Showing posts with label অস্ট্রেলিয়া. Show all posts
Showing posts with label অস্ট্রেলিয়া. Show all posts
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ৪৮ রানে হারলো টাইগাররা

admin June 21, 2019

লক্ষ্যটা জানা বা শোনার পরই বেশিরভাগ দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন টেলিভিশনের সামনে থেকে। এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা সম্ভব তাও ধারণা করেননি অনেকে। কিন্তু তখনও হাল ছাড়েননি টাইগাররা। লক্ষ্যের প্রতি ছুটেছেন প্রতিটা ক্ষণ। ৩৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৪৮ রানে হারলেন বটে, তবে তার আগে ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরের। ম্যাচে কয়েকবার জয়ের স্বপ্নও জাগিয়েছেন টাইগাররা। শতরানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।


ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।


আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।


অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫


ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।


৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।


সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।


বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচেও বৃষ্টির বাগড়া

admin June 21, 2019

এবারের বিশ্বকাপ জুড়েই বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টির কারণে চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও বৃষ্টির হানা। বৃষ্টির কারণে খেলা আপতত বন্ধ রয়েছে। তার আগে ৪৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।


বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।


উদ্বোধনীতে জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।


টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।


এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।


উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান। ৪৮.২ ওভারে দলীয় ৩১৩ রানে আউট হন ওয়ার্নার।


এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।


তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যা তাড়া করতে গিয়ে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরারা দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। যা অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্নই জাগাল লঙ্কান দর্শকদের মনে। কিন্তু মিচেল স্টার্ক আর কেন রিচার্ডসনের তোপে ভেঙে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। আসরে নিজেদের চতুর্থ জয়ে অস্ট্রেলিয়া ওঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।


শনিবার বিশ্বকাপে দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮৭ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়ে। জবাবে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২৪৭ রানে। ২৫ বল বাকি থাকতেই ‍গুটিয়ে যায় দলটি।


অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।


আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ২৬ রান করে ফেরেন। তবে তার আগে ফিঞ্চের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮০ রান। ১৭তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। খেলেছেন খুবই ধীর গতিতে। ৪৮ বলে মাত্র ২ চারে নিজের ইনিংস সাজান ওয়ার্নার। এরপর উসমান খাজাও ফিরে যান দ্রুত। ব্যক্তিগত ১০ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার তিনিও।


তবে অ্যারন ফিঞ্চ এদিন আর সেঞ্চুরি মিস করেননি। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে এদিন সেঞ্চুরিটাকে দেড় শতে রূপ দিয়েছেন। ৪৩তম ওভারে উদানার শিকার হওয়ার আগে ১৩২ বলে ১৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।


তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ১৭৩ রান যোগ করেন ফিঞ্চ। দুজনই অবশ্য ফিরেছেন পাশাপাশি। ফিঞ্চ ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন স্মিথ। ৫৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি।


এরপর চলেছে ম্যাক্সওয়েলের একক শো। অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চললেও ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে তিন শ পেরোনো স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ম্যাক্সওয়েল। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।


জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার জোড়া ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা পায় উড়ন্ত শুরু। দুজনই চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন শুরু থেকেই। অজি বোলারদের রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছেন দুজন।


৬.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ফিফটি পূরণ করে। করুনারত্নে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। পেরেরা ফিফটি পূরণ করেছেন ৩৩ বলে। তবে ১৬তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে ফিরে যান পেরেরা। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।


এরপর থিরমান্নের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি হয়েছে করুনারত্নের। তরে থিরিমান্নে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর করুনারত্নেও ফিরে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে। রিচার্ডসনের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। ১০৮ বলে ৯৭ রান করেন ৯ চারে।


করুনারত্নে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার আশার প্রদীপ নিভে যায়। এর মধ্যে মিচেল স্টার্ক হয়ে উঠলেন ভয়ংকর। কুশল মেন্ডিস (৩০) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান পেলেন না। আসরে তাই দ্বিতীয় পরাজয় মেনে নিতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।


৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। দলটি একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে। তাদের দুটিতে ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

