Showing posts with label বিশ্ব. Show all posts
Showing posts with label বিশ্ব. Show all posts
স্বাভাবিক আছে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন!

স্বাভাবিক আছে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন!

admin June 22, 2019

স্মার্টফোনের উৎপাদন একটুও কমায়নি চীনা জায়ান্ট হুয়াওয়ে। তাইওয়ানের ডিজিটাইমস নামের একটি সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি এক খবরে দাবি করেছিল, হুয়াওয়ে তাদের স্মার্টফোন বিশেষ করে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের উৎপাদন কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। খবরটি সঠিক নয় বলে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে হুয়াওয়ে।


সেখানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমাদের বৈশ্বিক যে স্মার্টফোন উৎপাদন তা স্বাভাবিক রয়েছে। এটি একটুও কমানো হয়নি এবং কমানোর কোন ধরনের কথাও ভাবেনি হুয়াওয়ে।প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাইমসের ওই খবরের দাবিকে গুজব বলে বর্ণনা করেছে।


গত ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্র সরকার হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার জন্য আলাদা একটি লাইসেন্স প্রয়োজন পড়বে। এরপর গুগল, কোয়ালকমসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি বাতিল করে। ফলে বিশ্বব্যাপী কিছুটা চাপে পড়ে হুয়াওয়ে।তবে শুধু ডিজিটাইমস নয়, এর আগেও বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম হুয়াওয়ের ফোন উৎপাদন কমানোর কথা বলেছে।


ব্লুমবার্গ এর আগে এক প্রতিবেদনে দাবি করে, হুয়াওয়ে গত মাস থেকে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত স্মার্টফোন বিক্রি কমে গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফোন উৎপাদনও কমিয়ে দিয়েছে।


এমনকি গত কয়েকদিন আগে হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই এক লাইভ ভিডিওতেও বলেছেন, হুয়াওয়ের ফোনের বিক্রি কমে গেছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যই তা কাটিয়ে উঠবে প্রতিষ্ঠানটি।

হিমাচলে বাস খাদে পড়ে ২৫ জনের মৃত্যু

হিমাচলে বাস খাদে পড়ে ২৫ জনের মৃত্যু

admin June 21, 2019

ভারতের হিমাচল প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। হিমাচল প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস পাহাড়ি সড়ক থেকে গভীর খাদে ছিটকে পড়ে যাওয়ায় অন্তত ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার প্রদেশের পাহাড়ি কুল্লু জেলায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে অন্তত ৬০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস।


খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৩৫ যাত্রীকে উদ্ধারের পর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কুল্লু জেলায় যাত্রীবাহী বেসরকারি একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে চলার সময় গভীর খাদে ছিটকে পড়েছে। এতে ২৫ জন নিহত ও আরও ৩৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন।


কুল্লু জেলা পুলিশ সুপার শালিনি অগ্নিহোত্রী বলেন, জেলার বানজার তেহসিল এলাকার ধোথ মোরের কাছে পাহাড়ি সড়ক থেকে ৩০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায় ওই বাসটি। যাত্রীদের নিয়ে প্রদেশের গাদা গুশাইনির দিকে যাচ্ছিল বাসটি।


তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ১৫ মৃতদেহ ঘটনাস্থলের একটু দূর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আদালত এজলাসে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যু

আদালত এজলাসে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যু

admin June 18, 2019

মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি আদালতে মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার মিসরের একটি আদালতের এজলাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। খবর বিবিসি ও আহরাম অনলাইন। মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে কথা বলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ সময় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।


খবরে বলা হয়, মুরসির লাশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মুরসির ছেলে আহমদ নাজাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার পিতা আল্লাহর কাছে চলে গিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বিশাল গণঅভ্যুত্থান। এতে পদচ্যুত হন হোসনি মোবারক।


এরপর মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্রাদারহুডের মুরসি। কিন্তু ২০১৩ সালে গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।


২০১৩ সালে মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন।


২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

বিকিনি পরা ছবি পোস্ট দিয়ে লাইসেন্স হারালো ডাক্তার!

বিকিনি পরা ছবি পোস্ট দিয়ে লাইসেন্স হারালো ডাক্তার!

admin June 17, 2019

ফেসবুকে একগুচ্ছ বিকিনি ও অন্তর্বাস পরা ছবি পোস্ট করেন এক চিকিৎসক। এতেই চটেছে মিয়ানমার সরকার। ব্যক্তি স্বাধীনতার ‘অপব্যবহারের’ দায়ে তার চিকিৎসক লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মিয়ানমারের নঙ মি সান চিকিৎসকের পাশাপাশি মডেলিংও করেন বলে খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এনডিটিভি।


শনিবার রক্ষণশীল মিয়ানমারের মেডিকেল কাউন্সিল বরাবর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছেন নঙ।


নঙ মি সান তার ফেসবুকে হরহামেশায় এ ধরনের উত্তেজক ছবি পোস্ট করেন। মূলত দেশটির অনলাইন এই মডেল মার্কিন মডেল কেন্দাল জেনারের মতো সাঁতারের পোশাক এবং বিকিন পরা ছবি বেশি পোস্ট করেন। সঙ্গে মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ছবিও থাকে।


সরকারের ভাষ্য, এ ধরনের পপ সংস্কৃতির পোশাক পরা ছবি দিয়ে নঙ মি সান যুবসমাজকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছেন। চিকিৎসক হয়ে যৌনতাকে উস্কে দিচ্ছেন, যা দেশটির ঐতিহ্যের সঙ্গে বেমানান।


চলতি বছরের জানুয়ারিতেও একবার নঙ মি সানকে সতর্ক করা হয়েছিল। এরপর গত ৩ জুন মিয়ানমার মেডিকেল কাউন্সিল তার চিকিৎসক পেশার লাইসেন্স বাতিল করে চিঠি দেয়।


