Showing posts with label bangladesh. Show all posts
Showing posts with label bangladesh. Show all posts
ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

ইংল্যান্ডের কাছে দেড়শ’ রানের হার আফগানদের

admin June 19, 2019

আফগানিস্তানের জন্য লক্ষ্যটা ছিল স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো। ইংল্যান্ডের দেয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে হতো দলটিকে। সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করেই খেলে আফগানিস্তান। তাই জয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য নেয় তারা। সেই লক্ষ্য মোটামুটি সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করে। তাই ইংল্যান্ড ১৫০ রানের বড় জয় পায়।


চলতি বিশ্বকাপে ৩৯৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংলিশদের এটা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের নেতৃত্বাধীন দল। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত আসরে সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি। এছাড়া ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ৪৪ ও ৩৭ রান করেন সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক আসগর আফগান ও গুলবাদিন নাইব।


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ভরকে যায়নি আফগানিস্তান। রানের পাহাড়ে চাপা পড়েও অসাধারণ ব্যাটিং করেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও আসগর আফগানরা। দলীয় ৪ রানে ওপেনার নুর আলী জাদরান আউট হলে দলের হাল ধরেন গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ।


দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ২৮ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান রহমত শাহ। ৭৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন তিনি।


২৪.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ ও আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৯৪ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। মাত্র ৯ রানে আউট হন মোহাম্মদ নবী।


ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন হাসমতউল্লাহ। ইনিসের শেষ দিকে জফরা আর্চারের গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০০ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন হাসমত। তার বিদায়ের পর ১৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন নজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ দিকে রশিদ খান ও ইকরাম আলিখিনরা দলের পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও হারা এড়াতে পারেননি।


ইংল্যান্ড ৩৯৭/৬


ইয়ন মরগানের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো-জো রুটের ঝড়ো ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।


বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল।


তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন দল।


মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড।আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগান ও জো রুট।


মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তিনি ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে আউট হন। এছাড়া ৯৯ বলে ৯০ রান করেন বেয়ারস্টো। ৮২ বলে ৮৮ রান করেন জো রুট।


প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে উদ্বোধনীতে নেমে ৯.৩ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন জেমস ভিন্স। দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩১ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জেমস ভিন্স।


ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জো রুট। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। এই জুটিতেই অনবদ্য ব্যাটিং করে ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি।


কিন্তু ৯৯ বলে ৮টি চার ও তিন ছক্কায় ৯০ রান করে গুলবাদিন নাইবের গতির মুখে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ে ২৯.৫ ওভারে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।


এরপর তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন ইয়ন মরগান। আর এই জুটিতেই ৫৭ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি।


এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন ওব্রায়েন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। আর ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।


ইয়ন মরগানের মতো সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জো রুট। গুলবাদিন নাইবের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্বায় ৮৮ রান করে ফেরেন রুট। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।


জো রুট বিদায় নেয়ার পর পরই আউট হয়ে যান ইয়ন মরগান। গুলবাদিন নাইবের তৃতীয় শিকার পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও ৪টি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন মরগান। শেষ দিকে মঈন আলীর ৯ বলের অপরাজিত ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

ভারতের কাছে শোচনীয় হার পাকিস্তানের

admin June 17, 2019

ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে এনিয়ে টানা সাত ম্যাচে হেরে গেল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় যেন নিয়তি। রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি (১৪০) ও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুলের জোড়া ফিফটিতে ৩৩৬/৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ৬ উইকেটে ২১২ তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ফখর জামান। এছাড়া ৪৮ রান করেন বাবর আজম। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। বৃষ্টি আইনে ৮৯ রানে জয় পায় ভারত।


ভারতের বিপক্ষে ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে ১৩ রানে ওপেনার ইমাম-উল হকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ফখর জামান ও বাবর আজমের ১০৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে পাকিস্তান। এক উইকেটে ১১৭ রান করা পাকিস্তান এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।


পাকিস্তান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৫৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। নিজের ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ফখর জামানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন কুলদীপ।


৭৫ বলে ৭টি চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন ফখর জামান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ছক্কায় ইনিংস শুরু করা মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পান্ডিয়ার বলে বোল্ড শোয়েব মালিক।


ভারত ৩৩৬/৬


বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপে এতদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩০০। গত বিশ্বকাপে এই রান করেছিল ভারত। রোববার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫ উইকেটে এ রান করে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।


ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এছাড়া ৭৭ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৫৭ রান করেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।


রোববার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত।


ইনিংসের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। প্রথম পাঁচ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান যোগ করেন তারা। এরপর হাতখুলে খেলেন রোহিত-রাহুল। ১৭.৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০০ রান।


উদ্বোধনীতে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ২৩.৫ ওভারে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রাহুল। তার আগে ৮৭ বলে তিন চার ও দুটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি।


