Showing posts with label আত্মহত্যা. Show all posts
Showing posts with label আত্মহত্যা. Show all posts
ঠাকুরগাঁওয়ে ঋণ শোধ না করতে পেরে কৃষকের আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁওয়ে ঋণ শোধ না করতে পেরে কৃষকের আত্মহত্যা

admin June 16, 2019

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কুঞ্জমোহন সিংহ (৪০) নামে এক কৃষক ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের নাগেশ্বরবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুঞ্জমোহন সিংহ একই এলাকার বাসিন্দা।


স্থানীয়রা জানান, কুঞ্জমোহনের বড় মেয়ে বেলী রাণীর বিয়ে দিতে এলাকার দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে ঋণ নিয়েছিলেন। কথা ছিল ঘরে ফসল তোলার পর তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করবেন।


কিন্তু বিধির বাম! ধানের ফলন ভাল হলেও বাজার দর নিম্মমুখী। কম দামে ধান বিক্রি করে কুঞ্জমোহন দাদন ব্যবসায়ীর সুদ ও আসল টাকার দাবি মেটাতে ব্যর্থ হন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।


স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জি বলেন, কুঞ্জমোহন ঘটনার দিন রাতে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি মেহগনি গাছে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ এ খবর পেয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে থানায় নেয়। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে তার সৎকার করা হয় ।


কুঞ্জমোহনের স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী জানান, সংসারে চাহিদা মেটাতে তার স্বামী খোচাবাড়ি গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী আবদুল মান্নানের কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন।


টাকার জন্য ওই দাদন ব্যবসায়ী তাদের বাড়িতে আসেন। তবে ধান বিক্রি না হওয়ায় তার স্বামী ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এর কয়েকদিন পরেই কাউকে না জানিয়ে তার স্বামী এ পথ বেছে নেন।


এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরু হক বলেন, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ওই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে। তবে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা

admin June 14, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বরগুনার পাথরঘাটায় এক যুবক ঘরে আগুন দিয়ে সৎ মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


গত বুধবার গভীর রাতে রুহিতা গ্রামের এ ঘটনায় মেয়েটির মা দগ্ধ হয়েছেন বলে পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ শিকদার জানিয়েছেন।


নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সাজেনূর বেগমের মেয়ে সখিনা (১০) ও সাজেনুরের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হোসেন (৩৫)।


সাজেনুরের চাচাত ভাই মো. ইব্রাহিম বলেন, বছর দেড়েক আগে ৩০ বছর বয়সী সাজেনুরের সঙ্গে বেলালের বিয়ে হয়। প্রথম দিকেই কলহ দেখা দিলে একাধিকবার শালিস হয়। সাজেনূর ও তার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দেন বেলাল।


গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ঘরে আগুন দিয়ে বেলাল দরজা বন্ধ করে দেন। আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করার আগেই সখিনা মারা যায়। সাজেনুরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ে। এদিকে বেলাল একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, সাজেনুরের শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।


তার চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির।


শাজেনূরের ফুফাতো বোন ফাতেমা বেগম জানান, দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে শাজেনূর জানিয়েছেন, রাতে তার ঘরে হঠাৎ করে আগুন জ¦লে উঠে। এ সময় মা-মেয়ে ঘর থেকে বের হতে চাইলে (তার দ্বিতীয় স্বামী) বেলাল হোসেন রাম দা দিয়ে ধাওয়া দেয়, এজন্য তারা ঘর থেকেও বের হতে পারেননি। এতে ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে মারা যায় কারিনা। দগ্ধ হন শাজেনূর। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীরা।


পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. জিয়া উদ্দিন আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শাজেনূর নামে এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে।


পাথরঘাটা থানা ওসি হানিফ শিকদার বলেন, ময়না-তদন্তের জন্য শিশু কারিনার লাশ বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জোর করে বিয়ে দিতে চাওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

জোর করে বিয়ে দিতে চাওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

admin June 12, 2019

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
হিলিতে কীটনাশক খেয়ে মেহেনাজ আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সে হাকিমপুর ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্রী।


মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে উপজেলার বিশাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মেহেনাজকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক করায় সে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।


এদিকে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন তার বাবা ও মা।

বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

admin June 05, 2019

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টীকাদারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।


জ্যোতি টীকাদারের গলার সামনের অংশে কালো দাগ রয়েছে জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন মজুমদার।


জ্যোতির পরিবার দাবি করছে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।


বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই আলমগীর জানান, দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে জ্যোতির বাসায় যান তারা। এ সময় তার পরিবার জানায়, রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় জ্যোতিকে পাওয়া যায়। তখন তাদের বাসায় শুধুমাত্র জ্যোতি ও তার স্ত্রী ছিলেন।


আলমগীর বলেন, ‘জানতে পেরেছি, রাতে কোনো এক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে জ্যোতি তার রুমের দরজা লাগিয়ে দেন। তার স্ত্রী পাশের রুমে রাতযাপন করেন। এর মধ্যে কারো সঙ্গে তার কথা হয়নি। রাতে আর কেউ কারো খোঁজ নেননি।’


এসআই জানান, দুপুরেও ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে জ্যোতির রুমের চাবি এনে দরজা খোলেন স্ত্রী। দেখতে পান সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পাশের বাসায় বসবাসরত শ্বশুরকে ফোন করেন তিনি। তিনি এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে বঁটি দিয়ে ওড়না কেটে ছেলেকে নিচে নামান।


এসআই আলমগীর হোসেন মজুমদার জ্যোতির মৃতদেহের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তার জিহ্বা বের করা অবস্থায় দাঁত দিয়ে চেপে ছিল। গলার সামনের অংশে কালো দাগ রয়েছে, চেহারা কিছুটা কালো হয়ে গেছে। পায়ের নিচও কালো হয়ে গেছে। তবে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

রংপুরে কারমাইকেল কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

রংপুরে কারমাইকেল কলেজছাত্রের আত্মহত্যা

admin June 04, 2019

স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরে পরিবারের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আরাফাত হোসেন (২৫) নামে এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছেন।


সোমবার (৩ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর কলেজ পাড়ার আকবারিয়া মসজিদ সংলগ্ন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।


আরাফাত হোসেন ভূমি কর্মকর্তা মরহুম ওয়াদুদ আলীর বড় ছেলে। তিনি কারমাইকেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান (অনার্স) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।


পারিবারের সাথে অভিমান করে আরাফাত জিআই তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারনা করলেও নিহতের পরিবার আরাফাতকে অসুস্থ বলে দাবি করছেন।


তাজহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আরাফাত হোসেন এরআগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলে আত্নহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে পুড়ে আত্মহত্যা চেষ্টা

admin May 31, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পাশে ওয়াশিংটন ডিসি'র এলিপস পার্কে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে দর্শকদের সামনেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।


৫২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এলিপস পার্কটি হোয়াইট হাউসের দক্ষিণে অবস্থিত। এর অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি'র কেন্দ্রস্থলে, ন্যাশনাল মলের উত্তরে এবং ওয়াশিংটন স্মৃতিস্তম্ভ'র ঠিক উত্তরে।


দেশটির সিক্রেট সার্ভিস'র মুখপাত্র জেফ্রে অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, 'খবর পেয়ে মুহূর্তেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা ওই ব্যক্তির শরীরের আগুন নিভিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


ওয়াশিংটনের ফায়ার সার্ভিসের একজন মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'এলিপস পার্ক থেকে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে সহায়তা করছি।


ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।


একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ন্যাশনাল মলের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ এক ব্যক্তিকে এলিপস পার্কের ভেতর দৌড়ে যেতে দেখেন। এরপরই দেখা যায় ওই ব্যক্তির সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।


এর আগে গত ১২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের গেইটের সামনে একটি ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে নিজের জ্যাকেটে আগুন ধরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সূত্র : সিএনবিসি

