বালিশটি আরামদায়ক ও শরীরের জন্য ভালো তো? জানেন তো, ঘুমানোর বালিশ ঠিক না হলে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা-ক্লান্তি-অবসাদ হতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথার আকারের ওপর নির্ভর করে আপনার জন্য সঠিক বালিশ কোনটি। যেমন মাথার বড় বলে কিং বা কুইন সাইজের বালিশ নিন। আর মাথা ছোট হলে বালিশও হবে ছোট।


অনেকেই ফোমের বালিশ ব্যবহার করেন, কিন্তু তা শরীরের জন্য উপকারী নয়। কার্পাস বা শিমুল তুলার বালিশ শরীরের সুস্থতা ও ঘুমের জন্য ভালো।


বালিশ বেশি উঁচু হবে না আবার খুব নিচুও হবে না। খুব শক্ত বা নরম বালিশও কিন্তু ব্যবহারে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।


পাশ ফিরে শোওয়ার সময় কাঁধের সঙ্গে গলার যতটা দূরত্ব, বালিশের সঙ্গেও কাঁধের যেন ততটাই হয়। অর্থাৎ ঘাড়ের ওপরের দিকের সঙ্গে বালিশের শেষ ভাগ যেন স্পর্শ করে থাকে। কেনার সময় এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।


বালিশের ওপর একটা আলাদা সুতির কাপড়ের পরিষ্কার কভার ব্যবহার করুন। এতে বালিশ কম ময়লা হবে, দীর্ঘ দিন নতুনের মতো থাকবে।


এবার আসুন দরদামে, একটি ভালো তুলার বালিশ বানাতে বা রেডিমেট কিনতে এক হাজার কিছু কম বেশি প্রয়োজন হয়। তবে ফাইভারের বা পাখির পালকের বালিশের দাম আরও একটু বেশি হতে পারে।

রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে করণীয়

রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে করণীয়

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রক্ত পরিশোধনের প্রধান দায়িত্ব পালন করে বৃক্ক এবং যকৃত। গৃহস্থালী কিছু উপকরণ এই রক্ত পরিশোধন প্রক্রিয়ার উপকারী ভ‚মিকা পালন করতে পারে।


বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে রক্তে মিশে থাকা বর্জ্য অপসারণে এবং কিছু রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে এই ঘরোয়া উপকরণগুলো সহায়ক। স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।


লেবু: রক্ত এবং হজমতন্ত্র পরিষ্কার করে লেবুর রস। অম্লীয় ধরনের এই রস অম্ল-ক্ষারের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে এবং রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর রস পান করলে শরীরে থেকে দুষিত উপাদান অপসারিত হয়। কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই যথেষ্ট।


অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও বেইকিং সোডা: এই মিশ্রণ শরীরের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা রক্ত এবং টিস্যু পরিশোধন করে। রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড পরিষ্কার করে এই মিশ্রণ। দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে আধা টেবিল-চামচ বেইকিং সোডা একটি খালি গ্লাসে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে যাতে ফেনা কমে আসে। এরপর তাতে পানি যোগ করে সঙ্গে সঙ্গে পান করতে হবে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে মেশালে বেইকিং সোডা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তারপরও যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের এই মিশ্রণ পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


বেসিল: ব্যাকটেরিয়া ও প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে বেসিলের। পাশাপাশি রক্ত পরিশোধনের ক্ষেত্রে এবং বৃক্ক ও যকৃত থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে এই ভেষজ উপাদান অনন্য। মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করবে এই উপাদান। প্রতিদিনের খাবারে পাঁচ থেকে ছয়টি বেসিল পাতার গুঁড়া মিশিয়ে দিলেই এর উপকার পাওয়া যায়। আবার একই পরিমাণ পাতা দিয়ে চা বানিয়েও পান করা যেতে পারে।


হলুদ: অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা হলুদ, যা রক্ত পরিষ্কার করে এবং রোগ নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত করে। হলুদে থাকা ‘কারকিউমিন’ প্রদাহ এবং শরীরের প্রায় সব ধরনের জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও ভ‚মিকা রাখে হলুদ। আর হলুদের স্বাস্থ্যগুণ সেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার দিনগুলো থেকেই জন সমাদৃত। এক কাপ কুসুম গরম দুধের সঙ্গে আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করতে হবে। যকৃতের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।


পানি: প্রাকৃতিক পরিশোধনকারী হল পানি। যত বেশি পানি পান করা হবে রক্ত ততই বিশুদ্ধ হবে। শরীর থেকে দূষিত উপাদান ধুয়ে প্রসাবের সঙ্গে বের করে দেয় পানি এবং সকল অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম অক্ষুণ্ন রাখে। খনিজ উপাদান ও ভিটামিনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক পানি।


