Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
বায়ু দূষণ: দেশে প্রতিবছর পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু

বায়ু দূষণ: দেশে প্রতিবছর পৌনে ২ লাখ মানুষের মৃত্যু

admin June 23, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এশিয়ায় এ সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। আর বিশ্বজুড়ে প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর কারণ এই বায়ু দূষণ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত এক সেমিনারে পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এমনটা জানিয়েছেন।


‘আসুন, বায়ু দূষণ রোধ করি’ স্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘বায়ু দূষণ ও করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ, ইকো সোসাইটিসহ ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান।


তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলের তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু বায়ু দূষণ জনিত কারণে। প্রতি বছর এশিয়ায় মৃত্যু হয় প্রায় ২৬ লাখ মানুষের। বিশ্বে ৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণও এটি। আর শুধু বাংলাদেশেই প্রতিবছর মারা যায় প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও যে ১০ টি রোগের কারণে বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে পাঁচটিই বায়ু দূষণ জনিত রোগ।


তিনি বলেন, পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বায়ু দূষিত দেশ বাংলাদেশ, আর দিল্লির পর দূষিত শহর ঢাকা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শহুরে জনগণ এবং শিশু, দারিদ্র্য এবং বয়স্ক নাগরিকেরা। বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিন বলেন, চীনের একটি নীতি ছিল যে, আগে উন্নয়ন করি পরে দূষণ সামলাবো। সরকার এমন কোনো নীতিই বাংলাদেশের জন্য নিচ্ছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে। উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা পরিবেশকে দূষিত করে ফেলছি। তবে চীন সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আমরা পারবো না। তাই এমন নীতি হবে আমাদের জন্য আত্মঘাতী।


কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে কয়লাকে বলা হয় ‘ডার্টি ফুয়েল’। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা গ্রাফ দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, রামপালের ফলে যে বায়ু দূষিত হবে সেটি ঢাকা, নরসিংদীসহ কলকাতাও পৌঁছাবে। আমরা সরকারকে দেখিয়েছি যে, আমাদের দেশে কয়লা ও পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দরকার নেই। তবুও সরকার তা শুনছে না।


প্রখ্যাত কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে বাপা’র সহ সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, পরিবেশ রক্ষার দায় সবচেয়ে বেশি সরকারের। কারণ ব্যক্তি পর্যায় থেকে সরকারের পদক্ষেপে অথবা দূষণকারী ব্যক্তি পর্যায়ের কর্মকাÐে সরকারের নির্লিপ্ততার জন্যই পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।


সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা ছিলেন না। সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহম্মদ পরিবেশ সুরক্ষায় নিজ অধিদপ্তরের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরেন।


তিনি বলেন, পরিবেশ ও বায়ু দূষণের বিভিন্ন সোর্স আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোকে আইনের আওতায় এনেছি। আগে বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় সোর্স ছিল ইট ভাটা। এখন সেটি নেই। এখন হচ্ছে যানবাহন ও কারখানা। প্রায় ৭১ শতাংশ ইট ভাটাকে আমরা পরিবেশবান্ধব করেছি অথবা কম দূষণের তালিকায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। দেশের ৩৩টি জেলায় এখন পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয় আছে, প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত আছে। তবে এটা ঠিক যে, আমাদের আরও কাজ করার আছে।


সভায় অন্যান্যের মাঝে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। এর আগে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামানের লেখা ‘সমসাময়িক পরিবেশ ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

কুড়িগ্রামে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ সভা ও কর্মশালা

কুড়িগ্রামে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ সভা ও কর্মশালা

admin June 21, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে সবার জন্য স্বাস্থ্য অধিকার, দক্ষিণ এশিয়ায় বাধামুক্ত চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ আদান-প্রদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এএফএডি কনফারেন্স হলরুমে সাইটসেভার্সের সহযোগিতায় ইউকেএইড এর অর্থায়নে এ অবহিতকরণ সভা ও কর্মশালার আয়োজন করে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল, উলিপুর।


এ সময় বক্তব্য রাখেন, মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের এসিস্টেন জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাহিদ আলম খন্দকার, সাইটসেভার্সের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার মাসুদ রানা, উন্নয়নের অক্ষমতার জন্য কেন্দ্রের সহকারী সমন্বয়ক এমএ কুদ্দুস জাহিদ, মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের মো: হাসিবুল হাসান এবং অরবিন্দু রায় প্রমুখ।


কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পটি সরকারী ও বেসরকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ১ জুলাই হতে কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় ২৫ হাজার ৩শ ৭৮জন প্রতিবন্ধী, শিশু, বয়স্ক, হতদরিদ্র, গরীব, আদিবাসী, দুস্থ ও দলিত শ্রেনীর চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৬৮জন চক্ষু রোগীর ছানী অপারেশন করা হয়েছে।


প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় ৪শ ৫২ সরকারী স্বাস্থ্যকর্মীকে ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।


কর্মশালায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন এনজিও কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রামে এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা

কুড়িগ্রামে এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা

admin June 21, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
২২ জুন প্রথম রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কুড়িগ্রামে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে এ সভার আয়োজন করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।


সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আমিনুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদুল্ল্যা লিংকন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।


অবহিতকরন সভায় জানানো হয়, ২০১৯ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ডে জেলার ৯ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৩৪ হাজার ২শ ৩৬ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২লাখ ৯০ হাজার ৫৬ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

পপুলার হাসপাতালে ব্রণের চিকিৎসা নিতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার তরুণী

admin June 17, 2019

রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।


ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণী জানান, শনিবার তার সাথে অশালীন আচরণ করেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দার। ব্রণের ইনফেকশন আছে কিনা দেখার ছলে ওই ডাক্তার তার গালে চুম্বন করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। ঘটনার পর পরই পপুলার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেন তিনি।


এরপর বাসায় ফিরে ওই তরুণী ডাক্তারের কাছে ফোন করে তার কৃতকর্মের কারণ জানতে চাইলে ডা. শওকত বলেন, ‘ওটা কিছু না, ইনফেকশন আছে কিনা দেখছিলাম।’ পরে তরুণী বলেন, ‘এমন তো আমি কখনো দেখিনি, ইনফেকশন আছে কিনা সেটা কোনো ডাক্তার কি ঠোঁট দিয়ে চেক করে?’ এসময় ডাক্তার শওকত হায়দার ওই তরুণীকে বলেন, তিনি দুঃখিত।


ঘটনার বিবরণে ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে পরিচিত একজনের রেফারেন্সে প্রথমবার পপুলার হাসপাতালের ওই ডাক্তারের কাছে যান তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরো কয়েকবার প্রায় বাবার বয়সী ডাক্তারের কাছে যান তিনি।


সর্বশেষ গত শনিবার দুপুরে ওই তরুণী ডা. শওকতকে জানান তার ত্বকের সমস্যা আবার বেড়েছে, রাতে তিনি চেম্বারে বসবেন কিনা? এসময় ওই ডাক্তার চেম্বারেই আছেন জানিয়ে মেয়েটিকে তখনই যেতে বলেন।


পরে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী জানতে চান তার সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আছে কিনা। এসময় সেই ডা. শওকত বলেন, যদি সে চায় তবে একটা ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে। তবে ইনজেকশনটি কোমরে দিতে হবে। মেয়েটির ইতস্ততভাব দেখে ওই ডাক্তার তাকে বলেন, কাপড়ের উপর দিয়েই ইনজেকশন দেয়া যাবে।


মেয়েটি তার অভিযোগে জানায়, ইনজেকশন দিতে রাজি হয়ে পেসেন্ট টেবিলে শুলে ওই ডাক্তার মেয়েটির বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, কোথায় ইনজেকশন দিলে ভালো হয় তা চেক করে দেখছিলেন তিনি।


পরে ওই তরুণী সেই ইনজেকশন হাতেই দিতে বলেন। ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ডাক্তার ইনজেকশন দেবার পর তুলা দিয়ে চেপে না ধরে না তার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেন। এ অবস্থায় মেয়েটি তাড়াতাড়ি সরে এসে ডাক্তারের ফিস দিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এসময় সেই ডাক্তার আরেকবার তার গালের ইনফেকশনটি দেখতে চান। গাল দেখার ছলে ডা. শওকত ওই তরুণীকে চুম্বন করেন।


অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দারের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি সামনাসামনি বসে কথা বলার প্রস্তাব দেন। এরপর তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।


এ ঘটনায় পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এসময় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।


পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ জানান, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তারা বিব্রতবোধ করছেন। দ্রুতই তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা। অপরাধীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।


পপুলার হাসপাতাল

পপুলার হাসপাতাল
বাজেট ২০১৯-২০: বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

বাজেট ২০১৯-২০: বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সয়াবিন, পামঅয়েল, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের উপর স্থানীয় ও আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করা হয়।


দীর্ঘদিন যাবত সয়াবিন, পামঅয়েল, সূর্যমুখী ও সরিষার তেল শুল্ক অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। সয়াবিন, পামঅয়েল, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের উপর স্থানীয় ও আমদানি শুল্ক আরোপ করা হলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

আন্দোলনের মুখে বিএসএমএমইউতে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

আন্দোলনের মুখে বিএসএমএমইউতে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

admin June 12, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া মঙ্গলবার বলেন, ভাইভা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিন্ডিকেট বোর্ডে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএসএমএমইউতে ১৮০ জন মেডিকেল কর্মকর্তা ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক নিয়োগে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ মার্চ।
পরীক্ষায় অংশ নেন আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক। কিন্তু ১২ মে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক চিকিৎসক।


তাদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে ফলাফল টেম্পারিং করা হয়েছে। ঈদের পর গত ৯ জুন আন্দোলনকারীদের কয়েকজন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লাঠিপেটার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে।


আন্দোলনকারীরা ভাষ্য, ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, তা জানতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। তবে ওইদিন চিকিৎসকদের লাঠিপেটার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন উপাচার্য। পুলিশের পক্ষ থেকেও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

