Showing posts with label পাকিস্তান. Show all posts
Showing posts with label পাকিস্তান. Show all posts
ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

admin June 17, 2019

ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এনিয়ে টানা সাত ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় যেন নিয়তি। রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি (১৪০) ও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।


ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান। এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।


পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।


৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।


ভারত ৩৩৬/৬


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপে এতদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩০০। গত বিশ্বকাপে এই রান করেছিল ভারত। রোববার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫ উইকেটে এ রান করে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।


ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এছাড়া ৭৭ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫৭ রান করেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।


রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত।


ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। প্রথম পাঁচ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান যোগ করেন তারা। এরপর হাতখুলে খেলেন রোহিত-রাহুল। ১৭.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০০ রান।


উদ্বোধনীতে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৩.৫ ওভারে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রাহুল। তার আগে ৮৭ বলে তিন চার ও দুটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।


রাহুল আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান রোহিত। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। আর এই জুটিতেই ৮৫ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত।


ভয়ঙ্কর ব্যাটিং করে যাওয়া রোহিতকে সাজঘরে ফেরান হাসান আলী। তার আগে ১১৩ বলে ১৪টি চার ও তিন ছক্কায় ১৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।


এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি। ১৯ বলে ২৬ রান করে মোহাম্মদ আমিরের গতির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ডিয়া।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। রানের খাতা খুুলতেই আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এ অধিনায়ক। পান্ডিয়া-ধোনির বিদায়ের পরও ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন কোহলি।


৫১ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান কোহলি। তার ব্যাটে ভর করে ৪৬.৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।


এরপর খেলা ফের শুরু হলে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। মোহাম্মদ আমিরের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৭ রান করে ফেরেন ভারতীয় এ অধিনায়ক। তার ফিফটি ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, রাহুল ৫৭, পান্ডিয়া ২৬, বিজয় শঙ্কর ১৫*, কেদার যাদব ৯*, ধোনি ১; আমির ৩/৪৭)।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

বৃষ্টির কারণে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

বৃষ্টির কারণে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বৃষ্টির কারণে ব্রিস্টলে পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দুই দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে।


ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় ব্রিস্টলের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঠ খেলার অনুপযুক্ত হওয়ায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।


এর আগে আম্পায়াররা দুই দফা মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠের কয়েক জায়গায় পানি দেখা গেছে। গ্যালারিতে দর্শকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।


আম্পায়ার নাইজেল লং ও ইয়ন গোল্ড দ্বিতীয় দফা পরিদর্শন শেষে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে বৃষ্টি থেমে গেছে। কাজেই পাকিস্তান-শ্রীলংকার ম্যাচ শুরুর প্রস্তুতিও চলছিল।


ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপে আজ মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল এশিয়ান ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি পাকিস্তান ও শ্রীলংকা।


কিন্তু পাকিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি। প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে দুদলই।


প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা জয় পায় ১৪ রানে।


অন্যদিকে শ্রীলংকা প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ রানে জয় পায় তারা।


১৯৭৫ সালে যাত্রা করে বিশ্বকাপ। এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সাতবার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা-পাকিস্তান। সব কটিতেই জয়ী হয়েছে তারকাচিহ্নিত নীল জার্সিধারীরা।

পাকিস্তানেও আগামীকাল ঈদ

পাকিস্তানেও আগামীকাল ঈদ

admin June 05, 2019

পাকিস্তানে আজ মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। কাজেই আগামীকাল বুধবার দেশটিতে ঈদ উদযাপিত হবে। ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, এক সংবাদ সম্মেলনে রুইত-ই-হিলাল কমিটির প্রধান মুফতি মুনিব উর রহমান মঙ্গলবার চাঁদ দেখার কথা ঘোষণা করেছেন।


তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখার খবর তিনি পেয়েছেন। এছাড়া চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর তাদের কাছে ক্রমাগত আসতেছে।


এদিকে ভারতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল বুধবার দেশটিতে ঈদ উদযাপন করা হবে। দেশটির ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


খালিজ টাইমসের খবর বলছে, সোমবারে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাত আজ মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে।


মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে দিল্লিতে চাঁদ দেখা দেছে। চাঁদটি খুব পরিষ্কারভাবে দেখেছেন অনেকেই। তাই ভারতজুড়ে আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
টানা ১২ ম্যাচে হারা পাকিস্তান অবশেষে জয়ের দেখা পেলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ১৪ রানে। দুই ইংলিশ ব্যাটার জো রুট এবং জস বাটলারের সেঞ্চুরির পরেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি স্বাগতিকরা।


জিততে হলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া ব্যাটিং করা পাকিস্তান হঠাৎ জ্বলে উঠলো আগ্নেয়গিরির মতো। ৩৪৮ রান বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর একটি রান হলেই ছুঁয়ে ফেলত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।


বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাদাব খান। এরপর জনি বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৩২ রানে তাকে ফেরান ওয়াব রিয়াজ। ষষ্ঠ ওভারে ৯ রানের সময় স্লিপে রুটকে জীবন উপহার দেন বাবর আজম। সেই রুটের ব্যাট থেকে শেষ পর্যন্ত আসে সেঞ্চুরি। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান ব্যার্থ। তাকে ৯ রানে বোল্ড করেন হাফিজ। ১৩ রানে বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলেন শোয়েব মালিক। তবে জস বাটলারের সেঞ্চুরি আবারো আশার আলো দেখায়। কিন্তু বাটলারের বিদায়ের ভরসা দেয়া মইন আলী এবং ক্রিস ওকসকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান করে ইংল্যান্ড।