ভারতের কাছে ৩৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

admin June 10, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে তুমুল লড়াই চললো। শেষে বিরাট কোহলির দল টিম ইন্ডিয়া ৩৬ রানে হারিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল। এটি ছিল বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় খেলা। এরআগে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ ৩৫২ রান।


ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান করলেন সেঞ্চুরি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা করলেন হাফ সেঞ্চুরি। হার্দিক পান্ডিয়া, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা লোকেশ রাহুলরা ব্যাট হাতে বইয়ে দিয়েছেন চার-ছক্কার ঝড়। সব মিলিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের জন্য ছিল এক উপভোগ্য ম্যাচ।


কোহলিদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া থেমেছে ৩১৬ রানে। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকার কারণে, শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি তারা।


দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারোন ফিঞ্চ মিলে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। দু’জন মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ বলে ৩৬ রান করে ফিঞ্চ রানআউট হয়ে যান। এতেই বিপদ শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথ মিলে গড়েন ৭২ রানের দারুণ এক জুটি।


অস্ট্রেলিয়ার 'ধীর নীতির' কারণে ওয়ার্নারের রানের গতি ছিল খুবই স্লো। ৮৪ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ৫৬ রান। ৫টি বাউন্ডারি মারলেও কোনো ছক্কার মার নেই তার ব্যাটে।


ভুবনেশ্বর কুমারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ৭০ বলে ৬৯ রান করা স্মিথ। উসমান খাজা করেন ৩৯ বলে ৪২ রান। ম্যাক্সওয়েল মাঠে নেমেই ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। ১৪ বলে ২৮ রান সে ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হন তিনি। ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন।


এদিকে মার্কাস স্টোইনিজ শূন্য রানে আউট হলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারে দারুণ ব্যাটিং করেন। মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে তিনি অপরাজিত থেকে যান ৫৫ রান করে। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে।


ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাহ নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল। দুটি হলো রানআউট।

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

admin June 06, 2019


তুমুল লড়াইয়ের পরও হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক-সাকিবরা। ইনিংসের শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে পরাজয়ের দুয়ারে থেকেও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভালো খেলেও পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাশেোফিদের।



 



বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।



 



বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।



 



শেষ দিকে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ৩৩ রান। ৪৩তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে গ্রান্ডহোমকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।



 



ঠিক পরের ওভারে মাত্র ২ রানে জেমস নিশামকে আউট করার মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।



 



২৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান উইলিয়ামসন ও টেইলর। তৃতীয় উইকেট ১০৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটিতেই জয় দেখে নিউজিল্যান্ড।



 



ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্পিনে ২ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৭২ বলে ৪০ রান করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে টম লাথামকে আউট করেন তিনি।



 



তবে মুশফিকের একটি ভুলের কারণে বড় জুটি গড়ে টেইলর ও উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৭ রানেই সাজঘরে ফেরার যাওয়ার কথা ছিল উইলিয়ামসনের।



 



প্রায় অপর প্রান্তেই চলেই গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত।



 



আর তাতেই লাইফ পান কিউই অধিনায়ক। তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ছিল ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭।



 



বাংলাদেশ ২৪৪/১০



 



সাকিব ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি টাইগাররা।



 



দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ দিকে ২৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। ৪৫তম ওভারে ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি।



 



টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।



 



এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলে আউট হন তামিম। তার আগে ৩৮ বলে মাত্র ২৩ রান করেন দেশ সেরা এ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ।



 



এরপর সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।



 



এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব।



 



আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাকিব, বুধবার ফেরেন ৬৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।



 



সাকিবের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। তবে শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে তিনটি চার দলের হয়ে একমাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাইফউদ্দিন।



 



সংক্ষিপ্ত স্কোর



 



বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৪৪/১০ (সাকিব ৬৪, সাইফউদ্দিন ২৯, মিঠুন ২৬, সৌম্য ২৫, তামিম ২৪; ম্যাট হেনরি ৪/৪৭, ট্রেন্ট বোল্ট ২/৪৪)। #NewsBD

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

admin June 06, 2019

২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।


দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।


তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে।


স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২০১৯ বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর আজ ওভালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগারবাহিনী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।


উইকেট ভিন্নতা থাকলেও আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের একাদশের উপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।


বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে লড়াইটা একেবারে সহজ ছিল না। কেননা বরাবরের মতোই শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শক্তিসামর্থ্যে পিছিয়ে ছিল না মাশরাফির দলও। মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হারিয়ে পেয়েছে শুভসূচনাও। এখন প্রথম ম্যাচে পাওয়া এ মোমেন্টাম ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।


এবার ২য় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে কিউইরা। সে ম্যাচে লংকানদের মাত্র ১৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল কিউই পেসাররা। ব্যাটে-বলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে নিউজিল্যান্ড। উড়ন্ত সূচনা পেয়ে আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তাই এমন দলের বিপক্ষে আগামীকাল নিজেদের সেরাটা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের।


নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশ শিবিরে। এ নিউজিল্যান্ডকেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত জোড়া শতকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে ম্যাচ বের করে আনে টাইগাররা। এখন সেই ইংল্যান্ডেই আবারো কিউইদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিও এখন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে টাইগারদের।


[bs-quote quote="‘‘আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু।’’" style="default" align="left" author_name="Sakib-Mashrafi" author_job="Crickter" author_avatar="http://rangpurexpress24.com/wp-content/uploads/2019/06/sakib-mashrafi.png"][/bs-quote]

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ওপেনিংয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও সৌম্য শুরু করেছেন ঝড় তুলে। তার ৩০ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য পথটা তৈরি করে দেয়। এরপর সাকিব ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটির ওপর ভর দিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর শেষ দিকে এসে ইনিংসকে পরিণতি দেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক, যা বাংলাদেশকে এনে দেয় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


৩৩০ ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। শুরুতে উইকেট নিতে না পারলেও রান রেট আটকে চাপে রাখে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। এরপর যখনই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় তখনই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ভালো জায়গায় বল করে সবসময় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজরা। পেয়েছেন নিয়মিত ব্রেক থ্রু। প্রায় প্রত্যেক বোলারই এ ম্যাচে অবদান রেখেছেন। সেই সঙ্গে ছিল মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব। ফিল্ডিং ও বোলিং পরিবর্তনে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাবনার বিষয় হতে পারে ফিল্ডিং। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে একাধিক, যা দিন শেষে হতাশার কারণ হলেও হতে পারত।


এছাড়া মিস ফিল্ডিংও হয়েছে বেশকিছু। পরের ম্যাচগুলোয় ফিল্ডিং নিয়ে তাই বাড়তি কাজ করার সুযোগ আছে। এদিকে ম্যাচ জয়ের পর এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের শান্ত থাকা জরুরি। আমরা কেবল একটি ম্যাচ জিতেছি, এখনো আটটি ম্যাচ বাকি। এখন এ জয় আমাদের টুর্নামেন্টে কোথাও নিয়ে যাবে না। তাই আমি মনে করি না, আমাদের এ মুহূর্তে রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু আছে। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে।’


এ সময় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমাদের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি, আরো অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। সম্ভবত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে অপেক্ষা করছে।’


পাশাপাশি কোনো দলকেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নন বলে মন্তব্য করে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দলকেই বড় দল হিসেবে দেখছি এবং আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে। যদি সবাই ফিট থাকে, সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো। প্রতি ম্যাচেই হয়তো এমন পারফরম্যান্স দেখা যাবে না। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।’


সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু। এখন এ জয়ের প্রেরণা নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

admin June 04, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অসাধারণ জয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ভারতের এনডিটিভি ও বৃটিশ গার্ডিয়ান টাইগারদের জয়কে অঘটন বললেও অধিকাংশ মিডিয়া প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাকিব-মিরাজদের।


বাংলাদেশ জিতলেই সেটা হয় আপসেট বা অঘটন। নিন্দুকেরা হয়ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না টাইগার জয়োল্লাস। তাই কিনা বিদেশি কিছু গণমাধ্যমের এমন শিরোনাম। যা আহত করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গেল কয়েক 'বছর ধরে ভালো খেলা বাংলাদেশকে।