কাউনিয়ায় ভুয়া ডাক্তার আটক

কাউনিয়ায় ভুয়া ডাক্তার আটক

admin June 03, 2019

কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর:
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নিভৃত পল্লীতে অভিযান চালিয়ে হুমায়ুন কবির মিঠু (২৪) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের জিগাবাড়ী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মোজাফ্ফর হোসেন এর পুত্র। এসময় তার কথিত চেম্বার থেকে চিকিৎসায় ব্যবহারিত সরঞ্জমাদি জব্দ করা হয় বলে জানা যায়।


থানা সুত্র জানায়, শনিবার (০২ জুন) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) সেলিমুর রহমান, এসআই শাহ্ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার টেপামধুপুর হাটে অবস্থিত ‘মেডিকেল হল’ নামে চেম্বারে অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে।


সত্যতা নিশ্চিত করে কাউনিয়া থানার ওসি জানান, আটক হুমায়ুন কবির মিঠু রংপুর মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (রংপুর ম্যাটস) এর শিক্ষার্থী। এরইমধ্যে সে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ মাস মেয়াদী ইন্টার্নী ডাক্তার হিসাবে কাজ করছেন। এমতঃবস্থায় সে উপজেলার টেপামধুপুর হাটে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পরিচয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা করছে শুনলে ওই ভুয়া চিকিৎসক হুমায়ুন কবির মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁর নামে নিয়মিত মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গরমে খাবার সংরক্ষণ করুন পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে

গরমে খাবার সংরক্ষণ করুন পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আমরা খাবার তৈরি করার সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে করতে। যেন স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। গরমে খাবার বাইরে থাকলে দ্রুত নষ্ট হয়ে ‍যায়। খাবারগুলো ভালো রেখে আমাদের কাজ সহজ করে দেয় রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ।


খাবার স্বাস্থ্যকর রাখতে, খাবার তৈরির মতোই সচেতন থাকতে হবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করার সময়। নিরাপদে খাবার সংরক্ষণের জন্য যা করতে হবে:




  • ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে খাদ্য সংরক্ষণ করবেন না

  • প্রতিটি খাবারের তৈরির তারিখ আর কতদিন খেতে পারবেন নিশ্চিত হয়ে নিন

  • প্লাস্টিকের পাত্রে খাদ্য গরম করা বা জমানো এড়িয়ে চলুন। কাঁচের বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে
    খবার রাখুন

  • ছোট ছোট বক্সে করে খাবার সংরক্ষণ করুন, বারবার গরম করে আবার সেই খাবার ফ্রিজে রাখলে খাবারের মান কমে যায়

  • সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করুন

  • নির্দিষ্ট স্থানে খাবার রাখুন, যেমন ডিমের ট্রেতে ডিম, নির্দিষ্ট বক্সে সবজি বা ফল

  • ফয়েলের মধ্যে কাঁচা মাছ এবং মাংস সংরক্ষণ করুন

  • দু’টি জিনিসের মধ্যে একটু জায়গা রাখুন ঠাণ্ডা বাতাস চলাচলের জন্য

  • কোনো খাবারই দীর্ঘ দিনের জন্য সংরক্ষণ করবেন না

  • চেষ্টা করুন সপ্তাহে একদিন ফ্রেশ বাজার করতে

  • আর রান্না করা খাবারও সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই খেয়ে নিন।

ঘুমানোর বালিশটি শরীরের জন্য ঠিক তো?

ঘুমানোর বালিশটি শরীরের জন্য ঠিক তো?

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আজকাল বালিশ নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে। কিন্তু নিজের ঘুমানোর বালিশটি আরামদায়ক ও শরীরের জন্য ভালো তো? জানেন তো, ঘুমানোর বালিশ ঠিক না হলে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা-ক্লান্তি-অবসাদ হতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথার আকারের ওপর নির্ভর করে আপনার জন্য সঠিক বালিশ কোনটি। যেমন মাথার বড় বলে কিং বা কুইন সাইজের বালিশ নিন। আর মাথা ছোট হলে বালিশও হবে ছোট।


অনেকেই ফোমের বালিশ ব্যবহার করেন, কিন্তু তা শরীরের জন্য উপকারী নয়। কার্পাস বা শিমুল তুলার বালিশ শরীরের সুস্থতা ও ঘুমের জন্য ভালো।


বালিশ বেশি উঁচু হবে না আবার খুব নিচুও হবে না। খুব শক্ত বা নরম বালিশও কিন্তু ব্যবহারে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।


পাশ ফিরে শোওয়ার সময় কাঁধের সঙ্গে গলার যতটা দূরত্ব, বালিশের সঙ্গেও কাঁধের যেন ততটাই হয়। অর্থাৎ ঘাড়ের ওপরের দিকের সঙ্গে বালিশের শেষ ভাগ যেন স্পর্শ করে থাকে। কেনার সময় এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।


বালিশের ওপর একটা আলাদা সুতির কাপড়ের পরিষ্কার কভার ব্যবহার করুন। এতে বালিশ কম ময়লা হবে, দীর্ঘ দিন নতুনের মতো থাকবে।


