Showing posts with label ওবায়দুল কাদের. Show all posts
Showing posts with label ওবায়দুল কাদের. Show all posts
সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার: ওবায়দুল কাদের

সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে এবার: ওবায়দুল কাদের

admin May 31, 2019

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষদের ঈদযাত্রা ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন। এসময় বাসের ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী।


ঈদযাত্রায় যানজট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথাও কোনো যানজট তৈরি হয়নি, হওয়ার আশঙ্কাও নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের মতো ভালো রাস্তা আর কখনো ছিল না। খুবই প্রশস্ত ও মসৃণ একেকটি সড়ক। ফেরিতে যেন যানবাহনের পারাপারে সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখছি আমরা। এবার ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হবে।


তিনি বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা চালকদের সাথে কথা বলুন, তাদের পরামর্শ দিন যাতে সড়কের শৃঙ্খলা মেনে গাড়ি চালায়। অতি উৎসাহ নিয়ে কোনো যানকে অতিক্রম (ওভারটেকিং) না করে।


এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়ক ও টার্মিনালগুলোতে চাঁদাবাজি-অনিয়ম রোধে র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সতর্ক রয়েছে।


শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের টিকিটের মূল্য ৮০০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না।


তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সড়কে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তবে এই মুহূর্ত যানজট সৃষ্টি করবে তাই সে কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


বাস টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাবু রমেশ চন্দ্র দাস, শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশ, ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাস মালিক সমিতির নেতারা।

এবারের ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির: ওবায়দুল কাদের

এবারের ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির: ওবায়দুল কাদের

admin May 27, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তি দিতে বিআরটিসির ১১৪২টি বাস যাত্রী পরিবহন করবে।


রোববার মতিঝিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) কার্যালয়ে এক মতিবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সড়কপথে স্বস্তিদায়ক যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে পারব এমন একটা অবস্থানে আমরা পৌঁছেছি। এবারের ঈদে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১১৪২টি (বিআরটিসির) বাস চলাচল করবে। পুরনো ৮৮৯টির সঙ্গে ২৫৩টি বাস নতুন যুক্ত হয়েছে। ঈদের সময় পরিবহন সংকট নিরসনে বিআরটিসি সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে।


তিনি আরও বলেন, কাঁচপুর-মেঘনা-গোমতী সেতু খুলে দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো যানজট থাকবে না। উত্তরবঙ্গগামী টাঙ্গাইল সড়কের দুটি ফ্লাইওভার ও চারটি আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় যানজট না থাকলেও টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। টঙ্গী-গাজীপুরের সড়কের যানজট নিরসনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।


তিনি জানান, কমিটিতে সদস্য হিসেবে গাজীপুরের মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মেট্রোলিটন পুলিশ কমিশনার, বিআরটিএ কর্মকর্তা ও রুট ট্রানজিটের প্রকল্প পরিচালক রয়েছেন। এ কমিটি যানজট নিরসনে সক্ষম হবে আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত¡াবধানে টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।

আড়াই মাস পর নিজ দফতরে ওবায়দুল কাদের

আড়াই মাস পর নিজ দফতরে ওবায়দুল কাদের

admin May 19, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আড়াই মাস পর নিজ দফতরে কাজে যোগদান করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার সকাল ১০টার কিছু সময় পর তিনি সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আসেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আড়াই মাস পর অফিস করলেন তিনি। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


মন্ত্রণালয়ে আসার পর জরুরি ফাইলে সই করেন সেতুমন্ত্রী। পরে বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ও দেশবাসীর দোয়ায় আমি বেঁচে আছি। আমার বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেকেই।


চিকিৎসার সার্বিক তত্ত্বাবধান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাতৃস্নেহে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়েছেন, সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।


সবার সহযোগিতা কামনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি নতুন করে পথ চলতে চাই। বাকি জীবনটা দেশের ও মানুষের সেবায় কাটিয়ে দিতে চাই।


দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। এদিন দলীয় নেতাকর্মীরা ওবায়দুল কাদেরকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।


শুক্রবার দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এদিন নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় প্রধানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, এখন সীমিত পরিসরে কাজ করবেন ওবায়দুল কাদের। দলে এবং মন্ত্রণালয়েও সাধ্যমতো সময় দেবেন।


প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ দুই মাস তার চিকিৎসা চলে। বুধবার তিনি দেশে ফিরে আসেন।


ওই দিন বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৫ ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দেশে ফিরেই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে স্ত্রীকে নিয়ে গণভবনে যান ওবায়দুল কাদের।

আজ সন্ধ্যায় ফিরছেন ওবায়দুল কাদের

আজ সন্ধ্যায় ফিরছেন ওবায়দুল কাদের

admin May 15, 2019

নিউজিবিডি ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসা শেষে আজ বুধবার দেশে ফিরছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে তিনি সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন।


আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেন, ওবায়দুল কাদের পুরোপুরিভাবে সুস্থ রয়েছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে দলের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদেরকে অভ্যর্থনা জানানো হবে। আশা করি তিনি আবারো আগেরমতো পরিপূর্ণ সুস্থভাবে দল পরিচালনার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবেন।


৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে ভুগছিলেন। গত ৩ মার্চ ভোরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ সার্জন দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিত্সার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।


সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লেও চিকিত্সকরা ‘চেক-আপের জন্য’ আরো কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর একটি বাসা ভাড়া করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরও রয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের ১৫ মে দেশে ফিরছেন

ওবায়দুল কাদের ১৫ মে দেশে ফিরছেন

admin May 12, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আগামী ১৫ মে দেশে ফিরবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নম্বর বিজি-০৮৫ এ করে সম্ভাব্য বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তিনি অবতরণ করবেন।


সিঙ্গাপুর সময় আজ রবিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টেলিফোনে কথা বলে তার দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেতু বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক সপ্তাহ পর দেশে ফিরতে চান ওবায়দুল কাদের

এক সপ্তাহ পর দেশে ফিরতে চান ওবায়দুল কাদের

admin May 10, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
হার্টে গুরুতর অসুখ নিয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনেকটাই সেরে উঠেছেন। অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারছেন।


এমতাবস্থায় শিগগিরই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। চলতি সপ্তাহ শেষে দেশে ফিরতে পারেন তিনি। এমনটিই জানিয়েছে তার সঙ্গে সিঙ্গাপুরে থাকা একটি সূত্র। সেই লক্ষ্যে আগামী ১৫ মে একটি ফ্লাইটে দেশে আসার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।


ওবায়দুল কাদের দেশে এসে আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এমন আশা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন এমন আশা আমরা করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট নিরসনে এই সেতু দুটি বড় ভূমিকা রাখবে এমন আশা বারবার ব্যক্ত করেছিলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি দেশে থাকাবস্থায় বহুবার সরেজমিনে সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।


মাসখানেক আগে ওবায়দুল কাদেরের অনুপস্থিতিতেই দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু উদ্বোধন করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন- ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরে এলে তাকে নিয়েই সেতু দেখতে যাবেন।


এদিকে ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন তথ্য দিয়েছেন তাকে দেখে আসা আওয়ামী লীগ নেতারা। সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরকে দেখে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমদু এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, সেতুমন্ত্রী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ, শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন।


গত বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুমন্ত্রী এখন অনেকটাই স্ট্যাবল। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার পরই দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। কোনো বিপত্তি না ঘটলে ১৫ দিন পরই ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন।


শেখ ওয়ালিদ জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের দুই সপ্তাহ পর দেশে ফেরার আশাবাদ প্রকাশ করেন।


বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়।


প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।


সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।


ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।


সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, এপিএস মহিদুল হক, সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফাইয়াজ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সুখেন চাকমা, ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার মনসুরুল আলমসহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।


সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া নেয়া অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন তিনি। এখান থেকেই নিয়মিত তার চিকিৎসক ডা. ফিলিপ কোহের চেম্বারে চেকআপের জন্য যাতায়াত করছেন।

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

‘অভিযোগের সুযোগ না থাকায় বিএনপি ইভিএম চায় না’

admin August 31, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারবে না বলেই বিএনপি ইভিএম চায় না, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই আমরা ইভিএম সাপোর্ট করি। নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা দূর করতে ইভিএম দরকার। ইভিএম হচ্ছে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেট সিটি কর্পারেশন নির্বাচনে বিএনপি দু’টি ইভিএম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। তারা জিতলে মানবে আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই তারা নানা অভিযোগ করছে।


ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কমিশন সভা বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন কমিশনার নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। সিইসিসহ পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে সবার মতামত এক হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। একজন ভিন্ন মত দিতেই পারেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচনও থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।


তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন করেছে। একটা দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ফাঁদ তৈরি করেছিল। সেটা তো সংবিধানের দোষ নয়। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেটা তাদের দোষ নয়। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপি সরে গেলে কার কি করার আছে?


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের চেয়েও বেশি দরকার নিরপেক্ষ ইলেকশন কমিশন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের দরকার নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হবে কি না? নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ভয় কোথায়? জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই, তারাই নানা অজুহাত খোঁজে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আর বিএনপি নির্বাচিত হয়েছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা গাজির বাজারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ সরাসরি ভোট দিক আর ইভিএম মেশিনের মাধ্যমেই দিক; যে কোনটাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ ইভিএম মেশিনের প্রতি নির্ভরশীল নয়, জনগণের আস্থা আর ভোটের ওপর নির্ভরশীল।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three