পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতায় বিরক্ত প্রবাসীরা
রংপুর এক্সপ্রেস ডেস্ক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বসবাসকারী সেফাত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী বেশিরভাগ লোকের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন, তার অশালীন শব্দের মাধ্যমে। তিনি সাধারনত ফেসবুক লাইভে এসে দেশের রাজনীতিবিদ কিংবা সেলিব্রিটিদের নিয়ে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করেন। সেফাত যেসব ভিডিও ছেড়েছেন তা অত্যন্ত মানহানিকর ও মিথ্যা অপবাদ।
যার মধ্যে তিনি অত্যন্ত নোংরা শব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিভিন্ন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে থাকেন। এছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতাদেরও গালিগালাজ করতে দেখা গেছে এই সেফাত উল্লাহকে। সেফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে মদ্যপান করেন এবং তা মানুষকে দাম্ভিকতার সাথে জানান। এসময় তিনি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন অশালীন শব্দ ব্যবহার করে থাকেন।
আর সেফাত উল্লার এইসব ভিডিওকে ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রোমেট করছে কিছু বিকৃত মানসিকতার ফেসবুক ব্যবহারকারী ও ইউটিউবার। এরা ফেসবুক পেজ বা ইউটিব চ্যানেলগুলোয় বিভিন্ন আকর্ষনীয় টাইটেল দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বেশি ভিউ বা লাইক পাওয়ার আশায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে হুমকি, বিশেষ করে যারা ফেইসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করেন। সেফাত মদ পান করার জন্য ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার জন্য তরুণদের উদ্বুদ্ধ করছেন।
বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য এশিয়ান এজ তাদের খবরে জানিয়েছে, ওই দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ট্রিয়া সরকারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়। যাতে সে দেশের সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বা তাকে দেশে ফের এনে বিচারের মুখোমুখি করে। তারা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতায় তারা অনেকটা বিরক্ত। অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেফাত উল্লাহর এহেন অপমানজনক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নীরবতা প্রকাশ করেছে। যা মোটেই কাম্য নয়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা এ বিষয়ে ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বললেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি বলে অভিযোগ ওই দেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা। এ বিষয়ে ভিয়েনার দূতাবাসের পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলমকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। দ্য এশিয়ান এজ।