কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুটি চন্দ্রখানা এলাকার মাদক সম্রাট শাহানুরের বাড়ি থেকে ১ হাজার ২১০ পিস ইয়াবা, ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ টি মটর সাইকেলসহ ৬ জনকে আটক করেছে ফুলবাড়ি থানা পুলিশ। এদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দিয়ে ৫ জনকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা না দিয়ে ১৫১ ধারায় (সন্দেহ মুলক) মামলা দেয়া হয়েছে। বিশাল একটি চালান উদ্ধার হলোও মাদকের সাথে আটকদেরকে আসামী না করায় বিক্ষুব্ধ হয়েছেন সচেতন নাগরিকরা ।
ফুলবাড়ি থানার এসআই মহুবর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পশ্চিম কুটিচন্দ্রখানা এলাকার মাদক সম্রাট শাহানুরের বাড়িতে আমার নেতৃত্বে এসআই আল আমিনসহ ৭/৮জন পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক সম্রাট শাহানুর পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি থেকে ১ হাজার ২১০পিস ইয়াবা, ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ টি মটর সাইকেলসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় মাদক সম্রাট শাহানুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেয়া হয়। শাহানুর ফুলবাড়ি উপজেলার পশ্চিম কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের মৃত: মহির উদ্দিনের পূত্র। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালার সময় ৬জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গর্ভীর রাতে কুড়িগ্রামের কৃঞ্চপুর চড়ূয়া পাড়া এলাকার আশরাফ আলীর পূত্র মাসুম বিল্লাহ (২৯) ছেড়ে দিয়ে ৫ জনকে ১৫১ ধারায় (সন্দেহ মুলক) মামলা দেয়া হয়েছে ।এতে করে বিক্ষুব্ধ হয়েছেন সচেতন নাগরিকসহ এলাকাবাসী ।
ফুলবাড়ি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই এরশাদুল হক জানান, ৩টি মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুড়িগ্রাম শহরের পৌরসভার নাজিরা এলাকার আব্দুস সাত্তারের পূত্র রিপন আহমেদ (৩৪), মুন্সিপাড়া এলাকার বাবলা মিয়ার পূত্র মনু মিয়া (২৭), কলেজপাড়া এলাকার আশরাফ আলীর পূত্র লানজু মিয়া (২৮), ও মোন্নাফের পূত্র রাশেদুজ্জামান রুবেল (২৯) এবং করিমের খামার এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের পূত্র ওমর ফারুক (৩০)।
এলাকাবাসী মোকছেদুল হক, মোজ্জাফর হোসেন ও জুয়েল রানা জানান শাহানুরের বাড়ি থেকে অনেক গুলো মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, এ বিষয়ে বাড়ির মালিক শাহানুরের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেয়া হয়েছে। ৬ জনের আটকের ব্যাপারে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করে একজনকে জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে ৫জনকে সন্দেহজনক ধারায় মামলা দেয়া হয়।