এবার আসুন দরদামে, একটি ভালো তুলার বালিশ বানাতে বা রেডিমেট কিনতে এক হাজার কিছু কম বেশি প্রয়োজন হয়। তবে ফাইভারের বা পাখির পালকের বালিশের দাম আরও একটু বেশি হতে পারে।

রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে করণীয়

রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে করণীয়

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রক্ত পরিশোধনের প্রধান দায়িত্ব পালন করে বৃক্ক এবং যকৃত। গৃহস্থালী কিছু উপকরণ এই রক্ত পরিশোধন প্রক্রিয়ার উপকারী ভ‚মিকা পালন করতে পারে।


বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে রক্তে মিশে থাকা বর্জ্য অপসারণে এবং কিছু রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে এই ঘরোয়া উপকরণগুলো সহায়ক। স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।


লেবু: রক্ত এবং হজমতন্ত্র পরিষ্কার করে লেবুর রস। অম্লীয় ধরনের এই রস অম্ল-ক্ষারের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে এবং রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর রস পান করলে শরীরে থেকে দুষিত উপাদান অপসারিত হয়। কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই যথেষ্ট।


অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও বেইকিং সোডা: এই মিশ্রণ শরীরের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা রক্ত এবং টিস্যু পরিশোধন করে। রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড পরিষ্কার করে এই মিশ্রণ। দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে আধা টেবিল-চামচ বেইকিং সোডা একটি খালি গ্লাসে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে যাতে ফেনা কমে আসে। এরপর তাতে পানি যোগ করে সঙ্গে সঙ্গে পান করতে হবে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে মেশালে বেইকিং সোডা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তারপরও যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের এই মিশ্রণ পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


বেসিল: ব্যাকটেরিয়া ও প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে বেসিলের। পাশাপাশি রক্ত পরিশোধনের ক্ষেত্রে এবং বৃক্ক ও যকৃত থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে এই ভেষজ উপাদান অনন্য। মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করবে এই উপাদান। প্রতিদিনের খাবারে পাঁচ থেকে ছয়টি বেসিল পাতার গুঁড়া মিশিয়ে দিলেই এর উপকার পাওয়া যায়। আবার একই পরিমাণ পাতা দিয়ে চা বানিয়েও পান করা যেতে পারে।


হলুদ: অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা হলুদ, যা রক্ত পরিষ্কার করে এবং রোগ নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুত করে। হলুদে থাকা ‘কারকিউমিন’ প্রদাহ এবং শরীরের প্রায় সব ধরনের জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও ভ‚মিকা রাখে হলুদ। আর হলুদের স্বাস্থ্যগুণ সেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার দিনগুলো থেকেই জন সমাদৃত। এক কাপ কুসুম গরম দুধের সঙ্গে আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করতে হবে। যকৃতের সঠিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।


পানি: প্রাকৃতিক পরিশোধনকারী হল পানি। যত বেশি পানি পান করা হবে রক্ত ততই বিশুদ্ধ হবে। শরীর থেকে দূষিত উপাদান ধুয়ে প্রসাবের সঙ্গে বের করে দেয় পানি এবং সকল অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম অক্ষুণ্ন রাখে। খনিজ উপাদান ও ভিটামিনের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক পানি।


অন্যান্য খাবার
উপরোক্ত খাবারগুলো উপকরণগুলো ছাড়াও আরও অনেক ফল ও সবজি আছে যা রক্ত পরিশোধনে কার্যকর।


ব্লুবেরি: প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধনকারী খাবারের মধ্যে সবচাইতে কার্যকর এই ফল। পাশপাশি যকৃত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধিও বন্ধ করে ব্লুবেরি।


ব্রকলি: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে ব্রকলিতে। আর শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণেও কার্যকর এই সবজি।


বিট: এতে থাকে ‘বেটালাইন্স’ এবং ‘নিট্রাটস’ নামক ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ যা রক্ত পরিশোধন করে।


গুড়: রক্ত পরিষ্কার করার কাজে গুড় একটি অনন্য উপাদান। শরীরের ভেতরে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত দূর করে গুড় যা রক্ত পরিশোধনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: রয়টার্স।

প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

প্রাকৃতিক দূর্যোগে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সম্প্রতি ইরানে কয়েকটি শহরে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছিল। এসব বন্যাদুর্গত এলাকায় ইস্পাহান মেডিক্যেল বিশ্ববিদ্যালয় ইরান থেকে সে এলাকার মানুষদের সেবা দিতে কয়েক বার ক্যাম্প করা হয়েছিল। ক্যাম্পগুলোর প্রায় প্রতিটি সাজানো হয়েছিল কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অথবা অন্যকোন ফিল্ডের বিশেষজ্ঞ সঙ্গে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে।


লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি ক্যাম্পে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। কিছু ক্যাম্প শুধুমাত্র মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়েই গঠিত হয়েছিল। বিষয়টি শুনে কৌতূহল হয়েছিলাম এজন্য যে বন্যাদূর্গত এলাকায় আদৌ কি এত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


