Showing posts with label পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড. Show all posts
Showing posts with label পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড. Show all posts
পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড: ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বরখাস্ত

পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড: ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বরখাস্ত

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে আনতে পাইলটের পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া কাতারে গিয়ে সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে আটক হন। এ ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। যেহেতু পাইলট ফজল মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজের পাইলট সেই জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরও বৃদ্ধি পায়।


পরে এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্নে ওঠে। এ জন্য পাসপোর্ট না দেখেই পাইলট ফজল মাহমুদকে কাতারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় ইমিগ্রেশনের এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।


ইসমাইল হোসেন বলেন, পাইলট ফজল মাহমুদ ইমিগ্রেশন পুলিশকে বলেছিল তার পাসপোর্ট রয়েছে। তিনি সিনিয়র পাইলট হওয়ায়, তার কথায় ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশ্বাস করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারপরও তার পাসপোর্ট না দেখে ওই পাইলটকে ইমিগ্রেশন পার করতে দেওয়ায় এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


এদিকে সাবংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট নেননি। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান ছিল, সেহেতু পাইলটের ভুল করা উচিত হয়নি।

পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড: তদন্তে মন্ত্রিপরিষদের কমিটি গঠন

পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ড: তদন্তে মন্ত্রিপরিষদের কমিটি গঠন

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি গত বুধবার রাতে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে রওয়ানা দিলে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হয়।


এ ঘটনা তদন্তে শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগমকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।


কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (রাজনৈতিক-১) যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী।


জানা গেছে, এই ঘটনার পর ফজল মাহমুদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি দোহা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলামকে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বিমানের দোহাগামী নিয়মিত ফ্লাইটে (বিজি-০২৫) তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন।


এর আগে ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গত বুধবার (৫ জুন) রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি-০২৫) নিয়মিত ফ্লাইটে ৩ জন ককপিট ক্রু ও ১২ জন কেবিন ক্রু ঢাকা ছেড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা দেন। ফ্লাইটটি ওইদিন স্থানীয় সময় রাত ১২টায় দোহা পৌছে। এই ফ্লাইটে ছিলেন পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।


অন্যদের কাছে পাসপোর্ট থাকলেও ফজল মাহমুদের কাছে তার পাসপোর্ট ছিল না। দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তা ধরা পড়ে। পাসপোর্ট না থাকায় ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বের হতে দেয়নি। কিন্তু বাকী ১৪জন বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে দোহা নগরীর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে চলে যান। ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ বিমানবন্দরে থেকে যান।


এ সময় ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে রেখে এসেছেন। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে পাসপোর্টটি দোহাতে পাঠানোর জন্য ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ ঢাকায় বিমান কর্তৃপক্ষকে ফোনে অনুরোধ জানান। পরে একটি ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্লাইট অপারেশনের অফিস খুলে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয় এবং বৃহষ্পতিবার বিমান কর্তৃপক্ষ তার পাসপোর্টটি ঢাকা থেকে দোহাগামী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে পাঠানোর চেস্টা করেন। কিন্তু কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরোয়ার্ডিং ছাড়া কোন বিদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট বহন করতে অস্বৃকৃতি জানান।


এরপর বৃহষ্পতিবার রাতে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ক্রুদের মাধ্যমে সেই পাসপোর্টটি দোহায় পাঠানো হয়। তারা বিমানবন্দরে ফজল মাহমুদের হাতে পাসপোর্টটি পৌছে দেন। পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে তিনি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদর্শন করে ২৪ঘন্টা পর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শহরে বিমান নির্ধারিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে উঠেন।


উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত টোকিও সফর করেন। সেখান থেকে তিনদিনের সফরে সৌদিআরব যান। ৩জুন সৌদিআরব থেকে ফিনল্যন্ড সফরে যান তিনি।


ফিনল্যন্ড থেকে রওনা হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি। এরপর দোহা থেকে বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট ড্রিমলাইনারে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা আসবেন প্রধানমন্ত্রী।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three