Showing posts with label গাইবান্ধা. Show all posts
Showing posts with label গাইবান্ধা. Show all posts
গাইবান্ধায় সাবেক সাংসদ লিটন হত্যায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

গাইবান্ধায় সাবেক সাংসদ লিটন হত্যায় কাদের খানের যাবজ্জীবন

admin June 11, 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে পৃথক দুটি ধারায় একটিতে যাবজ্জীবন ও অপরটিতে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, সকালে মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে কারাগার থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।তার উপস্থিতিতেই আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।


২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহবাজ মাস্টারপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী পর দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।


২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে বগুড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কাদের খানের দেয়া তথ্যানুযায়ী তার বাড়ির উঠানের মাটির নিচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।


মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে লিটন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি (অব.) কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খানকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার দুলালী

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার দুলালী

admin June 09, 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধায় একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি দুলালী বেগম। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের গাইবান্ধা ক্লিনিকে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান প্রসব করেন তিনি।


দুলালী বেগম জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের শিমুল তাইড় গ্রামের ভ্যানচালক শাহ্ আলম মিয়ার স্ত্রী।


শাহ আলম জানান, আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে এক সঙ্গে চার সন্তান দান করেছেন। আমি খুব খুশি। আমি সকলের কাছে আমার সন্তানদের জন্য দোয়া প্রার্থী।


গাইবান্ধা ক্লিনিকের দায়িত্বরত চিকিৎসক একরাম হোসেন জানান, মা ও চার সন্তান সবাই সুস্থ আছে।

গাইবান্ধায় ঈদের জামাতের সূচি

গাইবান্ধায় ঈদের জামাতের সূচি

admin June 04, 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মধ্যে প্রথম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে পৌর গোরস্থান মসজিদে সকাল পৌনে ৯ টায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮ টায়।


এনএইচ মডার্ণ হাইস্কুল মাঠ, পুলিশ লাইন ময়দান, পুলবন্দি ঈদগা মাঠ, রেল ষ্টেশন জামে মসজিদ, গাওছুল আযম জামে মসজিদ, ডেভিডকোম্পানীপাড়া জামে মসজিদ, ফকিরপাড়া জামে মসজিদ, খানকা শরীফ মাদ্রাসা মসজিদ, গোবিন্দপুর জামে মসজিদ, ভিএইড রোড জামে মসজিদ, সুখ নগর জামে মসজিদ, ব্রীজ রোড আহলে হাদীস জামে মসজিদ, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ জামে মসজিদসহ পৌরসভার বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগা মাঠে ঈদের জামাত সকাল ৯ টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা ইমাম সমিতি সুত্রে জানা গেছে।

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর নিহত

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর নিহত

admin June 02, 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ময়মনা (৩৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহত ময়মনা উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোসাই পুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।


জানা যায়, সে বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করছিল। এক পর্যায়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের লাইনের তার পায়ের সাথে জড়িয়ে যায়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে ময়মনার মৃত্যু হয়।


এ দিকে নিয়ম বহির্ভূত এভাবে বাঁশের খুটি দিয়ে খোলা লাইনে সংযোগ দিয়ে মৃত্যুর ফাঁদ পেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন একালাবাসী। ময়মনার অকাল মৃত্যুতে ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান।

গাইবান্ধায় দোকানে বাসের ধাক্কা, আহত ৫

গাইবান্ধায় দোকানে বাসের ধাক্কা, আহত ৫

admin May 30, 2019
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গোবিন্দগঞ্জে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের কয়েকটি দোকানে আঘাত করেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ১৪-৪৭৯৭) বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে ফাঁসিতলা বাজারের কয়েকটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে তিন যাত্রীসহ পাঁচজন আহত হন। সেই সঙ্গে বাজারের মসজিদের পাশের তিনটি দোকানের অবকাঠামো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ রতন শর্মা জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রংপুরস্থ গাইবান্ধা সমিতির আত্মপ্রকাশ