তবে সব মিডিয়া কিন্তু এক নয়। টাইগারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে দুনিয়ার বড় বড় কিছু সংবাদমাধ্যম। বৃটিশ গণমাধ্যমে এসেছে লাল সবুজের অসাধারণ কীর্তি। ডেইলি মেইল ও বিসিবি যেমন বলছে, বাংলাদেশ ভালো খেলেই জয় পেয়েছে। অন্যদিকে গার্ডিয়ান এটাকে দেখছে অঘটন হিসেবেই।


ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে গেল ক'দিন ধরেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। সাবেক কিউই অধিনায়কের অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে প্রোটিয়াদের হারিয়েছে টাইগাররা। এরপর আবারো টুইট করেছন ম্যাককলাম। এবার তিনি ভূয়সী প্রশংসা করলেন সাকিব-তামিমদের। তবে স্বীকার করেছেন তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জিতুক।


টাইগারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররাও। ভারতের আকাশ চোপড়া মনে করেন মাশরাফী, টপ ক্লাস ক্যাপ্টেন। ইয়ান বিশপ মনে করেন, গেলো ক'বছর ধরে যে বাংলাদেশ ভালো দল তিনি আবারো সেটা নিশ্চিত হলেন।


ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও মাশরাফীকে শুনতে হলে 'আপসেট' শব্দটি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন টাইগার কাপ্তান। বললেন, এসব নিয়ে না ভেবে মাঠের খেলায় আরো মনোযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
টানা ১২ ম্যাচে হারা পাকিস্তান অবশেষে জয়ের দেখা পেলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ১৪ রানে। দুই ইংলিশ ব্যাটার জো রুট এবং জস বাটলারের সেঞ্চুরির পরেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি স্বাগতিকরা।


জিততে হলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া ব্যাটিং করা পাকিস্তান হঠাৎ জ্বলে উঠলো আগ্নেয়গিরির মতো। ৩৪৮ রান বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর একটি রান হলেই ছুঁয়ে ফেলত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।


বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাদাব খান। এরপর জনি বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৩২ রানে তাকে ফেরান ওয়াব রিয়াজ। ষষ্ঠ ওভারে ৯ রানের সময় স্লিপে রুটকে জীবন উপহার দেন বাবর আজম। সেই রুটের ব্যাট থেকে শেষ পর্যন্ত আসে সেঞ্চুরি। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান ব্যার্থ। তাকে ৯ রানে বোল্ড করেন হাফিজ। ১৩ রানে বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলেন শোয়েব মালিক। তবে জস বাটলারের সেঞ্চুরি আবারো আশার আলো দেখায়। কিন্তু বাটলারের বিদায়ের ভরসা দেয়া মইন আলী এবং ক্রিস ওকসকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান করে ইংল্যান্ড।


এরআগে ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেয় পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করে পাকিস্তান। মাত্র ২ রানের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি সরফরাজের দল। ২০০৭ সালে কিংস্টনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছিল পাকিস্তান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।


শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল হক। দলীয় ৮২ রানের সময় ফখর জামান ফেরেন ৩৬ রানে। বাবর আজমের সঙ্গে গড়া জুটিটাকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি ইমাম। ৪৪ রানে মইন আলির শিকার হন তিনি। এদিন উপরের দিকে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ হাফিজ বাবর আজমের সঙ্গে জুট গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। তাদের ৮৮ রানের জুটি ভাঙে বাবর ৬৩ রানে মইন আলির শিকার হলে। এরপর হাফিজ-সরফরাজ জুটি থেকে আসে ৮০ রান। ৬২ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন একবার লাইফ পাওয়া হাফিজ। সরফরাজও তুলে নেন অর্ধশতক।


স্কোর:
পাকিস্তান ৩৪৮/৮ (৫০)
ইমাম ৪৪ (৫৮)
ফখর ৩৬ (৪০)
বাবর আজম ৬৩ (৬৬)
হাফিজ ৮৪ (৬২)
সরফরাজ ৫৫ (৪৪)
আসিফ আলি ১৪ (১১)
শোয়েব মালিক ৮ (৮)
ওয়াহাব রিয়াজ ৪ (২)
হাসান আলী ১০* (৫)
শাদাব খান ১০* (৪)


বোলার:
ওকস ৮-১-৭১-৩
আর্চার ১০-০-৭৯-০
মইন ১০-০-৫০-৩
উড ১০-০-৫৩-২
স্টোকস ৭-০-৪৩-০
আদিল ৫-০-৪৩-০


