দরজায় কড়া নাড়ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ১০০ দিনের কাউন্টডাউন। এবারের আসরটি হবে ক্রিকেটের ১২তম বিশ্বকাপ আসর। এ বছরের ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট। ৫০ ওভারের এই আসরের ফাইনাল হবে ১৪ জুলাই। মোট ১০টি দল খেলছে এবারের বিশ্বকাপে।
২০১৯ এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ ছিলো ইংল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে সর্বমোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১১টি ভেন্যুতে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভেন্যু সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবারই থাকে। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই ইভেন্টটি শুরুর আগে চলুন ভেন্যুগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ট্রেন্টব্রিজ স্টেডিয়াম:
ঐতিহাসিক ট্রেন্টব্রিজ ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির যাত্রা শুরু হয় ১৮৪১ সালে। ১৯৭৪ সালে এই মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হয়। এরপর ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামটিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি নটিংহ্যামের ওয়েস্ট ব্রিজফোর্ড এলাকায় অবস্থিত। নটিংহ্যাম স্টেশন থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১ মাইল। স্টেডিয়ামটিতে বাস এবং ট্রেনে করে যাওয়া যাবে। তবে বিশ্বকাপ চলাকালীন অফিসিয়ালি ওয়াকিং স্ট্রিট থাকবে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ১৭ হাজার
ট্রেন্টব্রিজ স্টেডিয়ামটি স্বাগতিক ইংল্যান্ডের জন্য রেকর্ডময় এক স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটিতে ইংল্যাান্ড ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। এখানেই ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে ৪৮১ রানের রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড, যেখানে অ্যালেক্স হেলস করেন ১৪৭ এবং জনি বেয়ারস্টো করেন ১৩৯ রান। ২৪২ রানে জয়ী হওয়া সেই ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন অ্যালেক্স হেলস। একই মাঠে ২০১৬ সালে ৩ উইকেটে ৪৪৪ রান করেছিলো ইংল্যান্ড।
রিভারসাইড ডারহাম
রিভারসাইড ডারহাম স্টেডিয়ামটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। ডারহাম কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। পূর্বে এই মাঠটিতে বিশ্বকাপের মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবগুলো ম্যাচ ছিলো ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের।
স্টেডিয়ামটি চেস্টার-লি-স্ট্রিটে অবস্থিত। ডারহাম থেকে এর দূরত্ব ৬ মাইল। শহর থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য ট্রেন সার্ভিস রয়েছে। বিশ্বকাপ চলাকালে ডারহাম থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য শাটল বাসের ব্যবস্থা থাকবে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ১৪ হাজার
এই স্টেডিয়ামটিতে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ৬ উইকেটে ২৬১ রান। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে মাঠটিতে সর্বোচ্চ এই রান স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলো পাকিস্তান। সেই ম্যাচে ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আকতার এবং আব্দুর রাজ্জাক প্রত্যেকেই তিন উইকেট করে পেয়েছিলেন।
দ্য ওভাল
দ্য ওভাল স্টেডিয়ামটির যাত্রা শুরু ১৮৪৫ সালে। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি লন্ডনের কেনিংটনে অবস্থিত। পূর্বে একে কেনিংটন ওভাল নামেও ডাকা হতো। স্টেডিয়ামটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আগত দর্শকদের গাড়ি বাসায় রেখে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করতে হবে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ২৫ হাজার
১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামটিতে মোট ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই স্টেডিয়ামটিতে হ্যাটট্রিক করেন পাকিস্তানের সাকলাইন মুশতাক।
ওল্ড ট্রাফোর্ড
ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৭ সালে। এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্টেডিয়াম। ল্যাংকাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি ম্যানচেস্টারের ট্রাফোর্ড এলাকায় অবস্থিত। ম্যানচেস্টার পিকাডিলি স্টেশন থেকে এর দূরত্ব ৩ মাইল। স্টেশন থেকে এই স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ২৩ হাজার
বিশ্বকাপে এটি নতুন কোনো স্টেডিয়াম নয়। ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামটিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও এই স্টেডিয়ামটি ব্যস্ত সময় পার করবে। কারণ মোট ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানে। তার মধ্যে একটি সেমিফাইনাল ম্যাচও এখানে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বৈরথও এই স্টেডিয়ামে দেখতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বিশ্বকাপে এই স্টেডিয়ামটিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড মোট ২টি সেমিফাইনাল খেলেছে, যার মধ্যে ১৯৭৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ রানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। ১৯৮৩ সালের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে এই স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড হেরেছিলো ৬ উইকেটে। ১৮৮৪ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের পর থেকে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট ম্যাচ আয়োজন হয়েছে এই স্টেডিয়ামটিতে।