নিজের দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা

নিজের দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
যশোরের শার্শা উপজেলায় শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়ার জেরে দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের চালিতাবাড়ীয়া দীঘা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের চা দোকানি ইব্রাহিমের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৫), তার মেয়ে শরিফা খাতুন (১২) ও ছেলে সোহান হোসেন (৫)। জানা গেছে, সন্তানদের কীটনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যার পর নিজেও ওই ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন হামিদা। ঘটনার সময় ইব্রাহিম দোকানে ছিলেন।


বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সুকদেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ৩টি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য যশোরে পাঠানো হবে।

নীলফামারীতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নীলফামারীতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

admin May 26, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বড় বোনের সাথে ঝগড়া করে তামান্না আক্তার টিয়া নামের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।


শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার উত্তর কেতকীবাড়ি পাটোয়ারী পাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির শোয়ার ঘরে গলায় গামছা পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। সে ওই এলাকার আইনুল ইসলাম লাবুর মেয়ে ও চিলাহাটি গার্লস স্কুল এণ্ড কলেজের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র।


কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু জানান, দুপুরে বড় বোন এসএসসি পরিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা ময়না ও ছোট বোন তামান্না আক্তার টিয়া দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এর একপর্যায়ে তামান্না নিজ শোয়ার ঘরে ঢুকে ভিতর হতে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের আড়ার সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক নুরল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

দেনার দায়ে ক্রিকেটারের আত্মহত্যা!

দেনার দায়ে ক্রিকেটারের আত্মহত্যা!

admin May 12, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
ভারতের মহারাষ্ট্রের ভিরারের পূর্ব সাইবা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতেন তিনি। ক্রিকেট খেলে যে আয় হতো, তা দিয়ে সংসার চলত না বিনোদের। তাই খেলার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরিও করতেন তিনি। কিন্তু দেনার দায় এতটাই বেড়ে গিয়েছিল, বাধ্য হয়ে মা সঞ্জিবনী চৌগুলের সঙ্গে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।


বিনোদের বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। মায়ের সঙ্গে আলাদা ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি ভিরারের নারাঙ্গির একটি ফ্ল্যাটে। মায়ের সঙ্গে ছোট সংসার। কিন্তু আয়ের চেয়ে খরচ এতটাই বেশি হচ্ছিল, দিন দিন ঋণ বেড়েই চলতে থাকে। এই টাকা শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় পুলিশ তেমনটাই ধারণা করছে। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।


গত শুক্রবার রাতে ভিরারের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিনোদ ও তাঁর মা।


ক্রিকেটপাগল দেশ ভারতে একজন ক্রিকেটারের মৃত্যুতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় তরুণ ক্রিকেটারদের বৃত্তির দাবি তুলেছিলেন। কারণ, ক্রিকেটাররা ব্যর্থ হলে জীবিকার জন্য অন্য পথ বেছে নিতে পারেন না। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে অনেক সময় তাদের পড়াশোনা ঠিকভাবে হয় না। তাই ভারতীয় বোর্ডকে বিষয়টি নিয়ে ভাবার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী তমা খানের আত্মহত্যা

বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী তমা খানের আত্মহত্যা

admin May 09, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মডেল ও অভিনেত্রী তমা খান ‘বসগিরি’, ‘মেন্টাল’, ‘ধ্যাততেরিকি’ ছবির পরিচালক শামীম আহমেদ রনির স্ত্রী। তমা খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর আদাবরের বাসা থেকে বুধবার রাতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলেছে তমা খান আত্মহত্যা করেছেন ।


মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোপাল গণেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তমা খানের লাশ এখন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তমা কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায় নি। তবে তমা তার ফেসবুকে শামীম আহমেদ রনির সাথে বিয়ের ছবিসহ বেশ কিছু ছবি পোষ্ট দিয়ে লিখেছেন ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’।


থিয়েটার ও ছোট পর্দার সঙ্গে যুক্ত তমা খান ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নির্মাতা রনিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের বছর কয়েকের মধ্যেই রনি ও তমার দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। এ নিয়ে তমা সোশাল মিডিয়াসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন।