রংপুরস্থ গাইবান্ধা সমিতির আত্মপ্রকাশ

admin May 29, 2019

স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরে বসবাসরত গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দাদের নিয়ে 'রংপুরস্থ গাইবান্ধা সমিতি' নামে একটি সামাজিক সংগঠণ আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনাকে আহবায়ক এবং তানজিন বিল্লাহকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই সমিতি গঠন করা হয়েছে।


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সিটি ভিউ হোটেলে ইফতার মাহফিল শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


পরে সর্বসম্মতিক্রমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনাকে আহবায়ক এবং ব্যাংক কর্মকর্তা তানজিন বিল্লাহকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়।


কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, তাবিউর রহমান প্রধান, আতিউর রহমান, দিবাকর রায়, শাহজাহান লিটন, আতাউর রহমান লিটন, সোহেল আহমেদ, আবু নাসের, ডা. ইয়াসমীন আক্তার টুম্পা, মিজানুর রহমান মিজান, হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, আব্দুল লতিফ, আব্দুল্যাহ আল মামুন রাজিব ও শাহরিয়া পারভেজ পাভেল।


রংপুরে বসবাসরত গাইবান্ধার বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠনটি গঠন করে।

সাদুল্যাপুরে ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা

সাদুল্যাপুরে ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা

admin May 26, 2019

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার (২৫ মে) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।


নিহতের নাম বুদা শেখ (৪৭)। তিনি ইসবপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে। পরে আজ রোববার (২৬ মে) দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুদা শেখ রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে দোকানে নিয়ে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় বুদা শেখের।


সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক জানান, খবর পেয়ে শনিবার দিনগত রাত ২ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে বুদার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ক্ষেতলালে ধানে আগুন, পলাশবাড়ীতে বিক্ষোভ

ক্ষেতলালে ধানে আগুন, পলাশবাড়ীতে বিক্ষোভ

admin May 24, 2019

রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বুধবার ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে ধানে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ কৃষকসহ ‘কৃষি, কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম কমিটি’র নেতারা।


‘কৃষি, কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম কমিটি’র উদ্যোগে শহরের জিরো পয়েন্টে সমবেত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন এবং সেখানে ধান ঢেলে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে কৃষিবিদ ওবায়দুল্লাহ মুসার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম কমিটি সভাপতি শাহ জামান তালুকদার, কৃষক খাজামদ্দি, ইয়াকুব আলী প্রমুখ।


এদিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের চৌমাথা মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ও বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।


ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সভাপতি হাজী একরাম হোসেন বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা শাখার সদস্য কৃষিবিদ এটিএম মিজানুর রহমান খান সুজন, পলাশবাড়ী উপজেলা সিপিবি নেতা আবদুল্যাহ আদিল নান্নু, তাজুল ইসলাম, মো. ওয়ারেস, ইয়াদুল ইসলাম প্রমুখ।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু

admin September 08, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে। এজন্য ৮ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। আর এই ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ২৬ লাখেরও বেশি রোগী। এ ছাড়া সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে চালু হবে একটি নার্সিং কলেজ। এ জন্য জমি অধিগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে বাকি।


গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলার অবকাঠামো নির্মিত হবে। পরে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে নির্মিত হবে বাকি চার তলা। ৮ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ জুন। আর কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন। এই বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্যা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড আর্কিটেক্স লিমিটেড।


জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সদর হাসপাতাল ঘেঁষে দক্ষিণ পাশে তিন একর জমিতে একটি নার্সিং কলেজ চালু করার জন্য অনুমোদন, জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজ শুরু করা বাকি মাত্র। এই নার্সিং কলেজে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হতে হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নার্সিং কলেজে আর্টস ও কমার্স (ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। আরও উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলে পরে আবারও ২ বছর মেয়াদী বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন তারা। এ ছাড়া শুধুমাত্র সাইন্স বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সরাসরি ৪ বছর মেয়াদী এই বিএসসি ডিগ্রি লাভ করতে পারবেন। ডিপ্লোমা ও বিএসসি পাস করার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্স হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। এরপরও রয়েছে আরও উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ।