স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩৩৪/৯ (৫০)
জেসন রয় ৮ (৭)
জনি বেয়ারস্টো ৩২ (৩১)
জো রুট ১০৭ (১০৪)
ইয়ন মরগান ৯ (১৮)
বেন স্টোকস ১৩ (১৮)
জস বাটলার ১০৩ (৭৬)
মইন আলী ১৯ (২০)
ক্রিস ওকস ২১ (১৪)
জোফরে আর্চার ১ (২)
আদিল রশিদ ৩* (৪)
মার্ক উড ১০* (৬)


বোলার
শাদাব খান ১০-০-৬৩-২
মোহাম্মদ আমীর ১০-০-৬৭-২
ওয়াহাব রিয়াজ ১০-০-৬৬-৩
হাসান আলি ১০-০-৬৬-০
মোহাম্মদ হাফিজ ৭-০-৪৩-১
শোয়েব মালিক ৩-০-১০-১

বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশ মিশন

বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশ মিশন

admin June 03, 2019

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ মিশন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৩০ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে বিশ্বকাপের ১২তম আসর শুরু করল মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।


রোববার ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ।এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারে মুশফিক-সাকিবের জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এছাড়া ৪৫ রান করেন ওপেনার মার্করাম, ৪১ রান করেন ভেন দার ডুসেন। ৩৮ রান করেন ডেভিড মিলার।


টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬০ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। হাতের চোট নিয়ে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম ইকবাল।


ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। কিন্তু আন্দিলে ফিলোকাওয়ের গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। তার আগে ২৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তামিম।


এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ৭৫ রানে ক্রিস মরিসের বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সৌম্য। ক্রিস মরিসের করা বলটি সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।


উড়ে আসা সেই বলটি সৌম্যর গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের ক্যাচে পরিনত হয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন করেন সৌম্য।


৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৪১ বলে ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা।


ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআই ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


এদিকে আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক। ফিফটির পর তিনিও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। দলীয় ২৫০ রানে আউট হন মুশফিক। তার আগে ৮০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৩ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সৈকত। মাত্র ৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।


৩৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন আফ্রিকান ওপেনার। তার আগে ৩২ বলে ২৩ রান করেন ডি কক। ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত মুশফিকুর রহিম। তার থ্রোতে ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি ককের উইকেট।


ডি ককের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে অফিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মার্করাম। তাদের মধ্যকার এই জুটি ভাঙেন সাকিব। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৪৬ রান করেন মার্করাম। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০২ রানে দুই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত ফাফ ডু প্লেসিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান এ অধিনায়ককে বোল্ড করেন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৬২ রান করেন ডু প্লেসিস।


১৬ রানেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার কথা ছিল ডেভিড মিলারের। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সৌম্য সরকারের কারণে লাইফ পান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মিলার কিলারকে আউট করে টাইগার শিবির স্বস্থির পরশ এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিনত হওয়ার আগে ৪৩ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করেন মিলার।


দলীয় ২২৮ রানে ভেন দার ডুসেনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। তার আগে ৩৮ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান। সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন ফেহালুকাওয়ে। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ের স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশ।


নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন এবং রান রেট বেড়ে যাওয়ায় শেষ দিকে জেপি ডুমিনির একা লড়াই করেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের রেকর্ড

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের রেকর্ড

admin June 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের রত্ন । ব্যাট হাতে হোক কিংবা বল হাতে দুই জায়গায়ই সাকিবের আছে অগণিত রেকর্ড। আজ (রোববার) বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক রেকর্ডের মালিক হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ফিফটি হাঁকালেন তিনি।


দেশের হয়ে সাকিবের প্রথম বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে। যেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই ভারতকে বিদায় করে দেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৮৬ বলে ৫৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন সেই সময়ের তরুণ সাকিব।


এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেই ৫০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে সেই ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা।


২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি তুলে নেন সাকিব। সেই ম্যাচে সাকিবের ৫১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।


নিজের সেই ব্যাটিং ধারাবাহিকতা সাকিব ধরে রাখলেন ২০১৯ বিশ্বকাপেও। আজ (রোববার) শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে। যেখানে ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন সাকিব।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ টাইগারদের

admin June 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। গড়লো নতুন রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা।


টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩২২ রানের, যা ২০১৫ সালে ২ উইকেটে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল।


একই বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা করেছিল ২৮৩ রান।


ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান:


শুধু বিশ্বকাপ নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এটি। এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল টাইগাররা।


২০১৯ বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তার ৭৮ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। এছাড়া সাকিব ৭৫, সৌম্য সরকার ৪২, মাহমুদউল্লাহ ৪৬ রান করেন।


তালিকা...