এরআগে ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেয় পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করে পাকিস্তান। মাত্র ২ রানের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি সরফরাজের দল। ২০০৭ সালে কিংস্টনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছিল পাকিস্তান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।


শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল হক। দলীয় ৮২ রানের সময় ফখর জামান ফেরেন ৩৬ রানে। বাবর আজমের সঙ্গে গড়া জুটিটাকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি ইমাম। ৪৪ রানে মইন আলির শিকার হন তিনি। এদিন উপরের দিকে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ হাফিজ বাবর আজমের সঙ্গে জুট গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। তাদের ৮৮ রানের জুটি ভাঙে বাবর ৬৩ রানে মইন আলির শিকার হলে। এরপর হাফিজ-সরফরাজ জুটি থেকে আসে ৮০ রান। ৬২ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন একবার লাইফ পাওয়া হাফিজ। সরফরাজও তুলে নেন অর্ধশতক।


স্কোর:
পাকিস্তান ৩৪৮/৮ (৫০)
ইমাম ৪৪ (৫৮)
ফখর ৩৬ (৪০)
বাবর আজম ৬৩ (৬৬)
হাফিজ ৮৪ (৬২)
সরফরাজ ৫৫ (৪৪)
আসিফ আলি ১৪ (১১)
শোয়েব মালিক ৮ (৮)
ওয়াহাব রিয়াজ ৪ (২)
হাসান আলী ১০* (৫)
শাদাব খান ১০* (৪)


বোলার:
ওকস ৮-১-৭১-৩
আর্চার ১০-০-৭৯-০
মইন ১০-০-৫০-৩
উড ১০-০-৫৩-২
স্টোকস ৭-০-৪৩-০
আদিল ৫-০-৪৩-০


স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩৩৪/৯ (৫০)
জেসন রয় ৮ (৭)
জনি বেয়ারস্টো ৩২ (৩১)
জো রুট ১০৭ (১০৪)
ইয়ন মরগান ৯ (১৮)
বেন স্টোকস ১৩ (১৮)
জস বাটলার ১০৩ (৭৬)
মইন আলী ১৯ (২০)
ক্রিস ওকস ২১ (১৪)
জোফরে আর্চার ১ (২)
আদিল রশিদ ৩* (৪)
মার্ক উড ১০* (৬)


বোলার
শাদাব খান ১০-০-৬৩-২
মোহাম্মদ আমীর ১০-০-৬৭-২
ওয়াহাব রিয়াজ ১০-০-৬৬-৩
হাসান আলি ১০-০-৬৬-০
মোহাম্মদ হাফিজ ৭-০-৪৩-১
শোয়েব মালিক ৩-০-১০-১

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেল উইন্ডিজ

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয় পেল উইন্ডিজ

admin June 01, 2019

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় হার দেখলো পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। মামুলি টার্গেট পেরোতে ক্যারিবীয়দের ওভার লেগেছে মাত্র ১৩ ওভার ৪ বল। উইকেট গেছে ৩টি।


শুরু থেকেই ক্যারিবিয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ওপেনিং জুটি ভাঙে সতেরো রানে। শেলডন কটরেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উমাম উল হক। ফাখার আর বাবর দুজনই করেন ২২ রান। এরপর দাঁড়াতে পারেননি কেউই।


গতির সাথে বাউন্সারের মিশেলে পাকিস্তানিদের ধসিয়ে দিয়েছেন রাসেল, থমাস, হোল্ডাররা। ওশান থমাসের ৪ আর জেসন হোল্ডারের ৩ শিকারের ১০৫ রানেই গুটিয়ে পাকিস্তান। সহজ টার্গেট তাড়া কোরতে নেমে দলীয় ৩৬ রানে শাই হোপের উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।


ড্যারেন ব্রাভো শূন্যতে ফিরলেও ফিফটি তুলেছেন ক্রিস গেইল। উইন্ডিজ ওপেনারের ফেরার পর বাকি কাজ ঠিকঠাকভাবেই কোরে ফিরেছেন নিকোলাস পুরান ও শিমরন হেটমেয়ার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতির সামনে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটি। শুক্রবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।


ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।


ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পাকিস্তান। ইনিংসের মাত্র ১৩.১ ওভারে দলীয় ৬২ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি। দলীয় ৬২ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, হারিস সোহেল ও বাবর আজম।


শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৫ রানে দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং ফখর জামানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।


এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার। দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বাবর আজম।


ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।


পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, সিমরন হিতমার, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাসলে নার্স, শেলডন কটরিল ও ওশান থমাস।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে উইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ইংল্যান্ডের নটিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


দুটি দলই বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অন্যদিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। জয় চাই তাদেরও।


দুদলই একসময় ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে। '৭০-এর দশকে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের একচ্ছত্র আধিপত্য। প্রথম দুই বিশ্বকাপ জেতে উইন্ডিজই। আর ’৯০-এর দশকে দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্রিকেট দুনিয়ায় রাজত্ব করেছে পাকিস্তান। সে সময়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আনপ্রেডিক্টেবল দলটিও।


এর পর আরাধ্য ট্রফি জেতা হয়নি উভয় দলের। একবিংশ শতাব্দীতে নখদন্তহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখালেও ঠিক দল হয়ে ওঠতে পারেনি কোনোটিই। এবারও দুদলে রয়েছে তারকার ছড়াছড়ি।


ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছে তারা।


জেসন হোল্ডারদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান। তবে সে জন্য সাম্প্রতিক হতাশার বলয় থেকে বেরোতে হবে সরফরাজদের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতেই হেরেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের দেশে দীর্ঘদিন খেলায় কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার কথা তাদের। পাশাপাশি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে অনুপ্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান।


দীর্ঘদিন পর পাকিস্তান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ফিট হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ আমির। সুস্থ হয়েছেন শাদাব খান। সব মিলিয়ে একাদশ যাই হোক, বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানকে নিয়ে অনুমান করা কঠিনই বটে।


উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজের জয় ৭টিতে।

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

আজকের খেলায় পাকিস্তান ও উইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ

admin May 31, 2019

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি হচ্ছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। শুক্রবার নটিংহ্যামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩ টায়। প্রস্তুতি ম্যাচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থেকে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয়রা।


টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয়ে চোখ তাদের। অতীত থেকেও সাহস সঞ্চার করতে পারেন তারা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান জিতেছে ৩টি, উইন্ডিজ ৭টিতে।


শাই হোপ, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইস, কার্লোস ব্রাথওয়েইট, শিমরন হেটমায়ারদের নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ উইন্ডিজের। বোলিং নিয়ে একটু চিন্তা থাকলেও জয় পেতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটসম্যানদের ঘিরেই ছক আঁকছেন তারা। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ ফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।



উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

admin May 31, 2019

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। আর সেই খেলাটির সবচেয়ে অনুমানের বাইরে থাকা দলটির নাম পাকিস্তান। টানা হারতে থাকা এই দলটি হুট করে জয়ের ধারায় চলে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ইদানিং ‘আনপ্রেডিক্টেবেল’ তালিকায় পাকিস্তানের সঙ্গে নাম উঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। বাছাইপর্ব খেলে কোনোক্রমে বিশ্বকাপে আসা দলটি হঠাত্ হঠাত্ ফেভারিটদের উড়িয়ে দিয়ে চমকে দিচ্ছে। ফলে দুটি দলই হয়ে উঠেছে অনিশ্চয়তার সমার্থক।


আর আজ বিশ্বকাপে যার যার প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই অননুমেয় দল। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় নটিংহ্যামে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


দুই দলেরই সাম্প্রতিক ফলাফল একেবারে বিস্মরণযোগ্য। পাকিস্তান সর্বশেষ ১০ ম্যাচে টানা হেরেছে। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে তারা ১২টি ম্যাচ হেরেছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ৯টি ম্যাচই হেরেছে। যে ৫টি জিতেছে, তার মধ্যেও ২টি জয় এসেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।


তবে মজার ব্যাপার হলো, দুই দলই যার যার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে দেখিয়েছে, ইংলিশ কন্ডিশনে কেমন রানবন্যা করতে পারে তারা। সিরিজ কোনো দলই জিততে পারেনি। কিন্তু রানের উৎসবে মেতেছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রানউৎসব করার জায়গাটাই দুই দলের মূল শক্তি।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে আশাভরসার মূল ব্যাপার হলো তাদের দানবীয় ব্যাটিং। ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, সেই হোপ এবং আন্দ্রে রাসেল; কাগজে কলমে অন্তত বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাটিং অর্ডার তাদের। নিজেদের দিনে যে কোনো বোলিংকে ম্লান করে বিশাল স্কোর করে ফেলতে পারে তারা।


পাকিস্তানেরও মূল ভরসা ব্যাটিং তরুণ ইমাম-উল হক, ফাখার জামান বা বাবর আজম ভয়ানক যে হয়ে উঠতে পারেন, তার প্রমাণ তারা রেখেছেন। এই তিন জনের সঙ্গে নবীন আসিফ আলী যোগ দিলে পাকিস্তানও বিশাল স্কোরের পথে হাঁটতে পারে।


তবে দুই দলেরই দুর্বলতা বোলিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান থমাসকে বাদ দিলে বাকিরা সেভাবে দাঁত বসাতে পারছেন না। তাদের বাকি পেসাররা ইংলিশ কন্ডিশনে সেভাবে নিজেদের লাইন লেন্থই খুঁজে পাননি। স্পিনাররাও এ কন্ডিশনে কোনো ভূমিকা রাখার মতো নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আছে রহস্যের মধ্যে। দলে শুরুতে রাখা হয়নি মোহাম্মদ আমিরকে। তাকে ছাড়া বোলিং খুব খারাপ করার পর আমিরকে দলে যোগ করা হয়েছে। কিন্তু অসুস্থ থাকায় তাকে বাজিয়ে দেখতে পারেনি ম্যানেজমেন্ট। ফলে বোলিং নিয়ে তারাও সংকটে আছে। আজ বলা যায়, একই ধরনের দুই দলের লড়াই। কে বেশি অনিশ্চিত, সেটা প্রমাণের লড়াই।


উইন্ডিজ সম্ভাব্য একাদশ


ক্রিস গেইল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, ড্যারেন ব্রাভো/কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক), আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কেমার রোচ, শেল্ডন কটরেল ও ওশানে থমাস।


পাকিস্তান সম্ভাব্য একাদশ


ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ/ইমাদ ওয়াসিম, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলি।

পাকিস্তান ১৯৯২ ফিরিয়ে আনতে পারে: ওয়াকার

পাকিস্তান ১৯৯২ ফিরিয়ে আনতে পারে: ওয়াকার

admin May 29, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
আরেকটি বিশ্বকাপ দাঁড়িয়ে দুয়ারে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ও সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনুস মনে করেন, ১৯৯২-এর মতো চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিতে পারে সরফরাজ আহমেদের দল