আরও পড়তে পারেন >> প্রাইম মেডিকেলে একই সঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গাইবান্ধার পপি


সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর হাসপাতালের ভেতরে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের উত্তর পাশে পুরোনো আবাসিক কোয়ার্টারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই স্থানে ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভবন তৈরির স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় থেমে আছে কাজ। মাটি কাটার মেশিনসহ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় উপকরণও এনে রাখা হয়েছে এই হাসপাতাল চত্ত¡রে। আর নার্সিং কলেজ স্থাপনের জায়গাটি এখন পানিতে ভর্তি। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো হয়েছে নার্সিং কলেজের সাইনবোর্ড।


হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোগী বেশি হওয়ার কারণে বর্তমানে রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। নির্মাণ কাজ চলা ওই বহুতল ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের জন্য অনেক উপকার হবে। সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন রোগীরা। সেই সঙ্গে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করলে ভর্তি রোগীরাও উপকৃত হবে। তাই হাসপাতালের ৮ম তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ ও নার্সিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু করে কার্যক্রম চালু করার তাগিদ দেন ভুক্তভোগীরা।


গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান খন্দকার বলেন, হাসপাতালের জন্য ১২ তলা ভিত্তির উপর প্রথমে ৮ তলা ভবন নির্মিত হবে। আর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। পরে চাইলে বাকি চার তলার কাজও করা যাবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. অমল চন্দ্র সাহা (এসি সাহা) জাগো নিউজকে বলেন, ৮ তলার এই বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু ও নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে এ জেলার মানুষের জন্য হবে এক মাইলফলক। ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে আর নার্সিং কলেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি।

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে

সুন্দরগঞ্জে কাঁচা সড়কের বেহাল দশা, জন দুর্ভোগ চরমে

admin September 04, 2018

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের ময়েজ মিয়ার হাট থেকে কাশিম বাজার পাকা রাস্তা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।


জানা গেছে, অত্র এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী ময়েজ মিয়ার হাট। এ হাটটি ঘিরে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কেজি স্কুল, সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। ওই কাঁচা সড়কটি শত শত মানুষের যাতাযাতের ভরসা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।


এ ছাড়া হাটটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান, পাট, কলা, গম, ভুট্টা ও শাক-সবজি বহনের জন্য হালকা, ভারী যানবাহন যাতাযাত করে থাকে। সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই যাতাযাতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এদিকে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটি পাকা করণের কাজ না হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন। সড়কটি পাকা করণ করা হলে ওই এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।


স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান ও বদিয়ার রহমান জানান, দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি পাকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সড়কটি পাকা করণের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে।

পলাশবাড়ীতে মাঝরাতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬

পলাশবাড়ীতে মাঝরাতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৬

admin September 01, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গত রাত ১২ টার কিছু পরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে রাইচমিল এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দরবার সাউদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচ গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। কোচটি রাত সোয়া ১২টার দিকে রাইচমিল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নৈশকোচের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে শিশুসহ ছয়জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় কোচটির পেছনের অংশ সড়কের পাশে বিদ্যুতের তারে হেলে যায়। তখন পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।


খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। বাস ও ট্রাক্টরের চালক এবং তাদের সহকারীরা পলাতক।


পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বাসের যাত্রী সালমা বেগম জানান, বাসে সাঘাটা, সদর ও সাদুল্যাপুরের যাত্রীরা ছিল। বাসের অধিকাংশ যাত্রীই শ্রমিক। ঈদের ছুটি শেষে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন। বৃষ্টির সময় চালক দ্রুতগতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই জোরে শব্দের পর বাস উল্টে যায়। এরপর আর কিছুই জানেন না তিনি।



গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে। আহতদের মধ্যে চারজনকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

গাইবান্ধায় কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম, আ. লীগ নেতা আটক

admin August 31, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলরকে কুপিয়ে আহত করেছে একদল যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে আটক করেছে। পৌরসভার বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা হয়। আহত সাজু মিয়াকে (৩২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাজু মিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড (মীরগঞ্জ-থানাপাড়া) কাউন্সির ও আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি উপজেলা সদরের থানাপাড়ার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। আজ শুক্রবার সাজু মিয়ার চাচা ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি করে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেছেন।