গত বছর তমা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘রনি অনেক দিন ধরেই অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা বৈবাহিক সূত্রে স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু রনি সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমাদের মাঝে ডিভোর্স হয়ে গেছে। সে আমাকে জাল তালাকনামা পাঠিয়েছে। আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। কাল কিংবা পরশু প্রতারণা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করবো।’


আমরা অনেক দিন ধরেই আলাদা থাকছি। তবে আমাদের মাঝে এখনো আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়নি। দাম্পত্যজীবনে রনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, শারীরিক নির্যাতন করেছে।’


শাকিব খান-বুবলিকে নিয়ে ‘বসগিরি’ নির্মাণ করে আলোচনায় আসেন নির্মাতা শামীম আহমেদ রনি। চিত্রনায়িকা বুবলির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এই নির্মাতার হাত ধরে।শাকিব-অপুর বিয়ের খবর যখন ফাঁস হয় তখন ফেসবুক স্ট্যাটাসে তমা জানিয়েছিলেন স্বামীর কাছে তিনি প্রতারণার শিকার।

রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দুই বৃদ্ধের আত্মহত্যা

রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দুই বৃদ্ধের আত্মহত্যা

admin August 27, 2018

নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাইয়ে পৃথক ঘটনায় দুই বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছে। গত শনিবার পৃথক সময়ে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের দিঘার পাড় গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল খালেক (৫০) ও কবিনগর গ্রামের মৃত ইন প্রামানিকের ছেলে দুদু প্রামানিক (৫৫)।


আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, আবদুল খালেক দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শনিবার বিকেলে ৫টার দিকে বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।



[পাবনায় পিতা ও সৎ ভাইয়ের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর গর্ভপাত, এরপর...]

অপরদিকে দুদু প্রামানিক দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বাড়িতে গ্যাসের ট্যাবলেট খান। বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে প্রথমে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সাড়ে ৯ টার দিকে পথিমধ্যে তিনি মারা যান। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

সৈয়দপুরে পুলিশ সদস্য ও তরুনীর আত্মহত্যা

সৈয়দপুরে পুলিশ সদস্য ও তরুনীর আত্মহত্যা

admin August 24, 2018

নীলফামারী: জেলার সৈয়দপুরে পৃথক স্থানে প্রায় একই সময়ে এক পুলিশ সদস্য ও এক তরুনীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। উভয়ই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আজ সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। তবে দুই আত্মহত্যার মধ্যে কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কি'না তা জানা যায় নি।


সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর সৈয়দপুরে একজন কনস্টেবলের ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় শহরের নতুন বাবুপাড়াস্থ পুলিশ ব্যরাক থেকে উদ্ধারকৃত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আলী খান্দান (২২)। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার পুরান লক্ষীপুর গ্রামে। তিনি গতকালই ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরেছিলেন। গত দুই বছর আগে তার পুলিশে চাকুরি হয়।


নীলফামারী সৈয়দপুরে ২৪ আগস্ট শুক্রবার আলী খানদান (২২ ) নামে এক রেলওয়ে পুলিশ কন্সটেবলের গলায় গামছা পেচানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে। নিহত পুলিশ কন্সটেবল গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলা সদরের পুরান লক্ষীপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে।


রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সৈয়দপুর সদর দপ্তরের পুলিশ লাইনে অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকতো কন্সটেবল আলী খানদান। সেখানে তিনিসহ প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য ট্রেনিংয়ের জন্য অবস্থান করতেন। কুরবানীর ঈদ উপলক্ষ্যে সদস্যরা ক্যাম্প ছেড়ে নিজ নিজ বাসায় চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈদের ছুটি শেষে আলী খানদান ক্যাম্পে ফেরত আসে একাকী। শুক্রবার দুপুরে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিতে ক্যাম্পে চলে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায় অন্যান্য সদস্যরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা) মৃতদেহ পুলিশ লাইনে রাখা ছিল।


এ ঘটনায় পুলিশ ব্যারাক ও আশেপাশের এলাকাসহ পুরো শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে ব্যাপক কানাঘুষা চলছে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. তাজ উদ্দিন আহমেদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষেই জানা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা।


খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, লাশের গলায় গামছার দাগ ছাড়া শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন হবে।


অপরদিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ী এলাকায় এক যুবতীর গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত যুবতীর নাম জয়তুন নেসা জ্যোতি (১৮)। সে ওই এলাকার মো. ইমরানের কন্যা।


জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে জ্যোতিকে বাড়িতে একা রেখে বাড়ির সবাই ঈদ উপলক্ষ্যে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যায়। আত্মীয় বাড়ি থেকে ফিরে দেখতে পায় যে বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বার বার ডাকা ডাকি করেও জ্যোতির কোন সারা না পেয়ে লোকজন দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা ঘরের ফ্যানের সাথে জ্যোতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তারা তারি করে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিবারের লোকজনও বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন মন্তব্য করছেন না। ফলে বিষয়টি রহস্যজনক হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।

অসুস্থতা কাটিয়ে কাজে ফিরে বেতন ৬ টাকা, অবসাদে আত্মহত্যার চেষ্টা

অসুস্থতা কাটিয়ে কাজে ফিরে বেতন ৬ টাকা, অবসাদে আত্মহত্যার চেষ্টা

admin August 24, 2018

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অজয় নামে একব্যক্তি কাজ করতেন একটি ফুটওয়্যার কোম্পানিতে। গত ২৭ জুলাই ফ্যাক্টরিতে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অজয়। হাসপাতালের সমস্ত বিল মেটায় কারখানার কর্তৃপক্ষ। পরে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলে মাস শেষে তাকে বেতন দেওয়া হয় ৬ টাকা। মাথায় বারি পরে তার। তাতে বেচারা টাকা না কেটে, কিস্তিতে মেটানোর অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেকথা না মানায়, আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে ফ্যাক্টরিতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অজয়। সহকর্মীরা দেখে ফেলায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেন তারা। কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন তিনি। অজয়ের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।


আগ্রার একটি জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তিনি। বয়স ত্রিশ হবে অজয়ের। পুলিশ জানায়, ৬ টাকা বেতন পাওয়ার পরই ভেঙে পড়েন তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। আগ্রার সিকান্দার পুলিশ স্টেশনের তদন্তকারীদের দাবি, কারখানার ভিতরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন অজয়। ঠিক সময় সহকর্মীরা সেখানে এসে পড়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায় তাঁর। অজয়কে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


এঘটার পর অজয় বা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এ নিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি জুতো কোম্পানির কর্তৃপক্ষের।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে থানা হেফাজতে মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে থানা হেফাজতে মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

admin August 20, 2018

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতখানায় হাসানুর রহমান মিলন (২২) নামের এক মাদকব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের দাবি সে হাজত খানার বাথরুমে কম্বল দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবি পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আজ সোমবার (২০ আগষ্ট) সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় এ ঘটনাটি ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দেবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে দেবীগঞ্জ উপজেলার থানা পাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে মিলনকে মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করে থানা নিয়ে আসা হয়। মিলন মাদক মামলার আসামি তার বিরুদ্ধে রাতে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরোও জানায় সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাজতখানায় জীবিত অবস্থায় ছিলো। এর পর তার বাবা-মা আসলে বাথরুমে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
আজ সোমবার দুপুরে থানার পুলিশ হেফাজতখানার বাথরুম থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট্র সৈয়দ মাহমুদ হাসান এর উপস্থিতিতে পুলিশ মিলনের ঝুলন্ত লাশ নামায়। তার লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এদিকে স্থানীয় জনতা মিলনের মৃত্যতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন এবং প্রায় ৩ ঘন্টা দেবীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। নিহত মিলনের বাবা ও মা জানায়, পুলিশ আমার ছেলে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমরা বিচার চাই।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। থানা হাজতের বাথরুমে কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যার সুরত হাল করেছি। লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মিলন মাদক মামলার এক জন আসামী। তাকে আমরা মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করি। সে থানা হাজতখানায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three