১৯৯২ বিশ্বকাপে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জিতে চমকে দিয়েছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। এরপর ১৯৯৯-এর ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি আর কখনো। আরেকটি বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে দাঁড়িয়ে, দলটির সাবেক কোচ ও কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস বলছেন, এবারও ১৯৯২-এর মতো চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিতে পারে পাকিস্তান।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে কলামে ওয়াকার লিখেছেন, ‘২৭ বছর হয়ে গেছে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরা আন্ডারডগ ছিলাম, কেউ ভাবেনি আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারি। কিন্তু একবার ছন্দ চলে আসার পর আমরা সবকিছু জিতে নিয়েছিলাম। এটাই পাকিস্তান ক্রিকেটের সৌন্দর্য। আমার মনে হচ্ছে, এবারও একই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’


এবারের বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে বড় রান করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ওয়াকার বলছেন, বড় রান করার মতো ব্যাটসম্যান পাকিস্তান দলে আছে, ‘পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক বিষয় হলো, তারা বড় রান করতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই দেখা গেছে, ৩০০-এর বেশি রান করতে সক্ষম ওরা। ব্যাটসম্যানেরা সবাই খুব ভালো ফর্মে আছে, বিশেষ করে বাবর আজম ও হারিস সোহেল। এ ছাড়া ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক ও রান পেয়েছে। পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে বেশ শক্তিশালিই মনে হচ্ছে।’


তবে পাকিস্তান সম্পর্কে উদ্বেগের কথাও লুকাননি দলটির সাবেক এ কোচ, ‘ওয়াহাব রিয়াজ ও আমির ফেরায় আমাদের বোলিং শক্তিশালি হয়েছে। তবে আমার বড় দুশ্চিন্তা ফিল্ডিং নিয়ে। সুযোগ লুফে নিতে না পারলে কিংবা অতিরিক্ত ১৫-২০ রান বাঁচাতে না পারলে ভুগতে হতে পারে। ইংল্যান্ড সিরিজেও ফিল্ডাররা নিজেদের সেরা ফর্মে ছিল না। এটা তাদের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দিতে পারে।’


সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই সরফরাজ আহমেদের দল। টানা ১১ ওয়ানডে হেরে বিশ্বকাপে যাচ্ছে পাকিস্তান। ওয়াকার বলছেন, শুরুর দুটি ম্যাচই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে, ‘পাকিস্তান বিশ্বকাপে যাচ্ছে আন্ডারডগ হয়ে। তাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। প্রথম দুটো ম্যাচ হেরে গেলে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন হবে। শুরুটা ভালো না হলে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সিরিজের স্মৃতি ফিরে আসতে পারে। ভালো শুরু করাটা তাই জরুরি।’


৩১ মে ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে পাকিস্তান।

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

admin May 27, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শান্তির আলোচনায় বসতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বোববার টেলিফোনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ইমরান।


কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলাল ঘটনার পরে এই প্রথম টেলিফোনে কথা বললেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


ইমরান খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান ভারতের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।


এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেদের বিশ্বাস বাড়াতে হবে, হিংস্রতা মুক্ত এবং সন্ত্রাসবাদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় দেশ তাদের জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।


এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মোদিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সরকারি লাইনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইমরানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা সবার আগে লড়তে হবে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য।


এই অঞ্চলে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা আর সংঘর্ষ বন্ধ করাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি ইমরান খানকে সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। সূত্র: এএফপি

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রস্তুতি ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রস্তুতি ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রস্তুতি ম্যাচটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায়ও যখন বৃষ্টি থামেনি, তখন ম্যাচটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ড পাইক্রফট।


বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আজ নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু করা তো দূরের কথা অনুষ্ঠিত হয়নি টসও।


বৃষ্টির পূর্বাভাস অবশ্য আগেই মিলেছিলো। স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিলো, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে হতে পারে বৃষ্টি। তবে এ খবরকে গুরুত্ব দেয়নি অনেকে। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসকে সত্য প্রমাণ করলো বৃষ্টিই।


সে বৃষ্টি থামেনি এখনও। তাই আজ ম্যাচ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। বরং, বৃষ্টি বন্ধ না হওয়ায় আগেই লাঞ্চ করে ফেলতে পারছেন খেলোয়াড় কিংবা কর্মকর্তারা। অবশ্য দুই প্রতিযোগি দেশ মুসলিম হওয়ায় খেলেয়াড়দের অনেকেই হয়তো রোজা রেখেছেন।


এদিকে বৃষ্টিতে ম্যাচ মাঠে না গড়ানোয় গ্যালারিতে সমর্থকের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায় পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ছবিটি প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে ক্যাপশনে তারা লিখেছে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে কার্ডিফে এখনও বৃষ্টি থামেনি। তাই খেলা হচ্ছে না। এরই ফাঁকে সমর্থকদের সঙ্গে ছবি তুলছেন মোহাম্মদ হাফিজ।’


আগামী ২৮ তারিখ নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনেই ভারতের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এরপর ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের মূল লড়াই শুরু করবে টাইগাররা।

আজ বিধ্বস্ত পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

আজ বিধ্বস্ত পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বিধ্বস্ত পাকিস্তান। গতরাতেই নিজেদের প্রথম প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। তবে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেতে চায় সদ্যই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি।


বিশ্বকাপের প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেয় টাইগাররা। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফরমেন্সে উজ্জ্বল ছিলো বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় মাশরাফির দল।


বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ডাবলিনে ঐ ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় মাশরাফির দল। বৃষ্টির কারণে ২৪ ওভারে নির্ধারিত ম্যাচে ১ উইকেটে ১৫২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ২৪ ওভারে ২১০ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সৌম্য সরকারের ৪১ বলে ৬৬ রানের উড়ন্ত সূচনায় ভালোভাবেই লড়াইয়ে ছিলো টাইগাররা। আর শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৭ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেয়।


বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের পর বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জয় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি। পুরো টুর্নামেন্টে মাশরাফি, সাকিব, সৌম্য, তামিম, মুশফিক প্রায় সকল খেলোয়াড়ই ইন-ফর্মে ছিলেন। এই আসর দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় ডান-হাতি পেসার আবু জায়েদের। ওয়ানডে না খেলার অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিশ্বকাপে তার সুযোগ প্রশ্ন তুলেছিলো। কিন্তু সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়েই চমক দেখিয়েছেন জায়েদ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন।


বাংলাদেশ যেখানে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে, সেখানে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ও ইংল্যান্ড সিরিজে চারটিসহ টানা দশ ম্যাচ হারের ক্ষত নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রাখে। মূল লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে বড় ধরনের ধাক্কা খেল পাকিস্তান। আফগানিস্তানের কাছে হারের স্বাদ নেয় সরফরাজের দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৭ দশমিক ৫ ওভারে ২৬২ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ২৬৩ রানের টার্গেট ২ বল বাকী রেখেই স্পর্শ করে ফেলে আফগানিস্তান।

বিশ্বকাপ চলাকালে স্ত্রীদের পাচ্ছেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

বিশ্বকাপ চলাকালে স্ত্রীদের পাচ্ছেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

admin May 26, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বকাপে পাকিস্তানি তারকাদের সঙ্গে স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি দেয়নি পিসিবি। কিন্তু দলের সাম্প্রতিক বাজে ফর্ম ও অন্যান্য দলের অনুমতি দেওয়া দেখে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার চিন্তা ভাবনা করছে পিসিবি। স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি তারাও দেবে, তবে একটা বিশেষ শর্তে!


এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে প্রায় দেড় মাস ধরে। এতদিন ধরে স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গ ছাড়া কি থাকা সম্ভব? কিন্তু বেরসিক পিসিবি কিছুদিন আগে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, খেলোয়াড়েরা নিজেদের স্ত্রী-বান্ধবীদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যেতে পারবেন না।


পিসিবির মনে হয়েছিল, স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে গেলে ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতার পথে যা অন্তরায় হয়ে দেখা দিতে পারে। কিন্তু পিসিবি নিজেদের অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে সরে আসছে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্ত্রী-বান্ধবী থাকতে পারবে, কিন্তু সেটা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নয়!


কিছুদিন আগে স্ত্রী-বান্ধবীদের ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পিসিবিকে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। পিসিবি কর্ণপাত করেনি। বিশেষ বিবেচনায় আসিফ আলী ও হারিস সোহেলকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে আসিফ আলীর দুই বছর বয়সী কন্যাসন্তান ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে মারা গেছে, হারিস সোহেলেরও পারিবারিক সমস্যা চলছিল।


এখন অন্যান্য দেশের অনুমতি দেওয়া দেখে পিসিবির টনক নড়েছে। তার ওপর পাকিস্তানের ফর্মও যাচ্ছে জঘন্য। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরব আমিরাতে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তান ইংল্যান্ডের কাছেও সিরিজ হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে। একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। স্ত্রী-বান্ধবী সঙ্গে না থেকে তাহলে লাভ হচ্ছে কোথায়? এ কারণেই বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে আসার অনুমতি দিচ্ছে পিসিবি। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই তাদের ইংল্যান্ডে আনতে পারবেন না। আনতে পারবেন শুধু ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটার পরেই।


ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটার আবেদন, গুরুত্ব, দুই দলের কাছেই আকাশছোঁয়া। পিসিবি চাচ্ছে, স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে আসার কথা বলে যদি খেলোয়াড়দের উদ্দীপ্ত করা হয়, সেটা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাদের জন্য। পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরাও সেই আগ্রহে ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার একটা আলাদা প্রেরণা পাবেন। তার ওপর, দুই দেশের সাম্প্রতিক অবস্থাও বন্ধুসুলভ নয়।


কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের অনেক অবনতি হয়েছে, সে আঁচ লেগেছে ক্রিকেটেও। দুই দলই এখন যেকোনো মূল্যে পরস্পরকে হারাতে চায়। এবারের পাকিস্তান-ভারত ম্যাচটা আর শুধু ক্রিকেটীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। জুনের ১৬ তারিখে ম্যানচেস্টারে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান।

প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না আফগানরা

প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না আফগানরা

admin May 25, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষেই হেরে গেলো পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি পাত্তাই পায়নি আফগানদের সামনে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে বিশ্বকাপে চমক দেখানোর রসদ পেলো রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা।


শুক্রবার ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজমের সেঞ্চুরির পরও ৪৭.৫ ওভারে ২৬২ রানে অলআউট পাকিস্তান।টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। দলের জয়ে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। তার ইনিংসটি ১০২ বলে সাতটি চারে সাজানো।


দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারেনি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের দুর্বলতা ফুটে ওঠেছে। বাজে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ও ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে।


২৬৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। উদ্বোধনীতে ৮০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।


তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া আফগানিস্তানের সেরা ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ৬.৩ ওভারে হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন। এরপর তার আর খেলা হয়নি। রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ২৩ রান করেন শেহজাদ।


তার বিদায়ের পর রহমত উল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া হযরতউল্লাহ ফিফটির পথেই ছিলেন। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি।


পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খানের গুগলিতে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে মাত্র ২৮ বলে আটটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৯ রান করে ফেরেন হযরতউল্লাহ।


এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ে আফগানদের। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। তিনি একাই লড়াই করে যান। শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নবী।


শেষ ২৪ বলে জয়ের জন্য আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ রান। হাতে ৬ উইকেট। ৪৭তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন মোহাম্মদ হাসনাইন। সেই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া নবীর উইকেট তুলে নেন হাসনাইন।


১৮ বলে প্রয়োজন ১৬ রান। ৪৮তম ওভারে আগুনঝড়া বোলিং করেন ওয়াহাব রিয়াজ। মাত্র ২ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। তার বোলিং নৈপূণ্যে সে সময় জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল পাকিস্তান।


১২ বলে আফগানদের দরকার ছিল ১৪ রান। ৪৯তম ওভারে শাদাব খান খরচ করেন ১০ রান।


শেষ ওভারে হাসমতউল্লাহ ও রশিদ খানকে জয়ের জন্য মাত্র ৪ রান করতে হতো। এমন কঠিন মুহূর্তেও দুর্দান্ত বোলিং করেন ওয়াহাব রিয়াজ। ইনিংসের শেষ দিকে অসাধারণ ভালো বোলিং করেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি ওয়াহাব। পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ।


এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনার পরও ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে পাকিস্তানের। উদ্বোধনীতে ৪৭ রান করা পাকিস্তান এরপর ১৮ রানের ব্যবধানে হারায় প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট।


ইনজুরি কাটিয়ে খেলায় ফেরা ইমাম-উল-হক ৩৫ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করতেই হামিদ হাসানের বলে বোল্ড হন।


ইমামুলের বিদায়ের পর সুবিধা করতে পারেননি অন্য ওপেনার ফখর জামান। মোহাম্মদ নবীর অফ স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন পাকিস্তান সেরা এই ওপেনার। তার আগে ২৩ বলে ১৯ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি করা ফখর।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা হারিস সোহেল ফেরেন রানের খাতা খুলেই। মোহম্মদ নবীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার।


১৮ রানের ব্যবধানে ইমাম-উল-হক, ফখর জামান ও হারিস সোহেল মতো সেরা তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তনা। মজার ব্যাপার হলো তিন ব্যাটসম্যানই বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন।


৬৫ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলীয় ১০০ রানে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ। এরপর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও শোয়েব মালিক।


পঞ্চম উইকেটে দায়িত্বশীল ব্যাটিং কর দলকে খেলায় ফেরান বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। এই জুটিতে তারা ১০৩ রান যোগ করেন। হামিদ হাসানকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫১তম বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাবর।


ফিফটির পথেই ছিলেন শোয়েব মালিক। মোহাম্মদ নবীর কারণে ফিফটির দেখা পাননি। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪৪ রান করেন শোয়েব মালিক।


তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান বাবর আজম। অনবদ্য ব্যাটিং করে ৯৯তম বলে তিন অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি বাবর। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় ১১২ রান করেন বাবর আজম।


শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনশ রান করতে পারেনি পাকিস্তান।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


পাকিস্তান: ৪৭.৫ ওভারে ২৬২/১০ (বাবর আজম ১১২, শোয়েব মালিক ৪৪, ইমাম-উল ৩২; মোহাম্মদ নবী ৩/৪৬, রশিদ খান ২/২৭, দৌলত জাদরান ২/৩৭)।


আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৬৩/৭ (হাসমত ৭৪*, হযরতউল্লাহ ৪৯, মোহাম্মদ নবী ৩৪, রহমত শাহ ৩২; ওয়াহাব ৩/৪৬)।


ফল: আফগানিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।

১৯৯২ -এর পাকিস্তান চমক

১৯৯২ -এর পাকিস্তান চমক

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
রঙিন পোশাক, সাদা বল। কালো সাইটস্ক্রিন, কৃত্রিম আলো। টিভি সম্প্রচারে নতুনত্ব, দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম। অনেক দিক থেকেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ ছিল চমক জাগানিয়া। তবে আলো ঝলমলে আসরের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ছিল পাকিস্তান। খাদে2র কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেভাবে শিরোপা জিতেছিল ইমরান খানের দল, তা চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছে ক্রিকেটীয় রূপকথায়।


বিদায়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক ইমরান খান সেদিন টস করতে নামলেন জার্সির বদলে সাদা টি শার্ট গায়ে, যেখানে আঁকা বাঘের ছবি। ধারাভাষ্যকারের প্রশ্নে ইমরান বললেন, “আমি দলকে বলেছি কোণঠাসা বাঘের মতো লড়াই করতে। নিশ্চয়ই জানেন, কোণঠাসা বাঘ কতটা বিপজ্জনক!”