সাজুর পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুস সোবহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে সাজু মিয়াকে ফোন করে তাদের থানাপাড়া বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী বালাপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে কয়েকজন যুবক অতর্কিত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।


ওসি জানান, তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওসি বলেন, এ ঘটনার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে উপজেলা সদর ও মীরগঞ্জ বাজারের দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে। জনশূন্য হয়ে পরে উপজেলা সদর। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুলিশ মোতায়েত করা হয়।


ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় সাজুর চাচা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ছয়-সাত জনকে আসামি দেখিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদকে আটক করেছে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজার দাবি, তাদের সংগঠনের দ্বন্দ্বের সঙ্গে দলীয় কোনো বিষয় জড়িত নয়, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত।

সুন্দরগঞ্জে নদী ভাঙ্গনরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

সুন্দরগঞ্জে নদী ভাঙ্গনরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

admin August 25, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নদী ভাঙ্গন রোধে করর্ণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার লালচামার তিস্তা নদী ভাঙ্গন রক্ষা ও বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত লালচামার ঈদগাহ মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চণ্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া, নদী বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক ছাদেকুল ইসলাম দুলাল।


এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাপা নেতা মাওলানা আবুল হোসেন সরকার, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা ইঞ্জিনিয়ার এটিএম মাহবুব আলম শাহীন, নুরে আলম সিদ্দিকী, সাহানুর ইসলাম কুমকুম। বক্তাগণ দীর্ঘদিন তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে চণ্ডিপুরের লালচামার, জুগির ভিটা, কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটিকাপাসিয়ায় চার শতাধিক বসতবাড়ি আবাদি জমি, স্কুল, মসজিদ ভাঙ্গন রক্ষার্থে নদী শাসনসহ ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করার সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।


আলোচনা পূর্বে প্রধান অতিথি ও জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী নৌকা যোগে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।

সুন্দরগঞ্জে ‘মৃত্যুর গুজব’ ছড়িয়ে ছয়টি বাড়িতে ‘ভাংচুর-লুটপাট’

সুন্দরগঞ্জে ‘মৃত্যুর গুজব’ ছড়িয়ে ছয়টি বাড়িতে ‘ভাংচুর-লুটপাট’

admin August 25, 2018

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সতির জান গ্রামে ‘মৃতুর গুজব’ ছড়িয়ে ৬ বাড়ি ‘ভাংচুর ও লুটপাট’ চালিয়েছে দুবৃত্তরা। এর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হয় কয়েকজন।


জানা গেছে, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের সতিরজান গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেনের সাথে একই গ্রামের মৃত নছিম উদ্দিনের ছেলে জহর উদ্দিনের দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিরোধ পূর্ণ জমি নিয়ে একটি শালীস বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও মোজাফ্ফর হোসেন কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে জমিতে আমন চারা রোপন করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে মারপিট শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- জাহিদুল, শহিদুল, হারুন, লতিফুল বেগম ও মোজাম্মেল হক। পরে আহতদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল লতিফুল ও মোজাম্মেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।


এদিকে হাসপাতালে লতিফুল বেগমের মৃতুর গুজব ছড়িয়ে ওই দিনেই প্রতিপক্ষ জহর উদ্দিন, জাফর উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, চাঁন মিয়া, আবদুল জোব্বার, আবদুল কাদের, হায়দার আলী ও হাফিজার রহমানের বসতবাড়িতে শত-শত লোক হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে ধান চাল আসবাপত্র, গরু-ছাগল, টাকা-পয়সা, গজনা গাটি, মোটর সাইকলে, বাই সাইকেল শ্যালো মেশিন, গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যায়।


