রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জে রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটবিহীন গঠিত বিতর্কিত ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থগিত হওয়ার পরও জোরপূর্বব প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পক্ষের লোকজনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিদ্যালয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যথারিতি ক্লাশ চলছিলো। হঠাৎ করে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে স্কুলে আসেন স্থগিত হওয়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম নান্নু। তিনি মাঠের মধ্যে থাকা ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ভবনের দোতলায় যেতে বলেন। ছাত্রছাত্রীরা দোতলা উঠলে তার সঙ্গে আসা লোকেরা দোতলার সিড়ির গেটে তালা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আটকে রাখেন। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম নান্নু পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম খয়বারকে স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে বাহিরে বেরিয়ে পড়ে। উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে নান্নুর লোকজনের বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নান্নুর লোকজনেরা শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে খায়রুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যায়। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মিলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ঘেরাও করলে সেখানে ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের সাথে ধাওয়া-ধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি নান্নুর সাথে আসা বহিরাগতদের হামলার শিকার হয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবক ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে স্কুল থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাম করছে।
এদিকে ধাওয়া-ধাওয়ির সময় ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার রহমান গোলাপ, স্কুল ম্যানেজিং সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হক তুষার, অভিভাবক শরিফুল ইসলাম সবুজ, শিক্ষার্থী লিখন, তাসকিরাতুলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গোলাপ, তুষার ও সবুজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় জানান, আমি বিভিন্ন রকমের চাপে রয়েছি। এই মুহুর্তে আমি কাউকে কিছু বলতে পারছি না।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনো কোন প্রধান শিক্ষকের কাগজপত্রে কোন সই করা হয়নি। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমি ওই ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলাম। তারপরও কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কমিটির সভাপতির বিরোধ চলছে। সেই জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিদ্যালয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যথারিতি ক্লাশ চলছিলো। হঠাৎ করে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে স্কুলে আসেন স্থগিত হওয়া ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিম নান্নু। তিনি মাঠের মধ্যে থাকা ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ভবনের দোতলায় যেতে বলেন। ছাত্রছাত্রীরা দোতলা উঠলে তার সঙ্গে আসা লোকেরা দোতলার সিড়ির গেটে তালা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আটকে রাখেন। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম নান্নু পীরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম খয়বারকে স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙ্গে বাহিরে বেরিয়ে পড়ে। উত্তেজিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে নান্নুর লোকজনের বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নান্নুর লোকজনেরা শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে খায়রুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যায়। এঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মিলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ঘেরাও করলে সেখানে ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের সাথে ধাওয়া-ধাওয়ির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি নান্নুর সাথে আসা বহিরাগতদের হামলার শিকার হয় সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবক ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে স্কুল থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও তার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাম করছে।
এদিকে ধাওয়া-ধাওয়ির সময় ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার রহমান গোলাপ, স্কুল ম্যানেজিং সাবেক সহ সভাপতি মাহমুদুল হক তুষার, অভিভাবক শরিফুল ইসলাম সবুজ, শিক্ষার্থী লিখন, তাসকিরাতুলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গোলাপ, তুষার ও সবুজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় জানান, আমি বিভিন্ন রকমের চাপে রয়েছি। এই মুহুর্তে আমি কাউকে কিছু বলতে পারছি না।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, রায়পুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনো কোন প্রধান শিক্ষকের কাগজপত্রে কোন সই করা হয়নি। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমি ওই ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলাম। তারপরও কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কমিটির সভাপতির বিরোধ চলছে। সেই জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।