রাহুল আউট হলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান রোহিত। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। আর এই জুটিতেই ৮৫ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন রোহিত।


ভয়ঙ্কর ব্যাটিং করে যাওয়া রোহিতকে সাজঘরে ফেরান হাসান আলী। তার আগে ১১৩ বলে ১৪টি চার ও তিন ছক্কায় ১৪০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা।


এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি। ১৯ বলে ২৬ রান করে মোহাম্মদ আমিরের গতির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পান্ডিয়া।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। রানের খাতা খুুলতেই আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এ অধিনায়ক। পান্ডিয়া-ধোনির বিদায়ের পরও ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন কোহলি।


৫১ বলে ফিফটি তুলে নেয়ার পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান কোহলি। তার ব্যাটে ভর করে ৪৬.৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০৫ রান। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।


এরপর খেলা ফের শুরু হলে আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি। মোহাম্মদ আমিরের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭৭ রান করে ফেরেন ভারতীয় এ অধিনায়ক। তার ফিফটি ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, রাহুল ৫৭, পান্ডিয়া ২৬, বিজয় শঙ্কর ১৫*, কেদার যাদব ৯*, ধোনি ১; আমির ৩/৪৭)।

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

দ.আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না আফগানরা

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাড়ে জয়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসিসের দল। ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার মুখোমুখি হলো এই দুই দল।


বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। কার্ডিফের সোফিয়া গর্ডেন্সে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের অর্ধশতকে ১১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়রা।

১২৭ রানের নতুন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানেই ব্যাট চলাতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তাদের ব্যাটিং দৃড়তায় আফগানিস্তানের বোলাররা কোন রকম সুবিধাই করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ে ভিত্তি পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রান আসে আমলা ও ডি ককের ব্যাট থেকে।

অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ৬৮ রান করে গুলবাদিন নাঈবের বলে আউট হন তিনি। এরপর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন আমলা ও আন্দ্রেল ফেলুকায়ো। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ১ উইকেটে ১৩১ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা ৪১ ও ফেলুকায়ো ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তবে ইনিংসের প্রথমেই আসে বৃষ্টির বাধা। ৫.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলেতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার খেলা শুরু হলে দলীয় ৩৯ রানে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।

২০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির থামার পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হলে ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪৮ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

এরপরই আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান প্রোটিয়া বোলাররা। ইমরান তাহির, ক্রিস মরিসের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় আফগানরা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে রশিদ খানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দুই ওপেনার নূর আলী জাদরান ৩২ ও হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ করলেও বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর


আফগানিস্তান: ৩৪.১ ওভারে ১২৫/১০ (রশিদ খান ৩৫, নুর আলী জাদরান ৩২, হযরতউল্লাহ ২২; ইমরান তাহির ৪/২৯, ক্রিস মরিস ৩/১৩)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৪ ওভারে ১৩১/১ (ডি কক ৬৮, আমলা ৪১*, ফেহালুকাওয়ে ১৭*)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।


ম্যাচ সেরা: দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া

admin June 16, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যা তাড়া করতে গিয়ে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরারা দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। যা অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্নই জাগাল লঙ্কান দর্শকদের মনে। কিন্তু মিচেল স্টার্ক আর কেন রিচার্ডসনের তোপে ভেঙে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং লাইন। আসরে নিজেদের চতুর্থ জয়ে অস্ট্রেলিয়া ওঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।


শনিবার বিশ্বকাপে দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮৭ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৩৩৪ রানের পুঁজি গড়ে। জবাবে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ২৪৭ রানে। ২৫ বল বাকি থাকতেই ‍গুটিয়ে যায় দলটি।


অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।


আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ২৬ রান করে ফেরেন। তবে তার আগে ফিঞ্চের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮০ রান। ১৭তম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। খেলেছেন খুবই ধীর গতিতে। ৪৮ বলে মাত্র ২ চারে নিজের ইনিংস সাজান ওয়ার্নার। এরপর উসমান খাজাও ফিরে যান দ্রুত। ব্যক্তিগত ১০ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার শিকার তিনিও।


তবে অ্যারন ফিঞ্চ এদিন আর সেঞ্চুরি মিস করেননি। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮২ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে এদিন সেঞ্চুরিটাকে দেড় শতে রূপ দিয়েছেন। ৪৩তম ওভারে উদানার শিকার হওয়ার আগে ১৩২ বলে ১৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।


তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ১৭৩ রান যোগ করেন ফিঞ্চ। দুজনই অবশ্য ফিরেছেন পাশাপাশি। ফিঞ্চ ফেরার পরের ওভারেই ফিরেছেন স্মিথ। ৫৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি।


এরপর চলেছে ম্যাক্সওয়েলের একক শো। অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চললেও ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে তিন শ পেরোনো স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ম্যাক্সওয়েল। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।


জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার জোড়া ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা পায় উড়ন্ত শুরু। দুজনই চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন শুরু থেকেই। অজি বোলারদের রীতিমতো নাজেহাল করে ছেড়েছেন দুজন।


৬.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা ফিফটি পূরণ করে। করুনারত্নে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। পেরেরা ফিফটি পূরণ করেছেন ৩৩ বলে। তবে ১৬তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে ফিরে যান পেরেরা। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে নিজের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।


এরপর থিরমান্নের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি হয়েছে করুনারত্নের। তরে থিরিমান্নে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর করুনারত্নেও ফিরে যান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে। রিচার্ডসনের বলে ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। ১০৮ বলে ৯৭ রান করেন ৯ চারে।


করুনারত্নে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কার আশার প্রদীপ নিভে যায়। এর মধ্যে মিচেল স্টার্ক হয়ে উঠলেন ভয়ংকর। কুশল মেন্ডিস (৩০) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান পেলেন না। আসরে তাই দ্বিতীয় পরাজয় মেনে নিতে হলো শ্রীলঙ্কাকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।


৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। দলটি একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে। তাদের দুটিতে ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে হারালো পাকিস্তান

admin June 13, 2019

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টনটনে বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৪ ওভারে অলআউট হয় ২৬৬ রানে।


টনটনে বুধবার টস হেরে ৪১ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩০৭ রান তাড়ায় ২৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।


আগের ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের মন্থরতম ফিফটি করা ওয়ার্নার এদিন শুরু থেকে ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে একটু ভুগছিলেন ফিঞ্চ। প্রথম পাঁচ ওভারে আমিরের দুটি ওভার মেডেন খেলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।


ফিঞ্চকে ভোগাচ্ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ২৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ডানহাতি ওপেনার। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ৪৪ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন সরফরাজ। ৬৩ বলে ফিফটি করার পর রানের গতি বাড়ান ফিঞ্চ।



এবারের আসরে দুবার ওয়ানডেতে নিজের মন্থর ফিফটির রেকর্ড ভাঙা ওয়ার্নার শুরু থেকে ছিলেন স্বচ্ছন্দ। বাঁহাতি এই ওপেনার পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৫১ বলে।


দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফিঞ্চকে বিদায় করে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আমির। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৮৪ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় করেন ৮২ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


এসেই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে বোল্ড করার পর সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডেতে ১৫তম সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়ার্নারের ১১১ বলে খেলা ১০৭ রানের ইনিংস গড়া ১১ চার ও এক ছক্কায়।


দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় একটা ধাক্কা দেন আমির। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ফিঞ্চের দল।


মাত্র ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ৩১০ পর্যন্ত যেতে পারেনি তারা।


৪৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়ার খুশিতে ভাসেন আমির। অস্ট্রেলিয়া থামে ৩০৭ রানে।


৩০ রানে ৫ উইকেট নেন আমির। তরুণ পেসার আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ৭০ রানে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ৩০৭ (ফিঞ্চ ৮২, ওয়ার্নার ১০৭, স্মিথ ১০, ম্যাক্সওয়েল ২০, মার্শ ২৩, খাওয়াজা ১৮, কেয়ারি ২০, কোল্টার-নাইল ২, কামিন্স ২, স্টার্ক ৩, রিচার্ডসন ১*; আমির ১০-২-৩০-৫, আফ্রিদি ১০-০-৭০-২, হাসান ১০-০-৬৭-১, ওয়াহাব ৮-০-৪৪-১, হাফিজ ৭-০-৬০-১, মালিক ৪-০-২৬-০)


পাকিস্তান: ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ (ইমাম ৫৩, ফখর ০, বাবর ৩০, হাফিজ ৪৬, সরফরাজ ৪০, মালিক ০, আসিফ ৫, হাসান ৩২, ওয়াহাব ৪৫, আমির ০, আফ্রিদি ১*; কামিন্স ১০-০-৩৩-৩, স্টার্ক ৯-১-৪৩-২, রিচার্ডসন ৮.৪-০-৬২-২, কোল্টার-নাইল ৯-০-৫৩-১, ম্যাক্সওয়েল ৭-০-৫৮-০, ফিঞ্চ ২-০-১৩-১)


ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী


ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

তুমুল লড়াইয়েও পারল না টাইগাররা

admin June 06, 2019


তুমুল লড়াইয়ের পরও হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক-সাকিবরা। ইনিংসের শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে পরাজয়ের দুয়ারে থেকেও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভালো খেলেও পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাশেোফিদের।



 



বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।



 



বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।



 



শেষ দিকে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৪৮ বলে ৩৩ রান। ৪৩তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে গ্রান্ডহোমকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।



 



