Showing posts with label জলঢাকা. Show all posts
Showing posts with label জলঢাকা. Show all posts
জলঢাকায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তা প্রচেষ্টা

জলঢাকায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তা প্রচেষ্টা

admin June 02, 2019

নীলফামারী প্রতিনিধি:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহায়তা প্রচেষ্টা করায় নীলফামারীর জলঢাকায় ৪ যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।


শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৩ যুবককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা।


সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ নিজপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সাদেকুল ইসলাম, নীলফামারী সদর কচুকাটা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শামীম হোসেন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ডোংগা গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।তাদের প্রত্যেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।


অপরদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম এলাকার সত্যেন্দ্র সরকারের ছেলে চয়ন সরকারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে পৌরশহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি বাসা থেকে ওই ৪ যুবককে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অপরাধ কাজে ব্যবহারের জন্য ১০ টি মোবাইল সেট, সিমকার্ড ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সাজাপ্রাপ্তরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্র।


অপরাধীদেরকে শুক্রবার ভোরে আটক করা হলেও শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আরো কিছু তথ্য জানার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান শেষ করে ভ্রাম্যমান আদালতে দেওয়া হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সহায়তা প্রচেষ্টার অভিযোগ থাকায় তাদের প্রত্যেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।

‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’ বলা নিয়ে জলঢাকায় উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ

‘ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা’ বলা নিয়ে জলঢাকায় উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ

admin August 16, 2018

নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকায় ১৫ আগষ্টের আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবিতে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
এদিকে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করেও বাহাদুরকে গ্রেফতার করাতে পারেনি এমপি গোলাম মোস্তফা। জলঢাকা শহরের উপর দিয়ে বিভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগের মূল সড়কে এমপি’র অবরোধের ফলে চারিদিকে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে এতে চরম জন দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌর শহরে অতিরিক্ত র‌্যাব,পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধায় উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্দোগ্যে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে উম্মুক্ত আলোচনা ও কবিতা পাঠের আসরের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা অতিথি না থাকলেও অতর্কিত ভাবে মঞ্চে আসেন এবং বক্তব্য রাখেন। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় এমপি’র বিরুদ্ধে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা, জামায়াত প্রীতিসহ দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে আন্দোলন করে আসছে বাহাদুরের নেতৃত্বাধীন উপজেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ। তার উপস্থিতি দেখে এমপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে শ্লোগান দিয়ে, কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছেন তা জানতে চায়।
এসময়ে উপস্থিত এমপি সমর্থকরা তার পক্ষে পাল্টা শ্লোগান দিলে উত্তেজনার সৃস্টি হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্ঠা করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরসহ তার নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে এমপি তার সমর্থকদের নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১২টা পযর্ন্ত দীর্ঘ প্রায় ৪ঘন্টা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে সড়ক অবরোধ করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার বলেন,‘আমাদের শোক দিবসের আলোচনা সভায় কাউকে অতিথি করি নাই। তবে যারাই এসেছে তাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি।’
এ বিষয় অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন,‘আমার নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে শ্লোগান দিতে থাকলে আমি গিয়ে তাদেরকে শান্ত করি। যেহেতু এবারে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশি, তাই এমপি প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।’
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন,‘এটা অন্তঃদলীয় কোন্দল,বিষয়টি আমরা উদ্ধের্তন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে আলোচনা সভায় বাহাদুরের নেতৃত্বে তার লোকজন আমাকে গালমন্দ করে। এরই প্রতিবাদে আমার সমর্থকরা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেফতারের দাবী করে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three