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

admin June 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
উদ্বোধনী ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলটির বিপক্ষেই লন্ডনের কেনিংটন ওভালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শুভ সূচনা করার প্রত্যাশা টাইগারদের। অন্যদিকে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য প্রথম ম্যাচে বাজে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা।


এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরুতেই ভাগ্যের খেলায় টস জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি


বাংলাদেশ দলের জন্য সুসংবাদ হচ্ছে, ইনজুরির শঙ্কা কাটিয়ে খেলছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে একজন পেসার বেশি নিয়ে খেলতে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না হাশিম আমলা। তার পরিবর্তে খেলছেন ডেভিড মিলার।


বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান।


দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এইডেন মারক্রাম, ফ্যাফ ডু প্লেসি (অধিনায়ক), রাশি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, আন্দিল পেহলুকাইয়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি, ইমরান তাহির।

আজ বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের

আজ বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দুর্দান্ত এক সুখস্মৃতি নিয়ে আজ থেকে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।


এই প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপে হারানোর রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। তাই দ্বাদশ বিশ্বকাপের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেয়ে যাওয়ায় সুখস্মৃতি নিয়েই নিজেদের মিশন শুরু করছে মাশরাফির দল।


রোববার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই ম্যাচটি।


২০০৭ সালের ৭ এপ্রিল। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার এইটের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচে স্পষ্টভাবেই ফেভারিট ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ফেভারিটের তকমা তোয়াক্কা না করে, বিশ্বকে চমকে দেয় টাইগাররা। হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দলটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারায়।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। তবে পরের দিকে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ লড়াইয়ে ফিরে বাংলাদেশ। তাকে সঙ্গ দেন আফতাব আহমেদ। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে ৭৬ রান যোগ করেন।


আফতাব ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। তবে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আশরাফুল। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে থেমে যান অ্যাশ। বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে ১২টি চারে ৮৩ বলে ৮৭ রান করেন আশরাফুল। ফলে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষদিকে, ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।


এরপর জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসার সৈয়দ রাসেল এবং তিন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক-মোহাম্মদ রফিক-সাকিব আল হাসানের তোপে পড়ে ১৮৪ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। রাজ্জাক ৩টি, সাকিব-রাসেল ২টি করে এবং রফিক ১টি উইকেট নেন।


তাই ১২ বছর হয়ে গেলেও, ঐ ম্যাচের সুখস্মৃতি যে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তারপরও বেশ টগবগে মেজাজেই আছে বাংলাদেশ। গেল মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাশরাফির দল। ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারায় তারা।


বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৭ বলে অপরাজিত ৫২ রান বাংলাদেশকে শিরোপার স্বাদ এনে দেয়। বৃষ্টি আইনে ২৪ ওভারে জয়ের জন্য ২১০ রানের টার্গেট পায় টাইগাররা। সেই টার্গেট ৭ বল বাকী রেখেই স্পর্শ করে ফেলে বাংলাদেশ। ফলে প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে কোন টুর্নামেন্টে শিরোপার স্বাদ নিলো মাশরাফির দল।


আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নিয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে বাংলাদেশ। মূল পর্বের জন্য অংশ নেয়া প্রত্যক দলের জন্যই দু’টি করে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ থাকে। সেই সুবাদে বাংলাদেশের দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ ছিলো পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। দু’টি ম্যাচই ছিলো কার্ডিফে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তবে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের গা গরম করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।