সরাসরি বন্যা দূর্গত এলাকায় যাওয়া সম্ভব না হলেও যারা বন্যাদূর্গত এলাকায় সেবা দিতে ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন ডাক্তারের সাথে এ নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল আমার। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তাঁরা ক্যাম্পগুলোতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, মূলত এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে মানসিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু এবং কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েরা। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কম সময় নিয়ে এলেও এর প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে সেসব এলাকার মানুষদের মনে দীর্ঘস্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে। যা তাঁদের ভবিষৎ জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।


এসব মানুষের পাশে গিয়ে সমবেদনা জানানো সাথে যতটুকু পারা যায় তাঁদের সাহস দেয়া এবং তাঁদের অবস্থা শুনতে চাওয়া ইত্যাদি তাঁদের মানসিকভাবে অনেক সহযোগীতা করতে পারে। অনুরোধ করবো বাংলাদেশের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের, প্রাকৃতিক দুযোগ যেমন বন্যা, ভুমিকম্প অথবা অগ্নিকাণ্ডে আক্রান্তদের মানসিকভাবে সাহস দিতে তাঁদের পাশে থাকার।

চার কাজে জেনে নিন আপনি কতটুকু সুস্থ

চার কাজে জেনে নিন আপনি কতটুকু সুস্থ

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বলা হয় স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। অসুস্থ হলেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। আর তাই সবাই সুস্থ থাকতে চায়। বিজ্ঞানীদের মতে, একজন মানুষ যদি চারটি কাজ নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে বোঝা যায় যে সেই মানুষটি সুস্থ। জেনে নিন সেই চারটি কাজ সম্পর্কে।


এক পায়ে ভারসাম্য: শুনতে অদ্ভুত শোনাতে পারে যে যদি আপনি এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেন, তাহলে আপনার ব্রেইন ভালো আছে। এক পায়ের উপর ভর করে ৬০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করুন। যদি ২০ সেকেন্ড পরেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন, তাহলে ব্রেইনের সমস্যায় ভোগার ঝুঁকিতে আছেন আপনি। জাপানের একটি গবেষণায় যেই ৩০ শতাংশ বয়স্ক ব্যক্তি এই পরীক্ষায় ভারসাম্য রাখতে পারেননি তাদের প্রত্যেকেরই মস্তিষ্কে সামান্য হলেও রক্তক্ষরণের ইতিহাস হয়েছে। মাইক্রোবিøডিং এর কারণে শরীরের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয়। এই মাইক্রোব্লিডিং পরবর্তীতে মস্তিষ্কের বড় ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে।


চেয়ার টেস্ট: চেয়ারে বসুন। এরপর দাঁড়ান। এভাবে টানা দশবার করুন। দেখুন পুরো কাজটি করতে কতক্ষণ সময় লাগলো। যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় জানা গেছে, প্রাপ্তবয়স্ক যেই অংশগ্রহণকারীরা দশ বার চেয়ারে উঠা-বসার এই কাজটি ২১ সেকেন্ড অথবা তার কম সময়ে করতে পেরেছে তারা অন্যান্যের তুলনায় শারীরিক ভাবে বেশি সুস্থ এবং সবল। এই কাজটি করতে শরীরের নিচের অংশের মাংসপেশির জোর থাকতে হয় এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকতে হয়।


পায়ের আঙুল স্পর্শ: মেঝেতে পা মেলে বসুন। এরপর পা সোজা রেখে পায়ের আঙুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। যদি ব্যর্থ হন তাহলে আপনার হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভোগার ঝুঁকি রয়েছে। নর্থ টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে শরীরের নমনীয়তার সঙ্গে রক্তনালীর নমনীয়তার সম্পর্ক আছে। রক্তনালী যদি অনমনীয় হয়ে যায় তাহলে রক্ত পাম্প করতে হার্টের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ফলে হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উঠা: গ্যালিসিয়ার ইউনিভার্সিটি হসপিটাল করুনার একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি কোনো বিরতি ছাড়া চার ফ্লাইট সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে কেউ, তাহলে তার অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি কম। গবেষকদের মতে একজন মানুষ যদি সুস্থ হয়, তাহলে এই পরীক্ষাটি তার এক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারার কথা। যারা পারেন না, তাদের হার্টের সমস্যা এবং ক্যানসারে ভুগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে হুড়মুড় করতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে যেন পড়ে না যান, সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া

দীর্ঘায়ু পেতে নিজের আগে সঙ্গীকে ভালো রাখুন

দীর্ঘায়ু পেতে নিজের আগে সঙ্গীকে ভালো রাখুন

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন চান? তাহলে প্রথমেই যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে তা হলো, সঙ্গীকে সুখে রাখা। কারণ গবেষণায় জানা গেছে, যদি স্বামী বা স্ত্রী উৎফুল্ল থাকেন, তাহলে সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।