এতে তার ছবিগুলোকে ‘শালীনতা বিবর্জিত’ এবং মিয়ানমারের ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী’ বলে উল্লেখ করা হয়। ২৯ বছর বয়সী নঙ পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা পেশায় আছেন। ২০১৭ সালে তিনি মডেলিং শুরু করেন।


সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘মেডিকেল নৈতিকতায় পোশাক নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।’


নঙ বলেন, ‘আমি যখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেই, তখন এ ধরনের পোশাক পরি না। তাহলে ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিল হবে কেন? এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত। আমি এ মাসেই সিদ্ধান্ত তুলে নিতে আবেদন করব।’


এ বিষয়ে মেডিকেল কাউন্সিলের মন্তব্য নিতে পারেনি রয়টার্স। তবে দেশটির নেটিজেনরা এ বিষয়ে নানা মতামত তুলে ধরে মন্তব্য করছেন।


এসব মন্তব্যে তারা মিয়ানমারের অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্রহীনতার কড়া সমালোচনা করেছেন।


এমনই একজন শোয়ে থু রাজ্জা মন্তব্য করেন, ‘মানবাধিকার তো শরীরের প্রদর্শনে থাকে না যে, সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নিলেই হলো। আপনাকে আগে মিয়ানমারের সংস্কৃতিকে ঠিক করতে হবে।’

গুজরাটে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ৭ জনের মৃত্যু

গুজরাটে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ৭ জনের মৃত্যু

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে হোটেলের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাট রাজ্যের ভাদোদারা জেলায় শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে শনিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন ওই হোটেলের কর্মচারি আর বাকি চারজনকে ট্যাংকটি পরিষ্কার করার জন্য আনা হয়েছিল। খবর এনডিটিভির।


গুজরাটের ভাদোদরা শহর থেকে ৩৫ কিমি দূরে অবস্থিত ফার্টিকুই গ্রামের এক হোটেলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে নিহতদের শনাক্ত করা হয়েছে।


ভাদোদারা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নিকুঞ্জ আজাদ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, প্রথমে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী ট্যাংকে প্রবেশ করে। বহুক্ষণ হয়ে গেলেও সে বের হচ্ছিল না। তাকে ডাকা হলে কোনো সাড়া না পাওয়ায় অপর তিন পরিচ্ছন্ন কর্মী তাকে সাহায্য করতে সেখানে প্রবেশ করে।


তিনি আরও বলেন, অনেকক্ষণ পরেও এদের কেউই ট্যাংকের ভেতর থেকে কোন সাড়া না দিলে হোটেলের তিন কর্মচারী সেখানে প্রবেশ করেন। পরে সাতজনের সবাই সেখানে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।


ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দাভোই থানার ডিএসপি কল্পেশ সোলাঙ্কি।


ভারতে দলিত সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ, ভূগর্ভস্থ পাইপ ও সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের কাজ করে। তারা কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা মুখোশ না পরেই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ করে থাকে।


প্রসঙ্গত, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দিয়ে এভাবে নর্দমা পরিষ্কারের কাজ দীর্ঘদিন আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনও হয়েছে দেশজুড়ে। তারপরেও জাত-পাতের বিভেদ এবং বংশ পরম্পরায় অন্য কাজ কপালে জোটে না ভারতীয় পরিচ্ছন্ন কর্মীদের।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দুই বছরেও শুরু না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। গত বুধবার দুপুরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গত ১১ জুন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যু এবং জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনসহ বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।


বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজভূমি রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতা ও বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলো তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের দায়বদ্ধতার ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও মহাসচিবকে অবহিত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।


এছাড়া বিশ্বব্যাপী জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করার বিষয়ে জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের মহাসচিবের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততার অনুরোধ জানান শাহরিয়ার আলম। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার কারণে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তবে বরাবরের মতোই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের উদারতা ও মানবিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।


বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ারের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।


জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি উঠে আসে বৈঠকের আলোচনায়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ এবং মিনিস্টার ড. মো. মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অর্থপাচার মামলায় সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি গ্রেফতার

অর্থপাচার মামলায় সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি গ্রেফতার

admin June 11, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্থপাচার ও ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেশটির হাইকোর্টে জামিন আবেদন বাতিল হওয়ার পরই সোমবার ইসলামাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খবর ডন ও জিয়ো নিউজের।


ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (NAB) -এর দায়ের করা মামলায় এর আগে হাইকোর্ট আসিফ আলি জারদারি ও তার বোন ফারয়াল তালপুরের জামিন আবেদন বাতিল করেছিল।


সোমবার দুপুরের পর জারদারিকে গ্রেফতারের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর কর্মকর্তারা পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড নিয়ে জারিদারি হাউসে পৌঁছান।


এ সময় জারদারি হাউসের আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আশপাশের কয়েকটি সড়কসহ মূল সড়কটিও এ সময় পুলিশ বন্ধ রাখে।


জারদারি হাউসে পৌঁছার পর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো কর্মকর্তারা জারদারির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। কর্মকর্তারা গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখালে জারদারি গ্রেফতারে সম্মতি প্রদান করেন।


এ মুহূর্তে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো কর্মকর্তারা গ্রেফতারের পর আসিফ আলি জারদারিকে রাওয়ালপিন্ডির সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।


এর আগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি অবৈধ লেনদেনের এ মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারির বিদেশ সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট।


আসিফ আলি জারদারি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান। পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী জারদারি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিপিপি দেশটির বর্তমান পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দল।

মিয়ানমারের মুসলিমবিরোধী বৌদ্ধ বিন লাদেন’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মিয়ানমারের মুসলিমবিরোধী বৌদ্ধ বিন লাদেন’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

admin June 09, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মসজিদকে তিনি বর্ণনা করেন "শত্রুর ঘাঁটি" হিসেবে, তার কাছে মুসলিমরা হচ্ছে "পাগলা কুকুর", মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ "তারা চুরি করে ও বর্মী মহিলাদের ধর্ষণ করে" এবং "গণহারে জন্ম দিয়ে তারা খুব দ্রুত নিজেদের বিস্তার ঘটাচ্ছে।"


তার নাম আশিন উইরাথু। বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু তিনি। মিয়ানমারে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাকে রক্ষা করার পাশাপাশি তাকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। আর একারণেই তিনি মুসলিমদের বিষয়ে দিনের পর দিন এরকম বিদ্রূপাত্মক ও নিন্দাজনক বক্তব্য দিতে সক্ষম হচ্ছেন।


কিন্তু সম্প্রতি তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার-জয়ী ও মিয়ানমারের ডিফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চিকে আক্রমণ করার পর দেশটির কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে তিনি তার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন এবং এখন তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।



কিন্তু বিতর্কিত এই বৌদ্ধ ভিক্ষু আসলে কে?


