Showing posts with label বিক্ষোভ. Show all posts
Showing posts with label বিক্ষোভ. Show all posts
বদরগঞ্জে সাজানো মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

বদরগঞ্জে সাজানো মামলা থেকে অব্যহতির দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

admin August 18, 2018

রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাড়ি বানিয়াপাড়া এলাকার বৃদ্ধা সায়েদা বেগমের হত্যাকান্ডে বাদীপক্ষের সাজানো মামলায় হয়রানীর শিকার গ্রামের অসহায় কৃষকরা মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। একই সাথে ওই হত্যায় জড়িত মূলহোতা ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলামসহ তার সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ শনিবার দুপুরে বদরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মোড় থেকে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিক্ষোভ শেষে শহীদ মিনার চত্ত¡রে মানববন্ধন সমাবেশে অংশ নেন প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ।


মানববন্ধন সমাবেশ থেকে বাদীপক্ষের সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে গ্রামের নিরহ অসহায় কৃষক পরিবারের সদস্যদের অব্যহতি দিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় গণকমিটির আহবায়ক আতাউর রহমান রেজা, জাসদ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক নূর সুমন, সমাজসেবক মুকুল, মাহফুজার রহমান, আব্দুল হাই, সাহাবুল ইসলাম, মেঘনা, গোলাপী বেগম, রমিজা খাতুন, খয়বার হোসেন প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, মামলার বাদী ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার আপন ফুফু সায়েদা বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় মমিনুলকে সহায়তা করে তার পিতা অহিদুল ইসলাম। পিতা-পুত্রের হামলায় সায়েদা বেগমের মৃত্যু হলে মমিনুল নিজেই বাদি হয়ে এলাকার নিরীহ অসহায় ২২টি কৃষক পরিবারকে জড়িয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর থেকে গ্রেফতারের ভয়ে এলাকাটি এখন পুরুষশুন্য হয়ে আছে। এসময় বক্তারা অবিলম্বে হয়রানীমূলক সাজানো মামলা থেকে গ্রামের অসহায় পরিবারের সদস্যদেরকে অব্যহতি দিতে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। এরআগে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও কৃষক পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

রংপুরে বাসচাপায় স্কুলছাত্র জিয়নের মৃত্যু: শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

রংপুরে বাসচাপায় স্কুলছাত্র জিয়নের মৃত্যু: শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

admin August 13, 2018

রংপুর: ঢাকায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র তানভির আহমেদ জিয়নের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে অকে বিক্ষুব্ধ রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিয়নের মৃত্যুর সাথে জড়িত চালক ও হেলপারের ফাঁসিসহ ৪ দফা দাবিতে আজ সোমবার সকাল থেকে রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে, চেষ্টা করে সড়ক অবরোধ করার। ছাত্র-ছাত্রীরা সকাল পৌনে ৯ টায় স্কুল থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ নিয়ে সেনপাড়া রোড দিয়ে জীবনবীমা ভবনের সামনে নগরীর প্রধান সড়কে অবরোধ করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের ঘিরে মোতায়েন করা হয় বিপুল পরিমাণ পুলিশ। Md-Tanvir-Ahmed-Jion


এসময় বিপুল পরিমাণ পুলিশ তাদেরকে নিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও তারা স্কুলে প্রবেশ করেনি। শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভ চলাকালে এক পর্যায়ে ছুটে আসেন এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে তাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন। শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করলে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বন্দি অবস্থাতেই বিক্ষোভ করতে থাকে। এরই মধ্যে বিক্ষোভ সামলাতে স্কুল ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে এনে মানববন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হয়।




[caption id="attachment_1024" align="alignnone" width="800"]Rangpur Students Human Chain (2) ‘তোমাদের আর কত জিয়নের প্রাণ চাই? উই ওয়ান্ট টু নো’, ‘তোমরা ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, যেখানেই অন্যায় অবিচার দেখবে-সেখানেই চরম আঘাত হানবে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, ‘আমরা পড়তে এসেছি মরতে নয়’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই- যানবাহনের চাকার নিচে গণতন্ত্র নাই’- এ ধরনের শত শত লেখা সাদাকাগজ হাতে নিয়ে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রীরা।[/caption]