ঠিক পরের ওভারে মাত্র ২ রানে জেমস নিশামকে আউট করার মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।



 



২৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরান উইলিয়ামসন ও টেইলর। তৃতীয় উইকেট ১০৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটিতেই জয় দেখে নিউজিল্যান্ড।



 



ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফস্পিনে ২ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৭২ বলে ৪০ রান করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে টম লাথামকে আউট করেন তিনি।



 



তবে মুশফিকের একটি ভুলের কারণে বড় জুটি গড়ে টেইলর ও উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৭ রানেই সাজঘরে ফেরার যাওয়ার কথা ছিল উইলিয়ামসনের।



 



প্রায় অপর প্রান্তেই চলেই গিয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দারুণ থ্রো করেছিলেন তামিম ইকবাল। বল ধরে উইকেট ভাঙতে গেলেন মুশফিক। কিন্তু বল ধরার আগেই কনুই দিয়ে উইকেট ভেঙে ফেলেন তিনি। অথচ ছেড়ে দিলেও সরাসরি উইকেট ভাঙত।



 



আর তাতেই লাইফ পান কিউই অধিনায়ক। তখন ৭ রানে ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের দলীয় রান ছিল ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৭।



 



বাংলাদেশ ২৪৪/১০



 



সাকিব ও সাইফউদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি টাইগাররা।



 



দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব। ইনিংসের শেষ দিকে ২৩ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। ৪৫তম ওভারে ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি হাঁকান তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি।



 



টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।



 



এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলে আউট হন তামিম। তার আগে ৩৮ বলে মাত্র ২৩ রান করেন দেশ সেরা এ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ।



 



এরপর সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।



 



এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব।



 



আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাকিব, বুধবার ফেরেন ৬৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।



 



সাকিবের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে বড় ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। তবে শেষ দিকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে তিনটি চার দলের হয়ে একমাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাইফউদ্দিন।



 



সংক্ষিপ্ত স্কোর



 



বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৪৪/১০ (সাকিব ৬৪, সাইফউদ্দিন ২৯, মিঠুন ২৬, সৌম্য ২৫, তামিম ২৪; ম্যাট হেনরি ৪/৪৭, ট্রেন্ট বোল্ট ২/৪৪)। #NewsBD

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ টার্গেট দিল বাংলাদেশ

admin June 06, 2019

২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯.২ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।


দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। ০৫ জুন (বুধবার) লন্ডনের ওভালে টসে হেরে শুরুটা দুর্দান্ত করে টাইগাররা। ওপেনিং জুটিতে শুভ সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে দলীয় ৪৫ রানে সৌম্যকে (২৫) বোল্ড করেন ম্যাট হেনরি। স্কোরবোর্ডে ৬০ রান উঠতেই তামিমকে (২৪) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।


তবে গত ম্যাচের মতো এবারও দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে ভুল বুঝাবুঝিতে। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের শিকার হোন মুশফিক। মুশি ফিরেন ১৯ রানে।


স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাটিং করে ২০১৯ বিশ্বকাপের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব।

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

একই একাদশ নিয়ে সন্ধ্যায় মাঠে নামবে টাইগাররা

admin June 05, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর আজ ওভালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগারবাহিনী। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে।


উইকেট ভিন্নতা থাকলেও আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের একাদশের উপর ভরসা রাখছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।


বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

আগামীকাল দুরন্ত টাইগারদের সামনে কিউই বাহিনী

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে লড়াইটা একেবারে সহজ ছিল না। কেননা বরাবরের মতোই শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শক্তিসামর্থ্যে পিছিয়ে ছিল না মাশরাফির দলও। মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হারিয়ে পেয়েছে শুভসূচনাও। এখন প্রথম ম্যাচে পাওয়া এ মোমেন্টাম ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।


এবার ২য় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে কিউইরা। সে ম্যাচে লংকানদের মাত্র ১৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল কিউই পেসাররা। ব্যাটে-বলে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশনে এসেছে নিউজিল্যান্ড। উড়ন্ত সূচনা পেয়ে আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। তাই এমন দলের বিপক্ষে আগামীকাল নিজেদের সেরাটা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই টাইগারদের।


নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক কিছুই আছে বাংলাদেশ শিবিরে। এ নিউজিল্যান্ডকেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত জোড়া শতকে বিপর্যয়ের মুখ থেকে ম্যাচ বের করে আনে টাইগাররা। এখন সেই ইংল্যান্ডেই আবারো কিউইদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিও এখন বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে টাইগারদের।


[bs-quote quote="‘‘আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু।’’" style="default" align="left" author_name="Sakib-Mashrafi" author_job="Crickter" author_avatar="http://rangpurexpress24.com/wp-content/uploads/2019/06/sakib-mashrafi.png"][/bs-quote]

