Showing posts with label ধানের দাম. Show all posts
Showing posts with label ধানের দাম. Show all posts
কুড়িগ্রামে তিন কেজি ধানের দামে ১ কেজি লবণ

কুড়িগ্রামে তিন কেজি ধানের দামে ১ কেজি লবণ

admin May 24, 2019

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ধানের ভালো ফলন দেখে কৃষকের যেমন আনন্দে মন ভরে গিয়েছিল ঠিক ফসল ঘরের তোলার সময় ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা যেন নির্বাক হয়ে পড়েছে। ৩ কেজি ধানের মুল্যে ১ কেজি লবণ মিললেও এক মণ ধানে মিলছে না ১ কেজি মাংস কিংবা মাছ।


জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চলতি বোরো মৌসুমে ফলন বেশ ভালো হয়েছিল। ফলন দেখে কৃষকরাও বেশ খুশি ছিল ছিল নানান স্বপ্ন ছিল বুক ভরা আশা। কিন্তু আশা আর স্বপ্ন বিলিন করে দিয়েছে ধানের নিন্ম দাম। ধানের দাম নিয়ে অখুশি হয়ে পড়েছে কৃষক।


উজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ধান প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। অথচ এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৫৪০ টাকা খাশির মাংস ৭০০ টাকা এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪শত টাকা থেকে ১২শত টাকা।


কৃষক নজির হোসেন বলেন, ৬০ শতক জমির ধান চাষ ও সার বাবদ খরচ যা হয়েছে এখন ধান কাটতে শ্রমিককে দিতে বাকিটাও প্রায় শেষ। এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে মণ প্রতি প্রায় দেড়শত টাকা পর্যন্ত। কৃষক হোসেন আলী বলেন ধান বিক্রি করে শ্রমিকের মুল্য দিতেই মুলধন শেষ এছাড়াও ধানে দাম না থাকায় কেউ জমি বর্গা নিতেই চাচ্ছেনা।


খয়বার হোসেন নামের একজন কৃষক বলেন, কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে গেলে দাম পান না। কিন্তু কিনতে গেলে দাম চড়া। গরু বিক্রি করতে গেলে দাম কমে যায়। অথচ এখন এক মণ ধান বিক্রি করেও এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে না।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬হাজার ৮শত ৪০ হেক্টর জমিতে প্রায় ৩৭ হাজার ৬শত ৭৫ মেঃটন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান বলেন এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই এছাড়াও আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছে যেন তারা ক্ষতির মুখে না পড়ে এবং লোকসান হলেও তা পুষিয়ে নিতে পারে।

ধানের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী

ধানের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী

admin May 19, 2019

অনলাইন ডেস্ক:
এবারের বোরো ধানের নির্ধারিত দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ থাকলেও ধানের দাম বাড়ানোর সুযোগ আপাতত সরকারের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত 'জলবায়ু পরিবর্তন : কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।


তিনি বলেন, 'ধান কিনে ধানের দাম বাড়ানোর সুযোগ আপাতত সরকারের হাতে নেই। আমি ও খাদ্যমন্ত্রী গতকাল এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। ধানের দাম বাড়ানোর একমাত্র উপায় হল, চাল রপ্তানি করা। এটাও আমাদের চিন্তাভাবনা করে করতে হচ্ছে।'


তিনি আরও বলেন, 'গতবারের মজুদ এখনো অবশিষ্ট আছে ৮/১০ লাখ টন। মিলাররাও গতবার আমাদের অনুরোধে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ধান কিনে গুদামে রেখেছেন। তাঁরাও সেগুলো এখন বিক্রি করতে পারছেন না। কৃষি খাতে বিপ্লব হয়েছে। এটা ভালো দিক।'


উল্লেখ্য, এ বছর সরকার প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ঘোষণা দিলেও এতে সন্তুষ্ট নন কৃষকরা। ধান বেচে যে দাম পাচ্ছেন তাতে খরচও উঠছে না বলে অভিযোগ করছেন তারা।

Image Gallary

 
1 / 3
   
Caption Text
 
2 / 3
   
Caption Two
 
3 / 3
   
Caption Three