সাইকোলজিক্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, সঙ্গী যদি উৎফুল্ল মেজাজে থাকেন সবসময়ে তাহলে শুধু যে দাম্পত্য সুখের হয় তাই নয়, আয়ু বাড়ে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


গবেষণাটির গবেষক নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ ইউনিভার্সিটির অলগা স্টাভরোভা বলেন, ‘আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং দেশ ভেদে দাম্পত্য জীবনের সুখের সঙ্গে মৃত্যুর হার এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে।’


গবেষণাটি করা হয়েছে আমেরিকার ৪৪০০ দম্পতির উপরে। তার সবার বয়স পঞ্চাশের বেশি। সেখানে গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন ভালো থাকার জন্য এবং দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য নিজের সুখের চাইতেও সঙ্গীর সুখের দিকে খেয়াল রাখা বেশি জরুরি।


স্টাভরোভার মতে, যাদের সঙ্গী হাসিখুশি এবং কর্মব্যস্ত থাকেন, তাদের জীবনযাত্রার মানও অন্যান্যের তুলনায় বেশি ভালো। অন্যদিকে সঙ্গী যদি বিষণ্ণ থাকেন, তাহলে জীবন যাত্রার মান কমে যায়। এর প্রভাব পরে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যে।

দীর্ঘায়ু পেতে জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি

দীর্ঘায়ু পেতে জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দেহকে কালজয়ী করে তুলতে হলে আয়ু ও বয়স সম্পর্কিত কিছু সার্বজনীন ভ্রান্ত ধারণা প্রথমে দূর করতে হবে। কারণ এ ধারণাগুলো আসলেই সত্য নয়। এ ব্যাপারে মূল ভুল ধারণা হচ্ছে, বার্ধক্যের প্রক্রিয়ায়ই মানুষ মারা যায়। সত্যি কথা হচ্ছে, বার্ধক্যের সঙ্গে সংযুক্ত জ্বরা-ব্যাধিই মৃত্যুর কারণ।


সবাই চায় একশ’ বছর বেঁচে থাকতে, নিরোগময় দীর্ঘ আয়ু। কিন্তু, দীর্ঘ আয়ু তো আর বললেই পাওয়া যায় না। এর জন্য আপনাকে করতে হবে অনেক সাধনা। শুধু মনে মনে আশা করলেই হবে না।


একশ’ বছর বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে জীবনযাত্রায় আনতে হবে অনেক পরিবর্তন। মেনে চলতে হবে অনেক কিছু। আবার ত্যাগ করতে হবে অনেক কিছু। আসুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই- জীবনযাত্রায় এমন কিছু নিয়ম আছে- যা মেনে চললে আপনি পেতে পারেন একশ’ বছর আয়ু।


পরিমিত ঘুম
দিনে ঠিক কতটুকু সময় ঘুমাচ্ছেন এবং সেই ঘুম কেমন হচ্ছে সেটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি ঘুম যেমন খারাপ, তেমনি খারাপ অল্প ঘুমও। চিকিৎসকরা বলেন, সে কারণে ঠিকঠাক মতো ঘুমাতে হবে। ঠিক মতো ঘুমানো খুব জরুরি। ফলে আমরা যারা ঘুমের চাহিদা মিটিয়ে নিতে অল্প একটু সময় চোখ বন্ধ রেখে ভাবছি যে আমাদের ঘুম হয়ে গেছে, তাদের একটু সতর্ক হতে হবে।


ওজন নিয়ন্ত্রণ
দিনে একবার খান। ডিনারে মাছ ও সবজির ওপর বেশি জোর দিন। মাংস অবশ্যই খেতে হবে। তবে সপ্তাহে দু’বারের বেশি নয়। অলিভ অয়েল খাওয়ার ওপর জোর দিন। শরীরের ত্বক, শিরা ও ধমনি ভালো রাখার জন্য জলপাই তেল ভালো কাজ করে।


কার্বোহাইড্রেট নিয়ে সচেতনতা
ভাত ও রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিহার করা আজকালকার দিনে হয়তো একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, ব্যালেন্সড ডায়েটের জন্য আমাদের এসবও খেতে হবে। খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। সবসময় রিফাইন বা মসৃণ কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে বরং একটু ফাইবার যুক্ত (মোটা আটার) কার্বোহাইড্রেট খাওয়া ভালো। যেমন: বাদামি চাল, আস্ত শস্য দানা সমেত মোটা আটার রুটি ইত্যাদি।


নেশাকে না বলুন
দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন: এক গস্নাস রেড ওয়াইন হয়তো অনেকের কাছে খুব আনন্দের কিছু। কিন্তু, প্রতিদিন সন্ধ্যায় পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।


দেরিতে অবসর নিন
যত দেরিতে কর্মজীবন থেকে অবসর নেবেন, তত ভালো। সাধারণত চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অবসর নেয়ার পর যেন তাদের বার্ধক্য হু হু করে বাড়ে। দেখা দিতে থাকে নানা অসুখ-বিসুখ। কাজ মানুষের বার্ধক্য আটকে রাখে।