লর্ডস
লর্ডস স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৪ সালে। একে বিশ্ব ক্রিকেটের তীর্থস্থান বলা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা টমাস লর্ডের নামানুসারে এর নামকরণ হয় লর্ডস। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ক্রীড়া জাদুঘর (এমসিসি জাদুঘর) এখানে অবস্থিত। ১৮৬৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের অনেক স্মারক রয়েছে এখানে। স্টেডিয়ামটি লন্ডনের কেন্দ্রে অবস্থিত। কেন্দ্র থেকে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিটেই পৌঁছানো যাবে এখানে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ২৮ হাজার ৫’শ
বিশ্বকাপ ২০১৯ এর ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। ফাইনালের পাশাপাশি গ্রুপপর্বের আরো ৪টি ম্যাচ হবে এখানে।
স্টেডিয়ামটিতে মোট ১০টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৫,১৯৭৯,১৯৮৩ ও ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচগুলোর গর্বিত আয়োজক এই লর্ডস। ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামটির সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান, যেটি ইংল্যান্ড করেছিলো ভারতের বিপক্ষে ১৯৭৫ সালে।
হেডিংলি
হেডিংলি স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯০ সালে। ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি ইংল্যান্ডের লীডস শহরে অবস্থিত। লীডস সিটি স্টেশন থেকে বাস ট্রেন এবং ট্যাক্সিতে করে যাওয়া যাবে স্টেডিয়ামটিতে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ১৮ হাজার ৩৫০
১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পর ২০১৯ বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
হ্যাম্পশায়ার বোল
হ্যাম্পশায়ার বোল স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি সাউদাম্পটনে অবস্থিত। সাউদাম্পটন এয়ারপোর্ট পার্কওয়ে রেলস্টেশন থেকে শাটল ট্রেনে করে স্টেডিয়ামটিতে পৌঁছতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। বাসে চড়েও যাওয়া যাবে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ১৭ হাজার
২০১৯ সালে বিশ্বকাপের মাধ্যমে প্রথম কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই স্টেডিয়ামে। ২০১৯ বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানে।
টি-টুয়েন্টি, ওয়ান ডে এবং টেস্ট- সকল ফরম্যাটের ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। ২০০৩ সালে স্টেডিয়ামটিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জিম্বাবুয়ে মোকাবেলা করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২০০৪ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এই স্টেডিয়ামে।
এজবাস্টন
এজবাস্টন স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৬ সালে। ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি।
স্টেডিয়ামটি বার্মিংহামে অবস্থিত। বার্মিংহাম নিউ স্ট্রিটের রেল স্টেশন থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে অবস্থিত এটি। দর্শকদের নিজস্ব গাড়ি বাসায় রেখে যাওয়াই ভালো। কারণ স্টেডিয়ামটিতে গাড়ি পার্কিয়ের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে সাইকেল পার্কিয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা: ২৪ হাজার ৫’শ
২০১৯ বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
ম্যাচগুলোর তালিকা:
১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো এটি। ২০১৯ বিশ্বকাপেও একটি সেমিফাইনাল হবে এখানে। এই স্টেডিয়ামেই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্রায়ান লারা অপরাজিত ৫০১ রান করেছিলেন।
কাউন্টি গ্রাউন্ড টনটন
কাউন্টি গ্রাউন্ড টনটন স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৬ সালে। সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি টনটনে অবস্থিত। টনটন শহরের কেন্দ্র থেকে আধা মাইল দূরে এর অবস্থান। রেল, বাস বা হেঁটেই যাওয়া যাবে এখানে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ৮ হাজার
২০১৯ বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ১টি এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এই স্টেডিয়ামে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিশ্বকাপের মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
কার্ডিফ ওয়েলস স্টেডিয়াম
কার্ডিফ ওয়েলস স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে। গ্লামরগান কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি ওয়েলসের কার্ডিফে অবস্থিত। সব রকম যানবাহনে চড়েই পৌঁছানো যাবে এই স্টেডিয়ামে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ১৫ হাজার ২০০
২০১৯ বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতেছিলো এই স্টেডিয়ামে।
ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড
ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৯ সালে। গ্লচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড এটি। স্টেডিয়ামটি ব্রিস্টলের অ্যাশলে ডাউন এরিয়ায় অবস্থিত। ব্রিস্টলের টেম্পল মিডস রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব আড়াই মাইল। বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনেই পৌঁছানো যাবে এখানে।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা: ১১ হাজার
২০১৯ বিশ্বকাপের ৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের মোট ৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এই স্টেডিয়ামে। ২০১৭ সালে মেয়েদের বিশ্বকাপে মোট ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এখানে।