ইমরানের কথাকে সত্যি প্রমাণ করেছিল দল। সেই ম্যাচ থেকেই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের শিরোপা জয় ছিল উত্তেজনাপূর্ণ নাটকের শেষ অঙ্ক। তবে নাটকীয়তার অনেক রসদ ছিল শুরু থেকেই।


৬০ ওভার থেকে ওয়ানডে ৫০ ওভারে নেমে এসেছিল আগের বিশ্বকাপেই। ৩০ গজের বৃত্তের সঙ্গেও পরিচয় হয়ে গিয়েছিল সেবার। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ হয়ে যাওয়া পঞ্চম আসরে দেখা মেলে অনেক নতুনের, অনেক প্রথমের।


সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বদল ছিল, প্রথম ১৫ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ২ জনের বেশি ফিল্ডার রাখতে না পারা। ক্রিকেটের চিরায়ত ঘরানা বদলে যাওয়ার মূলে ছিল সেই নিয়ম। এই নিয়মের সুবিধা নিতেই জন্ম হয় পিঞ্চ হিটিংয়ের। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের যে ধারা পরবর্তীতে নানাভাবে বিবর্তিত হয়ে এখন রূপ নিয়েছে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের স্বাভাবিকতায়।


তাসমান পারের দুই দেশের ১৮টি ভেন্যুতে সেবার হয়েছিল ৩৯ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার ১১ ভেন্যুতে ২৫ ম্যাচ, নিউ জিল্যান্ডের ৭ ভেন্যুতে ১৪টি। দক্ষিণ গোলার্ধে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপেই প্রথমবার রঙিন পোশাকে খেলে দলগুলো। সামঞ্জস্য রাখতে খেলা হয় সাদা বলে, কালো সাইটস্ক্রিনে। প্রথমবারের মতো কিছু ম্যাচ হয় দিন-রাতের। দুই সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ছিলেন ম্যাচ রেফারি।


শুরুতে আগের চার আসরের মতোই আট দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনা ছিল। বর্ণবাদ প্রথার অবসানের পর ২১ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরায় পরিবর্তন আনতে হয় ফরম্যাটে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় ৯ দল। লিগের মতো একে অন্যের বিপক্ষে খেলে দেশগুলো। সেরা চার দল জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। এই ফরম্যাটেই হবে ২০১৯ বিশ্বকাপ।


টানা তৃতীয়বারের মতো বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় জিম্বাবুয়ে। এই আসরের পরপরই পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেয়ে যায় তারা। জিম্বাবুয়ের কাছে বাছাই পর্বের সেমি-ফাইনালে হেরে ভেঙে যায় বাংলাদেশের আরেকটি বিশ্বকাপ স্বপ্ন। ইংল্যান্ডের বাইরে প্রথমবারের মতো হয় বাছাই পর্ব। ফাইনালে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে।


ব্রায়ান লারা, ইনজামাম-উল-হকের মতো কিংবদন্তিদের আগমণী বার্তা ছিল এই বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের গল্পগাঁথায় স্থায়ী আসন পেয়ে গেছে কিছু পারফরম্যান্স। ইনজামামকে জন্টি রোডসের ডাইভ দিয়ে করা রান আউট কিংবা ওয়াসিম আকরামের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে ইংল্যান্ডের ক্রিস লুইসের বোল্ড হয়ে যাওয়া আজও হয়ে আছে ওয়ানডে ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন।


১৯৯২ বিশ্বকাপে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ততদিনে আরও পরিণত। নিজ আঙিনায় খেলা, ক্রিকেটাররাও ছিলেন ছন্দে। কিন্তু বদলে যাওয়া নিয়মের সঙ্গে হয়তো মানিয়ে নিতে পারেনি শিরোপাধারীরা। ঠিক উল্টো কাজটা করে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয় নিউ জিল্যান্ড। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মার্টিন ক্রো। ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেন উদ্ভাবনী অধিনায়কত্বে। জেতেন এই আসর দিয়ে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।


প্রথম ১৫ ওভারের ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার সুবিধা নিতে মারকুটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মার্ক গ্রেটব্যাচকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেন ক্রো। নতুন ভ‚মিকায় দারুণ সফল হন গ্রেটব্যাচ।
ক্রোর আরেকটি বড় চমক ছিল অফ স্পিনার দীপক প্যাটেলকে দিয়ে বোলিংয়ের সূচনা করা। এখন স্পিনে শুরু নিয়মিত হলেও সেই সময়ে এটি ছিল প্রায় অভাবনীয়। বিস্মিত প্রতিপক্ষরা ভড়কে যায় এই পদক্ষেপে।


ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অমন বিপ্লবী ভাবনা আর মিডল অর্ডারে ক্রোর অসাধারণ ধারাবাহিকতায় নিউ জিল্যান্ড হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। টানা সাত ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচ জয়, দুই হার এবং এক পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের অবস্থান ছিল টেবিলের দুইয়ে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমি-ফাইনালের তৃতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দশকের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা দলটি নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপেই উপহার দেয় বিস্ময়। দুর্দান্ত ফিল্ডিং, দারুণ পেস বোলিং আর ব্যাটিং গভীরতা- সর্বোপরি ক্রিকেট বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও দারুণ পেশাদারীত্বের পরিচয় দেয় প্রোটিয়ারা।


সেরা চমক ছিল পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালে ওঠা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হয় তারা। প্রথম পাঁচ ম্যাচে একমাত্র জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর একটি পয়েন্ট ঝুলিতে ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। ৭৪ রানে অলআউট হলেও বৃষ্টি বাঁচিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া ওই ১ পয়েন্ট পরে হয়ে ওঠে মহামূল্য। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ‘কোণঠাসা বাঘ’ হিসেবে খেলতে নামা ম্যাচে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আখ্যানের শুরু। এরপর শ্রীলঙ্কা ও শেষ ম্যাচে তখনও পর্যন্ত অপরাজেয় নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ইমরানের দল।