যেভাবে শুরু:
আশিন উইরাথু প্রথম আলোচনায় আসেন ২০০১ সালে যখন তিনি মুসলিমদের মালিকানাধীন ব্যবসা ও দোকানপাট বয়কট করার জন্যে প্রচারণা শুরু করেন।


এরকম একটি প্রচারণা শুরু করার পর ২০০৩ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারে তার ২৫ বছরের সাজা হয়েছিল। কিন্তু তাকে পুরো সাজা খাটতে হয়নি। সাত বছর পর সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় তিনি ২০১০ সালে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।


কিন্তু উইরাথুর জেল-জীবন তার মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি, বরং মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে তিনি তার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অব্যাহত রাখেন।


আশিন উইরাথু তার বক্তব্য বিবৃতিতে বৌদ্ধদের শৌর্য বীর্যের কাহিনী তুলে ধরেন, তার সাথে মিশিয়ে দেন জাতীয়তাবাদের নেশাও।


সাংবাদিকদের সাথে যখন উইরাথু কথা বলেন তখন তিনি খুব শান্তভাবে তাদের প্রশ্নের জবাব দেন ঠিকই, কিন্তু তিনি যখন সভা সমাবেশে বা জনসভায় বক্তব্য রাখেন তখন তিনি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ হয়ে উঠেন।


তার কথার প্রতিটি বাক্যে ছড়িয়ে থাকে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা। মিয়ানমারের বিদ্যমান মুসলিম-বিদ্বেষে তার এসব বক্তব্য আরো উস্কানি জোগাতে সাহায্য করে।


মুসলিম পুরুষরা যাতে বৌদ্ধ নারীদের বিয়ে করতে না পারে সেজন্যে একটি আইন তৈরিতেও অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন উইরাথু। ওই আইনে মুসলিম পুরুষের সাথে বৌদ্ধ নারীর বিয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।


"কোন সাপ ছোট হলেও সেটাকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। মুসলিমরা ওই সাপের মতো," বলেন তিনি।


ফেসবুকে নিষিদ্ধ:
মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে এক পর্যায়ে আশিন উইরাথু সোশাল মিডিয়াও ব্যবহার করতে শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন যে মিয়ানমারে মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে বৌদ্ধ সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়েছে।


এরই এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাকে নিষিদ্ধ করে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করেই তার এসব বিদ্বেষমূলক পোস্ট।


উইরাথু তখন বিকল্প হিসেবে অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেন।


তিনি বলেন, "ফেসবুক যখন আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়, আমি তখন ইউটিউবের উপর নির্ভর করি। আবার ইউটিউব যেহেতু খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে না, সেহেতু আমার জাতীয়তাবাদী কাজ অব্যাহত রাখার জন্যে আমি টুইটার ব্যবহার করবো।"


রুশ সোশাল মিডিয়া এবং নেটওয়ার্কিং সাইট ভিকের মাধ্যমেও তিনি তার অনেক ভিডিও শেয়ার করে থাকেন।


কিন্তু শুধু যে ফেসবুকই তাকে নিষিদ্ধ করেছে তা নয়, এবছরের এপ্রিলে প্রতিবেশী ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ থাইল্যান্ডে তার ধর্মীয় বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাই কর্তৃপক্ষ তাতে বাধ সেধেছে।


ভুল বোঝাবুঝি:
উল্কার মতো তার এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ভুগতে হয়েছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে। তাদের সংখ্যা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ।


যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনেও উইরাথুকে চিত্রিত করা হয় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে।


২০১৩ সালের জুলাই মাসে ম্যাগাজিনটির একটি সংখ্যার প্রচ্ছদে তার একটি ছবি ছাপিয়ে তাতে লেখা হয়: "এক বৌদ্ধ সন্ত্রাসীর মুখ।"


"ভুল বুঝে আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এক দল লোক আছে যারা আমার বদনাম করার জন্যে মিডিয়াকে অর্থ দিচ্ছে। আর এটা তো নিশ্চিত যে মুসলিমরাই অনলাইন মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে," বিবিসিকে ২০১৩ সালে একথা বলেন তিনি।


আশিন উইরাথুর উপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয় ২০১৫ সালে। ওই ডকুমেন্টারিতে তাকে বর্ণনা করা হয় একজন "বৌদ্ধ বিন লাদেন" হিসেবে।


কিছু কিছু পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমও খুব দ্রুতই তার এই নামটি লুফে নেয়। তবে উইরাথু বলেন, এরকম তুলনা তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।


আশ্বিন উইরাথু বলেন যে তিনি সহিংসতাকে ঘৃণা করেন। "আমি খুব খারাপভাবেও এর জবাব দিতে চাই না," বলেন তিনি।


জাতিসংঘের সাথে বিরোধ:
একান্ন বছর বয়সী উইরাথু বিতর্কের মধ্যেই বেঁচে আছেন এবং বেশিরভাগ বিতর্ক তিনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন।


মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিমদের দুঃখ দুর্দশা অনুসন্ধান করে দেখতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংগি লী-কে ২০১৫ সালে যখন সেদেশে পাঠানো হয়েছিল উইরাথু তখন তাকে একজন 'দুশ্চরিত্রা' ও 'বেশ্যা' হিসেবে গাল দিয়েছিলেন।