কিন্তু ওই ম্যাচে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ৯৫ রানে ভারতের কাছে হারে টাইগাররা। নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। ১০২ রানে ভারতের চার ব্যাটম্যানকে বিদায় দিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ১৬৪ রানের বড় জুটি গড়ে ভারতকে খেলায় ফেরান চার নম্বরে নামা লোকেশ রাহুল ও সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ পর্যন্ত দু’জনই সেঞ্চুরি তুলে নেন।


রাহুল ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯৯ বলে ১০৮ ও ধোনি ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৭৮ বলে ১১৩ রান করেন। ফলে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। জবাবে ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের শাসন করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার লিটন দাস ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। লিটন ৭৩ ও মুশফিক ৯০ রানে থেমে যান। এরপর ৩ বল বাকী রেখে ২৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।


তাই প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ হারের স্বাদ নিয়েও বিশ্বকাপ শুরু করতে হবে বাংলাদেশ। তবে এসবকে হারকে দূরে সরিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে নতুন উদ্যমে যে বাংলাদেশ শুরু করবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারন এখন মাশরাফি-তামিম-সাকিবদের নিয়ে গড়া দলটি ভিন্ন চিত্রের এক বাংলাদেশ। যেকোন দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে টাইগাররা। সেই সামর্থ্যটা কতটুকু বাংলাদেশের, সেটিই এখন দেখার বিষয়।


এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৭টি জিতেছে প্রোটিয়ারা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো দু’দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্য দু’টি জয় এসেছিলো ২০১৫ সালে। দেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা(অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।


দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ফাফ ডু প্লেসিস(অধিনায়ক), আইডেন মার্করাম, কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, রাসি ভ্যান ডরি ডুসেন, ডেভিড মিলার, আন্দিল ফেলুকুয়াও, জেপি ডুমিনি, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ক্রিস মরিস, ইমরান তাহির, তাবরিজ শামসি।

ফিঞ্চ-ওয়ার্নারে সহজ জয় পেল অজিরা

ফিঞ্চ-ওয়ার্নারে সহজ জয় পেল অজিরা

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
১ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটানো ডেভিড ওয়ার্নার প্রত্যাবর্তনে দেখা দিলেন পুরনো রূপে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দুজনের দুর্দান্ত ফিফটিতে আফগানরদের ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো অস্ট্রেলিয়া।


ব্রিস্টলে শনিবার (১ জুন) চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৯৬ রান তুলে ফেলেন দুই অজি ওপেনার ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার। এর মধ্যে ফিফটি তুলে দেন ফিঞ্চ। তার ৪৯ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি শেষ হয় ১৬তম ওভারে গুলবাদিন নায়িবের বলে। ইনিংসটি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো।


অধিনায়কের বিদায়ের পর হাত খুলতে শুরু করেন বল টেম্পারিং কাণ্ডে জড়িয়ে ১২ মাস নিষিদ্ধ থাকার পর এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরা ওয়ার্নার। উসমান খাজাকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়ার পথে ওয়ার্নার একাই করেন ৩২ রান। সঙ্গী খাজা ১৫ রান করেই রশিদ খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।


ফেরার প্রথম ম্যাচেই ওয়ার্নার তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফসেঞ্চুরি। ৭৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। তার মতো একই অপরাধে ১২ মাস নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ মাত্র ১৮ রান করে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে ফিরলেও সাবেক ডেপুটির সঙ্গে যোগ করেন ৪৯ রান।


স্মিথ যখন আউট হন তখন জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরত্বে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অজি অলরাউন্ডার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। তবে অল্পের জন্য প্রত্যাবর্তনেই সেঞ্চুরি মিস করেন ওয়ার্নার। রয়ে যান ৮৯ রানে অপরাজিত। তার এই ১১৪ বলের ইনিংসটি ৮ চারে সাজানো।
বল হাতে ১টি করে উইকেট পান আফগানিস্তানের মুজিব, গুলবাদিন ও রশিদ খান।


এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আফগানিস্তান। মাত্র ৫ রান তুলতেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও হজরুতুল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় মাত্র দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটি। এরপর রহমত শাহ (৪৩), গুলবাদিন (৩১), নাজিবুল্লাহ জাদরান (৫১) ও রশিদ খানের (২৭) ইনিংসে ভর করে ২০৭ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা।


বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অজি পেসার প্যাট কামিন্স ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ২ উইকেট গেছে মার্কাস স্টয়নিসের ঝুলিতে। বাকি ১ উইকেট মিচেল স্টার্ক।


ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।

২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া

২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে শনিবার (১ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও অস্ট্রেলিয়াকে ২০৮ রানের টার্গেট দিয়েছে আফগানিস্তান। যদিও নির্ধারিত ৫০ ওভার তারা ব্যাট করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ৩৮.২ ওভারে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।


টসে করতে নেমে ভাগ্য সহায় হয় আফগানিস্তানের। টসে জেতেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। টসে জিতে তিনি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে দলীয় শূন্য রানের মাথায় বিদায় নেন আফগান ওপেনার মোহম্মদ শেহজাদ। তাকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। এরপর আফগান শিবিরে আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। তার শিকার হজরতুল্লাহ জাজাই। দলের রান তখন ৫। বিদায়ের আগে জাজাই করেন ০ রান।


এরপর দলের হাল ধরেন রহমত শাহ ও হাসমাতুল্লাহ শাহিদি। ৫১ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তারা। এই জুটি ভাঙেন এডাম জাম্পা। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় হাসমাতুল্লাহ শাহিদিকে সাজঘরে ফেরান তিনি। আফগানিস্তানের দলীয় রান তখন ৫৬। এরপর স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ হতেই আফগানরা হারিয়ে ফেলেছে টপ অর্ডারের আরও ২ উইকেট। ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর দলকে খেলায় ফেরাতে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব ও নজিবুল্লাহ জাদরান।


ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের দায়িত্বশীল জুটি গড়েন তারা। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেন নাইব-নজিবুল্লাহ। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া গুলবাদিন নায়েব ৩৩ বলে ৩১ রান করে ফেরেন। তাকে সাজঘরে ফেরান স্টোইনিস। দলের রান তখন ১৬০। এরপর আবার আঘাত হানেন স্টোইনিস।


দলীয় ১৬২ রানের মাথায় নজিবুল্লাহ জাদরান ব্যক্তিগত ৫১ রান করে বিদায় নেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান ৩৯ রানের জুটি গড়লে আফগানদের সংগ্রহ ২০০ রানের গন্ডি অতিক্রম করে। রশিদ খান ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মুজিব উর রহমান ৯ বলে ১৩ রান করেন।


শেষ পর্যন্ত আফগামিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ৩৮.২ ওভারে ২০৭ রান। অজিদের পক্ষে এডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্স ৩টি করে উইকেট নেন। মার্কস স্টোইনিস নেন ২ উইকেট। মিচেল স্টার্কের শিকার ১ উইকেট।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

admin June 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপের ১২তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বকাপে এর আগে একটি মাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেই ম্যাচে জয় লাভ করে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী দল অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এ পর্যন্ত উভয় দল ২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। দুই ম্যাচে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।


অস্ট্রেলিয়া এ পর্যন্ত ৯৩০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৫৬২টিতে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথমবার খেলার সুযোগ পাওয়া আফগানিস্তান খেলেছে মাত্র ১১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৫৯ ম্যাচে, আর হেরেছে ৫১টিতে।


বিশ্বকাপের মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বল টেম্পারিং কাণ্ডের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। তাদের অন্তর্ভূক্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের আগে আনুষ্ঠানিক দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।


অন্যদিকে আফগানিস্তান নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি আফগানরা।


অস্ট্রেলিয়া: আরোন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ওসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, শোন মার্স, অ্যালেক্স কেরি (উইকেট কিপার), মার্কুস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, কেন রিচার্ডসন, পেট কুমিন্স, জেসন বেহরেনডোরফ, নাথান কুটলার-নিল, অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান লিয়ন।


আফগানিস্তান: গুলবদিন নাইব (অধিনায়ক), মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেট কিপার), নুর আলি জারদান, হজরতুল্লাহ জাজাই, রহমত শাহ, আসগর আফগান, হাসমতুল্লাহ শহিদি, নাজিবুল্লাহ জারদান, সামিউল্লাহ শিনওয়ারি, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, দৌলত জারদান, আফতাব আলম, হামিদ হাসান ও মুজিব উর রহমান।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three