অন্যান্য খাবার
উপরোক্ত খাবারগুলো উপকরণগুলো ছাড়াও আরও অনেক ফল ও সবজি আছে যা রক্ত পরিশোধনে কার্যকর।


ব্লুবেরি: প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধনকারী খাবারের মধ্যে সবচাইতে কার্যকর এই ফল। পাশপাশি যকৃত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধিও বন্ধ করে ব্লুবেরি।


ব্রকলি: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে ব্রকলিতে। আর শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণেও কার্যকর এই সবজি।


বিট: এতে থাকে ‘বেটালাইন্স’ এবং ‘নিট্রাটস’ নামক ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ যা রক্ত পরিশোধন করে।


গুড়: রক্ত পরিষ্কার করার কাজে গুড় একটি অনন্য উপাদান। শরীরের ভেতরে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত দূর করে গুড় যা রক্ত পরিশোধনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: রয়টার্স।

প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সম্প্রতি ইরানে কয়েকটি শহরে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছিল। এসব বন্যাদুর্গত এলাকায় ইস্পাহান মেডিক্যেল বিশ্ববিদ্যালয় ইরান থেকে সে এলাকার মানুষদের সেবা দিতে কয়েক বার ক্যাম্প করা হয়েছিল। ক্যাম্পগুলোর প্রায় প্রতিটি সাজানো হয়েছিল কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অথবা অন্যকোন ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ সঙ্গে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে।


লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি ক্যাম্পে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিছু ক্যাম্প শুধুমাত্র মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়েই গঠিত হয়েছিল। বিষয়টি শুনে কৌতূহল হয়েছিলাম এজন্য যে বন্যাদূর্গত এলাকায় আদৌ কি এত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


সরাসরি বন্যা দূর্গত এলাকায় যাওয়া সম্ভব না হলেও যারা বন্যাদূর্গত এলাকায় সেবা দিতে ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন ডাক্তারের সাথে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তাঁরা ক্যাম্পগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, মূলত এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু এবং কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েরা। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কম সময় নিয়ে এলেও এর প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে সেসব এলাকার মানুষদের মনে দীর্ঘস্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে। যা তাঁদের ভবিষৎ জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।


এসব মানুষের পাশে গিয়ে সমবেদনা জানানো সাথে যতটুকু পারা যায় তাঁদের সাহস দেয়া এবং তাঁদের অবস্থা শুনতে চাওয়া ইত্যাদি তাঁদের মানসিকভাবে অনেক সহযোগীতা করতে পারে। অনুরোধ করবো বাংলাদেশের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের, প্রাকৃতিক দুযোগ যেমন বন্যা, ভুমিকম্প অথবা অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্তদের মানসিকভাবে সাহস দিতে তাঁদের পাশে থাকার।

চার কাজে জেনে নিন আপনি কতটুকু সুস্থ

চার কাজে জেনে নিন আপনি কতটুকু সুস্থ

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বলা হয় স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। অসুস্থ হলেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। আর তাই সবাই সুস্থ থাকতে চায়। বিজ্ঞানীদের মতে, একজন মানুষ যদি চারটি কাজ নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে বোঝা যায় যে সেই মানুষটি সুস্থ। জেনে নিন সেই চারটি কাজ সম্পর্কে।


এক পায়ে ভারসাম্য: শুনতে অদ্ভুত শোনাতে পারে যে যদি আপনি এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেন, তাহলে আপনার ব্রেইন ভালো আছে। এক পায়ের উপর ভর করে ৬০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করুন। যদি ২০ সেকেন্ড পরেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন, তাহলে ব্রেইনের সমস্যায় ভোগার ঝুঁকিতে আছেন আপনি। জাপানের একটি গবেষণায় যেই ৩০ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তি এই পরীক্ষায় ভারসাম্য রাখতে পারেননি তাদের প্রত্যেকেরই মস্তিষ্কে সামান্য হলেও রক্তক্ষরণের ইতিহাস হয়েছে। মাইক্রোবিøডিং এর কারণে শরীরের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয়। এই মাইক্রোব্লিডিং পরবর্তীতে মস্তিষ্কের বড় ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে।