নদী বাচাঁও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক ছাদেকুল ইসলাম দুলাল ঘটনাস্থল দেখতে গিয়ে তিনি জানান, এমন ঘটনা গত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী সুন্দরগঞ্জে যে তাণ্ডব হয়েছে তাকেও হার মানিয়েছে।


সুন্দরগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুস সোবহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও গরু-ছাগল, মোটর সাইকেল, লেপ তোষবসহ কিছু সংখ্যক মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

বেপরোয়া গতি: নরসিংদীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ১১, গাইবান্ধায় ৪

বেপরোয়া গতি: নরসিংদীতে বাস-লেগুনার সংঘর্ষে নিহত ১১, গাইবান্ধায় ৪

admin August 21, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: বেপরোয়া গতির কারণে নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে লেগুনার চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাত যাত্রী। সোমবার রাত ৯ টার দিকে দিকে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দরিকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মহেশপুর নামক স্থানে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস পলাশবাড়ী অভিমুখী একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে চালকসহ ৪ জন নিহত হয়। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, বাস ও লেগুনা দুটি দ্রুতগতিতে চলছিল। এখানে কোনো জ্যাম ছিলনা। ওভারস্পিডের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ থেকে ‌'বস' পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা যাচ্ছিল। গাড়িটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দরিকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ভৈরবগামী একটি যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৮ জনের মৃত্যু ঘটে। মৃতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলাধীন আজমেরীগঞ্জের আবুল হোসেন (৩০), আবদুল মিয়া (২৪), মোবারক মিয়া (১৮), সুজন মিয়া (২২), তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (২০), আবুল হোসেন (৫৫), শামীম (১৮) ও রাকিবুল (৩০)।


তাৎক্ষণিক ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহ একজন নরসিংদী জেলা হাসপাতালে মারা যান। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি তৈফিকুর ইসলাম জানান, বাসটির চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।


অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আখতারুজ্জামান জানান, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী ‘জেনিন পরিবহন’ নামে একটি দ্রুত গতির বাস মহেশপুর এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ ২ যাত্রী মারা যায়, আহত হয় ২ অটোরিকশা যাত্রী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী মারা যায়।


নিহতরা হলেন-আব্দুল হান্নান (৫০) ও তার ছেলে আব্দুর রহমান (১৫), চালক সুমন, আরজিনা বেগম (২৬)। নিহত আব্দুল হান্নানের অপর ছেলে মো. আব্দুল্লাহকে (১০) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


ওসি আখতারুজ্জামান আরও জানান, নিহতদের লাশ ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় বাসটি আটক করা হলেও ঘাতক বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।

নদী ভাঙনে গত ১৪৬ বছরে সহায়-সম্বল হারিয়েছে গাইবান্ধার ৪ লাখ মানুষ

নদী ভাঙনে গত ১৪৬ বছরে সহায়-সম্বল হারিয়েছে গাইবান্ধার ৪ লাখ মানুষ

admin August 12, 2018

রংপুর এক্সপ্রেস: গাইবান্ধায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গত ১৪৬ বছরে আশ্রয়হীন হয়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। এ দীর্ঘ সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর অববাহিকায় থাকা গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রায় ৫’ ৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়েছে এই ৪ উপজেলার প্রায় চার লাখ বাসিন্দা। জেলা ও উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৮৭২ সালে ভবানীগঞ্জ মহকুমার পূর্বপাড় জুড়ে ভাঙন দেখা দিলে ১৮৭৫ সালে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে গাইবান্ধা নামক স্থানে মহকুমা সদর স্থানান্তর করে নামকরণ করা হয় গাইবান্ধা মহকুমা। এই গাইবান্ধা মহকুমাকে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।


পরিসংখ্যান বলছে, ১৮৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬ বছরে নদী ভাঙনে ভবানীগঞ্জ থেকে গাইবান্ধার দিকে ৭ কিলোমিটার এলাকা (কোথাও ৭ কিলোমিটারেরও বেশি) ভেঙ্গেছে। ফলে ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর পুরোটা পশ্চিম তীরজুড়ে স্থলভূমির প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয় নদীগর্ভে। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এসব এলাকার সহায়-সম্বল হারায় চার লাখেওর বেশি মানুষ।


