গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সতির জান গ্রামে ‘মৃতুর গুজব’ ছড়িয়ে ৬ বাড়ি ‘ভাংচুর ও লুটপাট’ চালিয়েছে দুবৃত্তরা। এর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হয় কয়েকজন।
জানা গেছে, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের সতিরজান গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেনের সাথে একই গ্রামের মৃত নছিম উদ্দিনের ছেলে জহর উদ্দিনের দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিরোধ পূর্ণ জমি নিয়ে একটি শালীস বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও মোজাফ্ফর হোসেন কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে জমিতে আমন চারা রোপন করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে মারপিট শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- জাহিদুল, শহিদুল, হারুন, লতিফুল বেগম ও মোজাম্মেল হক। পরে আহতদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল লতিফুল ও মোজাম্মেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এদিকে হাসপাতালে লতিফুল বেগমের মৃতুর গুজব ছড়িয়ে ওই দিনেই প্রতিপক্ষ জহর উদ্দিন, জাফর উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, চাঁন মিয়া, আবদুল জোব্বার, আবদুল কাদের, হায়দার আলী ও হাফিজার রহমানের বসতবাড়িতে শত-শত লোক হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে ধান চাল আসবাপত্র, গরু-ছাগল, টাকা-পয়সা, গজনা গাটি, মোটর সাইকলে, বাই সাইকেল শ্যালো মেশিন, গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যায়।
নদী বাচাঁও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক ছাদেকুল ইসলাম দুলাল ঘটনাস্থল দেখতে গিয়ে তিনি জানান, এমন ঘটনা গত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী সুন্দরগঞ্জে যে তাণ্ডব হয়েছে তাকেও হার মানিয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এসএম আবদুস সোবহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও গরু-ছাগল, মোটর সাইকেল, লেপ তোষবসহ কিছু সংখ্যক মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।