Showing posts with label মিরপুর. Show all posts
Showing posts with label মিরপুর. Show all posts
অনৈতিক মেলামেশায় সন্তান জন্ম: ৫ তলা থেকে ছুড়ে হত্যা

অনৈতিক মেলামেশায় সন্তান জন্ম: ৫ তলা থেকে ছুড়ে হত্যা

admin May 26, 2019

রাজধানীর মিরপুরে নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে পাঁচতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছে জান্নাতুন নেছা নামের এক কিশোরী। শনিবার মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডের ১৮ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কিশোরীকে আটক করেছে।


প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে শিশুটিকে ওই বাড়ির বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেয়া হয়। নিচে পড়ার সাথে সাথেই শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে শিশুটি মারা যায়। খবর পেয়ে রূপনগর থানার এসআই পরিমল লাশটি উদ্ধার করেন।


তিনি জানান, শিশুটিকে যে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ছুড়ে ফেলা হয়েছে, সেখানে রক্তের দাগ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, বাচ্চাটি জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই বাথরুমের ওই ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।


রূপনগর থানা সূত্র জানায়, ওই বাসা থেকে জান্নাতুনকে আটকের পর সে স্বীকার করেছে, সে-ই আসলে বাচ্চাটির জন্ম দিয়েছে। জন্মের পরপরই বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে সে নিজেই সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে দিয়েছে।


তিনি আরো জানান, গ্রেফতারের পর জান্নাতুন জানিয়েছে, সে এবার মনিপুরি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার সঙ্গে দূরসম্পর্কের এক চাচার প্রেমের সম্পর্ক হয়। তার সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশায় ওই বাচ্চাটি গর্ভে আসে। এ সম্পর্ক তার পরিবার মেনে নেবে না বলে বাচ্চাটিকে ৫ তলা থেকে ফেলে দিয়েছে।

গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?

গুপ্তধনের খোঁজে: মিরপুরের সেই বাড়ির খবর কি?

admin August 13, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: মিরপুরের একটি বাড়ির মাটির নিচে গুপ্তধন আছে! এমন খবর নিয়ে গতমাসের শেষের দিকে একটি বাড়িতে খোঁড়াখুড়ি শুরু করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ২১ জুলাই সারাদিন খোঁড়াখুড়ির পরও মেলেনি কোনও গুপ্তধন-সোনা। জানা গিয়েছিল, ওই বাড়ির নিচে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে কোন এক ব্যক্তি স্বর্ণ-রৌপ্য বস্তায় পুড়ে চলে যান পাকিস্তানে। যা কোন এক মাধ্যমে জানতে পারেন টেকনাফের এক বাসিন্দা। তিনি বিষয়টি জানিয়ে জিডি করেন থানায়। পরে প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। চলে খোঁড়াখুড়ির কাজ।


তবে এরই মধ্যে প্রথমে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ও পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারনে স্থগিত হয়ে যায় ওই বাড়িতে গুপ্তধনের খোঁজ। তবে জানা গেছে, খুব তারাতারি ওই বাড়িতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হবে। তারপর যদি কোন কিছুর সত্যতা পাওয়া যায় তবে পুনরায় খোঁড়াখুড়ির কাজ করা হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বপালন করছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ওই বাড়ির দারোয়ান সুরুজ আলী জানান, গুপ্তধনের খবর শুনে এর আগে অনেক জায়গা থেকে মানুষ আসতো, বাড়ির সামনে ভিড় জমাতো। কিন্তু এখন আর কেউ আসে না।



[মিরপুরে মাটির নিচে গুপ্তধন: গুজব নাকি সত্যি?]


কক্সবাজারের টেকনাফের বাসিন্দা মোহাম্মদ তৈয়ব নামে এক ব্যক্তির জিডির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গত ২১ জুলাই ঢাকার মিরপুর-১০ নং সেকশনের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়। ২০ জন শ্রমিক ছয়ঘন্টা কাজ করার পরও কোনকিছুর সন্ধান মেলেনি সেদিন। পরে চার ফুট খোঁড়া হলে বাড়ির ভিত্তি দুর্বল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগে যন্ত্রপাতি দিয়ে বাড়ির ভূ-গর্ভ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানোর।


মো. তৈয়ব জিডিতে দাবি করেন, ওই বাড়িতে পাকিস্তান আমলে দিলশাদ খান নামে এক ব্যক্তি ওই গুপ্তধন রেখেছেন। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে তার মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার বস্তায় করে ওই বাড়ির মাটির নিচে পুতে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। তবে বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ওই বাড়িটিতে পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হয় নি।


ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তারা বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কথা বলেছেন। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দক্ষ লোক ও যন্ত্র (জিপিআর স্ক্যানার) দিয়ে পরীক্ষা করা হবে ওই বাড়ির ভূগর্ভ। জানা যায়, যেকোন সময় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সিডিউল নিয়ে তারা ওই বাড়িতে আদৌ কোন গুপ্তধন আছে কিনা, পরীক্ষা করবে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম জানান, ওইসময় যা যা খোঁড়া হয়েছিল, ওইভাবেই রয়েছে। বর্তমানে বাসাটি পুলিশের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three