এ জেলায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ১৬৫ টি চরে বসবাস করে ৩ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা এবং ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে আরও অনেক মানুষ। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার হওয়াদের একটা বিশাল অংশ নদী তীরবর্তী এলাকা ছেড়ে অনেক দূরে বা অন্য এলাকায় চলে গেছে। হিসাব অনুযায়ী, গত ৪৭ বছরে (আদমশুমারী অনুযায়ী) প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার নদীপাড়ের বাসিন্দা নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন। এই সময়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ১৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা।


১৮৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৪৬ বছরে ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর পুরো পশ্চিম তীরজুড়ে স্থলভূমির প্রায় ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয় নদীগর্ভে। আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এসব এলাকার সহায়-সম্বল হারায় ৪ লাখেওর বেশি মানুষ।


এছাড়াও বর্তমানে নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, উদাখালি, গজারিয়া, এরেণ্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও ফুলছড়ি এবং সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি, সাঘাটা, হলদিয়া ও জুমারবাড়ি ইউনিয়ন। নদী ভাঙন রোধে সরকার বিভিন্নভাবে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা চালালেও আটকানো যায় না ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই চেষ্টা অনেক সময় বিফলে যায়। ফলে নদীভাঙন রোধ প্রকল্পে প্রতিবছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হয়।


এ দিকে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, গাছপালা, রাস্তা-ঘাট ও বসতভিটাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নদী ভাঙনরোধে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসিঘাট এলাকা, সিংড়িয়া-রতনপুর-কাতলামারী ও গজারিয়ার গণকবর এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকার সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার কাজ চলছে। এ ছাড়া নদী ভাঙন ঠেকাতে নদীর তীর সংরক্ষণে কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।


Gaibandha-River erosion-Photo001 (2)

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর নদী ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব হারালেও ভাঙন মোকাবেলায় কাজ খুবই কম হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীর ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থায়ীভাবে নদীর তীর সংরক্ষণ করা আছে মাত্র সাড়ে নয় কিলোমিটার এলাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ নয় কি. মি এলাকা হচ্ছে- পুরাতন ফুলছড়ি হেডকোয়ার্টার এলাকা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা বাজার, সদর উপজেলার কামারজানী বাজার ও বাগুড়িয়া, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর, কঞ্চিপাড়া ও বালাসীঘাট এবং সাঘাটা বাজার এলাকা। জানা গেছে, এসব এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, আর শেষ হয় ২০১৬ সালে।


নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, কয়েকটি দেশে সহযোগিতায় নদীর তীর সংরক্ষণে গ্রোয়েন নির্মাণ কাজ হয়েছিল। যা শেষ হয় ১৯৯৭ সালে। গ্রোয়েন নদী ভাঙনরোধে খুবই কার্যকরী হয়। তাই আরও গ্রোয়েন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন নদী ভাঙন এলাকার লোকজন। জানা গেছে, নদী ভাঙন ঠেকাতে কয়েকটি দেশের অনুদানে ১৯৯৪ সালে শুরু হওয়া সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের আনালেরছড়া ও ধুতিচোরা গ্রামে নদীর তীর সংরক্ষণসহ গ্রোয়েন নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৭ সালে।

সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত

সুন্দরগঞ্জে মাদক সেবনকালে পুলিশ-শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার সাত

admin July 15, 2018

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা: গাইাবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।


জানা গেছে, রোববার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ছাগলকাটি মৎস্য খামার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনকালে পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারি শিক্ষকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেন।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলী বিএসসির ছেলে সুমন মিয়া, একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে এনামুল হক রিজু, সুর্বণদহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান, মোসলেম আলীর ছেলে আবদুর রহিম, ঘগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও পৌর সভার মুক্তিযোদ্ধা গাওছল রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হাইস্কুল শিক্ষক ও ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মশিউর রহমান ও ভবানীপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।


অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সুন্দরগঞ্জ থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুস সোবহান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক সেবী পুলিশ কনস্টেবল ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলেও জানান তিনি।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three