চেয়ার টেস্ট: চেয়ারে বসুন। এরপর দাঁড়ান। এভাবে টানা দশবার করুন। দেখুন পুরো কাজটি করতে কতক্ষণ সময় লাগলো। যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় জানা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক যেই অংশগ্রহণকারীরা দশ বার চেয়ারে উঠা-বসার এই কাজটি ২১ সেকেন্ড অথবা তার কম সময়ে করতে পেরেছে তারা অন্যান্যের তুলনায় শারীরিক ভাবে বেশি সুস্থ এবং সবল। এই কাজটি করতে শরীরের নিচের অংশের মাংসপেশির জোর থাকতে হয় এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকতে হয়।


পায়ের আঙুল স্পর্শ: মেঝেতে পা মেলে বসুন। এরপর পা সোজা রেখে পায়ের আঙুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। যদি ব্যর্থ হন তাহলে আপনার হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভোগার ঝুঁকি রয়েছে। নর্থ টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে শরীরের নমনীয়তার সঙ্গে রক্তনালীর নমনীয়তার সম্পর্ক আছে। রক্তনালী যদি অনমনীয় হয়ে যায় তাহলে রক্ত পাম্প করতে হার্টের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ফলে হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উঠা: গ্যালিসিয়ার ইউনিভার্সিটি হসপিটাল করুনার একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি কোনো বিরতি ছাড়া চার ফ্লাইট সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে কেউ, তাহলে তার অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি কম। গবেষকদের মতে একজন মানুষ যদি সুস্থ হয়, তাহলে এই পরীক্ষাটি তার এক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারার কথা। যারা পারেন না, তাদের হার্টের সমস্যা এবং ক্যানসারে ভুগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে হুড়মুড় করতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে যেন পড়ে না যান, সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া

দীর্ঘায়ু পেতে নিজের আগে সঙ্গীকে ভালো রাখুন

দীর্ঘায়ু পেতে নিজের আগে সঙ্গীকে ভালো রাখুন

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন চান? তাহলে প্রথমেই যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো, সঙ্গীকে সুখে রাখা। কারণ গবেষণায় জানা গেছে, যদি স্বামী বা স্ত্রী উৎফুল্ল থাকেন, তাহলে সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।


সাইকোলজিক্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, সঙ্গী যদি উৎফুল্ল মেজাজে থাকেন সবসময়ে তাহলে শুধু যে দাম্পত্য সুখের হয় তাই নয়, আয়ু বাড়ে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


গবেষণাটির গবেষক নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ ইউনিভার্সিটির অলগা স্টাভরোভা বলেন, ‘আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং দেশ ভেদে দাম্পত্য জীবনের সুখের সঙ্গে মৃত্যুর হার এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে।’


গবেষণাটি করা হয়েছে আমেরিকার ৪৪০০ দম্পতির উপরে। তার সবার বয়স পঞ্চাশের বেশি। সেখানে গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন ভালো থাকার জন্য এবং দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য নিজের সুখের চাইতেও সঙ্গীর সুখের দিকে খেয়াল রাখা বেশি জরুরি।


স্টাভরোভার মতে, যাদের সঙ্গী হাসিখুশি এবং কর্মব্যস্ত থাকেন, তাদের জীবনযাত্রার মানও অন্যান্যের তুলনায় বেশি ভালো। অন্যদিকে সঙ্গী যদি বিষণ্ণ থাকেন, তাহলে জীবন যাত্রার মান কমে যায়। এর প্রভাব পরে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যে।

দীর্ঘায়ু পেতে জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি

দীর্ঘায়ু পেতে জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেহকে কালজয়ী করে তুলতে হলে আয়ু ও বয়স সম্পর্কিত কিছু সার্বজনীন ভ্রান্ত ধারণা প্রথমে দূর করতে হবে। কারণ এ ধারণাগুলো আসলেই সত্য নয়। এ ব্যাপারে মূল ভুল ধারণা হচ্ছে, বার্ধক্যের প্রক্রিয়ায়ই মানুষ মারা যায়। সত্যি কথা হচ্ছে, বার্ধক্যের সঙ্গে সংযুক্ত জ্বরা-ব্যাধিই মৃত্যুর কারণ।


সবাই চায় একশ’ বছর বেঁচে থাকতে, নিরোগময় দীর্ঘ আয়ু। কিন্তু, দীর্ঘ আয়ু তো আর বললেই পাওয়া যায় না। এর জন্য আপনাকে করতে হবে অনেক সাধনা। শুধু মনে মনে আশা করলেই হবে না।


একশ’ বছর বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে জীবনযাত্রায় আনতে হবে অনেক পরিবর্তন। মেনে চলতে হবে অনেক কিছু। আবার ত্যাগ করতে হবে অনেক কিছু। আসুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই- জীবনযাত্রায় এমন কিছু নিয়ম আছে- যা মেনে চললে আপনি পেতে পারেন একশ’ বছর আয়ু।