হাঁটা-চলা করুন
অফিসে যারা কাজ করে থাকেন তারা ছাড়াও বাড়িতে আমাদের অনেকেই প্রচুর সময় বসে থেকে কাটাই এবং এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। দীর্ঘদিন বাঁচার জন্য যেটা করতে হবে সেটা হলো শরীরটাকে একটু নাড়ানো, অর্থাৎ নিয়ম করে হাঁটা-চলা করা।

জিন সম্পর্কে জানুন
জিন আমাদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই মুহূর্তে হয়তো আপনি আপনার জিন নিয়ে বেশি কিছু করতে পারবেন না। কিন্তু, কোনো কোনো জিনের কারণে আমরা বিশেষ একটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছি কিনা সেটা জানলে আমাদের সুবিধা হবে। বিশেষ কোনো অসুখে পডার প্রবণতা হয়তো আপনার মধ্যে বেশি থাকতে পারে। কিন্তু, আপনার পরিবারের বা বংশের অন্যান্য সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ইতিহাস জানা থাকলে সেটা আমাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে সাহায্য করতে পারে।


প্রাণ খুলে হাসুন
সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত আনন্দের, এটা মনে রাখতে হবে। এটাকে দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজের অংশ হিসেবে দেখলে হবে না। এখানে মানসিকতার একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। তাই থাকতে হবে হাসিখুশি। এমন কিছু করুণ যা প্রতিদিন আপনাকে হাসিখুশি রাখবে।


স্ট্রেস বা চাপ কমান
আজকের দিনে নানা কারণে স্ট্রেসের সৃষ্টি হয়। সেটা কাজের কারণে হতে পারে, হতে পারে সম্পর্কের কারণেও। পারিবারিক কারণেও হয়। কিন্তু, এসব চাপ থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় তার উপায় প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে খুঁজে নিতে হবে। কারণ, একেজনের বেলায় এটা একেকভাবে কাজ করে। এজন্য একজন চিকিৎসক অথবা এ-সংক্রান্ত অন্যান্য পেশাজীবীদের কাছ থেকেও সাহায্য নেয়া প্রয়োজন।


এছাড়া এত কিছু করতে না চাইলেও শুধু এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে যে একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে অন্তত তিনটি উপায় মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো- ছয় ঘণ্টা ঘুম, এক ঘণ্টা শারীরিক ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।

এইডস প্রতিরোধে কলা

এইডস প্রতিরোধে কলা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কলার মধ্যে রয়েছে এমন এক পদার্থ, যা মানব দেহে রোগ সংক্রামক ও মারণাত্মক ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে যে পদার্থ রয়েছে তা এইডস, হেপাটাইটিস সি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মারাত্মক ব্যাধির ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।


গবেষকদের দাবি, কলার মধ্যে যে প্রোটিন রয়েছে তার নাম ব্যানানা ল্যাকটিন। এই ল্যাকটিন মানব শরীরের কোষগুলোর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে।


গবেষকদের মতে ইধহখবপ (ব্যানানা ল্যাকটিন) মানব শরীরে এইডস, হেপাটাইটিস সি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসগুলোকে বিনাশ করে দেয়। আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। কলার বিভিন্ন নমুনা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। কলার মধ্যেকার প্রোটিন থেকে যদি প্রতিষেধক কিছু আবিষ্কার করা যায় তবে তা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সহায়তা করবে।

গোপালগঞ্জ শিক্ষার্থীর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

গোপালগঞ্জ শিক্ষার্থীর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মরিয়ম সুলতানা মুন্নি নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ভুল ইনজেকশন দেওয়ার ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ডা. তপন কুমার মণ্ডলসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।


গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুন্নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।


গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে ওই হাসপাতালের ডা. তপন কুমার মণ্ডল নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।


উল্লেখ্য পিত্তথলিতে পাথর থাকায় মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মণ্ডলের অধীনে সোমবার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মুন্নির অপারেশন করার সময় ধার্য ছিল।


নার্স রাশিদা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মুন্নিকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর তিনি জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

সরকারি ম্যাটস ও আইএইচটিতে ভর্তির আবেদন শুরু পরীক্ষা ২১ মে

সরকারি ম্যাটস ও আইএইচটিতে ভর্তির আবেদন শুরু পরীক্ষা ২১ মে

admin May 19, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন সরকারি ৯টি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও ১৩টি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)-তে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।


আগামী ১২ জুলাই (শুক্রবার) অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ উত্তরপত্র ওএমআর মেশিনে নিরীক্ষা করা হবে।


গত ১৫ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বর্তমানে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় অবস্থিত ৯টি ম্যাটস-এ ৩ বছর মেয়াদি কোর্স এবং এক বছর ইন্টার্নি ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। মোট আসন সংখ্যা ৮১৮টি।


অন্যদিকে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম ,বরিশাল, রংপুর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি জামালপুর, গোপালগঞ্জ ও গাজীপুরে তিন বছর মেয়ামি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সের বিভিন্ন অনুষদে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৭৯১টি।


ভর্তির যোগ্যতা :
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ ন্যূনতম জিপিএ ২ দশমিক ৫ প্রাপ্ত হতে হবে। জীববিজ্ঞান বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে।