রাখাইনের গণহত্যায় সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদের ভূমিকা কী ছিল সেটা খতিয়ে দেখতে গতবছরেই আহবান জানানো হয়েছিলে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত বা আইসিসির পক্ষ থেকে প্রাথমিক এক তদন্তের সূচনা হওয়ার পরই এই আহবান জানানো হয়েছিল।


মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথু তখন পাল্টা আক্রমণ চালাতে শুরু করেন।


গত বছরের অক্টোবর মাসে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, "আইসিসি যেদিন এখানে আসবে, সেদিনই উইরাথু বন্দুক হাতে তুলে নেবে।"


রোহিঙ্গা সঙ্কট:
রাখাইন রাজ্যে ২০১২ সালে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হওয়ার জন্যে আশ্বিন উইরাথুর সমর্থকদের ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়। এর পরই সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।


এবিষয়ে ২০১৭ সালে ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উইরাথু বলেছিলেন, "অং সান সু চি বাঙালিদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাকে বাধা দিয়েছি।"


বর্মী জাতীয়তাবাদীরা রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে প্রায়শই বাঙালি বলে উল্লেখ করে থাকে। রোহিঙ্গাদেরকে বহিরাগত বোঝাতেই তাদেরকে বাঙালি বলা হয়।


ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির বিরুদ্ধে উইরাথু অভিযোগ আনেন যে ওই দলটি গোপনে মুসলিম এজেন্ডাকে সমর্থন দিচ্ছে।


বৌদ্ধ ধর্ম:
মিয়ানমারে কোন রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই। তবে দেশটিতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচণ্ড প্রভাব রয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশই বৌদ্ধ।


দেশটিতে কর্তৃপক্ষ শতাব্দীর পর শতাব্দী কাল ধরে বৌদ্ধ আশ্রমকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছিল। কিন্তু এর অবসান ঘটে ঊনবিংশ শতকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে।


ইরাবতী ও অন্যান্য নদীর কারণে অত্যন্ত উর্বর এই দেশের ভূমি। বৌদ্ধ আশ্রমগুলোও প্রচুর কৃষিজমির মালিক। ফলে দেশটিতে গড়ে উঠেছে অগণিত সুদৃশ্য বৌদ্ধ মন্দির।


মিয়ানমারের রয়েছে সামরিক শাসনের দীর্ঘ ইতিহাস। দেশটির সৈন্য সংখ্যা চার লাখেরও বেশি।


কিন্তু বৌদ্ধ ভিক্ষুর সংখ্যা তার চাইতেও অনেক বেশি। ধারণা করা হয় তাদের সংখ্যা কমপক্ষে পাঁচ লাখ। সামাজিকভাবেও তাঁরা শক্তিশালী, কারণ তাদের রয়েছে সামাজিক প্রভাব, প্রতিপত্তি এবং মর্যাদা।


মা বা থা
মুসলিমবিরোধী ও জাতীয়তাবাদী একটি দল গঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন আশিন উইরাথু। গ্রুপটির নাম ছিল ৯৬৯।


এই দলের সমর্থকরা বলছেন, নামের প্রথম ৯ হচ্ছে বুদ্ধের নয়টি বিশেষ গুণ, ৬ হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মের ছ'টি বিশেষ অনুশিক্ষা এবং শেষ ৯ হচ্ছে সংঘের নয়টি বিশেষ গুণ।


কিন্তু বাস্তবে এই ৯৬৯ গ্রুপটি মুসলমানদের বিরুদ্ধেই প্রচারণা চালাতে থাকে।


পরে দলটি রাষ্ট্রীয়ভাবেও সমর্থন পেতে শুরু করে এবং ২০১৩ সালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইন প্রকাশ্যে এই গ্রুপটির আন্দোলন এবং ওই আন্দোলনের সবচেয়ে প্রখ্যাত নেতা উইরাথুকে সমর্থন দেন। উইরাথুকে তিনি উল্লেখ করেন "বুদ্ধের সন্তান" হিসেবে।


এর কিছুদিন পরেই উইরাথু মা বা থা নামের আরো একটি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হন।


দলটির এই নামের অর্থ বার্মার দেশপ্রেমিক সমিতি। এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে। তারপর হু হু করে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। এক সময় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সংগঠনটি এবং এক পর্যায়ে ২০১৭ সালে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।


কিন্তু মান্দালায় মা সোয়ে ইয়েন আশ্রম থেকে উইরাথু কোন ধরনের বাধা ছাড়াই প্রচারণা অব্যাহত রাখেন।


তার অফিসে তিনি এমন কিছু ছবি স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে থাকেন যেগুলোতে, তার ভাষায়, মুসলিমদের সহিংসতার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।


গেরুয়া পোশাক পরিহিত উইরাথু বিবিসিকে ২০১৩ সালে যে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাতে তিনি কখনো মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ব্যাপারে অনুশোচনা প্রকাশ করেন নি।


বরং তিনি বলেন, "মুসলিমরা যখন দুর্বল থাকে শুধু তখনই তারা ভালো আচরণ করে। কিন্তু যখন তারা শক্তিশালী হয়ে উঠে তখন তারা নেকড়ে কিম্বা শৃগাল হয়ে যায়, তার পর তারা দল বেঁধে অন্যান্য প্রাণীদের উপর আক্রমণ করে।"


"মুসলিমরা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। তারা খ্রিস্টান ও হিন্দুদেরকেও আক্রমণ করে। আসলে তারা সবাইকে আক্রমণ করে। আপনি যদি এটা বিশ্বাস না করেন তাহলে আপনার পরমাণু প্রযুক্তি তালেবানকে দিয়ে দেখুন কী হয়, আপনার দেশ খুব শ্রীঘ্রই হারিয়ে যাবে," বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি।


ব্যাপক প্রভাব:
উইরাথু প্রায়শই বিদেশে ভ্রমণ করেন এবং শ্রীলঙ্কায় বদু বালা সেনা বা বিএসএস নামের একটি গ্রুপের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।


মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংস প্রচারণা চালিয়ে এই গ্রুপটিও কুখ্যাতি অর্জন করেছে।


"আজ বৌদ্ধ ধর্ম বিপদে পড়েছে। আমরা যদি এই বিপদ সঙ্কেত শুনতে পাই তাহলে আমাদের সবাইকে একসাথে হাত ধরতে হবে," ২০১৪ সালে কলম্বোর এক সমাবেশে বলেছিলেন উইরাথু।


কিন্তু তার এই ব্যাপক জনপ্রিয়তা মিয়ানমারের আশ্রমগুলোতে তখন আর ভালোভাবে গৃহীত হয়নি। সরকার সমর্থিত সংঘ কাউন্সিল ২০১৭ সালে তার ধর্মীয় বক্তব্য রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।


কিন্তু তিনি আসল বিপদে পড়তে শুরু করেন যখন তিনি মিয়ানমারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে আক্রমণ করেন, তার পর থেকেই।


সু চি-কে আক্রমণ:
"তিনি ফ্যাশনেবল কাপড় পরেন, মেকাপ দেন, হাই হিল জুতা পরেন এবং বিদেশিদের দিকে নিজের নিতম্ব নাড়িয়ে হেঁটে যান," মিয়ানমারের ডিফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির দিকে ইঙ্গিত করে উইরাথু একথা বলেন এপ্রিল মাসের এক সমাবেশে।


এছাড়াও মে মাসে দেওয়া এক ভাষণে সরকারের এক সদস্যের বিষয়ে তিনি বলেন যে ওই ব্যক্তি "একজন বিদেশীর সাথে ঘুমাচ্ছেন।"


ব্রিটিশ একজন শিক্ষাবিদ মাইকেল এরিসের সাথে অং সান সু চি-র বিয়ে হয়েছিল। মিস সু চি যখন সামরিক বাহিনীর হাতে গৃহবন্দী তখন তার স্বামী ১৯৯৯ সালে ক্যান্সারে মারা যান।


"উইরাথু খুবই জনপ্রিয় একজন ভিক্ষু। তার অনুসারীর সংখ্যাও প্রচুর। তিনি যখন মুসলিমদের আক্রমণ করেন তখন তার অনুসারীরা খুশি হয়। কিন্তু এই উইরাথুই যখন অং সান সু চি-কে আক্রমণ করেন তখন তার জনপ্রিয়তাও ধাক্কা খায়," বলেন মিয়াত থু, ইয়াঙ্গুন স্কুল অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা।


ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অং সান সু চি মিয়ানমারে পরিচিত "দ্যা লেডি" হিসেবে। কার্যত তাকে দেশটির প্রধান বলেই মনে করা হয়।


তার আনুষ্ঠানিক পদের নাম স্টেট কাউন্সিলর। প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট তার ঘনিষ্ঠ মিত্র।


মিয়ানমারের সংবিধানের কারণে অং সান সু চি কখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না কারণ তার সন্তানরা বিদেশি নাগরিক।


বেসামরিক সরকার মিস সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এই বাধা সরিয়ে দিতে চায় কিন্তু ভিক্ষু আশিন উইরাথু সংবিধানের এই পরিবর্তনের বিরোধী।


"লোকজনের কাছে অং সান সু চির জনপ্রিয়তা প্রচুর। এমনকি অনেক কট্টরপন্থী ভিক্ষু, যারা উইরাথুর সাথে আছেন, তারাও এখন তার এই সু চি-বিরোধী অবস্থান মেনে নিতে পারবেন না," বলেন মিয়াত থু।


"উইরাথু যদি শুধু সংবিধানের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাহলে সরকারের পক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হতো। কিন্তু তিনি তো অং সান সু চিকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন যা মানুষ ভালভাবে নেয় নি।"


তিনি বলেন, "এখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়ে গেছে।"


কিন্তু তারপরেও আশিন উইরাথু দমবার পাত্র নন। তিনি বলেন, "তারা যদি আমাকে গ্রেফতার করতে চায়, তারা সেটা করতে পারে।"

আমেরিকায় গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে বাংলাদেশি আটক

আমেরিকায় গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে বাংলাদেশি আটক

admin June 08, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গ্রেনেড সংগ্রহ করে তা দিয়ে মিডটাউন ম্যানহাটনের সবচেয়ে জনাকীর্ণ সড়ক মোড় টাইম স্কয়ারে নিজেকে বিস্ফোরিত করে দেয়ার আলোচনার অভিযোগে নিউ ইয়র্কের এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার আটক আশিকুল আলম (২২) নামের এই যুবক সেখানকার কুইন্স বারোর জ্যাকসন হাইটসে থাকেন। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


শুক্রবার তাকে ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ তোলা হবে, তা এখনো পরিষ্কার হওয়া যায়নি। একটি অস্ত্র কিনতে যাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, আশিকুল আলাপচারিতায় টাইমস স্কয়ারে গ্রেনেড হামলা চালানোর ইচ্ছা প্রকাশের পর নজরদারিতে ছিলেন। ছদ্মবেশে একজন গোয়েন্দা তার পিছু নেয়।


তার সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে আলোচনা করেন আশিকুল। সিরিয়াল নম্বর নষ্ট করা আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে চান তিনি। এফবিআই এজেন্ট ও নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট টেররিজম টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে।


এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগ। কথা বলার জন্য তারা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কথা উল্লেখ করলেও সেখান থেকেও মন্তব্য করতে অস্বীকার জানানো হয়েছে।


দ্য নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওই যুবক গ্রেনেড কিনে তা দিয়ে টাইম স্কয়ারে হামলার বিষয়ে জানতে খোঁজখবর নিচ্ছেন দেশটির পুলিশ ও ফেডারেল কর্তৃপক্ষ তা জানতে পেরে তাকে আটক করে।

এইউ-তে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত

এইউ-তে সুদানের সদস্যপদ স্থগিত

admin June 07, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বিক্ষোভরত জনগণের উপর শক্তি প্রয়োগে সুদানের সদস্য পদ স্থগিত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। বিক্ষোভের মুখে গত এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী।