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ওপেনিংয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও সৌম্য শুরু করেছেন ঝড় তুলে। তার ৩০ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসটিই পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য পথটা তৈরি করে দেয়। এরপর সাকিব ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটির ওপর ভর দিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর শেষ দিকে এসে ইনিংসকে পরিণতি দেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক, যা বাংলাদেশকে এনে দেয় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।


৩৩০ ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। শুরুতে উইকেট নিতে না পারলেও রান রেট আটকে চাপে রাখে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। এরপর যখনই দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায় তখনই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। ভালো জায়গায় বল করে সবসময় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজরা। পেয়েছেন নিয়মিত ব্রেক থ্রু। প্রায় প্রত্যেক বোলারই এ ম্যাচে অবদান রেখেছেন। সেই সঙ্গে ছিল মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব। ফিল্ডিং ও বোলিং পরিবর্তনে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাবনার বিষয় হতে পারে ফিল্ডিং। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ পড়েছে একাধিক, যা দিন শেষে হতাশার কারণ হলেও হতে পারত।


এছাড়া মিস ফিল্ডিংও হয়েছে বেশকিছু। পরের ম্যাচগুলোয় ফিল্ডিং নিয়ে তাই বাড়তি কাজ করার সুযোগ আছে। এদিকে ম্যাচ জয়ের পর এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের শান্ত থাকা জরুরি। আমরা কেবল একটি ম্যাচ জিতেছি, এখনো আটটি ম্যাচ বাকি। এখন এ জয় আমাদের টুর্নামেন্টে কোথাও নিয়ে যাবে না। তাই আমি মনে করি না, আমাদের এ মুহূর্তে রোমাঞ্চিত হওয়ার কিছু আছে। এখনো অনেক দূর যাওয়া বাকি আছে।’


এ সময় নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আসছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমাদের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেসব পরিকল্পনার বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি, আরো অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। সম্ভবত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে অপেক্ষা করছে।’


পাশাপাশি কোনো দলকেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নন বলে মন্তব্য করে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দলকেই বড় দল হিসেবে দেখছি এবং আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে। যদি সবাই ফিট থাকে, সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো। প্রতি ম্যাচেই হয়তো এমন পারফরম্যান্স দেখা যাবে না। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।’


সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না মাশরাফি। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে তাই বাড়তি সতর্কও আছেন তিনি। একইভাবে ম্যাচসেরা সাকিবও বলেছেন, এটা মাত্র শুরু। এখন এ জয়ের প্রেরণা নিয়ে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেমন পারফরম্যান্স করে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ টিমের জয়জয়কার, ব্যতিক্রম এনডিটিভি-গার্ডিয়ান

admin June 04, 2019

নিউজবিডি ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অসাধারণ জয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ভারতের এনডিটিভি ও বৃটিশ গার্ডিয়ান টাইগারদের জয়কে অঘটন বললেও অধিকাংশ মিডিয়া প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সাকিব-মিরাজদের।


বাংলাদেশ জিতলেই সেটা হয় আপসেট বা অঘটন। নিন্দুকেরা হয়ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না টাইগার জয়োল্লাস। তাই কিনা বিদেশি কিছু গণমাধ্যমের এমন শিরোনাম। যা আহত করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গেল কয়েক 'বছর ধরে ভালো খেলা বাংলাদেশকে।


তবে সব মিডিয়া কিন্তু এক নয়। টাইগারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে দুনিয়ার বড় বড় কিছু সংবাদমাধ্যম। বৃটিশ গণমাধ্যমে এসেছে লাল সবুজের অসাধারণ কীর্তি। ডেইলি মেইল ও বিসিবি যেমন বলছে, বাংলাদেশ ভালো খেলেই জয় পেয়েছে। অন্যদিকে গার্ডিয়ান এটাকে দেখছে অঘটন হিসেবেই।


ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে গেল ক'দিন ধরেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। সাবেক কিউই অধিনায়কের অনুমানকে ভুল প্রমাণিত করে প্রোটিয়াদের হারিয়েছে টাইগাররা। এরপর আবারো টুইট করেছন ম্যাককলাম। এবার তিনি ভূয়সী প্রশংসা করলেন সাকিব-তামিমদের। তবে স্বীকার করেছেন তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জিতুক।


টাইগারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররাও। ভারতের আকাশ চোপড়া মনে করেন মাশরাফী, টপ ক্লাস ক্যাপ্টেন। ইয়ান বিশপ মনে করেন, গেলো ক'বছর ধরে যে বাংলাদেশ ভালো দল তিনি আবারো সেটা নিশ্চিত হলেন।


ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও মাশরাফীকে শুনতে হলে 'আপসেট' শব্দটি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন টাইগার কাপ্তান। বললেন, এসব নিয়ে না ভেবে মাঠের খেলায় আরো মনোযোগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