বেলা সাড়ে ১২টায় স্কুলের প্রধান ফটক খুলে দিলে কড়া পুলিশি পাহারায় শিক্ষার্থীরা বের হয়ে ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় দুই পাশে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা এসময় জিয়ন হত্যাকারীদের ফাঁসি, কলেজের রাস্তায় দুই পাশে স্পিড ব্রেকার, ওভার ব্রিজ নির্মাণ এবং কলেজের রাস্তায় সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভারি যানবাহন চলাচল না করার দাবি জানায়।


‘অ্যাম আই দ্যা নেক্সট?’ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো দশম শ্রেণীর ছাত্রী জাফরিন শেখ জানায়, বাস-ট্রাক আর কত জিয়নকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিবে। আমরা এটা মানবো না। এটা হতে দিবো না। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র প্রান্ত বলে, আমরা পড়তে এসেছি মরতে নয়। আমরা আর লাশের পর লাশ চাই না। জিয়নকে যারা বাস চাপা দিয়ে মেরেছে তাদের ফাঁসি দিতে হবে। ‘তোমাদের আর কত জিয়নের প্রাণ চাই? উই ওয়ান্ট নো’- প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সাদাফ বলে, আমার প্রশ্নের উত্তর চাই।


মানবন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আবু হাসান মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ (এ সার্কেল)। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, সহপাঠী জিয়ন নিহতের ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে স্কুলে নিয়ে গেছি। এরপর তারা মানববন্ধন করে বাসায় বাসায় ফিরে গেছে। কোনো বিশৃংখলা তৈরি হয়নি। ইতোমধ্যেই আমরা বাসের চালক ও ড্রাইভারকে গ্রেফতার করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন জানান, জিয়নের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা হত্যকারীদের ফাঁসি এবং বিভিন্ন দাবি প্রশাসনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠার কারণে স্কুল ছুটি দেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে উত্তাল লাহোর

admin July 14, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সেখান থেকে ফেরার পরপরই আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯ টার দিকে তার মেয়েসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। তারা উভয়ই পাকিস্তানের আদালতে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। এদিকে তাদের গ্রেপ্তারের পর লাহোরে প্রবল বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। নওয়াজ শরিফের সমর্থকরা তাকে স্বাগত জানাতে লাহোরের আল্লামা ইকবাল বিমানবন্দরে গিয়ে বিক্ষোভ করলে বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।


এমন এক সময় নওয়াজ শরিফকে গ্রেপ্তার করা হলো যখন পুরো পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ। আগামী ২৫ জুলাই দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন থেকেই পাকিস্তানে সহিংসতা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবারও নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে একটি নির্বাচনী প্রচারণার সময় আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে পঁচাশি জন নিহত হয়। এর আগে শুক্রবারই উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে নিহত হয় ৪ জন। মূলত নওয়াজ শরিফের দণ্ড ঘোষণার পরই পাকিস্তানে এসব নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে।


লাহোরে অবতরণের পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতির সময় নওয়াজ শরিফ বিবিসিকে বলেছিলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা বর্তমান সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তবে তিনি যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনবারের এ প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য আদালত নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করে। ফলে তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।


পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট গত ৬ জুলাই শুক্রবার দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের আদালত নওয়াজ শরিফকে ১০ বছর, তার মেয়ে মরিয়মকে ৭ বছরের এবং মেয়ে জামাই ক্যাপ্টেন সফদরকে ১ বছরের দণ্ড দেয়। নওয়াজ শরিফ ঘোষিত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে ওই সম্পদ গোপনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয় আদালতে। কারাদণ্ড ছাড়াও নওয়াজকে ৮০ লাখ পাউন্ড ও মরিয়মকে ২০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা করে আদালত।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three