লালমনিরহাট: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা না থাকায় সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া হয় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এতে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যার কারণে চলমান তীব্র গরমে অতিষ্ঠ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষ। আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়াও ব্যাহত হচ্ছে। যদিও আজ সোমবার থেকে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের একটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে করে ইদে কিছুটা হলেও কমতে পারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
এরই মধ্যে লালমনিরহাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। আজ সোমবার বুড়িমারী মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে তারা।মহাসড়ক দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ থাকায় উভয় পাশ্বে দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। জনদুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখি যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড গরমে গত একমাস ধরে বিদ্যুতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তিন ঘন্টা পরে বিদ্যুতের দেখা মিলে মাত্র ১০ মিনিট। এছাড়াও নতুন করে যুক্ত হয়েছে লো ভোল্টেজ। সারা দিন বিদ্যুতহীন থাকলেও সন্ধ্যায় পড়াশুনার পুরো সময় জুড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং অব্যহত থাকছে।
বিদ্যুতের এ অব্যহত লোডশেডিং বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে কাকিনা উত্তর বাংলা অনার্স কলেজ ও কাকিনা মহিমারঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল দিতে থাকে। এসময় উভয় পাশে প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
অবরোধের খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতেও অবরোধ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন জানান, যোগাযোগ সচল রাখতে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।