ইংল্যান্ডের ডাবল সেঞ্চুরিও হারাতে পারেনি পাকিস্তানকে

admin June 04, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
টানা ১২ ম্যাচে হারা পাকিস্তান অবশেষে জয়ের দেখা পেলে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। ইংল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ১৪ রানে। দুই ইংলিশ ব্যাটার জো রুট এবং জস বাটলারের সেঞ্চুরির পরেও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি স্বাগতিকরা।


জিততে হলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছন্নছাড়া ব্যাটিং করা পাকিস্তান হঠাৎ জ্বলে উঠলো আগ্নেয়গিরির মতো। ৩৪৮ রান বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আর একটি রান হলেই ছুঁয়ে ফেলত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।


বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাদাব খান। এরপর জনি বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৩২ রানে তাকে ফেরান ওয়াব রিয়াজ। ষষ্ঠ ওভারে ৯ রানের সময় স্লিপে রুটকে জীবন উপহার দেন বাবর আজম। সেই রুটের ব্যাট থেকে শেষ পর্যন্ত আসে সেঞ্চুরি। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান ব্যার্থ। তাকে ৯ রানে বোল্ড করেন হাফিজ। ১৩ রানে বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলেন শোয়েব মালিক। তবে জস বাটলারের সেঞ্চুরি আবারো আশার আলো দেখায়। কিন্তু বাটলারের বিদায়ের ভরসা দেয়া মইন আলী এবং ক্রিস ওকসকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৩৪ রান করে ইংল্যান্ড।


এরআগে ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেয় পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করে পাকিস্তান। মাত্র ২ রানের জন্য বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি সরফরাজের দল। ২০০৭ সালে কিংস্টনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছিল পাকিস্তান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।


শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম-উল হক। দলীয় ৮২ রানের সময় ফখর জামান ফেরেন ৩৬ রানে। বাবর আজমের সঙ্গে গড়া জুটিটাকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি ইমাম। ৪৪ রানে মইন আলির শিকার হন তিনি। এদিন উপরের দিকে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ হাফিজ বাবর আজমের সঙ্গে জুট গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। তাদের ৮৮ রানের জুটি ভাঙে বাবর ৬৩ রানে মইন আলির শিকার হলে। এরপর হাফিজ-সরফরাজ জুটি থেকে আসে ৮০ রান। ৬২ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন একবার লাইফ পাওয়া হাফিজ। সরফরাজও তুলে নেন অর্ধশতক।


স্কোর:
পাকিস্তান ৩৪৮/৮ (৫০)
ইমাম ৪৪ (৫৮)
ফখর ৩৬ (৪০)
বাবর আজম ৬৩ (৬৬)
হাফিজ ৮৪ (৬২)
সরফরাজ ৫৫ (৪৪)
আসিফ আলি ১৪ (১১)
শোয়েব মালিক ৮ (৮)
ওয়াহাব রিয়াজ ৪ (২)
হাসান আলী ১০* (৫)
শাদাব খান ১০* (৪)


বোলার:
ওকস ৮-১-৭১-৩
আর্চার ১০-০-৭৯-০
মইন ১০-০-৫০-৩
উড ১০-০-৫৩-২
স্টোকস ৭-০-৪৩-০
আদিল ৫-০-৪৩-০


স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩৩৪/৯ (৫০)
জেসন রয় ৮ (৭)
জনি বেয়ারস্টো ৩২ (৩১)
জো রুট ১০৭ (১০৪)
ইয়ন মরগান ৯ (১৮)
বেন স্টোকস ১৩ (১৮)
জস বাটলার ১০৩ (৭৬)
মইন আলী ১৯ (২০)
ক্রিস ওকস ২১ (১৪)
জোফরে আর্চার ১ (২)
আদিল রশিদ ৩* (৪)
মার্ক উড ১০* (৬)


বোলার
শাদাব খান ১০-০-৬৩-২
মোহাম্মদ আমীর ১০-০-৬৭-২
ওয়াহাব রিয়াজ ১০-০-৬৬-৩
হাসান আলি ১০-০-৬৬-০
মোহাম্মদ হাফিজ ৭-০-৪৩-১
শোয়েব মালিক ৩-০-১০-১

বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশ মিশন

বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু বাংলাদেশ মিশন

admin June 03, 2019

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ মিশন। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৩৩০ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে বিশ্বকাপের ১২তম আসর শুরু করল মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।


রোববার ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ।এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারে মুশফিক-সাকিবের জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।


টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এছাড়া ৪৫ রান করেন ওপেনার মার্করাম, ৪১ রান করেন ভেন দার ডুসেন। ৩৮ রান করেন ডেভিড মিলার।


টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬০ রান করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। হাতের চোট নিয়ে খেলতে নেমে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি তামিম ইকবাল।


ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। কিন্তু আন্দিলে ফিলোকাওয়ের গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার। তার আগে ২৯ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তামিম।


এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ৭৫ রানে ক্রিস মরিসের বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সৌম্য। ক্রিস মরিসের করা বলটি সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।


উড়ে আসা সেই বলটি সৌম্যর গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের ক্যাচে পরিনত হয়। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন করেন সৌম্য।


৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৪১ বলে ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা।


ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআই ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।


এদিকে আন্দিলে ফিলোকাওয়েকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৪তম ফিফটি গড়েন মুশফিক। ফিফটির পর তিনিও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। দলীয় ২৫০ রানে আউট হন মুশফিক। তার আগে ৮০ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৮ রান করেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।


ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৪৩ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন সৈকত। মাত্র ৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।


৩৩১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন আফ্রিকান ওপেনার। তার আগে ৩২ বলে ২৩ রান করেন ডি কক। ব্যাটিংয়ের পর ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত মুশফিকুর রহিম। তার থ্রোতে ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি ককের উইকেট।


ডি ককের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে অফিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মার্করাম। তাদের মধ্যকার এই জুটি ভাঙেন সাকিব। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৪৬ রান করেন মার্করাম। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০২ রানে দুই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।


মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত ফাফ ডু প্লেসিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান এ অধিনায়ককে বোল্ড করেন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৬২ রান করেন ডু প্লেসিস।


১৬ রানেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার কথা ছিল ডেভিড মিলারের। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সৌম্য সরকারের কারণে লাইফ পান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মিলার কিলারকে আউট করে টাইগার শিবির স্বস্থির পরশ এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচে পরিনত হওয়ার আগে ৪৩ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করেন মিলার।


দলীয় ২২৮ রানে ভেন দার ডুসেনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। তার আগে ৩৮ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান। সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন ফেহালুকাওয়ে। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ের স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশ।


নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন এবং রান রেট বেড়ে যাওয়ায় শেষ দিকে জেপি ডুমিনির একা লড়াই করেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের রেকর্ড

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের রেকর্ড

admin June 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের রত্ন । ব্যাট হাতে হোক কিংবা বল হাতে দুই জায়গায়ই সাকিবের আছে অগণিত রেকর্ড। আজ (রোববার) বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক রেকর্ডের মালিক হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা চার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ফিফটি হাঁকালেন তিনি।


দেশের হয়ে সাকিবের প্রথম বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে। যেবার প্রথম রাউন্ড থেকেই ভারতকে বিদায় করে দেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে ৮৬ বলে ৫৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন সেই সময়ের তরুণ সাকিব।


এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেই ৫০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে সেই ম্যাচে হেরে যায় টাইগাররা।


২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি তুলে নেন সাকিব। সেই ম্যাচে সাকিবের ৫১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।


নিজের সেই ব্যাটিং ধারাবাহিকতা সাকিব ধরে রাখলেন ২০১৯ বিশ্বকাপেও। আজ (রোববার) শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে। যেখানে ফিফটি তুলে অপরাজিত আছেন সাকিব।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ টাইগারদের

admin June 03, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। গড়লো নতুন রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা।


টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩২২ রানের, যা ২০১৫ সালে ২ উইকেটে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল।


একই বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা করেছিল ২৮৩ রান।


ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান:


শুধু বিশ্বকাপ নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এটি। এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল টাইগাররা।


২০১৯ বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তার ৭৮ রানের ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। এছাড়া সাকিব ৭৫, সৌম্য সরকার ৪২, মাহমুদউল্লাহ ৪৬ রান করেন।


তালিকা...

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

admin June 02, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
উদ্বোধনী ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলটির বিপক্ষেই লন্ডনের কেনিংটন ওভালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শুভ সূচনা করার প্রত্যাশা টাইগারদের। অন্যদিকে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য প্রথম ম্যাচে বাজে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা।


এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরুতেই ভাগ্যের খেলায় টস জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি


বাংলাদেশ দলের জন্য সুসংবাদ হচ্ছে, ইনজুরির শঙ্কা কাটিয়ে খেলছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে একজন পেসার বেশি নিয়ে খেলতে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না হাশিম আমলা। তার পরিবর্তে খেলছেন ডেভিড মিলার।


বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান।


দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এইডেন মারক্রাম, ফ্যাফ ডু প্লেসি (অধিনায়ক), রাশি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, আন্দিল পেহলুকাইয়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি, ইমরান তাহির।

আজ বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের

আজ বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের

admin June 02, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
দুর্দান্ত এক সুখস্মৃতি নিয়ে আজ থেকে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।


এই প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপে হারানোর রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। তাই দ্বাদশ বিশ্বকাপের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেয়ে যাওয়ায় সুখস্মৃতি নিয়েই নিজেদের মিশন শুরু করছে মাশরাফির দল।