পরিমিত ঘুম
দিনে ঠিক কতটুকু সময় ঘুমাচ্ছেন এবং সেই ঘুম কেমন হচ্ছে সেটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি ঘুম যেমন খারাপ, তেমনি খারাপ অল্প ঘুমও। চিকিৎসকরা বলেন, সে কারণে ঠিকঠাক মতো ঘুমাতে হবে। ঠিক মতো ঘুমানো খুব জরুরি। ফলে আমরা যারা ঘুমের চাহিদা মিটিয়ে নিতে অল্প একটু সময় চোখ বন্ধ রেখে ভাবছি যে আমাদের ঘুম হয়ে গেছে, তাদের একটু সতর্ক হতে হবে।


ওজন নিয়ন্ত্রণ
দিনে একবার খান। ডিনারে মাছ ও সবজির ওপর বেশি জোর দিন। মাংস অবশ্যই খেতে হবে। তবে সপ্তাহে দু’বারের বেশি নয়। অলিভ অয়েল খাওয়ার ওপর জোর দিন। শরীরের ত্বক, শিরা ও ধমনি ভালো রাখার জন্য জলপাই তেল ভালো কাজ করে।


কার্বোহাইড্রেট নিয়ে সচেতনতা
ভাত ও রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিহার করা আজকালকার দিনে হয়তো একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, ব্যালেন্সড ডায়েটের জন্য আমাদের এসবও খেতে হবে। খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। সবসময় রিফাইন বা মসৃণ কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে বরং একটু ফাইবার যুক্ত (মোটা আটার) কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ভালো। যেমন: বাদামি চাল, আস্ত শস্য দানা সমেত মোটা আটার রুটি ইত্যাদি।


নেশাকে না বলুন
দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন: এক গস্নাস রেড ওয়াইন হয়তো অনেকের কাছে খুব আনন্দের কিছু। কিন্তু, প্রতিদিন সন্ধ্যায় পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।


দেরিতে অবসর নিন
যত দেরিতে কর্মজীবন থেকে অবসর নেবেন, তত ভালো। সাধারণত চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অবসর নেয়ার পর যেন তাদের বার্ধক্য হু হু করে বাড়ে। দেখা দিতে থাকে নানা অসুখ-বিসুখ। কাজ মানুষের বার্ধক্য আটকে রাখে।


হাঁটা-চলা করুন
অফিসে যারা কাজ করে থাকেন তারা ছাড়াও বাড়িতে আমাদের অনেকেই প্রচুর সময় বসে থেকে কাটাই এবং এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য যেটা করতে হবে সেটা হলো শরীরটাকে একটু নাড়ানো, অর্থাৎ নিয়ম করে হাঁটা-চলা করা।

জিন সম্পর্কে জানুন
জিন আমাদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই মুহূর্তে হয়তো আপনি আপনার জিন নিয়ে বেশি কিছু করতে পারবেন না। কিন্তু, কোনো কোনো জিনের কারণে আমরা বিশেষ একটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছি কিনা সেটা জানলে আমাদের সুবিধা হবে। বিশেষ কোনো অসুখে পডার প্রবণতা হয়তো আপনার মধ্যে বেশি থাকতে পারে। কিন্তু, আপনার পরিবারের বা বংশের অন্যান্য সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ইতিহাস জানা থাকলে সেটা আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে সাহায্য করতে পারে।


প্রাণ খুলে হাসুন
সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত আনন্দের, এটা মনে রাখতে হবে। এটাকে দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজের অংশ হিসেবে দেখলে হবে না। এখানে মানসিকতার একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই থাকতে হবে হাসিখুশি। এমন কিছু করুণ যা প্রতিদিন আপনাকে হাসিখুশি রাখবে।


স্ট্রেস বা চাপ কমান
আজকের দিনে নানা কারণে স্ট্রেসের সৃষ্টি হয়। সেটা কাজের কারণে হতে পারে, হতে পারে সম্পর্কের কারণেও। পারিবারিক কারণেও হয়। কিন্তু, এসব চাপ থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় তার উপায় প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে খুঁজে নিতে হবে। কারণ, একেজনের বেলায় এটা একেকভাবে কাজ করে। এজন্য একজন চিকিৎসক অথবা এ-সংক্রান্ত অন্যান্য পেশাজীবীদের কাছ থেকেও সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।


এছাড়া এত কিছু করতে না চাইলেও শুধু এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে যে একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে অন্তত তিনটি উপায় মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো- ছয় ঘণ্টা ঘুম, এক ঘণ্টা শারীরিক ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three