তবে এরপরও বিক্ষোভ চলমান থাকে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় সরকারি বাহিনী।


ক্ষমতা হস্তান্তরে চলমান সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি। খবর বিবিসির।


ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বৃহস্পতিবার এইউ’র পাঁচ ঘণ্টার জরুরি বৈঠক শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়। সংস্থাটির অফিসিয়াল টুইটার পেজে বলা হয়, এইউর পিস এন্ড সিকিউরিটি কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে সুদানের সদস্য পদ স্থগিত করছে। বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এইউ’র সব কমিটিতে নিষিদ্ধ থাকবে সুদান।


গত ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বশিরের বিদায়ের পর ক্ষমতায় রয়েছে দেশটির সেনা কাউন্সিল। বেসামরিক সরকার গঠনে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় আলোচনাও হয়। তবে সোমবার সেনা কাউন্সিল আলোচনার মাধ্যমে পূর্বে গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে। এরপরই বিক্ষোভকারীদের উপর এই শক্তি প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।

সুদানে সেনাদের গুলিতে নিহত বেড়ে ১০০

সুদানে সেনাদের গুলিতে নিহত বেড়ে ১০০

admin June 07, 2019

নিউজ ডেস্ক:
আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমে সেনবাহিনীর নির্বিচার গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সামরিক বাহিনীর সদরদফতরের সামনে ‘গণতন্ত্রকামী’ নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পর পার্শ্ববর্তী নীলনদ থেকে ৪০ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।


এই ৪০ জন ‘গণতন্ত্রকামী’ বিক্ষোভকারী ছিলেন বলে জানাচ্ছে আন্দোলনকারীদের সমর্থক সেন্ট্রাল কমিটি অব সুদান ডক্টরস (সিসিএসডি)। খবর গার্ডিয়ানের।


গত সোমবার খার্তুমে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে ওই হামলার পর বুধবার রাতে সিসিএসডি এ খবর জানায়। এর আগে হামলায় ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। নীলনদ থেকে ৪০ জনের লাশ উদ্ধারের ফলে এ ঘটনায় নিহত বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০০ জনে।


দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকেই রুটি ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশটির রাষ্ট্রপতি বশির আল-ওমরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের কারণে এই বিক্ষোভ উল্টো তার পতনের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেয়।


গত ৬ এপ্রিল থেকে খার্তুমে সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এসব ঘটনার জেরে ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বশিরের পদত্যাগ ঘোষণা করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে আনন্দে মেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সে আনন্দ ছিল কিছু মুহূর্তের মাত্র। কারণ বশিরের পদত্যাগের পর ক্ষমতা নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।


পরে সামরিক বাহিনীকে বশিরেরই অংশ হিসেবে দাবি করে ফের বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। ১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকাকালে বশির আল-ওমর ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদীকে উৎখাত করেন।


পরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন তিনি। কয়েকবছর ধরে তার বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেসব উতরে ৩০ বছর ধরে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির ক্ষমতায় আসীন ছিলেন তিনি।

পাকিস্তানেও আগামীকাল ঈদ

পাকিস্তানেও আগামীকাল ঈদ

admin June 05, 2019

পাকিস্তানে আজ মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। কাজেই আগামীকাল বুধবার দেশটিতে ঈদ উদযাপিত হবে। ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, এক সংবাদ সম্মেলনে রুইত-ই-হিলাল কমিটির প্রধান মুফতি মুনিব উর রহমান মঙ্গলবার চাঁদ দেখার কথা ঘোষণা করেছেন।


তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখার খবর তিনি পেয়েছেন। এছাড়া চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর তাদের কাছে ক্রমাগত আসতেছে।


এদিকে ভারতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল বুধবার দেশটিতে ঈদ উদযাপন করা হবে। দেশটির ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


খালিজ টাইমসের খবর বলছে, সোমবারে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাত আজ মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে।


মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে দিল্লিতে চাঁদ দেখা দেছে। চাঁদটি খুব পরিষ্কারভাবে দেখেছেন অনেকেই। তাই ভারতজুড়ে আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ফিনল্যান্ডে পৌছেছেন প্রধানমন্ত্রী

admin June 04, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে পাঁচদিনের জন্য ফিনল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার তাকে বহনকারী লুফথানসা এয়ারের বিমানটি স্থানীয় সময় বেলা ১টা ১০ মিনিটে দেশটির হেলসিনকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফিনল্যান্ডের যাওয়ার পথে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চারঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী।


এরআগে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে তিনদিনের এক সরকারি সফর শেষে স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ মিনিটে জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্র্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করেন।


ফিনল্যান্ডে সফরকালে শেখ হাসিনা ৪ জুন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সাথে বৈঠক করবেন। ৭ জুন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড ত্যাগ করবেন। পরের দিন তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।



এর আগে ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী টোকিও’র উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথমভাগে তিনি জাপান সফর করেন।


শেখ হাসিনার চারদিনের জাপান সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে দু’দেশের মধ্যে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ৪০তম অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী জাপানে ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক নিক্কেই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, তার সম্মানে আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি ভোজসভায় অংশ নেন।


এছাড়াও এ সফরকালে হলি আর্টিজেনের ঘটনায় নিহত জাপানী নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা পৃথকভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।


৩১ মে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের উদ্দেশে জাপান ত্যাগ করেন। তিনি মক্কায় ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন ২০১৯ তে অংশ নেন।


তিনদিনের সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মক্কায় ওআইসি ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে যোগ দেন, পবিত্র ওমরা পালন করেন এবং মদিনায় মহানবী হজরত মুহম্মদ সা. এর রওজা মুবারক জিয়ারত করেন।

মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল ফিতর মঙ্গলবার

মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল ফিতর মঙ্গলবার

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার (০৪ জুন) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। এছাড়া এ দিন মধ্যাপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও ঈদ উদযাপন হবে।


সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আরবের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।


সৌদি সুপ্রিম কোর্টের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়।


দেশজুড়ে সব মুসলমানদের মঙ্গলবার ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যেন সেই দেশে অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেছেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ বোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত হয়নি।


কারণ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন তা সৃষ্টিতে মিয়ানমার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শনিবার পবিত্র মক্কা নগরীতে ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪তম সম্মেলনে এশীয় গ্রুপের পক্ষ থেকে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের এবারের শিরোনাম ‘মক্কা আল মোকাররমা শীর্ষ সম্মেলন : ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে’।




[caption id="" align="aligncenter" width="1008"]ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।[/caption]

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিকূল অর্থনৈতিক, প্রতিবেশ ও নিরাপত্তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা রুজুর বিষয়েও সবার সহযোগিতা কামনা করেন।


তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক, প্রতিবেশ এবং নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ওআইসিকে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ওআইসির নিজস্ব সমস্যাগুলো মোকাবেলার সক্ষমতা থাকা উচিত।’


আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মাধ্যমেই জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পথ তৈরি হয়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াকে এতদূর এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই মামলা রুজুর বিষয়ে স্বেচ্ছা তহবিল সংগ্রহ এবং কারিগরি সহযোগিতার জন্য।’


সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাই।’


সন্ত্রাস বন্ধে তিনি রিয়াদ সম্মেলনে ঘোষিত মুসলিম বিশ্বের জন্য প্রদত্ত তার ৪ দফা নীতির কথা স্মরণ করেন। যার মধ্যে রয়েছে- অস্ত্রের জোগান বন্ধ করা, সন্ত্রাসের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যকার বিভাজন দূর করা এবং সংলাপের মাধ্যমে যে কোনো প্রকার দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান।


ফিলিস্তিন সমস্যা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওআইসি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরে পাওয়া, মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জনগণের মধ্যে একতা ও সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আস্থাশীল ছিল। কিন্তু ৭ দশক কেটে গেছে ফিলিস্তিনিদের সমস্যার আজও সমাধান হয়নি। আমাদের জাতি এবং সম্প্রদায়গুলো এখন পর্যন্ত দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।’


তিনি বলেন, ‘ইসলাম একদা অন্ধকার বিশ্বে আলোকবর্তিকা নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য তা আজ ভুলপথে সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থার নীতি নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।’


শ্রীলংকার ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা হামলা এবং নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দুটি ঘটনাতেই শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রীলংকার সন্ত্রাসী হামলার নিন্দাও জানিয়েছি, যেখানে আমার নাতি ৮ বছরের শিশু শেখ জায়ান নিহত হয়।’


দারিদ্র্যকে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য মূলত অজ্ঞতা, দুর্যোগ এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দায়ী। এই অসামঞ্জস্য দূর করতে আমাদের যৌথভাবে অ্যাকশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।’


শেখ হাসিনা এ সময় ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফরম মাইগ্রেশন)-এর উপ-মহাপরিচালক পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থী অভিবাসন বিশেষজ্ঞ পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হককে তাদের মূল্যবান সমর্থন দেয়ার অনুরোধ জানান।


প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বকে একটি শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তোলায় তার (বঙ্গবন্ধু) দূরদর্শিতা, সহনশীলতা এবং সমমর্মিতা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার বিকালে সৌদি আরব পৌঁছেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

‘রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসুন’

admin June 01, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
নির্যাতিত মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ভোররাতে সৌদি আরবের মক্কার সাফা প্যালেসে ইসলামি দেশগুলোর জোট ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।


অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বাস্তুতন্ত্র নিয়ে বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তা মোকাবিলায় ওআইসিকে একটি কৌশল গড়ে তোলার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা, যাতে জোটের সদস্য দেশগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে। ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের বাদশাহ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধরা অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।


শুক্রবার রাতে শুরু হওয়া এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের স্বাগত জানান সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য দেন সৌদি বাদশাহ। সংস্থার মহাসচিবের বক্তব্যের পর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য দেন।


সম্মেলনে ওআইসির এশিয়া গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিপীড়িত হওয়া এবং তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।


শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার রাখাইন অঞ্চলে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত।



গত মার্চে আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এবং জবাবদিহি ও বিচার সম্পর্কিত প্রশ্নের বিষয়টি সামনে আনার লক্ষ্যে এই ইস্যুকে আন্তনর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার একটি পথ নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।


এ প্রক্রিয়াকে এতদূর নিয়ে আসার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় তহবিল ও কারিগরি সহায়তার দিয়ে মামলাটি চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আছে আবেদন করছি।’ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রতি বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ তিনি তা মোকাবেলায় ওআইসির সক্রিয়তা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।


রিয়াদ সম্মেলনে নিজের দেয়া চারটি প্রস্তাব মক্কা সম্মেলনেও তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হল- অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করা, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ভেদাভেদ নিরসন, সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল অন্ধকার জগতের আলোকবর্তিকা হিসেবে। কিন্তু অপব্যাখ্যার কারণে সন্ত্রাসবাদ ও সংঘাতের ভাবধারা হিসেবে ইসলামকে ভুলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।’


শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘খ্রিস্টান চার্চ আক্রমণের দুঃখভোগী পরিবারের প্রতি আমরা সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়েছি, যে হামলার আমার আট বছর বয়সী নাতি শেখ জায়ানও নিহত হয়।’


ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সাহায্য-সহযোগিতাহীন মানুষ যেভাবে হত্যাকাণ্ডে শিকার হচ্ছে সেসব অসহায় মানুষের বেদনা ও যন্ত্রণার সঙ্গেও সংহতি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ওআইসি যে লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়ার কথাও সম্মেলনে তুলে আনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের জমি ও সার্বভৌমত্বের অধিকার ফিরিয়ে আনতে, উম্মাহর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা এবং মুসলিম বিশ্বের জনগণের মধ্যে একাত্মতা ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য লক্ষ্যে ওআইসির জন্য হয়েছিল। কিন্তু সাত দশক পরেও ফিলিস্তিনের সমস্যা এখনও বিদ্যমান এবং এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহ এখনও বিভক্ত।