রোববার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই ম্যাচটি।


২০০৭ সালের ৭ এপ্রিল। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার এইটের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচে স্পষ্টভাবেই ফেভারিট ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ফেভারিটের তকমা তোয়াক্কা না করে, বিশ্বকে চমকে দেয় টাইগাররা। হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দলটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারায়।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। তবে পরের দিকে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ লড়াইয়ে ফিরে বাংলাদেশ। তাকে সঙ্গ দেন আফতাব আহমেদ। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে ৭৬ রান যোগ করেন।


আফতাব ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হন। তবে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আশরাফুল। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে থেমে যান অ্যাশ। বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে ১২টি চারে ৮৩ বলে ৮৭ রান করেন আশরাফুল। ফলে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষদিকে, ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।


এরপর জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসার সৈয়দ রাসেল এবং তিন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক-মোহাম্মদ রফিক-সাকিব আল হাসানের তোপে পড়ে ১৮৪ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। রাজ্জাক ৩টি, সাকিব-রাসেল ২টি করে এবং রফিক ১টি উইকেট নেন।


তাই ১২ বছর হয়ে গেলেও, ঐ ম্যাচের সুখস্মৃতি যে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তারপরও বেশ টগবগে মেজাজেই আছে বাংলাদেশ। গেল মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাশরাফির দল। ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারায় তারা।


বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৭ বলে অপরাজিত ৫২ রান বাংলাদেশকে শিরোপার স্বাদ এনে দেয়। বৃষ্টি আইনে ২৪ ওভারে জয়ের জন্য ২১০ রানের টার্গেট পায় টাইগাররা। সেই টার্গেট ৭ বল বাকী রেখেই স্পর্শ করে ফেলে বাংলাদেশ। ফলে প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে কোন টুর্নামেন্টে শিরোপার স্বাদ নিলো মাশরাফির দল।


আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নিয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে বাংলাদেশ। মূল পর্বের জন্য অংশ নেয়া প্রত্যক দলের জন্যই দু’টি করে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ থাকে। সেই সুবাদে বাংলাদেশের দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ ছিলো পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। দু’টি ম্যাচই ছিলো কার্ডিফে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তবে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের গা গরম করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।


কিন্তু ওই ম্যাচে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ৯৫ রানে ভারতের কাছে হারে টাইগাররা। নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। ১০২ রানে ভারতের চার ব্যাটম্যানকে বিদায় দিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ১৬৪ রানের বড় জুটি গড়ে ভারতকে খেলায় ফেরান চার নম্বরে নামা লোকেশ রাহুল ও সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ পর্যন্ত দু’জনই সেঞ্চুরি তুলে নেন।


রাহুল ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৯৯ বলে ১০৮ ও ধোনি ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৭৮ বলে ১১৩ রান করেন। ফলে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। জবাবে ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের শাসন করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার লিটন দাস ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। লিটন ৭৩ ও মুশফিক ৯০ রানে থেমে যান। এরপর ৩ বল বাকী রেখে ২৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।


তাই প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ হারের স্বাদ নিয়েও বিশ্বকাপ শুরু করতে হবে বাংলাদেশ। তবে এসবকে হারকে দূরে সরিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে নতুন উদ্যমে যে বাংলাদেশ শুরু করবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারন এখন মাশরাফি-তামিম-সাকিবদের নিয়ে গড়া দলটি ভিন্ন চিত্রের এক বাংলাদেশ। যেকোন দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে টাইগাররা। সেই সামর্থ্যটা কতটুকু বাংলাদেশের, সেটিই এখন দেখার বিষয়।


এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৭টি জিতেছে প্রোটিয়ারা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো দু’দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্য দু’টি জয় এসেছিলো ২০১৫ সালে। দেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মর্তুজা(অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।


দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ফাফ ডু প্লেসিস(অধিনায়ক), আইডেন মার্করাম, কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, রাসি ভ্যান ডরি ডুসেন, ডেভিড মিলার, আন্দিল ফেলুকুয়াও, জেপি ডুমিনি, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ক্রিস মরিস, ইমরান তাহির, তাবরিজ শামসি।

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডসমূহ

admin May 31, 2019

তিহাসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে। এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ টিমের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:


আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি। ১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্বনিম্ন স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।


ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:
বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।


বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সেরা বোলিং নৈপুণ্য। এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।


সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিমের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব। বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি। ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।


বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের। ২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার টিমের সর্বোচ্চ জুটি।


২০১৯ বিশ্বকাপ কিছু জরুরি বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে। প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার। টাইগার টিমের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা টিমকে ভোগাতে পারে। তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে টিমটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three