যে সকল প্রার্থী ও-লেভেল বা বিদেশ থেকে পাশ করেছেন তাদের দুই হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা প্রদান করে পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়নের কাজ থেকে ইকুইভ্যালেন্স সার্টিফিকেট আইডি কোড সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে না। বিভাগীয় প্রার্থীরা পূর্বে পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাখালী ঢাকা কাছ থেকে আইডি কোড সংগ্রহ করবেন।


ভর্তির দরখাস্ত এসএমএসের মাধ্যমে করতে হবে। এসএমএস ও অনলাইনে আবেদন শুরু তারিখ ২১ মে সকাল ১০টা থেকে ১৮ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড আগামী ৪ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত। প্রিপেইড টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ফি ৭০০ টাকা প্রদান করতে হবে।


ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি উভয় ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।


ভর্তির জন্য সাময়িকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা এবং অপেক্ষমাণ তালিকা একই সঙ্গে প্রকাশ করা হবে।


উল্লেখ্য, সরকারি-বেসরকারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

আরও ২৫ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

আরও ২৫ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

admin May 17, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
নিম্নমানের পণ্য হিসেবে চিহ্নিত হওয়া ৫২টি পণ্যের মধ্যে আরো ২৫টির লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এছাড়া ২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।


এর আগে ১৮টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত ও ৭টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪৩টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত ও ৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হলো।


লাইসেন্স বাতিল করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চট্টগ্রামের এস এস কনজ্যুমার প্রোডাক্টের পিওর হাটহাজারী ব্রান্ডের মরিচের গুড়া এবং নওগাঁর কিরণ ট্রেডার্সের ‘কিরণ’ ব্রান্ডের লাচ্ছা সেমাই।


লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঢাকার বাঘাবাড়ী স্পেশাল ঘি কোম্পানির ‘বাঘাবাড়ী স্পেশাল’ ব্রান্ডের ঘি, নিশিতা ব্র্যান্ডের সুজি, মজিল ব্র্যান্ডের হলুদেও গুঁড়া, গ্রিন ল্যান্ডসের মধু, শান এর হলুদের গুঁড়া, মধুমতি’র আয়োডিনযুক্ত লবণ, জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, নূও স্পেশালের আয়োডিনযুক্ত লবণ, অমৃত এর লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপার, তিন তীর, মদিনা, স্টারশীপ ও তাজ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ডলফিনের মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুঁড়া, মধুফুল ও মিঠাই’র লাচ্ছা সেমাই, কিং এর ময়দা, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, রূপসা’র ফরমেন্টেড মিল্ক (দই), মেহেদীর বিস্কুট, মিষ্টি মেলার লাচ্ছা সেমাই, মক্কার চানাচুর ও মধুবনের লাচ্ছা সেমাই।


বৃহস্পতিবার বিএসটিআই’র এক বিজ্ঞপ্তিতে আলোচ্য পণ্যগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশের কথা জানানো হয়। মানোন্নয়ন করে পুনরায় অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন, সরবরাহ কিংবা বিপণন বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পণ্যগুলো ক্রয় থেকে বিরত থাকতে ভোক্তাদের অনুরোধ জানানো হয়।

৪৭৯২ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার

৪৭৯২ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার

admin May 16, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
দেশের হাসপাতালগুলোতে চার হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। চলতি বছরের মধ্যে এসব চিকিৎসক নিয়োগ শেষে আগামী বছর আরো প্রায় পাঁচ হাজার নিয়োগ দেওয়া হবে।


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ১০০ দিনের কর্মসূচির অগ্রগতি জানাতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।


মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর

admin May 11, 2019

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
ভুল চিকিৎসায় রেজিয়া বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে স্বজনরা। লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আধুনিক প্রাইভেট হাসপাতালে শনিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।


পরে নিহেতর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ওই হাসপাতাল ভাঙচুর করে ঘণ্টাব্যাপী অভিযুক্ত চিকিৎসক এসহাক ভূঁইয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


স্বজনদের অভিযোগ, শহরের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী রেজিয়া বেগম ভাঙা হাত নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন আধুনিক হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে ভর্তির পর রাত ১০ টার দিকে ওই রোগীকে অচেতন করে হাতের অপারেশন করেন হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসক এসহাক ভূঁইয়া। অপারেশনের পর থেকে শুক্রবার ভোর রাত পর্যন্ত ওই রোগীর জ্ঞান ফেরেনি। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শে দায়িত্বরত একজন নার্স রোগীকে একটি ইনজেকশান পুশ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই রোগী মারা যান। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। এ সময় হাসপাতালের স্টাফ ও নার্সরা সবাই পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, অপারেশন শেষে রোগীর জ্ঞান ফিরলে বেডে নিয়ে যাওার পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।


এসহাক ভূঁইয়া বলেন, ভুল চিকিৎসায় নয়, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন রোগী।


সদর থানার এসআই আব্দুল মতিন বলেন, রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।


লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হেসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three