তারপরও সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত ছিল না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সেমিতে উঠত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু আগেই বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া ৫৭ রানে হারিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানদের। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৪টি করে ম্যাচ জিতলেও পরিত্যক্ত ম্যাচের ১ পয়েন্টে মোট ৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পায় পাকিস্তান।


সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ফলের দেখা মেলে প্রাথমিক পর্বের শেষ দিনে। মাত্র ১৩৪ রান করেও ইংল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচের ফল পরবর্তীতে ভ‚মিকা রেখেছিল তাদের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লক্ষ্য নির্ধারণের নিয়মে পরিবর্তন এসেছিল; সেমি-ফাইনালে যে নিয়মের বলি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং করে ইংলিশরা ৬ উইকেটে তোলে ২৫২ রান। জবাবে জয়ের পথেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একসময় তাদের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান, হাতে চার উইকেট। ক্রিজে ছিলেন ব্রায়ান ম্যাকমিলানের মতো আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। সেই সময় কেঁদে ওঠে সিডনির আকাশ। মাত্র ১০ মিনিটের বর্ষণে কাঁদিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকানদের। নতুন নিয়মের ফাঁদে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্যটা যে পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায় ১ বলে ২১ রানে! হৃদয় ভাঙা হারে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।


আরেক সেমিতে পাকিস্তানের নিয়তি এঁকে দেয় তরুণ ইনজামামের ব্যাট। সাত উইকেটে ২৬২ রান করে একরকম নিশ্চিন্ত ছিল নিউ জিল্যান্ড। ১৪০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের চার উইকেট তুলে জয় দেখছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে ইনজামামের ৩৭ বলে ৬০ রানের সাইক্লোন-ইনিংস অবিশ্বাস্যভাবে চার উইকেটে জিতিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপে চতুর্থ সেমি-ফাইনালে এসে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকেট পায় তারা।


ইংল্যান্ডের সেটি তৃতীয় ফাইনাল। আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফোটার কারণ ছিল। গ্রুপ পর্বে এই পাকিস্তানকেই তো মাত্র ৭৪ রানে অলআউট করে দিয়েছিল তারা! প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশা তাই খুব স্বাভাবিকই ছিল ইংলিশদের। ফাইনালে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ২৫ রানের মধ্যেই তুলে নেন ডেরেক প্রিঙ্গেল। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরান খান ও জাভেদ মিয়াঁদাদ এরপর পাকিস্তানের ইনিংসকে দেন স্থিতি। রানের পেছনে না ছুটে উইকেট আগলে রাখেন শুরুতে। ইমরানের ৭২ ও মিয়াঁদাদের ৫৮ রানের পর শেষ দিকে ইনজামাম (৩৫ বলে ৪২) ও ওয়াসিম আকরামের (১৮ বলে ৩৩) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছয় উইকেটে ২৪৯ রানে ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান।


জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল এলোমেলো। স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। অ্যালান ল্যাম্ব ও নিল ফেয়ারব্রাদারের ৭১ রানের জুটি তাদের ফেরায় কক্ষপথে। ম্যাচ মুঠো ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে আকরামকে তড়িঘড়ি করে দ্বিতীয় স্পেলে ফেরান ইমরান। সেটি কাজ করে জাদুর মতো। ল্যাম্ব ও লুইসকে জাদুকরী দুটি ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন বাঁহাতি পেসার। ব্যস, ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। কিছুক্ষণ পর আকিব জাভেদ ফেয়ারব্রাদারকে আউট করলে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের আশা। তাদের ২২৭ রানে অলআউট করে পাকিস্তান ফাইনাল জিতে নেয় ২২ রানে।

পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ

পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ

admin May 21, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ। আজ সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।


জানা গেছে, বাংলাদেশি কূটনীতিক ইকবাল হোসাইনের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার জানায়। এরই প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জরুরি ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিল। ইকবাল হোসাইন গত জানুয়ারি মাসে আবেদনটি করেছিলেন।

জঙ্গি সম্পৃক্ততা: পাকিস্তানে ১১ সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা

জঙ্গি সম্পৃক্ততা: পাকিস্তানে ১১ সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা

admin May 12, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জইশ-ই-মোহাম্মদসহ ১১ টি সংগঠন ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব সংগঠন ও সংস্থাকে নিষিদ্ধের কথা জানায়। খবর ডন ও জিও নিউজের।


ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের (এনএপি) অধীনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই সংগঠনগুলো হলো- আল আনফান ট্রাস্ট (লাহোর), ইদারায়ে খেদমতে খালক (লাহোর), আদ-দাওয়া ওয়াল ইরশাদ (লাহোর), আল হামদ ট্রাস্ট (লাহোর ও ফয়সালাবাদ), মসজিদ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট (লাহোর), আল মদিনা ফাউন্ডেশন (লাহোর), মুয়াজ বিন জাবাল এডুকেশন ট্রাস্ট (লাহোর) আল ইসার ফাউন্ডেশন (লাহোর), আর-রহমত ট্রাস্ট অর্গানাইজেশন (ভাওয়ালপুর) এবং করাচির আল ফোরকান ট্রাস্ট।


পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুদ দাওয়াহ, ফালাহ ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর আগে ১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুরস্কের একটি দাতব্য সংস্থাকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।


এ বছরের মার্চ থেকে পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর বিদেশি সহায়তা বন্ধেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। এ ছাড়া ভারতের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানে ২৮০টিরও বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসা সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের একটি স্কুলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করা হয়।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three