মুসলমানদের অমর্যাদা ও দুর্ভোগের অবসানের পথ নির্দেশনা তৈরি করতে সৌদি বাদশাহর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে রয়েছে অর্থনীতি, বাস্তুতন্ত্র ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ। এসব মোকাবেলায় ওআইসিকে একটি বিস্তৃত কৌশল গড়ে তুলতে হবে, যার মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের জন্য কাজ করতে পারে।’


তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কৌশলগত সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং যুবশক্তির বেশিরভাগই রয়েছে আমাদের হাতে। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরেই সমাধান করার সমক্ষতা থাকা উচিত।’


দরিদ্রকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অসঙ্গতি মোকাবেলার জন্য যৌথ ইসলামী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওআইসি-২০২৫ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। ওআইসির ইন্সটিটিউশনগুলোকে বিশেষ করে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের নীতিমালা ও অনুশীলনগুলোকে ওআইসির এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার ওপরও জোর দেন তিনি।


‘পণ্য বাজারজাত ও পরিষেবায় ধারণা ও উদ্ভাবন আজ ইসলামী বিশ্বের প্রয়োজন’ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আওএম) উপ মহাপরিচালক পদে প্রার্থী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের জন্য ইসলামী দেশগুলো নেতাদের সমর্থন চান।


এর আগে ওআইসির চতুর্দশ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকালে জাপান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেন শেখ হাসিনা।


সৌদি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়াও রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।


সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় ওমরাহ পালন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর রোববার মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন তিনি।


সৌদি আরব সফর শেষে মদিনা থেকে জেদ্দা ফিরে সোমবার ভোরে ফিনলান্ডের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ফিনল্যান্ড সফর শেষে ৮ জুন দেশ ফিরবেন তিনি। ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা।

ভার্জিনিয়ায় সরকারি দফতরে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ১২

ভার্জিনিয়ায় সরকারি দফতরে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ১২

admin June 01, 2019

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি সরকারি দফতরে এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।


পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারীও নিহত হন। তবে, পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি। খবর বিবিসির।


পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে) ওই সরকারি কর্মচারী তাকে 'অন্যায়ভাবে' চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে সহকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে।


এ ঘটনায় এক পুলিশ অফিসারও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে ভার্জিনিয়া বিচ মিউনিসিপাল সেন্টারে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।


খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে ওই অফিসটি ঘিরে ফেলে এবং ভবন থেকে লোকজনকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করে। একপর্যায়ে তারা বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করে।

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে ওয়াশিংটন ডিসি'র এলিপস পার্কে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে দর্শকদের সামনেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।


৫২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এলিপস পার্কটি হোয়াইট হাউসের দক্ষিণে অবস্থিত। এর অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি'র কেন্দ্রস্থলে, ন্যাশনাল মলের উত্তরে এবং ওয়াশিংটন স্মৃতিস্তম্ভ'র ঠিক উত্তরে।


দেশটির সিক্রেট সার্ভিস'র মুখপাত্র জেফ্রে অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, 'খবর পেয়ে মুহূর্তেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা ওই ব্যক্তির শরীরের আগুন নিভিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


ওয়াশিংটনের ফায়ার সার্ভিসের একজন মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'এলিপস পার্ক থেকে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে সহায়তা করছি।


ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।


একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ন্যাশনাল মলের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তিকে এলিপস পার্কের ভেতর দৌড়ে যেতে দেখেন। এরপরই দেখা যায় ওই ব্যক্তির সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।


এর আগে গত ১২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের গেইটের সামনে একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে নিজের জ্যাকেটে আগুন ধরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সূত্র : সিএনবিসি

দুই শিশু-অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা

দুই শিশু-অন্তঃসত্ত্বাসহ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যা

admin May 28, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
আফগানিস্তানে একই পরিবারের সাতজনকে খুন করল দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের পিডি-থ্রি জেলার কার্তে-ই-সাখি এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ওই দুর্বৃত্তদের কোনও পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং দুজন শিশু।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে আটমাসের একজন গর্ভবতী মহিলাও আছেন। মৃতদের এক আত্মীয় আতাউল্লা বাহাদুরি বলেন, এই হামলার জেরে তিনজন মহিলা, দুজন শিশু ও দুজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জখম হয়েছে দুটি শিশু। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ওই পরিবারের প্রধান ও তাঁর স্ত্রী, তাঁদের বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকা, বড় ছেলের দুই শিশুপুত্র রয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দের গুলি করে হত্যা করে ওই বন্দুকধারীরা । তারপর দুটি শিশুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাদের খুন করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই পালিয়ে যায় তারা।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় প্রচুর ডাকাতি, খুন ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকবার দরবার করলেও কোনও লাভ হয়নি।


উল্লেখ্য রবিবার সকালেই কাবুলের পিডি-ফাইভ জেলার কার্তে-ই-নাউ এলাকায় বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার আগে শনিবার কাবুলের ডাউনটাউন এলাকায় অবস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের সামনে এক ব্যক্তি খুন করে দুর্বৃত্তরা।

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

টেলিফোনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

admin May 27, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
শান্তির আলোচনায় বসতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বোববার টেলিফোনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ইমরান।


কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলাল ঘটনার পরে এই প্রথম টেলিফোনে কথা বললেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


ইমরান খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান ভারতের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি জানিয়েছেন।


এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেদের বিশ্বাস বাড়াতে হবে, হিংস্রতা মুক্ত এবং সন্ত্রাসবাদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় দেশ তাদের জনগণের কল্যাণে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।


এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মোদিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সরকারি লাইনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইমরানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইটা সবার আগে লড়তে হবে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য।


এই অঞ্চলে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা আর সংঘর্ষ বন্ধ করাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি ইমরান খানকে সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। সূত্র: এএফপি

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three